|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
 শাওন আহমাদ
শাওন আহমাদ
	এটা আমার ক্যানভাস। এখানে আমি আমার মনের কোণে উঁকি দেয়া রঙ-বেরঙের কথাগুলোর আঁকিবুঁকি করি।

আমি তখন ষষ্ঠ কি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি, আমাদের শ্রেণিকক্ষে ১০০ ঊর্ধ্ব ছাত্র-ছাত্রীর সমাগম ছিলো। আমাদের ক্লাস সহ পুরো স্কুল জুড়ে আরও অনেক ছাত্র-ছাত্রীর সমাগম ছিলো। এতো-এতো ছাত্র-ছাত্রীর ভীড়ে কিছু দিনের মধ্যেই পুরো স্কুল এক অস্বাভাবিক ছাত্র কে খুঁজে বের করল; যাকে নিয়ে পুরো স্কুল মজা করে বেড়াতো, শিক্ষক-শিক্ষীকারাও এর বাইরে ছিলেন না। পুরো স্কুল যেনো একটা টয় খুঁজে পেয়েছিলো; যাকে নিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমতো খেলাধুলা করতো।
ছেলেটা অস্বাভাবিক ছিলো কারণ সে স্কুলের অন্য ছাত্রদের মতো ছিলো না। আসলে ছেলে বলতে আমাদের সমাজ যা বুঝে সে তার উল্টো ছিলো। ছেলে বলতে আমাদের সমাজ বুঝে, ছেলেরা হবে ডানপিটে, দূরন্ত, মারদাঙ্গা যাদের সমস্ত জড়ঝাপ্টা সহ্য করার ক্ষমতা থাকবে, যে কখনোই কান্না করবেনা, ভারী স্বরে কথা বলবে, বুক উঁচিয়ে হাঁটবে, ব্যাথা পেলে উহ-আহ করবেনা, সকল পরিস্থীতে যে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে সে বা তারাই আসল পুরুষ। কিছু-কিছু সমাজে পুরুষের সংজ্ঞা আরও ভয়াবহ। যাকগে, তো যা বছিলাম, সেই ছেলের নিজেকে পুরুষ প্রমাণ করার জন্য এসব কোনো গুণই তার মধ্যে উপস্থিত ছিলো না। আর এগুলোই তাকে সবার কাছে অস্বাভাবিক করে উপস্থাপন করছিলো। তার আচরণ মেয়েদের মতো ছিলো, চাল-চলন বলন সবই মেয়েদের মতো ছিলো; আর এসব কিছুই তার জীবনে কাল হয়ে দাড়িয়েছিলো, তার জীবন কে করে তুলেছিলো দূর্বিষহ আর বিবিশিখাময়।
ছেলেটাকে শিক্ষকরা তুচ্ছ মনে করতেন; নানান ইঙ্গিত দিয়ে কথা বলতেন, অন্যদের চেয়ে তার প্রতি শাস্তি আর কটাক্ষ করার ভাষাও আলাদা ছিলো। কোনো কোনো শিক্ষক তো তাকে আপা, মহিলা বলেও সম্বোধন করতেন, আবার কেউ কেউ তাকে পিটিয়ে ছেলে বানানোর গুরুদায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছিলেন। যখন স্কুলের শিক্ষকদেরই তার প্রতি এমন বিপরীত আচরণ ছিলো; সেখানে সেই স্কুলের অন্য ছাত্ররা তার প্রতি কেমন আচরণ করতো তা খুব সহযেই অনুমান করা যায়। ক্লাস শেষে, ক্লাস-রুম থেকে টিচার চলে যাবার পরই আমাদের রুমে উপরের ক্লাসের ভাইয়েরা এসে তার উপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়তো; কেউ তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিতো, কেউ দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরে তার মুখে-গলায় কামড় বা চুমু খেতো। সে এদের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টা করতো কিন্তু একা এদের সাথে পেরে উঠতো না। প্রতিদিন নিয়ম করে এই কাহিনীই চলতো আমরা শুধু তাকিয়ে দেখতাম, কেউ আবার এসব দেখে আনন্দে হৈ-হুল্লড় করতো, হাতে তালি দিতো এ যেনো এক মহা উৎসব, আনন্দের খেলা!
সারা স্কুলে ছেলেটার কোনো কাছের মানুষ বা বন্ধু ছিলো না; কেউ তাকে বন্ধু হিসেবে কল্পনাই করতে পারতো না। সে ক্লাসের এক কোণে জড়সড় হয়ে বসে থাকতো, কারো সাথে কথাও বলতো না অবশ্য কথা বলতে গেলেই শুনতে হতো তুই মেয়েদের মতো করে কথা বলিস ক্যান? এই তোর কন্ঠ মেয়েদের মতো ক্যান? ইত্যাদি। রাস্তা দিয়ে একা একা হাঁটতেও পারতো না। গলির মোড়ে মোড়ে চায়ের দোকানে বসা মানুষ গুলো পিছন থেকে এই হাফ-লেডিস? বলে চিৎকার করে ডাকতো। এসব শুনে ছেলেটা লজ্জায় লাল হতো, মুখ চেপে কান্না করতো আর এজন্যও শুনতে হতো এই মেয়দের মতো কাঁদিস কেনো? তার সবকিছুতেই যেনো মানুষ দোষ খুঁজে মজা পেতো, তাকে নিয়ে মজা করাই যেনো মানুষের মূল কাজ ছিলো। ছেলেটা এসব কথা শোনার ভয়ে শর্টকাট লোকালয়ের রাস্তা রেখে মানুষহীন দীর্ঘপথ বেছে নিতো নিজের চলার ফেরার জন্য; যাতে করে মানুষ তাকে কিছু না বলতে পারে। কারো সঙ্গে দেখা হলে সে সবসময় এই ভয়ে থাকতো; এই বুঝি কেউ তাকে উল্টাপাল্টা কিছু বলে বসে যা তার শুনতে কষ্ট হয়। ছেলেটার জন্য আমার বেশ মায়া হতো; কিন্তু প্রকাশ করতে বা তার কাছে যেতে পারতাম না এই ভয়ে যে, অন্যকেউ আবার আমাকে নিয়ে বাজে কিছু বলে।স্কুলে থাকা অবস্থায় আচানক তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে কোনো একটা কাজে ঢুকে যায়; এরপর তার সাথে আমাদের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যায়।
একবার আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে অনেক বছর পর সেই ছেলেকে আবিষ্কার করি; এরপর কাছে ডেকে কথা বলে জানতে পারি সে এই রেস্টুরেন্টে ওয়েটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। সে আমাদের খাবারের অর্ডার নিবে এমন সময় আরকজন ওয়েটার এসে তাকে বললেন, 'আপনি গিয়ে ওই টেবিল টা পরিষ্কার করে দিন আমি উনাদের অর্ডার নিচ্ছি, সে কিছু না বলে টেবিল পরিষ্কার করতে চলে গেলো। বুঝতে বাকি রইলো না সে এখানেও অবহেলা আর তুচ্ছ বস্তু যাকে দিয়ে সব করিয়ে নেয়া যায়। খবার শেষ করে বেরিয়ে আসার সময় তার সাথে আবার আমাদের দেখা হলো; তখন সে নিজেই আমাদের কাছে স্যরি হলো আর বললো এখানে সবাই তাকে দিয়ে অতিরিক্ত কাজ করায়। আমি এর বিপরীতে দীর্ঘশ্বাসের একটা হাসি দিয়ে চলে এলাম, কিছুই বলতে পারলাম না।এর দুই থেকে এক বছর পর তার সাথে আবার আমার একটা ফুড ক্যাফেতে দেখা হলো, সেখানেও সেইম চিত্র দেখলাম। কেউ একজন তাকে যাচ্ছেতাই বলে যাচ্ছে আর সে সেটা শুনে যাচ্ছে, মাঝেমধ্যে প্রতিবাদের স্বরে দু-একটা উত্তরও দিচ্ছে। দেখে ভালো লাগলো যে সে প্রতিবাদ করতে শিখেছে। অবশ্য সেদিন সে প্রতিবাদ না করলে আমি নিজেই তার হয়ে প্রতিবাদ করতাম।
এরমধ্যে একবার ছুটিতে বাসায় গিয়ে আমার এক ফ্রেন্ডের কাছে শুনলাম, সে নাকি তার বাসার সামনে নিজস্ব একটা রেস্তোরা খুলেছে; ভালোই নাকি বেচা-বিক্রি হয় সেখানে আর মানুষের আড্ডাও হয় বেশ। আমার বন্ধুরাও নাকি সেখানে গিয়ে আড্ডা দিয়ে আসে। শুনে বেশ ভালো লাগলো; যে ছেলেটা আড্ডা আর মোড়ের দোকান থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখতো বিদ্রুপ শোনার ভয়ে, সেই ছেলের রেস্তোরাতেই নাকি এখন আড্ডাখানা আর বিকিকিনি চলে। হয়তো কিছুকিছু মানুষ এখনো তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে হয়তো এখনো কেউ তাকে জড়িয়ে ধরতে চায়, বাজে প্রস্তাব দেয় তবুও সে ঘুরে দাড়িয়েছে, সে বাঁচতে শিখেছে এটাই আমাকে ভীষণ আনন্দ দিয়েছে। ভেবেছি একবার সময় করে ওর রেস্তোরায় ঢুঁ মেরে আসব, দেখে আসব ঘুরে দাঁড়ানো ছেলেটাকে।
আমরা মানুষেরা অন্যকাউকে আমাদের মতো হতে না দেখলেই তাকে অস্বাভাবিক তকমা লাগিয়ে দেই, কেউ একটু সহজ সরল হলেই তাকে বোকা মনে করে ঠকানোর পথ খুঁজি বা তার উপর জুলুম করি, পরিবার থেকেই আমরা সাদা-কালোর পার্থক্য শিখি, ধনী-গরীবের ভেদাভেদ শিখি। আমাদের সমাজ, আমাদের পরিবার আমাদের ভেতরে এমন ভাবনা জাগাতে অনেকটাই দায়ী। যে ছেলেকে নিয়ে আমি কথা বলছিলাম, আমাদের সমাজে এরকম অনেক ছেলে আছে যাদের জীবন গল্প হুবুহু একরকম। তারা সবাই এই ঠাট্টা-বিদ্রুপের মধ্যেই বেড়ে উঠে, পালিয়ে বেড়ায় লোকালয় থেকে। এই মানুষ গুলোকে তাদের পরিবারও তুচ্ছ-তাচ্ছ্যিলের চোখে দেখে, এরা নিজের কাছের মানুষ কিংবা আত্মীয়দের মাধ্যমে সেক্সুয়াল হ্যারেজমেন্টের শিকার হয়, আত্মীয়রা এদের নিয়ে ফিসফিস করে কিন্তু কেনো? এই মানুষ গুলো কি নিজের ইচ্ছেতে এভাবে জন্মেছে? সে কি নিজে ইচ্ছে করে এভাবে চলা-ফেরা বা কথাবার্তা বলছে? যদি তা নাই হয় তবে আমাদের তাদের নিয়ে এতো সমস্যা কেনো? আমাদের কি তাদের সাথে কোনো শত্রুতা আছে? যদি তাও না থাকে তবে তাদের কষ্ট দিয়ে কথা বলার, বাজে প্রস্তাব দেয়ার, সেক্সুয়ালি হ্যারেজ করার অধিকার আমাদের কে দিয়েছে? আমরা একজন কে একটা কথা বলতে পারলেই নিজেকে বড় মনে করি; কিন্তু একটাবার ভেবে দেখিনা এই কথাটি সেই মানুষ টাকে কতোটা বিধ্বস্ত করছে, কতোটা যন্ত্রণা দিচ্ছে। আমরা নিজেদের সভ্য বলে দাবী করে থাকি অথচ আমাদের কাজ অসভ্য আর বর্বরদের মতো। আমারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারলেও এখনো পর্যন্ত নিজেদের সমৃদ্ধ করতে পারিনি!
ছবিঃ গুগল
 ২৬ টি
    	২৬ টি    	 +৮/-০
    	+৮/-০  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:০২
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:০২
শাওন আহমাদ বলেছেন: আল্লাহ আমাদের বুঝার ও মানার তৌফিক দান করুন।
২|  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৩:৪২
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৩:৪২
নাহল তরকারি বলেছেন: আমাদের উচিৎ আমাদের সমস্যা গুলো ওভারকাম করা। আমি খারাপ ছাত্র ছিলাম। একদম গাধা মার্কা ছাত্র। সহপাঠী আর স্কুলের টিচারদের ভয়ে আমি “মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়” থেকে চলে আসি। আমাকে নিয়েও সবাই হাসি তামাশা করতো। আমার এক বউ এর আত্নীয় আমার বউ কে বলে “আমি তুমার বিয়ে তে থাকতে এমন গাধা মার্কা ছেলের সাথে বিয়ে হতে দিতাম না।” যদিও ঐ আত্নীয় এর চাইতে আমার সম্মান এখন সমাজে বেশী। অনলাইনে ইনকামও কম হয় না। একার পেট চলে। 
এক সময় ট্রলের স্বীকার হলেও, আমার কন্ঠ এতটাই শক্ত যে আমার কথা সমাজ শুনে। কেউ সমস্যাতে পড়লে টাকা দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, নিজে খেটে মানুষ কে উপকার করি। দুঃখের ব্যাপার এই, যারা আমাকে নিয়ে হাসি তামাশা করতো, তারা আমাকে শত্রু ভাবে। আমি তাদের শত্রু ভাবি না।
  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:০৯
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:০৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: ভাইয়া মানুষের এতো এতো বাজে মন্তব্যের কারণে ভিকটিম তার নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলে, সে ভুলেই যায় সে কিছু করতে পারবে বা তার কিছু করার আছে। এই যেমন আপনি স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। যে আপনাকে গাধা বলেছে সে নিজেই সবচেয়ে বড় গাধা কারণ উচ্চমানের মানুষ কখনো অন্যকে ছোট করে কথা বলেনা। যে যা ভাবার ভাবুক আপনি আপনার কাজ করে যান। আপনার জন্য শুভ কামনা ভাইয়া।
৩|  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:১২
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:১২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমার মনে হয় এইখানে প্রধান সমস্যা হলো জেনারালাইজেশন । আমাদের মনস্তত্ত্বে বেশি প্রভাব যা রাখে তা হলো সাহিত্য এবং নাটক সিনেমা । সেখানে হাস্যরসাত্মকভাবে উপস্থাপন করা এমন কিছু চরিত্রকে যারাও মানুষ ।  তাদের এমন উপস্থান আমাদের মাথায় এই ঢুকিয়ে দেয় যে আসলে এরা অস্বাভাবিক , ওরা যেহেতু আমাদের মত নয় আপাতত বিনোদন নেয়াই যায় ! 
আমরা বিনোদন নিতে গিয়ে ক্রমেই অমানুষ হয়ে উঠছি আর অনেক মানুষ দিনকে দিন ভেতর থেকে খুন হচ্ছে । আমাদের সমাজে আমরা নিত্য মানসিকভাবে অনেক মানুষকেই খুন করে চলি !!
  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২২
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২২
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমরা বিনোদন নিতে গিয়ে ক্রমেই অমানুষ হয়ে উঠছি আর অনেক মানুষ দিনকে দিন ভেতর থেকে খুন হচ্ছে । আমাদের সমাজে আমরা নিত্য মানসিকভাবে অনেক মানুষকেই খুন করে চলি!
এটাই নির্মম সত্য ভাইয়া। সিনেমা নাটকেও তাদের জোকার হিসেবে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। অবশ্য সিনেমা নাটক তো আমারাই বানাই তাই বিদ্রুপের বাইরে তাদের নিয়ে চিন্তা করতে পারিনা। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
৪|  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২৬
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: একদম তাই বিদ্রুপের বাইরে গিয়ে আমরা চিন্তা করতেই পারি কিন্তু ঐ যে বাণিজ্যিকীকরণ , এটাই আমাদের অনেক দিক থেকে বাঁধা দেয় । আসলে সাহিত্য সংস্কৃতিকে আমরা যা ভাবি ও বিশ্বাস করতে চাই তার কোনটাই আমরা পাচ্ছি না ও পারছি না এই এক বাণিজ্যের কারণে !! 
যাইহোক আপনার প্রতি শুভকামনা রইল !!
  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:৩০
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:৩০
শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভ কামনা ভাইয়া।
৫|  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২৬
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২৬
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা কিছু মানুষের স্বভাব। আমার এসব খুব কষ্ট লাগে। আল্লাহ যেন মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করার তৌফিক দান করেন আমাদের হেদায়েতের রাস্তা দেখান।
  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:৩১
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:৩১
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমীন
৬|  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২৭
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:২৭
নতুন বলেছেন: পজেটিভ মটিভেসন যে মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যায়। 
কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ নিজেও হতাস থাকে তাই তারা অন্যদের নিয়ে তামাশা করে মজা পায়। 
আমাদের দেশে সবাই কেন যেন অন্যকে নিচু বানাতে পারলে খুবই খুশি হয়। 
স্কুলে পজেটিভ মটিভেসন শেখানো দরকার। পরিবর্তন আসতে সময় লাগবে কিন্তু ছোটবেলা থাকেই না সেখালে বড় হয়ে বেশির ভাগ মানুষই শেখে না।
  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:৩৩
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৪:৩৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৭|  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৫:২৬
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৫:২৬
শায়মা বলেছেন: এমন অনেকেই আছে ছেলে হলেও মেয়েদের মত নম্র ভদ্র সব কিছু মেনে নেয় আবার কিছু মেয়ে আছে মেয়ে হয়েও ছেলেদের মত।
বিচিত্র এই পৃথিবীতে কে কেমন তা না বুঝেই মানুষ মানুষকে হেয় করে তুচ্ছ করে।
  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৫:৩৬
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৫:৩৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: অথচ এখানে তাদের নিজেদের কোনো হাত নেই, তবুও তারা দোষী, তবুও তারা বিদ্রুপের শিকার!
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
৮|  ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৫:৫৮
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৫:৫৮
মোঃ রবিউল ইসলাম রিপন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে ভাল লাগলো
  ০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৮:৪৯
০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৮:৪৯
শাওন আহমাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার ভালো লাগার কারণ হতে পেরে আমারও ভালো লাগছে।
৯|  ০২ রা মে, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:১৭
০২ রা মে, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৬:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি তখন আমাদের এক সহপাঠী এরকম মেয়েলি স্বভাবের ছিল। কিন্তু ছেলেটা খুব ভালো আর ভদ্র ছিল। সবাই ওকে খেপাতো।আমার সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল। পরে আমি স্কুল পরিবর্তন করি তাই ওর কোন খবর আর জানা ছিল না। এদেরকে এভাবে টিজিং বা বুলিয়িং করা খুব অন্যায় কাজ। সেও একটা মানুষ এটা আমাদের মনে রাখা উচিত। শারীরিক সমস্যা থাকলে অনেক ক্ষেত্রে অপারেশন করে বা হরমোন থেরাপি দিয়ে ঠিক করা যায়। আর যদি মানসিক গড়নে সমস্যা থাকে সেই ক্ষেত্রে মনঃচিকিৎসকের সাহায্যে অনেক ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে আচরণে পরিবর্তন করা সম্ভব। আর যদি ঠিক না করা যায় আমাদের সমাজের উচিত ওকে সেভাবেই মেনে নেয়া। আমাদের সমাজ এই ব্যাপারে খুব খারাপ। আমরা নিজেদের সভ্য মনে করলেও আসলে আমরা সভ্য না।
  ০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৮:৫১
০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৮:৫১
শাওন আহমাদ বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
১০|  ০২ রা মে, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৭:২৭
০২ রা মে, ২০২৩  সন্ধ্যা  ৭:২৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কোন মানুষের এমন কোন বৈশিষ্ট্য, যার উপর তার নিজের কোন হাত নাই, তা নিয়ে মজা করা, মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা খারাপ, কিন্তু এই জিনিসগুলোই যখন পীড়ন বা হ্যারাসমেন্ট এর পর্যায়ে যায় তা হয়ে উঠে ভয়ংকর রকমের খারাপ। 
এখন, আপনার স্কুলের শিক্ষকদের যা অবস্থা আপনি বর্ণনা করেছেন, তা তো ভাই বিপদজনক। এই মানুষ গড়ার কারিগররা ঠিক কি ধরনের মানুষ (?) গড়ে তুলছেন বা তুলবেন তা অনুমান করা কঠিন নয়।
  ০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৮:৫৪
০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৮:৫৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমরা আসলে নিজেদের সভ্য জাহির করি কিন্তু সসলেই কি আমরা সভ্য হতে পেরেছি! ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
১১|  ০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৯:৪৮
০২ রা মে, ২০২৩  রাত ৯:৪৮
ইসিয়াক বলেছেন: 
আরেহ! এতো দেখছি পুরোপুরি  আমারই জীবন কাহিনী!  
এক সময় আমার জীবনও ঠিক একই রকম দূর্বিষহ ছিল।....  অনেক কথাই বলার ছিল। হয়তো বলবো কোন একদিন।  
শুভেচ্ছা রইলো।
  ০৩ রা মে, ২০২৩  সকাল ৯:৪৩
০৩ রা মে, ২০২৩  সকাল ৯:৪৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: এখন কি ভালো আছেন আপনি? সবকিছু পিছনে ফেলে কি মাথা দাঁড় করিয়ে বাঁচতে শিখে গেছেন? 
জ্বী ভাইয়া আমিও আপনার কথা গুলো শোনার অপেক্ষায় রইলাম। আপনার জন্য শুভ কামনা আর দুআ রইলো।
১২|  ০২ রা মে, ২০২৩  রাত ১০:০০
০২ রা মে, ২০২৩  রাত ১০:০০
ঢাবিয়ান বলেছেন: নম্র, ভদ্র , চুপচাপ মানুষেরাই বেশি বুলিং এর শিকার হয় , বিশেষ করে ছাত্রজীবনে।
  ০৩ রা মে, ২০২৩  সকাল ৯:৪৪
০৩ রা মে, ২০২৩  সকাল ৯:৪৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৩|  ০৩ রা মে, ২০২৩  দুপুর ২:৪৬
০৩ রা মে, ২০২৩  দুপুর ২:৪৬
রাজীব নুর বলেছেন: এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে চাই সঠিক পারিবারিক শিক্ষা।
  ০৩ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৩:৩২
০৩ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৩:৩২
শাওন আহমাদ বলেছেন: জি ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৩:২৮
০২ রা মে, ২০২৩  বিকাল ৩:২৮
আহলান বলেছেন: আমাদের মধ্যে এই বদ স্বভাব গুলো সব সময়ই কাজ করে। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন। আমাদের স্কুলেও দুজন ছিলো। এখন নাটকে মাঝে মধ্যে তাদের একজনকে দেখি। কিন্তু আমরা যখন স্কুলে ছিলাম, হাফ লেডিস বলে ক্ষেপাতাম। বুঝতাম না যে বিষয়টা তার জন্যে কষ্টকর .... !