নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগ আমার বাসার ড্রয়িং রুমের মত, আমি এখানে যেকোনো কিছু দিয়ে সাজাতে পারি আপনার পছন্দ না হলে বলতে পারেন আমার কোন আসবাবটির অবস্থান বা ডিজাইন আপনার পছন্দ হয় নি এবং কেন হয় নি। তবে তা অবশ্যই ভদ্র ভাষাতে। ভাষার ব্যবহার করতে জানা অনেক বড় একটি গুন

শেখ এম উদ্‌দীন

আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।

শেখ এম উদ্‌দীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেজান মাহমুদ সাহেবের আব্দুল গাফফার চৌধুরীর বক্তব্য সমর্থনে লেখা এবং এর কিছু অংশের ব্যাখ্যা

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৫:৩১

শেজান মাহমুদ নামের একজন ব্যাক্তির অয়াল হতে আ গা চৌধুরীর বক্তব্যের সমরথনে কিছু অংশের ব্যখ্যা দিব আজ-
( ইনভারটেড কমার অংশ টুকুন ওনার অয়াল হতে হুবাহুব কপি করা)

“বাংলাদেশের জন্যে কি কিছুই একাডেমিক দিক থেকে বলা যাবে না? ইতিহাস, সমাজতত্ত্ব কোন দিক থেকেই? আব্দুল গাফফার চৌধুরী কী বলেছেন ন্যু ইয়র্কে যে তাঁকে মুরতাদ, ইসলাম থেকে খারিজ এইসব রায় দিচ্ছে হেফাজতের নেতারা? তিনি বলেছেন,”
“দুই। তিনি বলেছেন, আল্লাহ'র ৯৯ নামগুলো ইসলাম পূর্ব নামগুলো থেকে এডাপ্ট করা। কথাটি কি মিথ্যা?
নবীর বাবার নাম ছিল আব্দুল্লাহ। আব্দুল্লাহ তো মুসলমান নাম ছিল না। তার মধ্যে আল্লাহ আছে। যা কাবা শরীফের অধিষ্ঠিত তিনটি মূর্তির প্রধানটির নাম। কেউ কেউ "ইলাহ" বলে। ইলাহ থেকে আল্লাহ'র উৎপত্তি। এখানে মিথ্যা টা কোথায়?”

ব্যখ্যা ১। আমাদের হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর পিতা হযরত আদনান (আঃ) এর বংশদর। হযরত আদনান (আঃ) যিনি হযরত ইসমাইল (আঃ) সরবপরি হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর বংশ ছিলেন। অর্থাৎ এক আল্লাহের বানীর প্রচারক আদম (আঃ) হতেই পৃথিবীতে ইসলামের আগমন শুরু আর এর পরিপূর্ণতা লাভ করে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে। তাই আব্দুল্লাহ ও মুসলমান নাম।
"ইলাহ থেকে আল্লাহের উৎপত্তি" (ণাউজুবিল্লাহ)
এই ছোট্ট কথাটার দিকে তাকালে দেখব-
ইলাহ শব্দের অর্থ যাকে উপাসনা করা হয়। সেই অর্থে কাবা ঘরের ৩৬০ খানা মূর্তি সবাই আরব কাফের দের ইলাহ ছিল। আর হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর প্রচারিত কালেমা "লা ইলাহা ইল্লালাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এই কালেমাতে মুসলমানদের একমাত্র উপাস্য বা ইলাহ হিসেবে হিসেবে আল্লাহের গুনবাচক নাম আল্লাহ্‌ আসে। যেমন মক্কার কাফের দের একজন ইলাহ ছিল লাত বা উজ্জা এগুলো ওদের ইলাহ এর নাম। আর মুসলমানদের ইলাহ হলেন আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন যার আর ৯৮ খানা গুনবাচক নাম রয়েছে। যেই নাম গুলোর একটির সাথেও ৩৬০ মূর্তির নামের ছিটাফোঁটার মিল নাই। ইলাহ আর আল্লাহের পার্থক্য এবার কি পরিষ্কার?
আশা করি মিথ্যা অংশ টুকুন আপনি ধরতে পেরেছেন। যদিও আমি বলব এটা গাফফার চৌধুরীর ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবের ফলে তিনি বলেছেন।
এর পরেও যদি কিছু জানার আগ্রহ থাকে তাহলে সুরা আন-নাজম এর ১৯-২৩ নম্বর আয়াত এর অর্থ এবং এর শানে-নজুল কষ্ট করে একটু পরে নিবেন।

“চার। তিনি হজ্জের কথা বলেছেন যে এটাও মুসলমান দের না। আগে থেকেই ছিল নবী তাতে একেশ্বরবাদ যোগ করেছেন। বুঝলাম না এখানে মিথ্যা টা কি?”

ব্যখ্যা ২। হজ্ব এর শুরু হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর আমল হতে যিনি একজন মুসলিম ছিলেন। এর পরে শয়তানের প্ররোচনাতে তৎকালীন বিপথগামী মক্কার কাফের গণ এতে অতিরঞ্জিত এবং তাঁদের স্বার্থ অনুযায়ী বিভিন্ন কু প্রথা যুক্ত করে যা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) দূর করেন এবং সেই ইব্রাহীম (আঃ) প্রবর্তন কৃত হজ্বকে আমাদের জন্যও ফরজ ঘোষণা করা হয়। অথচ আপনি বললেন হজ্ব মুসলমানদের নয়!!

সুরা আল-কাহফ এর ১৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন-
هَٰؤُلَاءِ قَوْمُنَا اتَّخَذُوا مِن دُونِهِ آلِهَةً لَّوْلَا يَأْتُونَ عَلَيْهِم بِسُلْطَانٍ بَيِّنٍ فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَىٰ عَلَى اللَّهِ كَذِبًا
These our people have taken for worship gods other than Him: why do they not bring forward an authority clear (and convincing) for what they do? Who doth more wrong than such as invent a falsehood against Allah

অর্থাৎ নিকৃষ্ট কাজের মধ্যে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট হল আল্লাহ্‌র বিরুদ্ধে মিথ্যচার যা গাফফার সাহেব অবলীলাতে করেছেন। এটা তিনি সজ্ঞানে নাকি জ্ঞানের অভাবে করেছেন তা তিনিই ভালো বলতে পারবেন।

আমার মতে সমালোচনা করা খুব কঠিন কাজ এবং একটি ব্যাপারে পূর্ণ গভীর জ্ঞান না থাকলে তা নিয়ে আলোচনা করুন সমালোচনা করা হতে বিরত থাকুন। আপনার বক্তব্যের সব গুলো পয়েন্ট নিয়ে ব্যাখ্যা দেবার মত আরবি জ্ঞানের গভিরতা আমার নাই তাই যে কয়টি নিয়ে দেয়া সম্ভব তাই দিলাম। আমি চাইলেই আপনার সব বক্তব্য মিথ্যা বলতে পারি কিংবা সত্য কিন্তু জেনে বলাটা যৌক্তিক। যাতে দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না হয় এই জন্য এই ধরণের নির্বোধের মত কথা বলা বন্ধ রাখা যুক্তি যুক্ত।

কষ্টের ব্যাপার হল উনার এই সকল অযৌক্তিক যুক্তি গুলোকে আপনিও অযৌক্তিক ভাবে সমর্থন করেছেন এবং হাজার হাজার বাঙ্গালী না বুঝেই লাইক বা কমেন্ট করে বসে আছেন। তাই বলি কি ভাই আ গা চৌধুরী একটা বিষয়ে জ্ঞান না রেখে সমালোচনা করেছেন তাই উনি কথা শুনতেছেন। একই কাজ অন্য কেউ করা হতে বিরত থাকা উচিত।

সবচেয়ে কষ্টকর কথা হল সবকিছুর সাথেই আপনারা জাতীয়তাবাদ নিয়ে আসেন আসলে কত টুকুন দেশ বা ভাষা প্রেমিক আমরা? অফিস আদালতে বাংলা কি চালু করতে পেরেছেন? এই সব নিয়ে কাজ করুন ইসলাম আর মুসলিম দের তাঁদের মত থাকতে দিন আপনার ভালো লাগে না আপনি আপনার মত থাকুন এবং সর্বস্তরে বাংলা চালুর চেষ্টা করুন এখানে মুসলিম রাও আপনার সাথে থাকবে। ইসলাম বাংলা ভাষা কিংবা কারো মাতৃভাষার বিরোধী কিছু কখনই বলে নি। তাই এই সকল বিষয় নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি না করে কত গুলো গুরুত্বপূর্ণ বই বাংলাতে অনুবাদ করি যাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংরেজি বইয়ের দারস্থ হওয়া একটু কমে।

আলাহ আপনাদের বুঝার তৌফিক দিন। আমাকেও আপনাদের সাথে সাথে হেদায়েত দাণ করুন। আমীন

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: “দুই। তিনি বলেছেন, আল্লাহ'র ৯৯ নামগুলো ইসলাম পূর্ব নামগুলো থেকে এডাপ্ট করা। কথাটি কি মিথ্যা?''
আল্লাহ'র ৯৯নামগুলো হচ্ছে তাঁর গুণবাচক নাম।যেমন, আল খালেক-সৃষ্টিকর্তা, আল রাজ্জাক-রিযিকদাতা ইত্যাদি।এখন এই সমস্ত গুণবাচক নামে কাউকে নামকরণ করলেই তিনি সেই নামের প্রকৃত ধারক হয়ে যান না।এ সমস্ত নামে তাঁকেই ডাকা যায় যিনি এর প্রকৃত যোগ্য।সূতরাং প্রাক ইসলামিক যুগে পৌত্তলিকরা কোন মূর্তিকে কি ভেবে পুজা করত তার সাথে ''আসমাউল হুসনা" এর মিল খোঁজাটা চরম মূর্খতা ছাড়া আর কিছুই না।আর রাসুলুল্লাহ (সঃ) নামগুলো কাফেরদের থেকে এডপ্ট করেছেন (নাউজুবিল্লাহ) এই একটি কথাই যথেষ্ট আগাচৌ কে জাহেল,মুর্তাদ,নাস্তিক আখ্যা দেয়ার জন্য।"আসমাউল হুসনা"র প্রত্যেকটি নাম পবিত্র কোর'আনে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যেমন, গাফুরুর রাহিম,রাহমানির রাহিম,আযিযুল হাকিম,গাণিউল হামিদ,আলিউল আযিম ইত্যাদি।আর আল্লাহ বলেছেন,''এটা সেই গ্রন্থ যাতে কোনো সন্দেহ নেই''।নিঃসন্দেহে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ,এখানে মুহাম্মদ(সঃ) এর কিছু সংযোজনের কোন সুযোগই নাই।সূতরাং কেউ যদি আল কোর'আনের কোনো কিছুকে মুহাম্মদ(সঃ) এর এডপ্ট বলে চালিয়ে দিতে চায় সে নিঃসন্দেহে কাফের।পৃথিবীর সমস্ত আলেম এ বিষয়ে কখনো দ্বিমত পোষণ করবেন্না।
“চার। তিনি হজ্জের কথা বলেছেন যে এটাও মুসলমান দের না। আগে থেকেই ছিল নবী তাতে একেশ্বরবাদ যোগ করেছেন। বুঝলাম না এখানে মিথ্যা টা কি?”
বারবার বুঝলামনা কথাটা বলে লেখক তার অজ্ঞতাই প্রকাশ করেছেন।পূজা আর সালাত যেমন এক না,উপবাস আর সাউম যেমন এক না,ঠিক তেমনি হাজ্ব আর পৌত্তলিক আরবদের দিগম্বর হয়ে কা'বা শরীফ তাওয়াফ ও এক নয়।হাজ্ব হযরত ইব্রাহিম(আঃ) এর সময় থেকে প্রবর্তিত বিধান।পরবর্তীতে কালের বিবর্তনে আরবের কাফেররা জাহেলিয়াতি নিয়মে তা পালন করত।
হাজ্ব এর সমস্ত বিধান এবং আহকাম সমূহ আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত।এখানে মুহাম্মদ(সঃ) এর সংযোজনের কিছু নাই।
আবার সেই একি কথা,মুহাম্মদ(সঃ) হাজ্ব আরবদের থেকে এডপ্ট করেছেন,বলাই আগাচৌ কে কাফের বলার জন্য যথেষ্ট।
এত বিশদ ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের প্রয়োজন নাই,খুব সহজ সমীকরণ,কেউ আল্লাহর দেয়া বিধান কে মানুষের তৈরী বিধান বললে তার আর ঈমাণ থাকেনা।
আগাচৌ এর কথায় মোটেই অবাক হয়নি,কিন্তু কষ্ট লাগে যখন দেখি কতিপয় মুসলিম নামধারী তার সমর্থনে ঝাপাঝাপি/দাপাদাপি শুরু করে দেয়!!! আগাচৌ কে চিনতে এখনো কিছু বাকি আছে?আফসোস।
আল্লাহ রাব্বুল আরশীল আজিম আমাদের সকলকে প্রকৃত সত্য বুঝার তৌফিক দিন।আমিন।
কয়েকদিন থেকেই এ ব্যপারটা নিয়ে কিছু লিখবো ভাবছিলাম।আপনি আমায় রিলিফ দিলেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং দোয়া।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৭:১০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আপনি অনেক গুছিয়ে লিখেছেন এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার কষ্ট ঐ একই যায়গাতে। আ গা চৌ তার অজ্ঞতার কারনে এই সব বলল এবং এগুলোকে সাপোর্ট দিতে আরেক দল অজ্ঞ বিজ্ঞের মত লেখা শুরু করল।
এই সকল লেখা পরে আবার কিছু মুসলিম নামধারি প্রভাবিত হয়ে দয়াদ্র হয়ে গেল। উনি যে অপরাধ করেছেন তা আল্লাহের সাথে শিরকের অপরাধ সেই সাথে আল্লাহ প্রদত্ত মহা গ্রন্থের অবমাননা। আল্লাহের কাছে ক্ষমা চাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নাই।

আসলে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের জন্য এরা এদের অল্প বিদ্যা নিয়ে উঠে পরে লেগেছে। আল্লাহ্‌ এদের ষড়যন্ত্র হতে আমার মাতৃভূমিকে রক্ষা করুন। আমীন।

২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:২১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: আল কোর'আনের মোজেজা দেখুন,কিভাবে লিখবো তা নিয়ে ভাবছিলাম, কি ভেবে যেনো হঠাৎ করেই সূরা আন নাজম পড়তে ইচ্ছা হলো আর পেয়ে গেলাম উত্তর(সোবহানআল্লাহ)।একেবারে ভেতর থেকে আওয়াজ বেড়িয়ে পড়লো এটা সেই গ্রন্থ যাতে কোনো সন্দেহ নাই।এই মহাগ্রন্থের স্বাদ না পাওয়ার কারনেই তারা এইভুল করছে।আফসোস।
আগাচৌ রা কোনো সমস্যাই না।কিন্তু নিজের আপন ভাইদের বিরূদ্ধবাদীতা ভীষন কষ্ট দেয়।
আল্লাহ রাহমানুর রাহীম আমাদের মধ্যকার সকল মতপার্থক্য দূর করে দিন,আমিন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৮

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আমীন

একই সাথে সকল মুক্ত মনাদের নিকট আকুল আবেদন আগে জানুন পরে সমালচনা করুন যদি সম্ভব হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.