![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
গত এপ্রিল মাসে হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউ সি বার্কলে এর যৌথ উদ্যোগে একটি কোর্সে অংশগ্রহণ করেছিলাম। যেখানে মুলত শিক্ষকতা এবং একাডেমীকে লেখার উপর জোড় দেয়া হয়েছিল। শিক্ষকতা এর ব্যাপারে অনেক কিছুর পাশাপাশি একটি সেশন শুধু Ethics of Teaching বা শিক্ষকতা পেশার নৈতিকতা এর উপরে রেখেছিলেন আমাদের ইন্সট্রাকটর ডঃ লিন্ডা। এখানে বলে রাখা ভালো ডঃ লিন্ডা ইউ সি বার্কলে এর গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট ইন্সট্রাকটর টিচিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার এর পরিচালক। এথিক্স এর মধ্যে অনেক গুলো ব্যাপারে আলোক পাত করার পরে তিনি একটি উদাহরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা দুজনের সম্মতিতে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে একটি উদাহরণ দিলেন।
অংশগ্রহণকারীগণের বেশীরভাগই যেহেতু শিক্ষক ছিলেন তাই তিনি এই ব্যাপারে আমাদের মতামত জানতে চাইলেন। সকলেই তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরলেন। আমি আমার বক্তব্যে বলেছিলাম “একজন শিক্ষকের নিকট শিক্ষার্থীর কোন জেন্ডার বা লিঙ্গ বৈষম্য থাকা উচিৎ না। সকল ছাত্র-ছাত্রীর একটাই লিঙ্গ আর তা হল সে শিক্ষার্থী। এই ধরণের মনোভাব একজন শিক্ষকের শিক্ষক হবার জন্য পূর্ব শর্ত হিসেবে থাকা উচিৎ”। ডঃ লিন্ডা এ মন্তব্যটি তাঁদের এথিক্স অফ টিচিং এর অন্য পয়েন্ট এর সাথে যুক্ত করে নিবেন বলে বলেন। সম্প্রতি বাংলাদেশে কিছু কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। স্কুল কলেজ হতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত এদের সংখ্যা সামান্য হলেও আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দেখতাম এক শ্রেণীর শিক্ষকগণ ছাত্রীদের ভাইভা নাম্বার বেশি দিতে খুব আগ্রহী আবার কেউ কেউ একই সাথে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে শিক্ষার্থীর একই প্রশ্নের জবাব দুই ধরণের মেজাজে দিচ্ছেন। বেশীরভাগ সময় ছাত্রীর প্রশ্নের জবাব টুকুন খুব দরদ দিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেন এই শ্রেণীভুক্ত শিক্ষকগণ।
গত ২ জুন ২০১৫ তারিখে একটি সংবাদ এই সকল কুলাঙ্গার শিক্ষকদের কারনে মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা ক্ষতটিকে আবার জাগিয়ে তুলেছে। ফসিয়ার রহমান নামক এক নরপশু তার প্রেমের আবেদনে সারা না দেয়াতে এক ছাত্রীর এস এস সি পরীক্ষার পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ের খাতাতে সেট নাম্বার কেটে, খাতা কাটা কাটি ইত্যাদি বহু কিছু করে তাকে পদার্থ বিজ্ঞানে ফেল করিয়েছেন। যদিও পুনঃনিরীক্ষণের পরে সেই একই পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ঐ শিক্ষার্থী ‘এ+’ পেয়েছেন। এই সকল নর পশুরা কখনো পরিমল, কখনো সোহেল পারভেজ, কখনো বা সাইফুল ইসলাম নামে সমাজের বিভিন্ন স্তরে শিক্ষকতা পেশাকে কলঙ্কিত করছে।
এই সকল ঘৃণিত ব্যক্তিদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পূর্বে তাঁদের এমন সব এথিক্স অফ টিচিং টাইপের কিছু ক্লাস করালে কি এরা এই পথ হতে ফিরে আসত? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কষ্টকর। তবে শিক্ষক হবার পূর্বে আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করে নিন একজন শিক্ষার্থীকে শুধু এই শিক্ষার্থী হিসেবেই আপনি মেনে নিতে পারেন কিনা। নাকি তাঁদের শরীরের প্রতি আপনার তেমনি আগ্রহ যেমন আগ্রহ বোধ কেবল একজন দুশ্চরিত্র লম্পটের মনে যে কোন মেয়ে দেখলেই জেগে উঠে। আপনি হয়ত বলবেন আমি তো কোন ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কিছু করি না আমি শুধু তাদের সাথে বসে “রসালো” গল্প করি এবং তাদের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী হিসেবে নাম্বার বেশী দেই কিংবা তাদের সাথে অমায়িক আচরণ করি। আপনার এই আচরণের পিছনেও এক ধরণের যৌন হয়রানী মূলক উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। আর এই কাজ করে আপনি আপনার ছাত্রটিকে বঞ্চিত করছেন যা হয়ত আপনার এই ছাত্রীও পছন্দ করছে না।
তাই ছাত্র-ছাত্রী দের শুধু শিক্ষার্থী হিসেবে দেখতে পারলেই কেবল শিক্ষক হন তা না হলে আজই পদত্যাগ করে অন্য কোন চাকুরীতে যোগদান করুন। আপনাদের জন্য শি ক্ষকতার মত এই মহান পেশাকে কেউ কটাক্ষ করে কথা বলবে তা শিক্ষক সমাজ মেনে নিবে না। মনে রাখবেন দুর্জন যতই বিদ্বান হোক না কেন সে কিন্তু অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
১৮ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:২৮
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:০৭
প্রামানিক বলেছেন: তাই ছাত্র-ছাত্রী দের শুধু শিক্ষার্থী হিসেবে দেখতে পারলেই কেবল শিক্ষক হন তা না হলে আজই পদত্যাগ করে অন্য কোন চাকুরীতে যোগদান করুন।
বক্তব্যর সাথে সহমত