![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশ ফেরত কালাম
অল্পবয়সী সুন্দরী কচি মেয়ে বিয়ে করতে চায়!
কালামের বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেছে!
মাথার চুল অর্ধেক নাই হাপ টাকলা হয়ে গেছে।
তবুও কালামের কমবয়সী সুন্দরী মেয়েই চাই।
-
মেয়ের বাবা গরীব হলেও কোন প্রবলেম নাই। অল্পবয়সী হৃষ্টপুষ্ট হলেই হবে।
দরকার হলে মেয়ের বাবাকে দুই থেকে তিনলক্ষ টাকা দিয়ে বিয়ে করবে।
-
তাই হাজার দশেক টাকা দিয়ে মাঠে নামিয়ে দিলেন এলাকার পপুলার ঘটকদের।
যে বাটপার গুলো কথায় কথায় মিথ্যে বলে মেয়ের পরিবারকে বিয়েতে রাজি করায়।
-
অবশেষে অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া গরীব বাপের সুন্দরী একটা কচি মেয়ে পাওয়া গেলো।
বিয়ে হলো কালামের সাথে।
কিন্তু মেয়েটি প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
-
ভেঙ্গে যায় মেয়েটির সব স্বপ্ন।
মেয়েটি ভাবে যে সময় তার খেলাধুলা আর পড়াশুনায় সময় কাটানোর কথা।
সে সময় ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে নিরবে প্রতিদিন ধর্ষিত হতে হবে।
যার কোন বিচার নেই এই সমাজে।
বিচার হবেনা কোন আদালতে।
--------------------
সত্যি বড়ই অদ্ভুত...
ইচ্ছা না থাকা সর্তেও নিজের চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী একজন লোককে বিয়ে করতে বাধ্য হয় বিনাবাক্য।
গরীব বা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মেয়ে হওয়ার কারনে।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে দিয়ে দিতে চেষ্টা করেন অভিভাবকরা।
কিছুই করার থাকেনা তখন।
কারন দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারে মেয়েরা একপ্রকার বোঝার মত হয়ে থাকে পরিবারে।
-
আর এই সুযোগটা লুফে নেয় বিদেশে থাকা প্রবাসী কিংবা ব্যবসায়ীরা।
কিছু লোক নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করে নেন অল্পবয়সী সুন্দরী মেয়েদের।
-
এসব মেয়েদের এরপরও অনেক পরীক্ষা দিতে হয়। বিশেষ করে সতীত্বের পরীক্ষা দিতে হয়।
বাসর শেষ হতেই বলে উঠে মেয়েটি সতী না নষ্টা।
মানে মেয়েটি সেক্স করেছে বিয়ের আগেই অন্য কারো সাথে।
কিন্তু যারা চিল্লানী দিয়ে এইসব কথা বলে তারা কি নিশ্চিত স্বামী লোকটা
সেক্স করেনি এর আগে আর কারো সাথে?
সব সময় বুক ফুলিয়ে কথা বলে স্বামীরা।
কারন স্বামীদের সতিত্ব পরীক্ষা করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই।
সুতরাং তারা পার পেয়ে যায় যুগে যুগে।
-
আঠার বছর হলেই
একটি মেয়ের বিয়ের টাইম পার হয়ে যায় আর একটু বেশী হলে বুড়ি হয়ে যাবে।
তাই বিয়ে দিতে পারলেই যেন বেঁচে যায় পরিবার, সমাজ, অভিভাবক সবাই।
-
কিন্তু একই বয়সের একটি ছেলের ব্যাপারে ধারনা সম্পুর্ন আলাদা করে দেখা হয়।
মানে ছেলেটা এখনো সংসারের কিছুই বুঝেনা।
অনেক সময় দেখা যায়, চৌদ্দ পনের বছরের মেয়েদের বিয়ে দেয়া হয় জোর করে,
আর এই বয়সের ছেলেদের ব্যাপারে বলা হয়,
এখনো খেলার বয়স।
-
অথচ দেখুন... তারা দুইজন কিন্তু একই বয়সের ছেলে মেয়ে।
কিন্তু একজনকে সংসার করতে বাধ্য করা হচ্ছে আর অন্যজন খেলাধুলায় বা পড়াশুনায় হাসিখুশির মাঝে সময় কাঁটাবে বলে উৎসাহিত করছে।
-
যাই হোক...
সময় অনেক বদলে গেছে শিক্ষার উন্নতির ফলে দেশে বাল্যবিবাহ অনেকাংশে কমে গেছে।
কিন্তু কালামের মত লোক এখনো সমাজে প্রচুর আছে।
তাই বাল্যবিবাহ নির্মূল করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে শুধু মুখে মুখে না বলে, বাল্যবিবাহ আইনের যথাযথ প্রয়োগের ও ব্যবস্থা করা উচিত।
এই সমাজে মেয়েদের শুধু মেয়ে না ভেবে মানুষ ভাবলেই সমাজ সুন্দর হবে।
ইচ্ছের স্বপ্ন ঘুড়ি টা শুধু ছেলেদের না মেয়েদের ও আছে।
©somewhere in net ltd.