![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
সপ্রতি দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্কট মোচনের প্রস্তাবে আওয়ামিগের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছিলেন যে, এদের কথাতে কীভাবে তাঁরা সমাধানের চিন্তা করবেন কারন এই সকল বিশিষ্ট নাগরিকগনই তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ক্ষমতাবানদের পা ধরতেও লজ্জা পান না। অতি তিক্ত হইলেও কথা বড়ই সত্যি। ৫-১০% এই বিশিষ্ট নাগরিকদের বাদ দিলে এমন কাউকে পাওয়া যাবে না যারা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য উনার কথিত ক্ষমতাবানদের পা ধরেন নি
মনেকরুন আপনি বি সি এসে এ এস পি হয়েছেন একজন কনস্টেবল এর লিঙ্ক এর মাধ্যমে। তো এই এস পি তার ট্রেনিং শেষে একটি জেলাতে পোস্টিং পেলেন্ত। কিন্তু সকল এস আই কিংবা কনস্টেবল তাঁকে খুব সম্মান করলেও একজন কনস্টেবল তার সামনে পায়ে পা তুলে বসে, বা যেকোনো কথা বললেই মুখে মুখে তা করতে অস্বীকার করে বসে। পাঠক বুঝতেই পারছেন এই হইল সেই কনস্টেবল যে ঐ এ এস পির এই পদে আসার পিছনে জোড়াল ভূমিকা রেখেছিলেন। সুতরাং তার সামনে এ এস পি পদ কোন নতুন সম্মান ঐ ব্যাক্তিকে এনে দিতে পারে নাই।
গতকাল আই সি সি যা করল এর সাথে কি এই কথা বা ঘটনার থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা মিলিয়ে দেখতে পারি? ১৯ মার্চ এর ম্যাচটিকে আই সি সি যখন এম সি জী তে নিয়ে এল তখন কিন্তু তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। আমার বিশ্বাস আমাদের যায়গাতে আফগানিস্তান হইলেও এমন ফিক্সচার পরিবর্তন হইলেই বুঝতে পারত যে এখানে কিছু না কিছু কারসাজী হচ্ছে, এবং তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ করত। কিন্তু আমাদের কামাল সাহেব আই সি সি এর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও এই ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ ছিলেন? আমাদের কি বি সি সি আই বা ভারতের কাছে মাথা বিক্রয় করে দিয়েছি? তা না হলে কেন এই ব্যাপারটি আমাদের তথা কথিত সেরা জাতীয় দৈনিক (প্রথম আলো, ডেইলি স্টার বা অন্যান্য) কিংবা কামাল সাহেবেরা একেবারেই আমলে নেন নি অথবা নেয়ার ক্ষমতা রাখেন না। এর পরে যখন রুবেলের বলটিকে নো বল বলা হইল তিনি কি তখনো বুঝেন নাই যে বাংলাদেশকে হারানোর সকল সিধান্ত নেয়া শেষ? তখন কি তিনি ভারতীয় বাদে অন্য দেশীয় তার যে সকল কলিগ আছেন তাদের সাথে ব্যাপারটা নিয়ে কোন আলোচনা করেছেন? এর পরে বাংলাদেশ হারার পরে পাবলিক সেন্টিমেন্ট বুঝে তিনি একটি মন্তব্য করলেন, হ্যাঁ এটি খুবই সাহসী বক্তব্য ছিল।
কাল অনুষ্ঠানের আগে কি আপনি গুনাক্ষরেও বুঝতে পারেন নাই যে ভারত আপনাকে তথা ১৫ কোটি মানুষকে (বাকি এক কোটি ভারতের দালাল নব্য রাজাকার) অপমান করবে? আপনারা কবে শিখবেন যে পদত্যাগ ও একজনকে সম্মানিত করে, পদ আঁকড়ে থেকে কেউ কেউ রাজ প্রসাদ থেকে নর্দমাতে নিক্ষিপ্ত হয়েছে কিন্তু পদত্যাগ করে এমন হয়েছে কেউ বলতে পারবে না। আপনার ১৯ মার্চ বক্তব্যের পরে বি সি সি আই বা আই সি সি যখন আপনাকে হুমকি ধমকি দিল তখন কেন আপনি তা নিশ্চুপে সহ্য করে ২৯ মার্চ পর্যন্ত বসে ছিলেন? আপনি কেন দেশে এসে আপনার আইনজীবীদের নিয়ে বসেন নি (যেটা ২৯ মার্চ ১৫ কোটি বাঙ্গালীর অপমানের পর আপনি সিদ্ধান্ত নিলেন)।
অনেক প্রশ্ন আমি জানি না এর জবাব কত সহজে দেয়া যাবে। কিন্তু আমরা যদি উপরের বক্তব্য এবং গল্পটির সাথে মিলিয়ে দেখি তাহলে দেখব আমাদের হাত, পা, মাথা বা মুখ অথবা সব হয়ত এই প্রতিবেশী হিংসাপরায়ণ জাতীর কাছে বন্ধক রেখে দিয়েছি হয়তবা। তা না হলে কারনে অকারনে এই দেশটি কেন আমাদের রান্না ঘর থেকে শুরু করে আমাদের নির্বাচন পর্যন্ত নিজেদের সিধান্ত আমাদের ১৫ কোটি মানুষের উপর চাপিয়ে দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের ১৫ কোটি মানুষের মাণ, সম্মান, উপলব্ধি এবং আশার কেন্দ্রবিন্দু যা এই ৪৪ বছরের সর্বাত্মক চেষ্টাতেও বিভাজন করা সম্ভব হয় নি, সেই ক্রিকেটকেও আঘাত করতে তাঁরা দ্বিধা করল না।
আমি খুবই লজ্জিত বিব্রত বোধ করতেছি ঐ মুহূর্ত হতে যেই মুহূর্তে আমাদের মাশরাফিদের শারীরিক অবসাদের তুলনাতে সব ম্যাচ অস্ট্রেলিয়াতে খেলা ভারতের ভিরাটদের অবসাদটিকে মুখ্য বিবেচনা করে আমাদের ১৫ কোটি বাঙ্গালিকে অপমান করে সিধুর বাংলাদেশী না কাঙ্গাল কথার মঞ্চায়ন করা হইল। ১৯ মার্চের ম্যাচ ঐ রক্তাক্ত হৃদয়ে আবারও ছুরিকাঘাত করল।
আর ২৯ মার্চের জনাব আহম কামাল সাহেবের প্রতি যে আচরণ করা হইল তা যেন আমাদের মস্তিস্কে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়ার মতই।
এই প্রেক্ষিতে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আমার আকুল আবেদন কেন, কিসের অভাবে, কোন যুক্তিতে আমরা ভারতের কাছে এভাবে বিক্রীত হয়ে গেলাম। হ্যাঁ তাঁরা আমাদের ১৯৭১ এ সাহায্য করেছে সেই সাহায্য তো ঐ এ এস পি এর এ এস পি হওয়ার মত অনৈতিক কোন কাজে সাহায্য নয়। তাহলে কিসের বলে আমাদের এই বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে তাদের পদতলে এভাবে পৃষ্ঠ হতে হবে। আপনাদের অনেক সম্মান কোটি কোটি লোক আপনাদের মাননীয় বলে কিন্তু আমার খুব ক্ষুদ্র সম্মান আর তা হইল আত্মসম্মান। আমার বিশ্বাস আমাদের ৯৫% মানুষেরই এই একটি মাত্র সম্মানই আছে। তাই দয়া করে এমন কোন চুক্তি বা কাজ করবেন না যাতে আমাদের সেই আত্মসম্মানবোধ টকুনকেও কেউ কেউ ঠুনকো মনে করে মণ চাইলেই আছড়ে বা পিষে দেয়।
আপনাদের আমরা বছরের পর বছর ভি আই পি বানিয়ে যাচ্ছি তাই দয়া করে অন্তত আমাদের এই অনুরধ টুকুন রাখুন। আমাদের আত্মসম্মানিত আম জনতা হিসেবে বাঁচতে দিন।
©somewhere in net ltd.