নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছে থাকিলে উপায় হয়, আমার কেবল উপায় থাকিলেই ইচ্ছে হয়

শিস্‌তালি

Stay Hungry, Stay Foolish!Stay Sexy, Stay Virgin!!!

শিস্‌তালি › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিটল চ্যাম্প!!!

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

আপু ভাইয়া দুইজনই আর্কিটেক্ট এবং আর্কিটেকচারের মডেলের মতোই অদ্ভুত সুন্দর তাদের প্রেমকাহিনী!!! এই আর্কিটেক্ট কাপলের সাথে আমার পরিচয় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে--- পরিচয়ের পর ঘনিষ্ঠ হতে খুব বেশী সময় লাগেনি। ২০১৩ সালের প্রায় প্রতি মাসেই অন্তত একবার হলেও তাদের দুজনের সাথে আমার দেখা হয়েছে। বেশীরভাগ সময়ই বাইকে করে দুজনে বনানী-১১ এলেই আমাকে হাই দিয়ে যেত। একই প্রাইভেট ভার্সিটি থেকে পাশ করে দুই ব্যাচ সিনিয়র জুনিয়র সেই ভাইয়া-আপু একই অর্গানাইজেশনে জব করতেন। প্রথম পরিচয়ের দিনই দেখেছিলাম আপু কঠিন হিজাব করেন- স্রেফ চোখ দুটো দেখা যায় এবং কেন জানি মন বলছিল, শুধুই ধর্মীয় কারণে এরকম কঠিন হিজাব নয়, বরং এর আসল কারণ অন্য কিছু! একদিন সত্যি সত্যিই এরকম কঠিন হিজাবের শানে নুযুল জানতে চাইলাম! ততদিনে অবশ্য জেনে গেছি, নিজেরা বিয়ে করে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ওনারা প্রায় ছয় মাস সংসার করছেন এবং এর মধ্যে একবার দেশের বাইরেও ঘুরে এসেছেন!!! তারপরও বিস্তারিত শানে নুযুল জানবার পর ভালোই ধাক্কা খেয়েছিলাম, আপুর ফ্যামিলি জানত আপু সেই সময়টায় লন্ডনে পড়াশোনা করছেন! সত্যি বলতে কি উনি আসলেই লন্ডনে উচ্চ শিক্ষার্থে গিয়েছিলেন এবং পরে চুপিচুপি দেশে ব্যাক করে ভাইয়ার সাথে সংসার শুরু করেছেন সবার কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখে। ভাইবার- হোয়াটস অ্যাপ এর যুগে এটা কেমনে সম্ভব কিছুতেই মাথায় ঢুকছিল না তখনই কোত্থেকে যেন গায়েবী আওয়াজ শুনতে পাই, সত্যিকারের ভালোবাসা এরকমই হয়রে পাগলা
যাই হোক এর ক'সপ্তাহ পর বেশ সুখী সুখী চেহারা নিয়ে ওনারা দুইজনই আমার সাথে দেখা করলেন এবং আপুর সেদিন হিজাব ছিল না! বিয়ের কার্ড হাতে পেয়ে বুঝতে পারলাম অবশেষে ওনারা দুই পরিবারকে রাজী করাতে পেরেছেন! অবশ্য রাজী না হয়ে উপায় ছিলনা কারণ আপু ততদিনে তিন মাসের প্রেগন্যান্ট যদিও আপুর মা ছাড়া ফ্যামিলির আর কেউ বিষয়টি জানতেন না ( কিন্তু কি আশ্চর্য, ভাইয়া বিষয়টি আমার সাথে শেয়ার করেছিলেন)!শ্যামলীর এক কমিউনিটি সেন্টারে ওনাদের বিয়ের প্রোগ্রামে গিয়ে হ্যাপি এন্ডিং এর সাক্ষী হতে পেরে খুব ভালো লাগছিল!!! কিন্তু কি অদ্ভুত ঠিক চার মাস পর ভাইয়ার সাথে ফোনালাপে জানতে পারি সেই লিটল চ্যাম্প দুনিয়ায় আসার আগেই মারা গিয়েছে! কি কষ্ট! কি কষ্ট!!
গত বৃহস্পতিবার সেই আপু আমাকে ফোন দিয়েছিল এবং জানতে পারলাম এনাদার জুনিয়র ইস কামিং সুন :)
সো মাই ডিয়ার আপকামিং লিটল চ্যাম্প ভাতিজা কিংবা ভাতিজি এইবার তোমাকে সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন না বানিয়ে ছাড়ছিনা :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.