![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখা লিখতে গিয়ে বারবার ছেলে দুটো’র কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এরা দুর্ঘটনার স্বীকার । কোন পথচারীর সহায়তায় আজ হাসপাতালে ভর্তি হতে পেরেছে। একটির বয়স ১০-১২ আর একটির ৭-৮। পঙ্গু হাসপতালের বেডে শুয়ে আছে। এক জনের পরিচয় পাওয়া গেছে নাম, আব্দুস সাত্তার, বাড়ী নারায়নগঞ্জ, তার বাবা নেই, মা আছেন আর আছে তিন বোন আর এক ভাই। তাদের কোন মোবাইল নম্বর নেই। ঠিকানাও তেমন সম্পূর্ণ নয়। তারপরও চেষ্টা চলছে, যোগাযোগের।
আরেক জনের তো কোন ঠিকানাও নেই। হাসপাতালের একজন আয়ার দেখাশোনায় সে বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে।
৭-৮ বছরের বাচ্চাটির পা অপারেশন করে কেটে ফেলতে হয়েছে, আর আরেকজনের পায়ে পচন ধরেছে, হয়তো তার পা ও কেটে ফেলে দিতে হতে পারে।
আরও আছেন দুজন বৃদ্ধ এরা্ও সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার। এদেরওে কোন পরিচয় নেই ।
কয়েকটি বৃদ্ধাশ্রমে যোগাযোগ করেছি, তাদের শর্তে এরা পড়েন না, তাই তারা নিতে অপারগ।
দায়িত্ব নেওয়ার মতো নেই। সামাজিক জঠরে ওরা বেড়ে উঠছিল আর ভয়াল আঘাতে আজ অসহায় পঙ্গু।
হাসপাতালে জানতে পারলাম যে, যারা এরকম হয় তাদের মিরপুরের এক লোক ভিক্ষে করার জন্যে গাড়ী তৈরি করে দেয় আর নিজে এদের দেখাশোনা করে, কিন্তু এটা কি কাম্য?
একজন ডাক্তার এর বদান্যতায় তাদের অবস্থার কথা আমি জানতে পারি। তিনি তার সাধ্যমত এরকম অসহায়দের সাহায্য করে আসছেন।
আমিও চেষ্টা করছি, আর আজ লিখছি আপনাদের সহায়তা কামনা করছি বলে, যে কেউ গিয়ে সরকারী পঙ্গু হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দেখে আসতে পারেন। আর সবার কাছে একটাই আশা করছি যেন এদের একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হয়……………. যদি এমন কোন প্রতিষ্ঠানের কথা কেউ জেনে থাকেন যে অসহায় পঙ্গু পরিচয়হীন মানুষ গুলোকে নিয়ে কাজ করে তাহলে, হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করবেন। অথবা এখানে প্রতিষ্ঠানের মোবাইল নম্বরটি দিতে পারেন।
সবাইকে বলছি, সাময়িক অর্থ সাহায্য স্থায়ী কোন সমাধান হতে পারে না, তাই এর কথা বললাম না, যদি পারেন কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে এদের একটু যোগাযোগ করিয়ে দিতে ………তা হলে হয়তো এরা ভিক্ষাবৃত্তির মত কাজ নাও করতে পারেন।
আল্লাহ সবার মঙ্গল করুন।
©somewhere in net ltd.