![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
মুক্তিযোদ্ধাদের আমাদের দেশে অগাধ সম্মান। ৩০% চাকুরীর কোটা, চাকুরীর বয়স ২ বছর বেশি, ভাতা আর এই সব না পেলে রাষ্ট্রীয় মর্যাদাতে সৎকার যে পাবে টা নিশ্চিত।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সদস্যসচিব আইয়ুব খান দেশের জন্য প্রানপন যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করে হয়ত মনে করেছিলেন দেশকে হায়েনা মুক্ত করতে পেরেছেন। কিন্তু হায়েনারা যে নির্মূল না করলে যেকোনো অর্জনকে ধুলিস্মাত করে দিতে পারে টা উনার ধারনার বাইরে ছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য যে মন্ত্রণালয় এর সৃষ্টি সেই মন্ত্রণালয় এ নাকি জেলা ইউনিট কমান্ড ঘোষণা দেয়ার জন্য সচিব মহোদয়কে মাছ, শুঁটকি ও টাকা দেওয়া লাগে ঃও। শুধু তাই নয় এইসব দিয়েও সেই কমান্ড ঘোষণা যখন তিনি পেলেন না তখন ঐ টাকা ফেরত চাওয়াতে তাকে গলা ধাক্কা দিয়ে এই সচিব মহোদয় বের করে দেন।
গতকাল কয়েকজন সচিবের কথা বলেছিলাম আজ আরেকজন সচিবের কথা বললাম যিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছথেকে ঘুষ নিতে পিছপা হন নি। "বাংলাদেশের সরবচ্চ অর্জন টিকে যে ওরা ব্যবসার বস্তুতে রূপান্তরিত করবে জানলে মুক্তিযুদ্ধ করতাম না" মুক্তিযোদ্ধা কাজী আফতাব উদ্দিন এবং সার্টিফিকেট বিহীন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুশ শহীদ হাওলাদার দুজনেই এই উক্তি আমার সাথে করেছিলেন একটি বড় দীর্ঘশ্বাসের সহিত।
আইয়ুব খান মরে গিয়ে যেই সম্মান টুকুন নিশ্চিত ছিল তা না হয় পেলেন কিন্তু যারা জীবিত সতিকারের মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের কতটুকুন সম্মান আমরা দিচ্ছি? সাহেব আলী আজো অভুক্ত, কাজী আফতাব কাকা আজো একটি টুলের উপর ঘুমান কারন দেশের মানুষের কাছে যে অঙ্গিকার করে স্বাধীনতা এনেছিলেন তার সিংহ ভাগই অপূর্ণ। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে তার সন্তানের চাকুরীর জন্য ঘুষ দিতে হয় যেই দেশে সেই দেশেই আবার অনেক মুক্তিযুদ্ধের কথিত সংগঠক গণ গাড়িতে পতাকা ঝুলিয়ে ঘুরে। যারা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতে নিরাপদে থেকে তৃণমূলের নেতাদেরকেও ভারতে আশ্রয় নিতে বলতেন কারন তাঁদের ধারণা ছিল না যে আদম্য বাংলাদেশী চাষা, শ্রমিক, মজুর, তাতি, সিপাহী, ছাত্র জনতা এই দেশটিকে ৯ মাসে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে স্বাধীন করে ফেলবে। এই যে যারা শহীদ হয়েছেন এই স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁদের কি অবস্থা তাঁদের তো রাষ্ট্রীয় মর্যাদাতে দাফন টুকু ও ঠিক মত মিলে নাই।
আপনাদের কি ভয় হয় না? এই অকুতোভয় লরাকুদের স্বপ্নকে এই ভাবে পদদলিত করতে? কেন যেন মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এবং সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধাদের দেখা স্বপ্নগুলোর বাস্তবায়নের জন্য দেশে আরেকটি যুদ্ধ হবে। যেই যুদ্ধে ঐ সকল মেকী চেতনাজিবি, চেতনা ব্যবসায়ী এবং এমন সব অসৎ লোকগুলো ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা পাব সত্যিকারের স্বাধীন বাংলা যেখানে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে আত্মহত্যা করতে হবে না, হবে না কোন মুক্তিযোদ্ধার অপমান। সাম্যের বাংলাদেশের অপেক্ষাতে থাকলাম জানি না কবে তার বাস্তবায়ন হবে।
২| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৩৮
ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: খুবই প্যাথেটিক ব্যপার
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৪৫
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: এই প্যাথিটিক ব্যাপার গুলো হয়ে আসছে যুগের পর যুগ ধরে কিন্তু কি করতে পেরেছি আমরা?
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দাপটে সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা গণ তাঁদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কথা স্বপ্নেও ভাবতে ভয় পান এখন।
৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:৫৪
ইস্কান্দার মীর্যা বলেছেন: কি বলব ভাই, অবাক করা ব্যপার হচ্ছে সচিবালয়ের মত এত স্পর্শকাতর একটা প্রতিষ্ঠান এখন রাজাকারের আখড়া ! দুক্ষ লাগে যখন দেখি স্বাধীন বাংলাদেশে ওই পাকি জারজ বাচ্চাগুলো ঠিকই বুক ফুলাইয়া ঘুইরা বেড়ায়, তাও আবার সরকারী পদে আর আমাদের দু:খী মুক্তিযোদ্ধারা এদের হাতেই লাঞ্চিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ।
আরেকটা যুদ্ধ ছাড়া শকুনগুলার কাছ থেকে বাংলা নিরাপদ রাখা সম্ভব না।
৪| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:০১
মুসলিম মাহমুদ বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধ হয়নি
ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে
যুলুম নির্যাতন আগের চেয়ে এখন আরো বেশি হচ্ছে
আগে নিল চাষ হত যেই জমিতে এখন সেখানে মরুভূমি
আগে এখান থেকে খাবার রফতানি হত
আর এখন ব্রাজিল থেকে চারশো কটি টাকার জিবন্ত পোকা ওয়ালা গম আসে যা অখাদ্য
আগে মানুষ যুলুম নির্যানতের প্রতিবাদ করতে পারতো রাস্তায় নেমে
আর এখন বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে গুম খুন
তৃনমূল নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়
যে তারা যেন লাঠিসোটা নিয়ে মোড়ে মোড়ে অবস্থান করে
লাঠি শোটার ভিতর আরো কত কিযে লুকিয়ে থাকে তাতো দেখায় যায়
এই না হচ্ছে স্বাধীনতা!!!!!
সুবিধা বাদ জিন্দাবাদ
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৬
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: মুক্তি যুদ্ধ হয়েছে এবং মুক্তি যোদ্ধা গণ সত্যিই একটি সাম্যের বাংলাদেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন কিন্তু যুদ্ধের পরে হায়েনা গুলো অত পেতে থেকে এই মুক্তিযুদ্ধের সুফল তৃণমূলে পৌছাইতে দেয় নাই। আর দুর্নীতির যে কথা বললেন তা তো আজ কাল ডাল ভাত।
আর রাজনীতি সেতো "হাত থাকতে মুখে কি কথা" হয়ে গেছে বহু আগে।
৫| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:১৭
কলাবাগান১ বলেছেন: ১৯৭১ এর পর গর্তে লুকিয়ে থাকা রাজাকার রা এখন শ্বাপদের মত গলা উচিয়ে বলে যে "মুক্তিযুদ্ধ হয়নি, ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে"
৬| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:২২
কলাবাগান১ বলেছেন: @মুসলিম মাহমুদ
আপনারা কি চান আবার সেই ১৯৭১ সনের মত অবস্হা হোক নাকি সেটাই ভাল ছিল। আজ দেখেন নাই এই পোস্ট
http://www.somewhereinblog.net/blog/mridongo/30052452
১৯৭১ সনে আমাদের মা-বোনদের কি অবস্হা করেছিল পাকি রা?
"It is not uncommon in history when a battle has been lost because troops were over indulgent in loot and rape."
পাকিস্তানি সৈন্য কর্তৃক ধর্ষণ আর লুটের মাত্রা এমনভাবে ছাড়িয়েছিলো যে নিয়াজী কমান্ডারদের কাছে গোপন চিঠিতে উপরের কথাগুলো লিখতে বাধ্য হয়েছিল।
.
নিয়াজী যদিও বাঙালীদের প্রচন্ডভাবে দমাতে চেয়েছিল, কিন্তু যুদ্ধ বাদে সৈন্যদের মাঝে ধর্ষণ প্রবণতা এত বেড়ে গিয়েছিলো যে পশ্চিম পাকিস্তানের দুইতিনটি মহিলাও ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
.
এই নিয়াজীই বাঙালীদের দমনের জন্য গোপন চিঠিতে বলেছিলো, "There must be more killing, more mopping up and more witch hunting."
এখানে উইচ বা ডাইনী বলতে অবশ্যই বাঙালী মেয়েদেরকে বুঝিয়েছিল।
.
ধর্ষণ করতে করতে পাকিরা এতোটা নির্বোধ হয়ে যায় যে, ঢাকা থেকে পাকিস্তান ফেরার সময় এয়ারপোর্টে জেনারেল টিক্কা খানকে যখন ধর্ষণ আর হত্যা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়, তখন সে উত্তর দেয়, "ধর্ষণের সংখ্যাটা অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে। মাত্র তিন হাজার ধর্ষণ হয়েছে, মাত্র তিনহাজার।"
.
তারা চেয়েছিলো বাঙালী জাতিকে একটা ভিন্ন জাতিতে রূপান্তরিত করতে। কেউ নিশ্চয় তার পিতার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই তারা চেয়েছিলো এদেশের মেয়েদের গর্ভে পাকিস্তানের বীজ বুনে দিতে।
ধর্ষণের সময় কোন বাচবিচার ছিল না। আট বছরের উপরে বয়স হলেই সে ধর্ষণের উপযোগী ছিল।
.
সুসান ব্রাউনমিলার বলেছেন, "Rape in Bangladesh had hardly been restricted to beauty....girls of eight and grandmothers of seventy-five had been sexually assaulted."
.
পাকিদের ক্যাম্পগুলো হয়ে উঠেছিলো প্রদর্শন কেন্দ্র। মেয়েদেরকে লাইনে দাড় করানো হত। এরপরে বেছে নিতো সৈন্যরা। জিভ চাটতে চাটতে ঝাপিয়ে পড়তো তাদের উপর।
.
কমবয়সী বালিকাদের উপর নির্যাতনটা একটু বেশিই হতো। ধারালো দাতে কামড়ে তুলে আনা হত মাংস। কোন কোন বালিকা হয়ে যেত অর্ধমৃত। তখন দুইজন পাকি দুই পা দুইদিকে ধরে সেই মেয়েকে ফেড়ে ফেলতো!!!
.
কোন কোন মহিলা দিনে আটবারের বেশিও ধর্ষণের স্বীকার হতো। ধর্ষণের ফলে কেউ হয়ে যেত গর্ভবতী। কিন্তু তারপরেও চলতো নির্যাতন। নির্যাতনের ফলে অনেকে জন্ম দিতো মৃত সন্তান।
.
এভাবে প্রায় চারলক্ষের বেশি মহিলা শিকার হয়েছে পাকি কর্তৃক মিথ্যা ইসলামের বীজ বোনার আন্দোলনের। কিন্তু অনেকে স্বীকার করে নি সামাজিক ভয়ে। ৭১ এর পরে অনেক বীরাঙ্গনা হয়েছে একঘরে। কেউবা পরিবার থেকে ত্যাজ্য!!!
.
ঢাকা সরকারী পশু হাসপাতালের সুইপার পরদেশী ডোমের বর্ণনা দেয় এভাবে, " দেখলাম একটি রূপসী ষোড়শী যুবতীর উলঙ্গ লাশ, লাশের বক্ষ যোনিপথ ক্ষতবিক্ষত, কোমরের পিছনে মাংস কেটে তুলে নেওয়া হয়েছে, বুকের স্তন থেলতে গেছে..."
.
চুন্নু ডোম বলে, "তাদের হত্যা করার পূর্বে তাদের স্তন সজোরে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে, যোনীপথে লোহার রড কিংবা বন্দুকের নল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে...."
.
এভাবেই নৃশংস নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলো আমাদের মায়েরা।
৭| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৫৩
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: এগুলো সবই আজ যেন বিস্মৃত বাংলাদেশীদের কাছে। তাইত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা চলে দাপটে। আজো ধর্ষিত হয় নারী মুক্তিযোদ্ধা নিজের বাড়ি ছেড়ে গুচ্ছগ্রামে দেয় পাড়ি।
এত কষ্ট ক্লেশ করে যে সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন তার কতটুকুন গঠন হয়েছে কেউ বলতে পারবেন?
কাজী আফতাব সাহেব মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে মাংস খান না জোড় করে কেউ মাছ খাওয়াতে পারে তাকে তাও কদাচিৎ। এটাই হল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। খলিলুর রহমান সচিব হয়েও সরকারী গাড়ি ব্যাবহার করন না অপ্রয়োজনে এমন কি বাসা থেকে হেটে আসেন। মার্কেট করেন ফুতপাথের দোকান থেকে কারন ৪ জন সন্তান কে লালন পালনের পরে ঐ বেতনে এর চেয়ে ভালো ভাবে থাকা যায় না। ভালো থাকার জন্য এরা কখনই আঙুল বাঁকা করবেন না। এদের স্প্রিট কে বলে মুক্তিযুদ্ধের স্প্রিট।
এই পোষ্ট টি আসলে দেশে সত্যিকারে মুক্তিযোদ্ধা দের স্বপ্নের অপমৃত্যু নিয়ে লেখা তাই প্রাসঙ্গিক আলোচনা করতে সকলকে অনুরধ করব।
৮| ০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সে যুদ্ধটা কীভাবে হবে? দেশ তো নানা দলে বিভক্ত!
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: মুক্তিজুদ্ধের পরে এই একটি কাজ ঐ সকল স্বার্থান্বেষী লোক গুলো সব চেয়ে সুচারু রুপে করে গেছেন আর তা হল আমরা যেন ১৯৭১/১৯৭০/১৯৬৯/১৯৫২ এর মত ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে না পারি। আজ ছাত্র দল ছাত্র লীগ মারে, ছাত্র লীগ শিবির কে মারে অথবা উল্টো গুলো হয় কিন্তু তখন সারা বাংলাদেশে ছাত্র মানেই একটি একতাবদ্ধ শক্তি ছিল যা আজ ধংসের মুখে।
যত দিন না আমরা দেশের স্বার্থ কে দলীয় প্রতিকের উপরে স্থান দিতে পারব তত দিন এমন করেই রসাতলে যাব।
সৃষ্টিকর্তা আমাদের একতাবদ্ধ হওয়ার তৌফিক দিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৩২
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: সচিবের গলা ধাক্কার অপমান সইতে না পেরে ......।।