নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহা বিদ্রোহী রণক্লান্ত; আমি সেইদিন হবো শান্ত।\nযবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবেনা।\n অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ ভূমে রণিবেনা!

ফিল্ড মার্শালঃ

রণক্লান্ত বীর

ফিল্ড মার্শালঃ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যক্তিস্বাধীনতার মোড়কে নারী এবং যৌনতা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬



একটা মেয়েকে একটা ছেলে অশালীন কাপড় পরার জন্য ধর্ষণ করেছে নাকি করে নাই –এটা আমার কাছে খুবই অস্বস্তিকর একটা “shallow” আলোচনা মনে হয়েছে। যদি বলা হয়, অশালীন পোষাকই দায়ী, তাহলে ধর্ষক কিছুটা জাস্টিফিকেশন পেয়ে যায়। আবার যদি বলা হয়, “অশালীন পোষাক দায়ী নয়”, সেক্ষেত্রেও মনে হওয়ার কথা, “মানুষ কি ধ্বজ নাকি?”।

মানুষের মধ্যে পশুবৃত্তি আছে বলে সে ধর্ষণ করে- এই উত্তরটাকে আমার কাছে যথার্থ এবং যথেষ্ট মনে হয় না, খুবই ভাসাভাসা কথা, কথাটার মাঝে চিন্তাভাবনার অভাব আছে। যদি তাই হত, তাহলে এই একুশ শতকে হঠাৎ করে পুরো বিশ্বে পশুর সংখ্যা বিশেষ করে উন্নত বিশ্বে কোন কারণ ছাড়া কেন বেড়ে গেল- এটা বোঝা বড়ই দায়। বিবর্তনবাদী নাস্তিকরা অবশ্য ব্যাপারটা কে অন্যভাবে দেখছে। তারা বলে মানুষ হল অন্য পশুর মতই পশু, যার বিবর্তনটা একটু বেশি হয়েছে, এই। “ধর্ষন একটা ন্যাচারাল ব্যাপার”- এই কথাটা সর্বপ্রথম প্রচার করে বিবর্তনবাদীরা, যেটা আসলে ধর্ষককে চুপেসারে একধরণের ধর্ষণের লাইসেন্সই দেয় !

মন বলে তো কিছু নেই, সবই DNA এর খেলা !

DNA তে নাকি ধর্ষণের জিন ছিল, ধর্ষকের কি করা !

২।

আচ্ছা আমরা কি চিন্তা করেছি মানুষ আর পশুর মধ্যে পার্থক্য কি ? অবশ্যই এটা লেজ নয়, পার্থক্যটা হল মানুষ চিন্তা(thinking) করতে পারে, তার মন(mind) আছে, পশু চিন্তা করতে পারে না, কারণ তার মন নাই। আর মিলটা হল, মানুষ এবং পশু উভয়ের কিছু প্রবৃত্তি(instinct) আছে, যেমন- survival instinct, procreation বা sexual instinct) ইত্যাদি।

যদিও সব মানুষের ইন্সটিংট গুলো এক, তবু কেন মানুষ একই পরিবেশে ভিন্ন আচরণ করে? এর কারণ হল, ঐ প্রবৃত্তির উপর তার দৃষ্টিভঙ্গি, যেটা আসে চিন্তা(thought) থেকে উৎসরিত কোন কনসেপ্ট বা জীবনদর্শন থেকে। যেমন পশ্চিমা সমাজ মানুষের সেক্সুয়াল ইন্সটিংটকে দেখে এক্সক্লুসিভলি সেক্সুয়াল লেন্স থেকে, তাই তার ফোকাসিং পয়েন্ট হল সেক্স। আবার ইসলাম পুরো ব্যাপারটাকে দেখে প্রজাতি রক্ষা এবং মানসিক প্রশান্তির লেন্স থেকে, তাই তার ফোকাসিং পয়েন্ট হল বিয়ে। এজন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে যত প্রকার সেক্স থাকা সম্ভব তার সবই বিদ্যমান, মুসলিমদের মধ্যে এতটা নয়।

সেক্সুয়াল ইন্সটিংট স্যাটিসফ্যাকশন খুজবে তখনই যখন তাকে বাহ্যিকভাবে উত্তেজিত (external stimulation) করা হয়, তা না হলে নয়। স্যাটিসফ্যাকশন না হলে একটা মানুষ অস্বস্তি এবং টেনশন বোধ করবে, মারা যাবে না, তবে স্যাটিসফাই করার পথ খুজতে থাকবে। পশ্চিমা সমাজে আমরা দেখি এই ধরণের যৌনতা উদ্দীপক জিনিষের ব্যাপক ছড়াছড়ি। সেটা রাস্তার বিলবোর্ড থেকে শুরু করে লাস ভেগাসের বিচ পর্যন্ত বিস্তৃত। তাদের গল্পে-কবিতা-সাহিত্য-মুভিতে অবাধ যৌনতার বিশাল সমারোহ। যেমন একনের একটা গান আছে।

“I wanna fuck you”।

তার আরেকটা গান আছে,

“I had just sex”.

আর শিলার যৌবন তো আছেই ! আছে স্পার্টাকাস।

৩।

নারী পুরুষের মধ্যকার সম্পর্কটা তাই আমাদের সমাজে অনেক হালকা হয়ে গেছে। যেমন ধরেন ছেলেরা আসলে মেয়েদেরকে কিভাবে দেখে? একটা সুন্দর মেয়ে দেখলে বলে, “দেখ দেখ ! সেরম একটা মাল”। একটা মেয়েকে ছেলেরা দেখে আর হিসেব করে থ সে কি ৩৬-২৪-৩৬ ?

আমরা দেখি পর্ণোগ্রাফি, দেখি আর নিজেদের সেখানে কল্পনা করি, যেখানে মেয়েদের কাজ শুধুই “সুখ” দেওয়া। সে এক মজার জিনিষ, নারী হল সেখানে “ভোগ্যপণ্য”। আমরা দেখি শরীরসর্বস্ব সারিকা আর শখদেরকে, বিএমডব্লিউ এর বিজ্ঞাপন দেখে আমরা আবিষ্কার করি মেয়েরা হল “বিপনণপণ্য”, তাদেরকে কয়টা টাকা দিলেই তারা শরীর দেখায়। রাতের বেলা আমরা ফ্যাশন চ্যানেলগুলো দেখি, আর আমাদের মন অজান্তেই বুঝে ফেলে, মেয়ে মানেই শরীর, সেক্স আর সেক্স। পপ গানের জঘন্য মিউজিক ভিডিওগুলোতে শরীরের ঢলাঢলি দেখে আমরা জানতে পারি, নারী হল “সেক্স সিম্বল”।

বাস্তব জগতে আমরা আমাদের পাশের বাসার মেয়েটিকে দেখি তার আকর্ষনীয় দেহটাকে ফোকাস করে ঘুরে বেড়া্তে। আচ্ছা, সে চায়টা কি ? আমি দেখব আর সে দেখাতে চায়, তাই তো ! নাকি আবার অন্য কিছু আছে এটার মধ্যে! আমরা দেখি, আর সবাইকে ডেকে দেখাই, সেও খুশি হয়, তাই না? আর আমাদেরকে তো কে যেন শিখিয়েই দিয়েছে, “চুমকী চলেছে একা পথে”, তার সঙ্গী হতে চাওয়াটা মোটেও দোষের কিছু না।

নকশা আমাদেরকে চুলচেড়া বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করিয়ে দেয় ঠিক কতটুকু চিপা জিন্স হলে একটা মেয়েকে সবচেয়ে যৌনাবেদনময়ী দেখাবে। তারা আমাদেরকে শিখিয়ে দেয় ওড়না পরে নিজের শরীর ঢেকে রাখার কোন প্রয়োজন নেই, কারণ, সে বিশ্বাস করে, “নারী, মূল্য তোমার শরীরে, মূল্য তোমার শরীরের কুঞ্চনে !” মম আর বিন্দুদের দিকে তাকিয়ে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারে জনৈক বুদ্ধিজীবি বলেন, “তোমার মধ্যে যৌবনের ভারি অভাব”, আর মেয়েটি তাতে মন খারাপ করে নিজেকে আরও যৌবনা হয়ে পুরূষের চোখে সুশোভিত হয়ে ধরা দিতে চায়।

কটা মেয়েকে বিচার করা হয় তার শরীর দিয়ে, তার ব্রা সাইজে, তার শরীরের বক্রতা আর বন্ধুরতা দিয়ে। আমেরিকান পাই থেকে আমরা শিখতে শুরু করি স্কুল লাইফের আগেই একটা মেয়েকে ধরে সবকিছু করে ফেলতে হবে, নয়তো আমরা “ব্যাকডেটেড”। আমরা দেখি টারজানকে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াতে, দেখি সিন্ডারেলাকে রাত-বিরাতে পার্টিতে যেতে।

আমরা যে আসলে কি শিখে বড় হই সেটা বোঝার জন্য ব্রিটনি স্পিয়ার্সের একটা গানের লিরিকও দেখতে পারেন। (পশুরা যদি কথা বলতে তাহলে সে এই কথাগুলোই লিখত আমি নিশ্চিত)

I know I may be young
But I’ve got feelings too
And I need to do what I feel like doing
So let me go and just listen

Get it-get it, get it-get it, what? (This feels good)

I’m a slave for you
I can not hold it, I can not control it
I’m a slave for you
I won’t deny it, I’m not trying to hide it

Baby, don’t you want to dance up on me?
(I just want to dance next to you)
To another time and place
Oh baby, don’t you want to dance up on me?

Let’s go
Like that
Do you like it?
Yeah? Now watch me!

ছেলেরা যখন মেয়েদেরকে “slave” হিসেবে দেখতে শেখে তখন মেয়েরা শেখে শিলা হতে হবে, তাতে যৌবনজ্বালায় বিকারগ্রস্ত ছেলেদের চড়কির মত ঘোড়ানো যাবে। তারা শেখে পার্লারে গিয়ে কি সব পেডিকিউর মেনিকিউর না করলে নাকি স্ট্যাটাস থাকে না। তারা শেখে বড় মডেল কিংবা অভিনেত্রী হওয়ার জন্য নিজের চরিত্রকে ফটোগ্রাফার কিংবা প্রডিউসারের কাছে নিজের চরিত্র বিকিয়ে দেয়া দোষের কিছু না। তারা সানন্দা টাইপের ম্যাগাজিনগুলো বিমুগ্ধ নয়নে পড়তে থাকে আর বুঝে ফেলে শরীর দেখিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার মূলমন্ত্র। তারা হিন্দী সিরিয়াল দেখে আবিষ্কার করে নিজেকে সাজিয়ে রাখা হল স্মার্ট মেয়েদের কাজ !

এই যদি আমরা শিখি, আমরা কিভাবে আশা করতে পারি একটা ছেলে একটা মেয়েকে সম্মান করবে? সম্মান অর্জন করা যায় শরীর দেখিয়ে? সৌন্দর্য দিয়ে ? সেক্সি মেয়ে দেখলে আমাদের চোখ বিনয়ে নুয়ে পড়ে নাকি কি যেন খুজে বেড়ায় ? একটা মেয়ে কি গায়ের উপর থেকে ওড়না ফেলে দিয়ে আশা করে তার দাম বাড়বে ? আজকে যে ছেলেটা জন্ম নিয়েছে সে শরীর নাচিয়ে কুদিয়ে বেড়ানো মিলার মিউজিক ভিডিও দেখে কি ভাববে সেটা কি আমরা চিন্তা করেছি ???

এরকম সেক্সুয়ালি স্টিমুলেটেড সমাজেই গড়ে ওঠে পরিমলরা, তাদের ক্রাইটেরিয়া হয় শরীর, তাদের উদ্দেশ্য হয় ভোগ, তাই তাদের সামনে যখন এসে পড়ে কোন ছাত্রী, তাদের ড্রেসআপ শালীন হোক আর অশালীন হোক, তার মাথা চাড়া দেয় জন্মের পর থেকে তার চারপাশ থেকেই শিখে আসা নোংরামিগুলো। পরিমলের মনের এই নোংরামি সে মূহুর্তে সৃষ্টি হয় নি, এটা বছরের পর বছর লক্ষ লক্ষ মূহুর্তে শিখে আসা অনেকগুলো ঘটনা থেকে গড়ে ওঠা দৃষ্টিভঙ্গির ফলাফল, সে ছাত্রী হয়ত শুধু এইসবে সামান্য নাড়া দিয়েছে, পরিমলের চিন্তা নষ্ট হয়েছে বহু আগেই, এই সমাজেরই হাতে।

৪।

এই সমাজ এভাবে নারী হয়রানির ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে থাকে। ধর্মনিরপেক্ষ-উদার (secular-liberal) সমাজব্যবস্থার মৌলিক চেতনা ব্যাক্তিস্বাধীনতা এই সবকিছুর জন্য লাইসেন্স। আপনাকে পর্ণগ্রাফি বানানোর অধিকার দিয়েছে ব্যাক্তিস্বাধীনতা, দিয়েছে দেখারও অধিকার। দিয়েছে যে কোন অশ্লীলতা প্রদর্শনের অধিকার, দিয়েছে অশ্লীলতাকে স্মার্টনেস হিসেবে প্রচারের অধিকার, দিয়েছে নোংরামি করে গর্ব করার অধিকার, দিয়েছে অবাধ যৌনতার অধিকার, দিয়েছে লোকজনকে যখন খুশি সেক্সুয়ালি আলোড়িত করার স্বাধীনতা শুধু দেয়নি এগুলোর পরিণতি ধর্ষণ করার অধিকার ! সে জন্ম দিয়েছে নষ্ট মানুষ তৈরির উর্বর ক্ষেত্র, যেখানে নষ্টামি ছড়িয়ে দেয়া একটা মৌলিক অধিকার বলে সংরক্ষিত! নারী-পুরুষে সম্পর্কের এই ভয়ংকর অবস্থার জন্য দায়ী সবগুলো ফ্যাক্টর খুলে দিয়ে কিসের সমাধান আশা করছি আমরা? মেয়েদেরকে ছোট করে তারপর বললাম তাদেরকে সম্মান কর ? চোরকে অভুক্ত রেখে গৃহস্থকে বলব তালা মেরে রাখ? ব্যাক্তিস্বাধীনতার এই ধারণাটি ঠিক কতটুকু দূষিত এবং কন্ট্রাডিক্টিং তা কি আমরা এখনও বুঝব না ?

ব্যাক্তিস্বাধীনতার কনসেপচুয়াল দুর্বলতা হচ্ছে সে সমাজকে নিছক কিছু মানুষের সমস্টি মনে করে, তাই সে সর্বোচ্চ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায় এবং সবকিছুকে সে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করে। কিন্তু সমাজ মানে কিছু মানুষ নয়, বরং সমাজ হল কিছু মানুষ, তাদের ধারণা, তাদের মধ্যবর্তী সম্পর্ক এবং তাদের সিস্টেম, এই সবকিছু নিয়ে। তাই যে কেউ স্বাধীনভাবে কিছু করলে সমাজে তার প্রভাব সবার উপরে পড়বে, একজনের ব্যাক্তিগত দুর্নীতি অন্যদেরকেও ইফেক্ট করে। তাই যে সমাজে “যা-ইচ্ছে-তাই” হয় সে সমাজের বিশৃংখলা অনিবার্য।

৫।

ব্যাক্তিস্বাধীনতার ব্যানারে নীতি-নৈতিকতার বন্ধন ছিড়ে ফেলতে পারলে অনেক লাভ। তবে সেই লাভ আমাদের না, লাভ কিছু পুজিবাদীদের, লাভ কিছু ফ্যাশন হাউসের, লাভ মুভি কোম্পানি, মিডিয়া জগত আর পর্ণগ্রাফির ফ্যাক্টরিগুলোর। তাদের এই ব্যবসা চালানোর জন্যই তারা আমাদেরকে “ব্যাক্তিস্বাধীনতা” দেয়, আর ভেঙ্গে ফেলে নীতি-নৈতিকতার ঢাল। আমাদের চিন্তাশক্তিকে নষ্ট করে আমাদেরকে পরিণত করে এক একটা মানবাকৃতির পশুতে, যারা কেবল স্মার্টভাব নিয়ে ছুটে বেড়ায় তাদের প্রবৃত্তির উপাসনায়।

৬।

একটা মুসলিম মনে রাখবে সে এই পৃথিবীতে নিজের প্রবৃত্তির উপাসনা করতে আসেনি, আসেনি যা মন চায় তা করতে, সে এসেছে মানুষকে তার প্রবৃত্তির উপাসনা থেকে আল্লাহর উপাসনায় আনতে । কারণ একজন মুসলিম জানে সে পশু থেকে বিবর্তিত হয়নি; সত্যান্বষী হয়েই সে মুসলিম, তাই তার চিন্তাশক্তি আছে এবং এভাবেই সে বুঝতে পারে সে কোথা থেকে এসেছে এবং এই জীবনের পর সে কোথায় যাবে। সে তাই ১৭শতাব্দীতে কিছু মানুষের মাথায় কম্প্রমাইজের প্রেক্ষিতেজন্ম নেয়া ব্যাক্তিস্বাধীনতার পূজারী হবে না, বরং সে তাই অনৈতিক কার্যকলাপের ক্ষেত্র-প্রস্তুতকারী “ধর্মনিরপেক্ষ-উদার” (secular liberal) সমাজব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করে সমাধান খোজে তার কাছে যিনি সর্বজ্ঞানী।

ইসলাম মানুষের সেক্সুয়াল ইন্সটিংট কে সন্ন্যাসব্রতের মত করে দমন করে না, আবার পুজিবাদী সমাজের মত লাগামহীন করে ছেড়ে দেয় না, বরং এটাকে বিয়ের মাধ্যমে সীমিত করে। তাই পাবলিক লাইফে সেক্সুয়ালিটি ছড়াছড়ির কোন স্থান ইসলামে নাই, নেই বিলবোর্ডে আড়ং এর কামোদ্দীপক মডেল, নেই সারিকা-প্রভাদের কোন স্থান। ইসলাম মেয়েদেরকে পাবলিক লাইফে শালীন পোষাকে থাকাটাকে বাধ্যতামূলক করেছে যা নিশ্চিতভাবে তাদেরকে “সস্তা” হিসেবে উপস্থাপন করে না।

হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। [সূরা আহযাব-৫৯]

ইসলামে অশ্লীলতা প্রচার প্রসারের বিন্দুমাত্র সুযোগ নাই, যা মুসলিম অমুসলিমদের মনকে কলুষিত করতে পারে। ইসলামে ফ্রি-মিক্সিং এর কোন স্থান নাই যেটা ছেলেদেরকে মেয়েদের হালকাভাবে নিতে উৎসাহ দেয়। ইসলামিক রাষ্ট্র তার শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে তার নাগরিকদের সচ্চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তোলে,সে শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার মত অসার নয় যা আমাদেরকে শুধু টেকনিক্যাল জ্ঞান দিয়েই শেষ। ইসলাম শেখায় কিভাবে সম্মান করতে হয়, কামভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকতে নয়।

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন। [সূরা নূর-৩০]

ইসলামিক সমাজে মেয়েদেরকে তাদের শরীর দিয়ে বিচার করা হয় না, বিচার করা হয় তাক্বওয়া দিয়ে। এই সবকিছুর পরেও যদি পরিমলের জন্ম নেয়, তার কুকর্মের জন্য ইসলামের জুডিশিয়ারি শাস্তি হচ্ছে মৃত্যুদন্ড।

ইসলাম শুধু কি খারাপ আর কি ভাল সেটা নামে মাত্র বলেই ক্ষান্ত হয় নি, সে একটা পুরো সিস্টেম ধরিয়ে দিয়েছে।

আমরা কি সেই সিস্টেমটা গ্রহণ করে আল্লাহর কাছে সম্মানিত হতে চাই না?

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুবই বিশ্লেষণধর্মী ও বাস্তবসম্মত লেখা। ধর্মীয় অনুশাসনের মাঝেই যে সর্বময় মঙ্গল নিহিত সেকথা আমরা অনেকেই বুঝেও স্বার্থের জন্য না বোঝার ভান করে থাকি। পোস্টে +

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমরা ইসলামকে রিচুয়াল হিসেবেই ধরে রাখছি। অথচ আল্লাহ এটাকে লাইফস্টাইল হিসেবে দিয়েছেন। আল্লাহ যাতে আমাদের বুঝতে সাহায্য করেন। সময় নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭

রুদ্র পাঠক বলেছেন: অত্যন্ত সময় উপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ লেখা। উপলব্ধি করতে পারলে লাইফষ্টাইল বদলে যাবে। ধন্যবাদ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের আরো হেদায়েত দিন। লেখা ভাল লাগল+

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: লেখাটি চমৎকার হয়েছে তবে অনেক বড় লেখা।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: বড়লেখায় বড়কিছু থাকে।

আমি ধৈর্য নিয়ে যদি লিখতে পারি আপনি ধৈর্য নিয়ে পড়তে পারবেন না?

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৭

আল ইফরান বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের মাঝে যে কি ধরনের ভয়াবহ অনাচার বিরাজমান সেই যায়গাটা সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: খানিকটা পড়লাম। ভালো লিখেছেন। প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম, পরে পড়ব। হাতে সময় কম।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ,

তবে পড়ে নিবেন!

৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২০

লিচপেথ বলেছেন: সুন্দর ভাবে কথা গুলো উপস্থাপন করেছেন । ভালো লাগলো ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৮

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে সেক্যুলারিজম চর্চার মাধ্যমে আদর্শ জাতি গঠনের চেষ্টা হচ্ছে গাছের গোড়া বাদ দিয়ে আগায় পানি ঢালা। যার ফলাফল আমরা অহরহ পাচ্ছি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: সহমত পোষণ করছি,
ধন্যবাদ

১০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

ভুতু বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে লেখাটা,, ধন্যবাদ লেখককে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

১১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

কাদা মাটি জল বলেছেন: একটা ধর্ষক পোস্ট লিখেছে, আরেকদল ধর্ষক তাকে বাহবা দিচ্ছে।

ধর্ষণের জন্য ধর্ষিতা, নারী কিংবা তাদের কোন বৈশিষ্ট্যকে দায়ী যে করে সেই ধর্ষক।

লেখক একজন ধর্ষক, সমর্থন প্রদানকারী প্রত্যেকে ধর্ষক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: অভদ্র ইডিয়ট মূর্খের মতো কথা বলছো কেনো?
তুমি পোস্টটা পড়েছো? না পড়েই বলদমার্কা কমেন্ট করছো। সবাই তোমার মতো বরাহশাবক না। সবাই পড়েই আসল উপরব্ধি থেকে পজেটিভ কমেন্ট করছে এটা দেখে তোমার যদি গাত্রদাহ হয় তাহলে সময় থাকতে এখান থেকে কেটে পড়ো!

১২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অগ্রহায়ণ বলেছেন: আপনার লেখাটা সমর্থণযোগ্য। তবে কাদা মাটি জলের মত লোকজন, যারা নারীদেরকে পন্য হিসেবে দেখতে পছন্দ করে, নারীদের কে মানুষ হিসেবে গন্য করেনা, ভোগ্যপন্য মনে করে, তাদের জন্য এই ধরণের লেখা এলার্জির কারণ। এই লেখায় নারীদের কোথাও দোষারোপ করা হয়েছে বলে দেখিনা। বরং বলা হয়েছে নারীদের এই ধরণের অধঃপতনের কারন হচ্ছে আমাদের সমাজেরই কিছু নারীলোভী পুরুষ। যারা নারীদেরকে সবসময় ভোগ্যপন্য হিসেবে গন্য করে। নারীদেরকে সেই ভাবে তৈরী করে, সেই ভাবে উপস্থাপন করে। আর কিছু নারী বুঝে বা না বুঝে তাঁদের ফাঁদে পা দেয়।

“ব্যাক্তিস্বাধীনতার ব্যানারে নীতি-নৈতিকতার বন্ধন ছিড়ে ফেলতে পারলে অনেক লাভ। তবে সেই লাভ আমাদের না, লাভ কিছু পুজিবাদীদের, লাভ কিছু ফ্যাশন হাউসের, লাভ মুভি কোম্পানি, মিডিয়া জগত আর পর্ণগ্রাফির ফ্যাক্টরিগুলোর। তাদের এই ব্যবসা চালানোর জন্যই তারা আমাদেরকে “ব্যাক্তিস্বাধীনতা” দেয়, আর ভেঙ্গে ফেলে নীতি-নৈতিকতার ঢাল। আমাদের চিন্তাশক্তিকে নষ্ট করে আমাদেরকে পরিণত করে এক একটা মানবাকৃতির পশুতে, যারা কেবল স্মার্টভাব নিয়ে ছুটে বেড়ায় তাদের প্রবৃত্তির উপাসনায়।”

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২০

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগটি পড়ার জন্য।
কাদা মাটি জল একজন সেক্সচুয়ালি পারভারটেড বরাহশাবক, সুতরাং তার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই। সে লেখাটি না পড়েই নেতিবাচক মন্তব্য করে বিরুপ পরিস্থিতি তৈরি করে ফেমাস হতে চায়। কিন্তু এই মূর্খ জানেনা এভাবে ফেমাস হওয়া যায়না।

১৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: ব্যাক্তি স্বাধীনতা কখনোই যৌনতাকে প্রশ্রয় দেয় না। কখনোই দিয়েছে কি না জানা নাই। যারা ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে যথেচ্ছা যৌনতার প্রতিক বা উপসর্গ ভাবেন তারা এখনো সেই অন্ধকার যুগেই আছেন। ব্যাক্তি স্বাধীনতা শব্দটি যথেষ্ট ব্যাপক, এটা খালি যৌনতা দিয়ে প্রকাশ করার কিছুই নাই। ব্যাক্তি স্বাধীনতায় যৌনতা নামক ধারা টি আছে যা অনেক উপধারার সঙ্গে বিদ্যমান। সমস্যা হোল আমাদের চিন্তায় এক ধরনের ঘুন পোকা আছে যা যৌনতা শব্দটি দেখেই বাকি সব ধারা ভুলে ওটা নিয়ে ঝাপাঝাপি করি, কিন্তু চিন্তা করে দেখি না বা একটু পড়ে দেখি না যৌন স্বাধীনতার যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে তা কি যথেচ্ছা যৌনতা কে সমর্থন দিয়েছে না পাত্র বা পাত্রির মতামতের গুরুত্ব কে দেয়া হয়েছে। কেউ যদি যৌন সম্ভগে আকর্ষিত না হয় তাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুধু মাত্র সম্পর্কের দাবিতে তাকে যৌন কাজে সম্মতি দিতে বাধ্য করা কে অস্বীকার করে তার যৌন স্বাধীনতা বা মতামত প্রকাশের অধিকার কে বলা হয়েছে। আমার শরীর আমার ইচ্ছা। এর অর্থ যথেচ্ছা যৌনাচার নয়। আশা করি বুঝেছেন। আপনার শিরনামে এ সমস্যা আছে। আর একটু নমনীয় হয়ে লিখলে বেশ শ্রুতি মধুর হতো।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: আমার মনে হয়েছে আপনি লেখাটি সম্পূর্ণরুপে না পড়েই এই মন্তব্য করেছেন।
তবে যা বলতে চেয়েছি আজকের দিনের নারী স্বাধীনতাকামীদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে নারীকে ভোগের পণ্য বানিয়ে ব্যাবহার করা। আর কিছু বুদ্ধিতে অন্ধ নারী তাই গিলছে। নিজেদের স্বাধীনতার দাবি তুলছে আর নিজেদের লম্পটদের খোরাক বানাচ্ছে।

১৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৩

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:



চমৎকার লিখেছেন । ভাল লেগেছে সহজভাবে বিশ্লেষণ ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯

কানিজ রিনা বলেছেন: আমাদের বাড়িতে একসাথে ছোটবড় অনেক
ভাইবোন একসাথে বড় হয়েছি। এখন থেকে
দুইযুগ আগের কথা। আমাদের বাড়িতে ধর্মীয়
অনুসাশন বেশ শক্ত ছিল। বড় বড় ভাইয়েরা
সন্ধার পর কেউ বিনা কাজে বাড়ির বাইরে
থাকলে কঠিন সাজা দেওয়া হত। দেখতাম
আমরা স্কুলকলেজে গেলে বড় ভাইরা বেশ
চোখের নজরে রাখত।
এখন সেসব অনুসাশন উঠে গেছে। একবার
আমার এক বিবাহিত বড় ভাই এলাকার এক
বিবাহিত বউএর সাথে ভালুবাসা শুরু করেছিল
বাড়ির চাচারা মিলে ভাইকে এমন মাইর দিল।
তারপর বড়ভাইর বউসহ দুরশহরে পাঠিয়ে
দিল। আসলে পরিবার থেকে এসব শাসন
উঠে যাওয়ায় সমাজ অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সুষ্ঠ পরিবার সমাজের অবকাঠামো। প্রতিটা
সুষ্ঠ সমাজই সুষ্ঠ রাস্ট্র।
সমাজের পচন নেট দুনিয়া এখন নব্বই ভাগ
দায়ী। শহর মফস্যল গ্রাম নেট দুনিয়ার পচনে
জরাজীর্ন। পরিবার থেকে স্কুল পর্যন্ত চোখে
রাখলেও কলেজ ভার্সিটি পর্যন্ত বাবা মায়ের
আওতায় থাকেনা।
বাইরের জগত অত্যান্ত জঘন্য নেশার দ্রব্য
চায়ের দোকান থেকে শুরুকরে ওষুধের দোকান
পর্যন্ত অতি লুকোছাপায় বিক্রি হয়।
সেই সাথে যুবক যুবতী কিশোর কিশোরী
বুড়োভাম সবার হাতেই স্মার্ট ফোন। অবাধ
নোংরামী পর্নছবি জৈবিক উস্কানী দিয়ে ভরা
থাকে।
শহর মফস্যল সবজায়গায় একই অবস্থা
বিরাজমান। এই পচন ঠেকানো এখন অনেক
দুরহ। ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেশন মুখি লেখায়।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৩

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ কানিজ রিনা এমন একটি চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আপনার মন্তব্যে আমি অনুপ্রাণিত।

তবে আমাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সামাজিক পচনের জন্য স্মার্টফোন অনেকখানি দায়ী। এ পচন ঠেকাতে আমাদের সকলের অনেক বেশি স্বোচ্চার হওয়া দরকার। নাহলে একদিন আমাদের সকলকেই এ জন্য অনেক কঠিন মূল্য দিতে হবে।
আমি আশা করবো আপনি এমন বিষয়কে হাইলাইট করে ব্লগে লিখবেন।
শুভকামনা!

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০০

নাদিম আহসান তুহিন বলেছেন: সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখার সাধ্য কার?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: কিন্তু আমাদেরতো সেই আগ্রাসন বন্ধের পথ বের করতে হবে,

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

জাহিদ অনিক বলেছেন: ব্যক্তি স্বাধীনতার অপব্যবহার বলুন আর ধর্মীয় ও সামাজিক পিছিয়ে পড়াই বলুন যাই বলুন না কেন, এটা সত্য যে এই উপমহাদেশের প্রায় সকলেই যৌন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। সেক্স এডুকেশন কি সেটাই অনেকে জানে না।

একজন ছেলে কখনোই জানে না একটা মেয়ের পিরিয়ড এর সময় তাকে কি কি ভাবে সাহায্য করা যায়, কি কি করলে তার ব্যথা উপশম হয়। অথচ সেগুলো তার জানা উচিত ছিল মায়ের থেকে অথবা বড় বোনের থেকে। এসব বস্তু এখনো এদেশে ট্যাবু। কেন ট্যাবু সে তর্কে না যাই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: সামাজিকভাবেও কিছুটা লজ্জার দরকার আছে। যৌনতা বিষয়ক ট্যাবু ভাংতে গেলে সমাজ আরো বেলেল্লা হবে।
তবে পরিবারের বড়বোন কিংবা মা' দের কন্যা সন্তানদের কিছু যৌনশিক্ষা দেয়া উচিত।

ধন্যবাদ

১৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:১৪

নোমান বিল্লাহ বলেছেন: যারা এই লেখার প্রতি প্রশ্ন তুলে মন্তব্য করেছে তাদের বোকামি দেখেই ভালোই মজা পেলাম

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগটি পড়ার জন্য

১৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন ।
সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৭

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৫

জিয়াউদ্দীন বলেছেন: এই লেখা শুধু সেই সব ভাগ্যবানদের জন্য, যারা কিনা freelancing করে অনেক টাকা উপার্জন করেছেন, এখন শুধু পকেটে আনার অপেক্ষা।
বাংলাদেশে Freelancer দের টাকা আনার সব থেকে ভালো এবং গ্রহণযোগ্য উপায় হচ্ছে Payoneer।
কিন্তু এখন Payoneer এ account খুলে বাংলাদেশে MasterCard পাওয়া আর সহজ না, কিন্তু উপায় আছে।
আগে Payoneer MasterCard পাওয়ার পর active করে টাকা ঢুকানো হতো। এখন MasterCard পেতে হলে আপনার account এ সর্বনিন্ম 30$ থাকতে হবে,কেবল মাত্র account active হওয়ার পর 30$ account এ থাকলে MasterCard order করার সুযোগ পাবেন। আর এই নিয়ম বাংলাদেশীদের জন্য।

আর আপনার জানা জরুরী যে, Payoneer মোটেও ফ্রী না। এর সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনার বাৎসরিক 30$ গুনতে হবে।

সুখের খবর এতটুকুই যে,Payoneer MasterCard account খোলার পর আপনি 25$ বোনাস পাবেন, তার জন্য আপনাকে আপনার বন্ধু কারো থেকে referral link নিতে হবে যার কিনা Payoneer এ account আছে, আপনি account খুলে 100$ load করলে আপনার বন্ধু পাবে 25$ বোনাস আপনি ও পাবেন 25$ বোনাস, আর আপনার বাৎসরিক ফি হিসাবে কেটে নিবে 30$
Get payoneer link https://goo.gl/kSRdVh

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: এই এটা বাজ্ঞাপন দেয়ার জায়গা নয়। এটা ডিলিট করো গর্ধব

২১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: ভাই, প্রথমেই এত সুন্দর একটা লেখা দেবার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যা যা বলেছেন এসবই হলো কঠিন বাস্তবতা। আজকের সমাজে একজন ভালো মুসলিম হয়ে বেচে থাকা খুবই কঠিন। বতর্মান সমাজ ইচ্ছে করেই এভাবে তৈরী করা হয়েছে যাতে খুব সহজেই মুসলিম দের পথভ্রষ্ট করা যায়। আল্লাহ আমাদের সবাই কে আল্লাহর রাস্তায় চলার তৌফীক দিন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ব্লগটি পড়ার জন্য এবং সুন্দর অনুপ্রেরণাদায়ী মন্তব্যের জন্য

২২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬

সবুজ২০১২ বলেছেন: this write-up is surely allergic for so called secular, thanks for thinking such a nice way

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ। সেক্যুলারদের থেকে দূরে থাকুন

২৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ভাবনা চিন্তা মক্তবের মোল্লাদের চেয়েও কম, কিংবা সমান

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫০

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: তোমার মতো বরাহশাবক তো একালের আইনস্টাইন। তুমি কুম্ভশাবক ব্লগে সেলিব্রেটি হইছো তাই কারো লেখাই না পড়ে এখটা অদ্ভূত আর অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য করা হইছে তোমার স্বভাব। তুমি বাল লোখাটা না পড়েই বালের মতো কথা বলো কেনো আর নিজে দিনে দুইবার করে নিজ দর্শন নিয়া হাজির হইবা কোনো সারবত্তাহীন লেখা পোস্ট করে

২৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার নিজের খবর নেই, আপনি আবার মায়ের জাতি নারীকে নিয়ে লিখছেন; আপনি তো নারীর পেট থেকে বের হননি, আপনাকে আদম (আ; ) এর মত করে তৈরি করা হয়েছে মাটি থেকে!

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৮

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: এই বরাহশাবক কিসব কমেন্ট করে। রিপ্লাই দিতেও রুচিতে বাধে

২৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০০

ওমেরা বলেছেন: আপনার লিখাটা পড়ে খুবই খুশী হয়েছি খুবই ভাল একটা লিখা পড়লাম এটা ভেবে । কিন্ব কিছু কমেন্টে আপনার প্রতিউত্তরের ভাষা দেখে আমি মর্মাহত হয়েছি । কারন এরকম লিখার লেখকের কাছে এমন ভাষা আমি প্রত্যাশা করি না ।
আশা করি এরকম লিখা আর পাব । ধন্যবাদ

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
ভালো লাগলো

২৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

রানার ব্লগ বলেছেন: জনাব, আমি আপনার লেখা পুড়টাই পড়েছি। ক্ষিন অংশ বাদ দেই নাই। আপনার লেখা পড়ে আমার এই ধারনা হয়েছে যে আপনি আপনার শিরনামকে সত্য প্রমানের জন্য যথেচ্ছা চেষ্টা করেছেন। দেখুন আপনি যে সব সমস্যার কথা বলছেন, ব্যাক্তি স্বাধীনতা নামক শব্দ সৃষ্টির আদি থেকেই এই গুলা বিদ্যমান ছিল। সময়ের সাথে সাথে তার ধরন পরিবর্তন হয়েছে। ব্যাক্তি স্বাধীনতার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। একজন মেয়ে তার পছন্দের মানুষকে পরিবারের অমতে বিয়ে করেছে বলে সেই মেয়েটিকে লোকজোনের সামনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ধরে এনে তার বীরপুরুষ দুই ভাই মিলে ধর্ষণ করে নির্মম ভাবে হত্যা করলো। কারন টা কি ছিল কারনটা ছিল মেয়ে টি তার নিজের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং সেই মাফিক বহিঃপ্রকাশও ঘটিয়েছে, তার ফলাফল সে হাতেনাতে পেয়ে গেছে, তার আপন মায়ের পেটের ভাই তাকে ধর্ষণ করেছে। এখন বলুন আপনি এমন রক্ষণশীলতা চান ? ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে আপনি যৌনতার সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন। যৌনতা আদি কাল থেকেই বেপরোয়া। রক্ষণশীলতায় কি যৌনতার ছড়াছড়ি নাই? পর্দার বাহিরে যা ঘটে পর্দার আড়ালে এর থেকে হাজার গুন বেশি ঘটে জনাব। যারা ব্যাক্তি স্বাধীনতার নামে নারী বা পুরুষ কে যৌনতার পন্য করার চেষ্টা করেন এটা তাদের সমস্যা, এর সাথে ব্যাক্তি স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নাই বা ছিল না।

প্রতিটি নারী বা পুরুষ তার মনের ইচ্ছা প্রকাশ ও সেই মতাবেক কর্জ সম্পাদন করতে পারাটাই ব্যাক্তি স্বাধীনতা। এখন সেই ইচ্ছা কতটুকু ভুল বা সমাজ পরিপন্থি এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। কারন সমাজ মানুষ তৈরি করে ওটা নিজে থেকে আসে না। আজ সমাজের দৃষ্টি ভঙ্গি এক রকম কাল তা পরিবর্তন হতে সময় নিবে না। কারন সমাজ কিছু মানুষের স্বার্থের বিনিময়ে পরিবর্তন হয়।
আজ যদি বলা হয় স্কুল কলেজে যৌন শিক্ষার প্রয়োজন আছে, আমরা ধরেই নিব যে বইয়ে যৌন পদ্ধতি নিয়ে আলচনা হবে, আসলেই কি তাই? যৌন শিক্ষা মানে কি শুধুই কি যৌন পদ্ধতি। আমার তা মনে হয় না। তাই বলছি ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে দয়া করে যথেচ্ছা যৌনতার সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। মানুষের ভেতরে পশুত্ব অনেক আগে থেকেই ছিল, আর পশুরা কখনই স্বাধীন হতে পারে না, তারা তাদের প্রবৃতির কাছে বন্দি। ধন্যবাদ।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: আপনার মতামত আমার নিকট যুক্তিপূর্ণ মনে হচ্ছেনা। যাহোক ভিন্নমত থাকবেই। ভিন্নমতকে আমি শ্রদ্ধা করি।
পড়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ

২৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯

উচ্ছল বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১

ফিল্ড মার্শালঃ বলেছেন: ধন্যবাদ

২৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:০০

কাদা মাটি জল বলেছেন: আপনি একটা ধর্ষক, এবং একটা অভব্য ধর্ষক।

২৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: বাস্তবসম্মত বিশ্লেষণধর্মী লেখা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.