![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম লেখালেখির প্রচেষ্টা (ছড়া-কবিতা): ১৯৭৫ সালে বড়ো ভাইয়ের প্রেরণায়।\nপ্রথম লেখা প্রকাশ (কবিতা): ১৯৮৩ সালে \'পত্রমুকুল\' নামক একুশে সংকলনে, কলাবাগান স্টাফ কোয়ার্টার\n\'কল্পতরু সমাজকল্যাণ যুব সংঘ\'র উদ্যোগে।।\nপ্রথম পুরস্কার (গল্প): ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত নবীনবরণ অনুষ্ঠানে গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ।।\nপ্রথম পুরস্কার (গান): ১৯৮৬ সালে উদীচি শিল্পী গোষ্ঠি, জামালপুর শাখার উদ্যোগে গণসঙ্গীত লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম।।\nপ্রথম গান প্রকাশ (ক্যাসেট): ১৯৯৪ সালে শিল্পী হাসান চৌধুরীর \'ভালোবাসি তোমাকে\' ক্যাসেটে \'তুমি কি সুনীলের সেই বরুণা\' গানটি।।\nপ্রথম টেলিভিশনে গান প্রচার (ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান): ১৯৯৪ সালে শিল্পী মাসুদ খান মজলিস পরিবেশিত \'পাখিকে প্রশ্ন করো\' গানটি বিটিভি\'র \'অন্তরঙ্গ\' অনুষ্ঠানে।।\nপ্রথম বই প্রকাশ (কবিতা): ২০০৪ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় \'দুঃখ, তোমার অভিসারে যাবো\' বইটি \'ন্যাশনাল পাবলিকেশন\' কর্তৃক।।\nপ্রথম বই প্রকাশ (গল্প): ২০০৭ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় \'অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা\' বইটি \'শিরীন পাবলিকেশনস\' কর্তৃক।\nপ্রথম সম্মাননা (ক্রেস্ট প্রাপ্তি): ২০০৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশন-এর \'এ মাসের গান\' অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ গীতিকবি হিসেবে।\nপ্রথম ইন্টারনেটে লেখা প্রকাশ (কবিতা): ২০০৫ সালে \'কবিতা ও গান\' ফোরামে \'আনন্দ মোহন দিন\' কবিতাটি।\nপ্রথম ব্লগে লেখালেখি ( বাংলা ভাষায়): ২০০৬ সালে \'সামহোয়্যারইনব্লগডটনেট\' ব্লগে।
কেমন আছো, আকাশ? সুদীর্ঘ ষোলো বছর পর তোমাকে লিখছি। এর মাঝে নিশ্চয়ই বদলিয়েছো অজস্র আকাশ! দিন, মাস, বছর এবং যুগ অতিক্রান্ত হয়েছে সময়ের আবর্তে। যে স্বপ্নীল আকাশ আমার আরাধ্য ছিলো সেখানে পূজারিণী বদল হয়েছে। সন্ধ্যাবেলা ধূপদানি হাতে তোমার দুয়ারে দাঁড়িয়ে রয়েছে অন্য কেউ। যে তোমার যৌবনের আকাশে পাখি হয়ে উড়েছি অনেকদূর সেখানটায় কতোটুকু রক্তক্ষরণ ছিলো তোমার?
খাগডহরের রেলগেটে সে কী হট্টগোল! স্থানীয় বখাটে যুবকেরা কেড়ে নিতে চাইলো তোমার অস্তিত্বের আভরণ। আমি দাঁড়ালাম সামনে আগলে পথ। মাস্তান পাড়াতো ভাইয়েরা সব আমার চোখের দৃষ্টিতে সেদিন পুড়েছিলো। হার মানিনি আমি, হার মানেনি তোমার সহজ সরল বিনম্র ব্যবহার। পরে এসে তারা হাতজোড় করে মাফ চেয়ে গিয়েছিলো দুজনার কাছে।
অনেক পাগল হয়ে গিয়েছিলে শেষে আমাকে পাবার জন্য। এক নজর দেখার জন্য তোমার সে কী আকুতি! চাচারা দাঁড়ালো বাধা হয়ে, গুণ্ডাপাণ্ডাদের হুমকিও খেয়েছিলে তুমি। তবু দুর্দান্ত সাহসে প্রেমিক হৃদয় উন্নত করেছো তুমি। উচ্চস্বরে গেয়েছিলে অনন্ত প্রেমের জয়গান। তোমার অন্তরে আমি ছিলাম, আমার অন্তরেও তুমি।
তবে নিয়তির পরিহাস কী আর ফেলনা হয়! একদিন ভেঙে গেলো ধৈর্যটা তোমার। টুকটুকে সুন্দরী বউটা ঘরে আনলে যেদিন, খুব কেঁদেছিলাম সেদিন। কৈফিয়ত চাইতে যাইনি সেদিন তোমার কাছে । তুমি কেমন আছো সেটাই ছিলো জানবার। নতুন বউয়ের পাইনি দেখা। তুমি ছিলে খুব বিমর্ষ, বিধ্বস্ত, মনভাঙা। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলে আমাকে । একটি কথাও বের হয়নি তোমার মুখ থেকে।
রাজধানী শহরে বারবার তোমার ঠিকানা বদলানো পীড়া দেয়। প্রতিবার হাজার অনেক কষ্টে খুঁজে পাই তোমার আবাস। তুমিতো জানো আর কখনো মুখোমুখি হবো না তোমার। তবু তোমার কুশল আমাকে রাখতে হয়, আকাশের রং বদলানো দেখতে হয়ই। যে আমার অপরাধে তোমার মনে এতোটা ভাঙচুর তার খোঁজ না রেখে কি পারি? স্বপ্নের পাখিরা কি ওড়ে বাস্তবের আকাশে? আকাশ তো চিরকাল অসীম, অনন্ত। চোখ মেলে তাকে দেখবার ধ্যান শেষ হয় না কখনো!
ভালো থেকো আকাশ, অনেক বেশি ভালো।
৩০.০৩.২০০৮
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৯
নিলু বলেছেন: ভালো লাগ্লো
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২
এহসান সাবির বলেছেন: যুধিষ্ঠির বলেছেন: লিংগভেদে সমস্যা হচ্ছিলো। এই বুঝি মেয়ের দৃষ্টিকোণ নাকি ছেলের মনে হচ্ছিলো এমন।
৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৭
শেখ জলিল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
বি.দ্র. কবিতার লিঙ্গভেদ করে কী লাভ?
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৯
যুধিষ্ঠির বলেছেন: লিংগভেদে সমস্যা হচ্ছিলো। এই বুঝি মেয়ের দৃষ্টিকোণ নাকি ছেলের মনে হচ্ছিলো এমন।