![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাংলাদেশি ....আমি বাঙালী....আমি মুসলিম....আমি বাংলার জন্য জীবন দিতে সর্বদা প্রস্তুত ।
বর্তমান বেতন কাঠামোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগন স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দাবি করে আন্দোলনরত আছেন।
তাঁদের দাবি অবশ্যই যৌক্তিক কিন্তু তাঁদের দাবীগুলো কি সত্যিকারেই সঠিক ভাবে উপস্থাপন হচ্ছে?
প্রথমতঃ শিক্ষকগন কি বেতন পান নাকি সম্মানি?
দ্বিতীয়তঃ প্রাথমিক, মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিক এর শিক্ষকগন কেন এই দাবির মধ্যে যুক্ত নন?
ওনারা কি মনে করেন প্রাইমারী, মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় বাদেই ওনারা দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার উন্নয়ন করে ফেলতে পারবেন?
মনে করতেও পারেন কারন ওনারা কখনো এই তিন পর্যায়ের শিখকদের শিক্ষক হিসেবে মুল্য দেন না।
অথচ, এঁদের মুল্য না দিয়ে কোন জাতি উন্নতির সিখরে পৌঁছাতে পারেনি আর পারবেও না।
অবশ্য জাতির উন্নয়নের চেয়ে নিজেদের পকেটের কিংবা চেয়ারের উন্নয়নের প্রতিই ওনাদের খেয়াল বরাবর বেশি বলেই দেখেছ (কদাচিৎ কিছু ব্যাতিক্রম ব্যতিত)।
আমার মেয়েদের স্কুলে দেবার ব্যাপারে আমার জাপানিজ প্রফেসর এর সাথে কিছু স্কুল ভিজিট করেছিলাম। ঐ কিন্ডারগারটেন স্কুলের শিক্ষিকা শিক্ষক দের আমার প্রফেসর যে পরিমান সম্মান দেখালেন তা দেখে আমি মুগ্ধ। এই সম্মান প্রদর্শন কি আমার প্রফেসর এর সম্মান হানি করেছে? করেনি।
অথচ আমি সেন্ট জোসেফে থাকা কালিন এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের আমার সাথে তাঁর বড়ত্বের যে অহংকার দেখিয়েছেন তা আমি মৃত্যুর পূর্বে ভুলতে পারব কিনা জানি না।
এমন অনেক ঘটনা বলা যাবে কিন্তু আমাদের পরিবর্তন হবে কিনা জানি না। আমরা আজো নিজেকেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাবি, আমরা মনে করি আমি বা আমার শ্রেণী না হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যেত। অন্য কারো যে এই দেশের প্রতি অবদান থাকতে পারে তা মেনে নিতে কষ্ট হয়।
পরিশেষে বলব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ শিক্ষক সমাজের অভিভাবক। কোন ভালো অভিভাবক একা নিজের পেটের কথা চিন্তা করতে পারে না যদি সে মানুষ হয়। আপনাদের দাবিকে এমন করা যায় কিনা ভেবে দেখবেন দয়া করে,
"সকল পর্যায়ের শিক্ষকগনের জন্য স্বতন্ত্র এবং যৌক্তিক সম্মানির ব্যাবস্থা করুন"।
জানি না বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বড় বড় স্যারগন এই ক্ষুদ্র শিক্ষকের কথাতে আবার কষ্ট পান কিনা। যদি পান তাহলে অগ্রিম ভাবে দুঃখিত বলে নিলাম।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:১৮
শেখ এম উদ্দীন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় কে নিয়েও এরা ব্যস্ত নারে ভাই। এরা বেশিরভাগই কেবল নিজেদের পকেট নিয়ে ব্যাস্ত যা কেবল মাত্র অসৎ ব্যবসায়ীদের মানায়। শিক্ষকতা পেশাকে এরা কুলসিত করতেই বেশী ব্যাস্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় তো নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত অন্যের কথা কথা চিন্তা এরা করবে না