![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু করতে। মানুষকে আনন্দ দেওয়াই আমার সাধনা, কষ্ট নয়।
কি ভাবছেন? বাংলা ভাষার প্রতি আমার দক্ষতা দেখে হাসছেন? হয়তো ভাবছেন আমি ‘দর্শক’ না লিখে ভুল করে ‘ধর্ষক’ লিখে ফেলেছি? তাহলে ভুল ভাবছেন। আমি ধর্ষকই লিখেছি। এবার নিশ্চয় মনে প্রশ্ন জাগছে একজন মেয়ে কিভাবে ধর্ষক হতে পারে, যেখানে মেয়েরাই সেই আদি যুগ থেকে এই নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়ে আসছে। হয় হয়, একজন মেয়েও ধর্ষক হয়। কিভাবে? তাহলে খুলেই বলি।
ঘটনাটা প্রায় ছয় কি সাত মাস আগের। আমি নিজে যার প্রত্যক্ষদর্শী। আমি হেটে যাচ্ছিলাম কোন এক প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির সামনে দিয়ে। কারণ বশতঃ ইউনিভার্সিটির নামটা উল্লেখ করলাম না। তো, আমি ইউনিভার্সিটির মেইন গেট ক্রস একটু সামনে যেতেই শুনতে পেলাম, কয়েকটা ছেলেমেয়ে খুব জোরে জোরে হাসাহাসি করছে। আমার হাটার রাস্তার পাশেই কয়েকটা বাস সারিবদ্ধভাবে দাড় করানো। তারই মাঝে দুইটা বাসের মধ্যে যে ফাঁকা যায়গা হাসাহাসির উৎস সেখানেই। আমি স্বাভাবিক নিয়মেই সেদিকে তাকালাম। আর যা দেখলাম......
একটা ছেলে তার গার্ল-ফ্রেন্ডকে ‘চুম্বন’ করছে। এবং তাদের ঐ আবেগ-ঘন মুহূর্তে ছেলেটার হাত কোথায় কোথায় চলে যেতে পারে তা আর নাই লিখলাম। আর আমি এতো আকর্ষণ নিয়ে তা দেখারও পাত্র নই। আমি তৎক্ষণাৎ চোখ ফিরিয়ে নিতেই থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। যা দেখলাম আমার দুই চোখে তা আমার মনকে বিশ্বাস করাতে পারলাম না। অন্য একটা মেয়ে তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে এসব লীলাকির্তন মোবাইলে ভিডিও করছে আর বত্রিশ দাঁত বের করে খিলখিল করে হাসছে। আমি তো পুরাই অবাক। আমি কি দাঁড়িয়ে থাকবো না চলে যাবো বুঝতে পারছিলাম না। তারা তিনজন ব্যতীত আরও দুজন ছেলে ছিল তাদের সাথে। তারা দুজন আমাকে দেখে অপ্রস্তুতের মত হাসি থাময়ে দিল। ওদিকে লীলাকির্তন হয়েই যাচ্ছে। আমি দাঁড়িয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি আমার পথে হাটা দিলাম। এই হল ঘটনা।
আমরা বলি, একটা ছেলে যদি একটা মেয়ের সম্ভ্রম নষ্ট করে বা এই কাজে সহায়তা করে তবে সে ধর্ষণকারীর কাতারে শামিল হয়। এখন বলুন, এই মেয়েটাও তো ঠিক একই কাজ করছে। তার সামনে তার বান্ধবীর সম্ভ্রম একটা ছেলে লুটেপুটে নিচ্ছে (যদিও তার বান্ধবীও এতে খুব মজা পাচ্ছে) তা দেখে সে একটুও ইতস্তত বোধ করছে না, তার বিবেকে বাধছে না। উলটা তা দেখে সেও মজা পাচ্ছে এবং তা মোবাইলে ভিডিও করছে। কোন একদিন হয়তো বা এই ভিডিওটা আমরা ইন্টারনেট এ দেখতে পাবো। তবে এবার বলুন, সে একটা মেয়ে হয়ে কি আরেকটা মেয়ের সম্ভ্রম হরণে সহায়তা করছে না? যদি তাই হয় তবে সেও তো ধর্ষণকারীর কাতারে পড়ে।
তাই আপুদের এবং ভাইয়াদের কে বলছি, এমন টাইপের মেয়েদের কিংবা ছেলেদের থেকে দূরে থাকুন, যারা আপনার গোপনীয়তাকে তাদের হাসি-আনন্দের খোঁড়াক বানায়। আর কারো সাথে বন্ধুত্ব কিংবা অন্যকোন প্রকার রিলেশনে জড়ানোর আগে তার সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ আপনার কাছের মানুষই কিন্তু আপনার সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করতে পারে যা কি না আপনার শত্রুও করার আগে হাজার বার ভাববে।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
তারেক হিমু বলেছেন: অনুমতি নিয়ে করতে পারে , বা নিজ আগ্রহেই করছে। যেটাই হোক চুম্বনরতদের যে তাতে আপত্তি নাই তা সহযেই বোঝা যাচ্ছে।
২| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
নতুন বলেছেন: তার সামনে তার বান্ধবীর সম্ভ্রম একটা ছেলে লুটেপুটে নিচ্ছে (যদিও তার বান্ধবীও এতে খুব মজা পাচ্ছে) তা দেখে সে একটুও ইতস্তত বোধ করছে না, তার বিবেকে বাধছে না।
আপনি বুঝতে পারেন নাই... ঐ মেয়ে চুম্বনরত দের অনুরোধেই ভিডিও করছিলো.... এবং ঐ জোড়া পুলাপাইনের কাছে ঐটা সম্ভ্রম হানী নয়.... বরং ডেয়ারিং একটা কাজ....
ঐ পুলাপাইনের মনের চিন্তা আমরা বুঝতে পারুম না...
আমরা অত আধুনিক হইতে পারলাম না এখনো...
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
তারেক হিমু বলেছেন: হতে পারে। আবার দেখা যাচ্ছে কিছুক্ষন পর ঐ মেয়ের সাথেও একই ঘটনা ঘটছে।
ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে গ্রুপ ওয়ার্ক আর কি....
৩| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
অর্থনীতিবিদ বলেছেন: একটি মুসলিম প্রধান দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাস্কর ঘটনা। ধিক সেই মেয়ে দুটিকে যারা বেলেল্লাপনা করছে আবার তা ভিডিওতে ধারণও করছে। ছেলেরাতো এইসব মেয়েদেরকেই খোজে। আর এদের মতো কতিপয় মেয়ের জন্য সমগ্র মেয়ে জাতি সমস্যায় পতিত হয়। এই সব মেয়েদের জন্যই ছেলেরা ধর্ষণে উৎসাহিত হয়। আপনি যথার্থই বলেছেন, একটি মেয়ে যখন নীরব ধর্ষক....
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪
তারেক হিমু বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। কতিপয় মেয়ে অতি আঁধুনিক হতে গিয়ে তাদের শেঁকড়ের কথাই ভুলে গেছে। তারা ভুলে গেছে, মেয়েদের সবচেয়ে বড় সম্পদ তাদের সম্ভ্রম।
৪| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১০
আহমেদ নিশো বলেছেন: একটু আগে আমার এক ফেবু ফ্রেন্ড তার বান্ধবীর সাথে জড়াজড়ি অবস্থার একটা ছবি প্রোফাইল ছবি হিসেবে দিয়েছে। এগুলু এখন কোন ব্যাপার'স না।
বলধা গার্ডেন সহ অনেক জায়গায় এসব কীর্তিকলাপ সব সময়ই দেখা যায়।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
তারেক হিমু বলেছেন: আধুনিকতার ছোঁয়া আর কি.....!!!
৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
তাসজিদ বলেছেন: Womens best enemy is another women.
বিকৃত কাজ কর্ম ই এখন স্মার্টনেস
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
তারেক হিমু বলেছেন: সহমত।
৬| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪২
রাশেদ অনি বলেছেন: এইগুলান না করতে পারলে যে আনস্মার্ট।
ফ্যাশন বানায়া নিছে আর কি!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
তারেক হিমু বলেছেন: সহমত।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
জান্নাতুল এন পিয়াল বলেছেন: কিছুই বলার নাই...
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
আরজু পনি বলেছেন:
যেই মেয়েটা ভিডিও করছিল সে কি লুকিয়ে লুকিয়ে ভিডিও করছিল ? নাকি লিলারত নারী-পুরুষের আগ্রহেই ভিডিও করছিল, সেটি তো নিশ্চিত হতে পারলাম না ।
ভিডিও করছিল যে মেয়েটি তাকে জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হয়েছিলেন কি, যে সে কোন রকম অনুমতি না নিয়ে লুকিয়ে ভিডিও করছে কি না ?