![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
প্রথমেই বলে নেই আপনি যদি অতি সহনশীলতার অভিনয় করতে করতে সহনশীল কথাটিকে এর প্রতিশব্দ অসহিষ্ণুতা দিয়ে প্রতিস্থাপন করে ফেলেছেন অথবা আপনার SECULARISM এর ভিতরে আসলে IMPIETY মূলক মনোভাব কাজ করে তাহলে এই লেখা হতে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
আরেকটি ব্যাপার আমি সর্বদাই বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিপক্ষে তা হোক অভিজিৎ এর হত্যা বা একি কায়দাতে গাংনি উপজিলার হাসের উদ্দিনের হত্যা অথবা কথিত বন্ধুক যুদ্ধে জনির দেহের ১৬ বুলেট বিদ্ধ হত্যা। আমার কাছে এগুলো সবই একি রকম বেদনা দায়ক।
যদিও আমাদের তথাকথিত সেকুলার প্রগতিশীলদের অন্তরাত্মা অভিজিতদের জন্য কাদলেও জনি বা হাসের উদ্দিনের ক্ষত বিক্ষত দেহ তাদের মনে একটুও আচর কাটতে পারেনা।
আচ্ছা মনে করুন আমার এই লিখাটা একজন আমার হিন্দু বন্ধু পড়ছে এবং আমি লেখাটার শুরু করলাম রামের/ লক্ষণের নামে খিস্তি করে অথবা রাবণকে তোষামোদ করে। কেমন লাগবে তখন আমার বন্ধুর? অথবা ধরুন আমি রাঁধার সাথে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমের যে কাহিনি তার সম্পর্কে কিছু কটূক্তি করে তাহলে কি আমার বন্ধুটি খুব খুশী হবে? অবশ্যই না এমন কি এই সকল প্রগতিশীলরাও আমার খিস্তী করতে এক মুহূর্তও চিন্তা করবে না, উপরন্তু আমার নামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতি ভঙ্গের অজুহাতে মামলা করে দিবে এবং এই প্রগতিশীল যারা হয়ত জনির পরিবারকে লাখ টাকার বিনিময়ে ও আইনি সাহায্য দিবে না তারাই ফ্রি ফ্রি আইনি লড়াই চালাবে কেন আমি এমন বললাম।
তবে আমিও তাদেরই পক্ষে কিন্তু আমি আবার হাসের উদ্দিনদেরও পক্ষেও কারন আমি দুই চোখেই দেখি। কিন্তু এই তথাকথিত প্রগতিশীলরা আল্লাহ্ প্রদত্ত দুই চোখকে এক চোখে রুপান্তর করেছে।
অভজিত সাহেব মারা যাবার পর প্রথমআলো এটাকে তাদের হেডিং করে ছিল ঠিক আছে উনি বিজ্ঞান মনস্ক, শিক্ষিত একজন মানুষ এবং অন্যায় ভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে এটুকুন করা উচিৎ কিন্তু একি কায়দাতে গাংনিতে যখন হাসের উদ্দিন কে মারা হইল তখন কিন্তু এটা পত্রিকার এক কোনাতে এক কলাম যায়গাতে ছাপা হয়েছে এবং এখানে কিন্তু কোন জঙ্গিবাদের গন্ধ তাঁরা পায় নাই।
প্রথমআলো জোড় গলাতে যে বিজ্ঞান মনস্কতা নিয়ে দৈনিক কলাম বা হেডিং করছে আসলে এই বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ গুলো কি করত? প্রথমআলোর ভাষাতে তাঁরা ধর্মীয় কুসংস্কার এর বিরুদ্ধে মুক্ত মনে কথা বলেন। ধর্মীয় কুসংস্কার কি? আমি যদি হিন্দু ধর্মের কথা বলি তবে তা সতীদাহ প্রথা বা বিধবা বিবাহ যা রাজা রামমোহন রায় এবং ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর রা তথাকথিত বিজ্ঞান মনস্ক না হয়েও সফলভাবে উঠিয়ে দিয়ে গেছেন। ইসলাম ধর্ম তে কখনোই কুসংস্কার নাই /ছিল না / থাকবে না। কিন্তু কিছু মানুষ কিছু কুসংস্কার প্রবেশ করাচ্ছে এবং যুগেযুগে তা বিলোপ ও হয়েছে। এমন একটি কুসংস্কার কুলখানি এটা আমার মতে একটি কুসংস্কার কারন মৃত্যুর পর একজন মানুষের জন্য তার সন্তানদের দোয়া এবং দাণ ই কেবল তার উপকারে আসে। কিন্তু আমাদের সমাজে কেউ মারা গেলে ৪০ দিন পর মিলাদ বা মিলাদ বাদেই কিছু খাবার বিতরণ করে যেন তার সারা জীবনের পাপ মোচন করার এক অকল্পনীয় উদ্যোগ দিন দিন খুব জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতাতে জনপ্রিয় সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ও কুলখানি হয়েছে অথচ উনারা সারা জীবন বিজ্ঞান মনস্ক ছিলেন এবং ইসলামের কুসংস্কার দূর করতে ব্যাস্ত ছিলেন। সেই কুসংস্কার দূর কারীর নিকটাত্মীয়রাই একটু কুসংস্কার পালন করল। আমার জানামতে রাজিব সাহবের ও জানাজা হয়েছিল অথচ বেঁচে থাকতে তিনি ইসলামের কেবল নাম টুকুরই অধিকারী ছিলেন। যাঁদের লেখার লাইনে লাইনে যাকে সৃষ্টি না করলে এই পৃথিবী সৃষ্টি হইত না এমনকি যার নামে জ্ঞানী কাফের মুশরিক রাও কোন অপবাদ দিতে পারেন না যিনি সর্বকালের সর্বসেরা মানুষ সেই আমার প্রিয় নবি কে তুচ্ছ তাছিল্য করে কথা লেখা হয়। যার প্রমাণ স্বরূপ কিছু ছবি কমেন্টে দেয়া আছে। যারা মুক্তবুদ্ধির নামে প্রতিনিয়ত আমার ধর্মীয় অনুভূতিকে ক্ষত বিক্ষত করে দিচ্ছে তাদের কি কোন বিচার বাংলাদেশের আইনে সম্ভব না?
আমি মনে করি একটু সদিচ্ছা থাকেলেই সম্ভব। আর কিছু চাতুর সু কৌশলী মহল এদের এই কুৎসিত লিখা বা ধ্যান ধারণাকে বিজ্ঞান মনস্কতা বলে জেনারেলাইজড করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। আরে বিজ্ঞানী আইনস্টাইন বলেছেন- SCIENCE WITHOUT RELIGION IS LAME AND RELIGION WITHOUT SCIENCES IS BLIND. আমার প্রশ্ন, এই সকল বিজ্ঞান মনস্করা কি আইনেস্টাইনের চেয়েও বড় কোন বিজ্ঞানি? তাহলে কেন এই মিথ্যা প্রচারণা? কেন তাদের কে নাস্তিক বলতে এত কারসাজী? যে নাস্তিক সে তো জেনে শুনেই ঘোষণা দিয়ে নাস্তিক তাঁকে কেন এরা এতটা আরাল করে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে কথা বলছে?
আপনারা তো নিজেদের সহনশীল বলেন কতটুকুন সহনশীল আপনি? আপনার একটি মতের বিরোধিতা করে যৌক্তিক কমেন্টস করলেই আপনি আমাকে ব্লক মারেন আর যারা পাতার পর পাতা আমার ধর্মীয় বিশ্বাস, আমার নবী যাকে আমরা নিজেদের জীবনের চেয়েও বেশী ভালোবাসি তাঁকে নিয়ে তাদের যা মুখে আসছে তাই লিখে যাচ্ছেন। এর পরেও আমরা কিছুই বলছি না কারন আপনি না আপনার মত হাজার হাজার লোক এই নবীর বিরুদ্ধে কথা বললেও কোটি কোটি লোক তার গুনগান করতে ব্যাস্ত। আপনার মত মুসাইলিমা কাজ্জাব হতে কোটি কোটি নাস্তিক এসেছে এবং চলেও গেছে কিন্তু তাদের নাম যে কতজন জানে তা আল্লাহ্ ই ভালো জানেন অথচ হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নাম কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। কিন্তু সবার সহনশীলতার মাত্রা যেহেতু সমান নয় তাই হয়ত কেউ আইন নিজের হাতে তুলেনিচ্ছেন যা নিতান্তই অনুচিত কাজ।
হজরত ইউসুফ (আঃ) এর বাবা ইওয়াকুব (আঃ) কে তার পুত্ররা যখন ইউসুফ (আঃ) মারা গেছেন বলে তার রক্তমাখা শার্ট এনে দিয়েছিল তখন তিনি কিন্তু চাইলে সরাসরি আল্লাহের সাহায্যে তাদের মিথ্যাকথার শাস্তি দিতে পারতেন কিন্তু তা না করে তিনি যুক্তির আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি বলেছিলেন নেকড়ে যদি আমার ছেলেকে খাইত তাহলে তার কাপর ছিঁড়া থাকত কিন্তু এই কাপড়ে শুধু রক্তই আছে কিন্তু তা ছেড়া নয়। এমনি ভাবে আল্লাহের প্রেরিত যত রাসুল ছিলেন সবাই যুক্তি দিয়ে মানুষকে বুঝিয়েছেন।
মহাগ্রন্থ আল কোরআনের সম্পর্কে আল্লাহ্ বলেছেন “মহা বিজ্ঞানময় কোরআন” যেখানে পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণের কথা বিজ্ঞানিরা আবিস্কারের কয়েকশো বছর আগেই বলা ছিল। যেখানে আপনার জন্ম নিয়ে যে ধাঁধা তায় বিজ্ঞানীরা জানার অনেক আগেই আল্লাহ্ বলে দিয়েছেন। আর আজ আপনারা দুকলম সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষাতে শিক্ষিত হয়েই ধরা কে সরা জ্ঞান করে সেই আল কোরআনের নির্দেশিত ধর্ম ইসলামকে ধ্বংস করতে চাচ্ছেন এবং এর নামে যা মনে আসতেছে তাই বলে দিচ্ছেন।
আসলে আপনাদের সমস্যা হইল আপনারা রিলেটিভিটির সুত্র নিয়ে দুইচার ঘণ্টা লেকচার দিতে পারলেও আল-কুরআনের আলোকে দৈনন্দিন জীবন নিয়ে পাঁচ মিনিটও কথা বলতে পারবেন না। তখনই আপনাদের মাথাতে বাজ পরে এই বলে যে এত কষ্ট করে এতগুলা সার্টিফিকেট পাইলাম কিন্তু আমরা ৫ মিনিট ও মানুষের সম্মুখে কথা বলতে পারিনা আর এই মোল্লারা বিনা কষ্টে এই ব্যাপারে এতকথা বলে। এদের কথা শুনতে আবার লাখ লাখে লোক জড় হয়? হ্যাঁ আপনাকেই বলছি হাফেয বা মুফাচ্ছির হওয়া যে চাট্টিখানি কথা না তা একবার চেষ্টা করেই দেখতে পারেন।
আপনারা বলেন হাদিস আবৃতি বাদে নাকি মুসলমানদের কোন পড়া নাই। আচ্ছা আপনি যে ডাক্তার বা রসায়নবিদ হইলেন সেই রসায়নের নাম যার বইয়ের নামানুসারে সেই লোকটি যেন কে? হ্যাঁ আমি বু আলী সিনা বা ইবনে সিনার কথা বলছি। নিজের অজ্ঞতার ভার অন্যের উপর চাপান যে কত বড় অন্যায় তা কি আপনাদের মুক্ত মণ শিক্ষা দেয় নাই? তাই আমার ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে আমাকে থাকতে দিন। আপনার কোন অধিকার নাই আপনি কোন ধর্মের মূলমন্ত্রে আঘাত করবেন হোক তা ইসলাম কিংবা হিন্দু।
আপনাদের তথা কথিত বিজ্ঞান মনস্কতা নিয়ে দূরে থাকুন। পারলে সত্যিকারের কুলখানি টাইপের কুসংস্কার দূর করুন। আর না পারলে আমাদের ধর্মের কুসংস্কার আমাদের দূর করতে দেন আপনাদের দয়া করে নাক গলাতে হবেনা। আপনারা সত্যিকারের বিজ্ঞান গবেষণা বা উন্নয়নের চেষ্টা করুন। এত বিজ্ঞানমনা লোক আমাদের দেশে অথচ গত বছর যেই ব্যাক্তি আইটি সেক্টরে তার গবেষণার জন্য সবচেয়ে বেশী সাইটেসন পেলেন তিনি কিন্তু দাড়ি টুপি ওয়ালা মুসলমান ই। এই ইসলামী তাঁকে বরং আরও বেশী সত্যকারের বিজ্ঞান মনস্ক করে তুলেছে। তাই নিজেদের কুশ্রী ইচ্ছাগুলোকে এমন সব শব্দের আড়ালে না ঢেকে সরাসরি বের হয়ে আসুন এবং জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চাতে এই দাড়ি টুপি বা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া লোকগুলোকে ছাড়িয়ে চলে যান। একজন ইউওয়ান যে লি যদি তাইওয়ান কে পরিবর্তিত করে দিতে পারে সেখানে আপনারা এত বিজ্ঞান মনস্ক লোক আছেন কিন্তু আমরা আজও এত পিছিয়ে কেন?
একজন মাহাথির মালয়শিয়াকে পরিবর্তিত করে দিয়েছেন আপনারা পারছেন না কেন। এই পরিবর্তন করতে তো মাহাথিরকে নাস্তিক হতে হয় নি। আর আমাদের দেশে তো আপনি তাও হচ্ছেন কিন্তু পরিবর্তন তো দেখছি না।
আপনাদের কথা যদি এতই বিজ্ঞান মনস্ক হয় তাহলে প্রত্যেকটা ঘটনার পর পরেই আপনাদের একাউন্ট গুলো হতে সব উধাও বা ব্লগ গুলো সাদা হয়ে যায় কেন? এই বিজ্ঞান মনস্ক কথা গুলো আমরা দেখেও তো একটু বিজ্ঞান মনস্ক হইতে পারতাম। কারা এগুলোর নিয়ন্ত্রণ করছে? তাই এই কুৎসিত কদাকার মণ হতে বেড়িয়ে আসুন। অন্যের এমন কুরুচিকর সমালোচনা বাদ দিয়ে সত্যিকারের সমাজ সেবাতে মণ দিন। এটাই আপনাদের কাছে আমাদের কামনা।
আমাদের ধর্মকে আমাদের মত করে পালন করতে দিন। আপনার মত জ্ঞানী, মুক্তমনা, মুক্তচিন্তার বিজ্ঞান মনস্ক (তথা কথিত/ প্রথম আলো স্বীকৃত) কথা বাতরা আমাদের দরকার নাই। হাত জোড় করে মাফ চাই আমাদের শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থানে থাকতে দেন। ইউ এস এ এর মত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ২০ লখ্যাধিক জীবনের বিনিময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা আমরা চাই না।
আমি আমার বাসার রান্না ভাল না লাগলে আমার বন্ধু সঞ্জীবন বা বিশ্বজিতের বাসতে খেতে যাইতাম। কখনো পকেটে টাকা না থাকলে সঞ্জিবনের বাসাতে পান্তা আর মরিচ দিয়েও খেয়ে নিয়েছি। আবার একি কাজ ওরাও করেছে। আমার বউয়ের বান্ধবী জবা সময় পেলেই আমাদের বাসাতে আসত আরেক বান্ধবীর জামাই বিশ্বজিৎ আমি একি বিছানাতে থেকেছি তাতে ওরও জাত যায় নাই কিংবা আমারও কাপর নষ্ট হয় নাই। আর এটাই আমাদের সেকুলারিজম তাই দয়া করে আপনাদের নিত্যনতুন এই সেকুলারিজমের সুত্র আবিষ্কার বন্ধ করে আমাদের একটু শান্তিতে থাকতে দিন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:২৫
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: এই হইল তাদের মুক্ত মনের নমুনা। আল্লাহ্ আমাদের এদের এমন কুৎসিত আকাঙ্ক্ষা এর ক্ষতিকর দিক হইতে নিরাপদে রাখুন।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১২
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: সময় হলে এই লিঙ্কের লেখাটাও পরেন।
এমন মিথ্যচারের কি দরকার। একজন মানুষ যা তাঁকে তাই বলুন।
http://www.shodalap.org/snazrul/28791/
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৯
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: