![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
--জন্মদিনে স্বামীর সাথে এ কি করলেন সানি লিওন--
--মেয়েদের দেহের সর্বাধিক আকর্ষণীয় বস্তু--
--বাসর রাতে সব ছেলেই যে পাঁচটি জিনিস আশা করে--
একটা দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন পোর্টালের সর্বাধিক পঠিত প্রতিবেদনের হেডলাইন কখনোই উপরের তিনটি হতে পারেনা। কিন্তু এটাই হয়ে আসছে।
মাঝেমধ্যে কনফিউজড হয়ে যাই, আমি কি আদৌ কোনো অনলাইন পেপারের হোম পেইজে আছি নাকি ভুলে চটি পেইজে ঢুকে পরলাম।
সেক্সুয়ালিটি জিনিসটাকে আমাদের সুশীল সমাজ খুব বাজে ভাবে নিষিদ্ধের কাতারে ফেলেছে। বেশ ভালো। কিন্তু আবার সেই সমাজেরই কিছু অসামাজিক জীবেরা এই প্রতিবেদন গুলোর মূল গ্রাহক। আপনারা প্রায়ই টি এস সি কিংবা মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলে কামদেবতা রূপে এদের আত্মপ্রকাশ দেখতে পান।
কারণ রবিঠাকুর বলেই গেছেন, নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি মানুষের মোহ চিরন্তন।
মাঝখান থেকে সস্তা অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোর টি আর পি বাড়তে থাকে। আর আমরা বড় হতে থাকি একটা সেক্সুয়ালি পার্ভার্টেড সমাজের মধ্য দিয়ে।
আমাদের বাসায় আমার একটা সেকেন্ড কাজিন ছিলো প্রায় ছয় মাস। নাম সিমরান। দেখতেও বেশ সুন্দরী।
মাঝে একদিন নানাভাইর এক রিটায়ার্ড আর্মি বন্ধুর অতিথি রূপে আগমন। ষাটোর্ধব বয়স। বাসার সবাই তাকে ফেরেশতাতুল্য মনে করে। তার মতো নাকি ভালো মানুষই হয়না।
একদিন দেখি সিমরান বসে বসে কাঁদছে। জিজ্ঞেস করি, কিছুই বলেনা। অনেকক্ষণ ধরে খোঁচানোর পর কান্নার রহস্য উদঘাটন হল। নাটেরগুরু সেই রিটায়ার্ড আর্মি অফিসার।
কাল রাতে খুব সম্ভবত তার ফুলশয্যার স্মৃতি মনে পরিয়া গিয়াছিল। তাই তিনি হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য হইয়া নাতনির বয়সী সিমরানকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বসেন।
বালাই ষাট।
রান্নাঘরে যেয়ে আম্মুকে বললাম, একটা ঝাড়ি দিয়ে রান্নাঘরেই বসিয়ে রাখলো। একটু পরে বিকেলে মামা আসলো, তাকে বললাম।
"বাবা, এইসব কথা বলতে হয়না" বলে একটা চকবার আইস ক্রিম হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলো।
ছোট বলে আমার কথা কেউ গায়েই মাখছে না। শেষে দিলাম আব্বুকে ফোন। বাকিটা ইতিহাস।
তারপর থেকে আজ পর্যন্ত এতো বছর হয়ে গেছে। কিন্তু কোনোদিন ওই লোকের মুখ আর দেখতে হয়নি।
মাঝেমধ্যে ভাবি, ওইদিন আব্বুর মতো প্রশাসনের ঊর্ধ্বস্থানীয় ব্যক্তিরাও যদি একটু কঠোর হয়ে কষে একটা ধমক দিতেন। শুধু একটা শক্ত ধমকেই হয়তো অনেক কিছু থেমে যেতে পারতো।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৯
সানন্দা মিথিলা বলেছেন: ঈদ শুভেচ্ছা আপনাকেও
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৪৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৯
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: এই ধরনের নিম্নমানসিকতা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে আমাদের সচেতনতা ও জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।
ভাল পোষ্ট!
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
সানন্দা মিথিলা বলেছেন: আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: গল্পটির মাঝে সামাজিক সচেতনতার অনেক রসদ আছে ।
