কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ ॥ ইজ্জতের মূল্য ৫০ হাজার টাকা

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

কুমিল্লা মহানগরীর টিক্কাচর এলাকায় জামাল হোসেন (৪২) নামের এক নরপশুর হাতে ধর্ষিত হয়েছে নয়না ৯ (ছদ্মনাম) নামের এক শিশু । গত শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে । পরে ধর্ষকের প্রভাবশালী সহযোগীদের চাপে গত সোমবার রাতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় আপোষ রফা হলেও ধর্ষিতার পরিবার পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা ।

স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুত্র জানায়,নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ড সংরাইশ’র টিক্কাচর এলাকার চাউল ব্যবসায়ী মঞ্জিল মিয়া’র ভাড়াটিয়া বাদাম বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাকের শিশু কণ্যা নয়না গত শনিবার রাত ৮টায় তার বান্ধবীর সাথে গল্প করার সময় রাত ৮টায় প্রতিবেশী ডিশ ও মৎস্য ব্যবসায়ী জামাল হোসেন চিপস্ খাওয়ার কথা বলে ডেকে তার ছোটভাই ইতালী প্রবাসী মামুনের মালিকানাধীন একটি দ্বিতল ভবনের ছাদে নিয়ে যায় । পরে সেখানে মুখ চেপে ধর্ষণ করে । এসময় বান্ধবী গিয়ে তার মাকে খবর দিলে দ্রুত সে ছাদে গিয়ে দেখে ধর্ষক জামাল ধর্ষিতাকে মুখ চেপে ধরে আছে । এরপর মা ধর্ষিত মেয়েকে নিয়ে এলাকার সর্দার আব্দুস সাত্তারের কাছে গেলে তিনি হাসপাতালে গিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট সহ মামলা করার নির্দেশ দেন । পরদিন রোববার সকালে ধর্ষিতার মা তাকে নিয়ে কুমিল্লা সদও হাসপাতালে নিয়ে যায় । সূত্র আরো জানায়, খবর পেয়ে ওইদিন দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রভাবশালীদেও চাপের মুখে কেউ ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য দেয়নি । এদিকে ধর্ষিতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সোমবার তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । গত সোমবার রাতে প্রভাবশালীদের চাপে পড়ে ধর্ষিতার পরিবারের সাথে ধর্ষক জামালের ছোট ভাই কামাল হোসেন ভুট্টো’র বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে । এতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় দফারফা হয় । ধর্ষিতার পরিবার পায় ৫০ হাজার টাকা । বৈঠকে টিক্কাচর এলাকার কাদের,লিটন নবগ্রাম’র আমির,সংরাইশ’র গোলাম রব্বানী ফটিক সহ আরো বেশ ক’জন উপস্থিত ছিল ।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হোসেন জানান, আপোষের বিষয়টি সত্য নয়। শিশুটি ধর্ষিত হয়নি। তবে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

১ টি +০/-০