নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুশান্ত মজুমদার ব্লগ

কিছুই ভাল লাগে না জীবনে

সুশান্ত মজুমদার

সংহারক

সুশান্ত মজুমদার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মূর্খের দল, তোমরা কবে বুঝবে যে আমাদের দুনিয়াটা ঈশ্বর নামক কোন বড়বাবু চালাচ্ছে না। কবে বুঝবে তোমরা ?

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৪৭

কারোর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার ইচ্ছে নাই; তাই নির্দিষ্ট কোন ধর্মকে ট্যাগ না করে সকল ধর্মের প্রতিই আমার বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করে বলছি, ''গাধারা, তোমরা কবে বুঝবা যে ধর্ম জিনিসটা একটা কুসংস্কার ? সত্যি করে বল তো সোনারা, তোমরা কবে বুঝবা ? কবে ?'' তোমরা কবে বুঝবা যে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডে অলৌকিক বলে কোন ব্যাপার নাই, সবকিছুই লৌকিক। কি করলে তোমদের মাথায় ঢুকবে এই সামান্য বাস্তবতাটুকু ? আমাকে বল, আমি সেটা করে দেখাব। তোমাদের যুক্তিবাদী মুক্তমনা করে তুলতে হলে আমাকে যা করতে হবে আমি তাই করে দেখাব। তাও বাবারা, তোমরা নাস্তিক হও please.
Please নাস্তিক হও। নাস্তিকতাই পরম ধর্ম।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: যথাসময়ে আপনি জানতে পারবেন যে কোন কিছু এমনি এমনি তৈরী হয়ে গেলো নাকি কেউ এইগুলি করাচ্ছেন? কিন্তু হায়, তখন আপনি একটি গাধাকেও মনে করবেন অতি ভাগ্যবান।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৪

সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: সকল ধার্মিক ব্যক্তিরই এমন মনে হয়। অনেকেই আমাকে বলছে, ''মরার পর বুঝবেন।'' এর চেয়ে হাস্যকর কথা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টা আছে কিনা সন্দেহ !

২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৩১

বিজ্ঞান মনস্ক বলেছেন: আপনি কি মনে করেন !!! এতো সহজ জিনিস বুঝতে খুব বেশি জ্ঞান থাকা লাগে । সবাই দেখতেছে আমি চাকরী করলে টাকা পাবো সেই টাকাই আমি খাই । সহজভাবে এখানে স্রষ্টার ব্যাপার আসেনা,এটাই যুক্তি ।কিন্তু কেন মানুষ নিজেকে অন্যের অধীন মনে করতেছে ,কারণ কি একাবারেই নেই?

আপনি যদি বলেন আমার কোন স্রষ্টা নেই এটা যেমন আমি যুক্তি দিয়ে কাটতে পারবনা তেমনি আমি যদি বলি আমার স্রষ্টা একজন আছেন সেটাও খণ্ডন করা আপনার জন্য অসম্ভব।সুতারাং অন্যকে ছোট করে নিজের পরিচয়টা তুলে ধরবেন না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:০১

সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: আপনি যদি বলেন যে স্রষ্টা আছে, সেটা যুক্তি দিয়ে খন্ডন করা আমার পক্ষে সম্ভব। আর অন্যকে ছোট করে আমি নিজের কি পরিচয় তুলে ধরলাম সেটা বলবেন কি ?
think positive, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করেন। আমি শুধুমাত্র ধর্মিকদের অপমান করেছি, আর ধার্মিকদের অপমান করা মানেই হল অধার্মিক তথা নাস্তিকদের সম্মান করা। আপনি এটা দেইখেন না যে আমি কাদেরকে প্রত্যক্ষভাবে ছোট করছি, আপনি এটা দেখেন যে আমি কাদের পরোক্ষভাবে বড় করছি। কেমন ? ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে সবকিছুকে দেখার চেষ্টা করেন।

৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

দধীচি বলেছেন: নাস্তিক হওয়ার পথে শুরুতে যে ব্যাপারটি আমাকে সমস্যায় ফেলেছিল, তা হচ্ছে: আমি চিরতরে হারিয়ে যাব এই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছিলাম না। আসলে সারাজীবন জেনে এসেছি মৃত্যুর পরেও অনন্ত জীবন পাব, এটা জেনে এতই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম যে, একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবার ব্যাপারটা কষ্ট দিচ্ছিল। মূলত টিকে থাকার মানসিক আকুতি বিবর্তনের একটা উপযোগ ছাড়া কিছুই নয়। কষ্টটা এখন হতে পারে, কিন্তু মৃত্যুর পর সে কষ্ট অনুভব করার জন্য আর আমি থাকব না। মৃত্যু ঘুমের মত। আমি যে চিরতরে হারিয়ে গিয়েছি, সেটাই আমি জানব না, তাহলে খামাখা কষ্ট পাওয়ার কি কোনো মানে আছে?

নাস্তিকতার পথে আরেকটি যে সমস্যা হতে পারে, তা হচ্ছে: শেষ বিচারের প্রত্যাশা। দৈনন্দিন জীবনে আমরা এত পরিমাণ অন্যায়-অনাচার দেখি, যেগুলোর কোনো বিচার ইহজগতে হয় না। অসহায় ভিক্টিমও দুনিয়াতে বিচার না পেয়ে পরকালের বিচারে বিশ্বাস করে মানসিক শান্তি পায়। নাস্তিকদের সাথে তর্কে না পেরে আস্তিকদের প্রায়ই "মরলে বুঝবি" বলে নিজেকে প্রবোধ দিতে দেখা যায়। মূলত এই সমস্যাটা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়। ন্যায় বিচার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আর অন্যায় না করা সুস্থ সমাজের মানুষের দায়িত্ব। নরডিক দেশগুলোতে এই সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রায় আদর্শ, তাই সেখানে এই বিচারজনিত সমস্যা খুবই কম। কিন্তু আমাদের দেশের অন্যায়কারীদের কী হবে? আসলে প্রতিটি ক্রিয়ার যেমন একটি প্রতিক্রিয়া থাকে, তেমনি অন্যায়কারীরাও মানসিক বা অন্য কোনোভাবে কষ্ট পায় - যদিও এটা কোন বৈজ্ঞানিক সত্য নয়। এটা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই যে, জগতের নিয়ম এটাই, আমরা গরু-মুরগীর মাংস খেয়ে বেঁচে আছি, কী দোষ ছিল ওই প্রাণীগুলোর? প্রতিটি প্রাণীই একে অন্যকে খেয়ে বেঁচে থাকে, এসব অন্যায় নিয়েই আমাদের জগৎ। বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব এটাই যে, আমরা যেন অন্যায় এর পরিমাণ কমিয়ে আনি।

নাস্তিকতার পথে আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, এই চিন্তা করা যে মৃত্যুর পর যদি সত্যিই দেখা যায় যে আল্লাহ আছে? আসলে এই সমস্যাটা খুবই সিলি। কোরানের কথাগুলো আপনি কিসের ভিত্তিতে সত্য ধরে নিচ্ছেন? মৃত্যুর পর তো আপনি এটাও দেখতে পারেন যে, ইসলাম নয় বরং খ্রীষ্টান, ইহুদি বা হিন্দু ধর্ম সত্য, তখনো তো আপনি নরকে পুড়বেন। আবার এমন তো হতে পারে যে, কোনো ধর্মই সত্য নয়, বরং বিবেকের নীতির কথা শোনেননি বলে নরকে যাবেন। আর যদি মৃত্যুর পর সত্যিই দেখেন যে, ইসলাম সত্য তবু আপনার বলার অনেক কিছুই থাকবে আল্লাহর কাছে। আপনি বলতে পারেন যে, আপনি পরিষ্কার মন নিয়েই কোরান-হাদিসে আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজেছেন, কিন্তু পাননি, আর তাছাড়া অন্য কোনো মহা অন্যায় তো আপনি করেননি। আর যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলে দেখবেন যে, অন্যায় করলে আল্লাহ অল্প কিছু শাস্তি দিতে পারেন, কিন্তু শুধুমাত্র তাঁর অস্তিত্বে অবিশ্বাসের কারণে আল্লাহ তো দূরের কথা চরম পাষাণও কাউকে চিরকাল নরকে পোড়াতে পারবে না।

নাস্তিক হবার আগে অনেকের এমনও মনে হতে পারে যে, দুনিয়ায় এত এত মুসলিম কেন? পৃথিবীর এতগুলো মানুষ কি একসাথে ভুল হতে পারে? এক্ষেত্রে ভেবে দেখতে হবে পৃথিবীতে ইসলামের অনুসারীর চাইতে খ্রীষ্ট ধর্মের অনুসারী বেশি। এতে করে কিন্তু খ্রীষ্ট ধর্ম সত্য হয়ে যায় না। এখনো দুনিয়ায় এত এত ধর্মবিশ্বাসী মানুষ থাকার কারণ হচ্ছে ছোটবেলায় মাথায় জোডর করে ঢুকিয়ে দেয়া ধর্মবিশ্বাস বড় হয়ে ঝেড়ে ফেলা একেবারেই সহজ কাজ নয়। একারণেই অল্প কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সব ক্ষেত্রেই মুসলিম ঘরের ছেলে মুসলিম, হিন্দু ঘরের ছেলে হিন্দু আর খ্রীষ্টান ঘরের ছেলে খ্রীষ্টান হয়। ধর্মবিশ্বাস এমনই জিনিস যে, একটা পুরো গ্রামের লোক মাইকে শুনে বিশ্বাস করে ফেলে যে সাঈদিকে চাঁদে দেখা গিয়েছে। ওই গ্রামে সাঈদিকে চাঁদে দেখা গিয়েছে - এ কথা বিশ্বাসী গ্রামসুদ্ধ লোকের সংখ্যাধিক্যের কারণে কি সেই বিশ্বাস সত্য হয়ে গিয়েছিল? অন্যের কথায় না চলে নিজের যুক্তি বা বিবেচনায় চলাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয়?

কোরান-হাদিসের বৈজ্ঞানিক ও অন্যান্য ত্রুটি দেখে যারা নাস্তিক হয়, অনেক সময় তারা নতুন করে কোরানের পক্ষে কিছু যুক্তি দেখে আবার আস্তিকতায় প্রত্যাবর্তন করে। আবার আস্তিকতায় যাবার আগে একটু ভাবুন, আপনি কোরানকে যতই নির্ভুল হিসেবে দেখান না কেন, সেগুলো কোনোভাবেই প্রমাণ করে না মুহাম্মদ একজন ইশ্বর প্রেরিত পুরুষ এবং কোরান একটি আলৌকিক গ্রন্থ। ইসলামের সুন্দর দিকগুলোকে সুন্দর বলা যেতে পারে এবং অসুন্দর দিকগুলোকেও অসুন্দর বলা যেতে পারে। আপনি যখন বিশ্বাস করে ফেলবেন যে, কোরান আলৌকিক তখন ইসলামের অসুন্দর দিকগুলোকেও সুন্দর লাগবে, অযৌক্তিক দিকগুলোকেও যৌক্তিক মনে হবে। আমি যদি ধরেই নিই যে, কোরান খোদ স্রষ্টা থেকেই এসেছে আমি কোন সাহসে যুক্তি-তর্ক দিয়ে স্রষ্টার বাণীর যথার্থতা বিচার করতে যাব? কোরানে যদি বলা থাকত 'ছোট মেয়েদের ধরে মেরে ফেল', তাহলে সেই বাণীর মধ্যেও আমি মাধুর্য খুজে পেতাম। 'বিজ্ঞান' দিয়ে প্রমাণ করে দিতাম যে, আমাদের পরিবেশে ছোট মেয়ে থাকা বিপদজনক। তাই আমি কখনও এই যুক্তি-তর্কে যাই না যে, বাণীগুলো মহান কি মহান নয়। বৌ পেটানো, দাসীর সঙ্গে সহবত ইত্যাদি সবই আমার কাছে পবিত্র মনে হবে, কারণ এ যে স্বয়ং বিধাতার নির্দেশ। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে, আমি কীভাবে ধরে নেব যে কোরান আলৌকিক? কোরানে বিজ্ঞান থাকলেই কি তা অলৌকিক হয়ে যায়? আজকে আমি যদি বলি, আমি এই মাত্র আল্লাহর সাথে ডিনার করে এলাম এবং আমার অনেক অনুসরণীয় ভাল গুণাবলী আছে, আর আমি সত্যের পথে ডাকি, তাহলে আপনি কি আমার কথা বিশ্বাস করবেন? বিশ্বাস না করলে কেন করবেন না? আপনি কি প্রমাণ করতে পারবেন যে, আমি আসলেই ঈশ্বরের সাথে ডিনার করে আসিনি? এখন কেউ যদি আমার অনুসরনীয় ভাল গুণগুলো অনুসরন করতে চায়, সেটা অবশ্যই ভাল কাজ হতে পারে, সেজন্য আমাকে যদি কেউ ভালবাসে, বাসতেই পারে। কিন্তু আমি যে ঈশ্বরের সাথে ডিনার করে এসেছি এই কথাটা কখনোই সত্য প্রমাণিত হয় না

৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

দধীচি বলেছেন: যখন প্রথম প্রথম নাস্তিক, তখন বয়স খুব বেশি ছিল না। এগারো-বারো। কিন্তু সেটাকে নাস্তিকতা বলার চেয়ে সংশয়বাদ বলাই সঠিক। বড়ই বিষণ্ণতায় দিন যাপন করতাম।

অনভিজ্ঞ নাস্তিকরা বড়ই সংশয়ে ভোগে। কারণ তখন তাদের অনেকেই নির্দিষ্ট একটা পয়েন্টের ভিত্তিতে নাস্তিক হয়। যেমন আমি হয়েছিলাম এই পয়েন্টে: কুকুরও তো আল্লাহ্‌র সৃষ্টি, মানুষের গৃহপালিত বন্ধু, তবুও কুকুর কেন আল্লাহ্‌র কাছে জঘন্যতম ?

একেবারে নতুন নাস্তিক যখন আড়ষ্টভাবে কোনো হুজুরের সাথে কথা বলে বা বেমক্কা কোনও প্রশ্ন করে, হুজুর তখন উলটা-পালটা তাফসির দিয়ে একটা বোঝ দিয়ে ফেলে। তখন তওবা-টওবা করে পুনরায় আস্তিক। এ রকম বহুবার হতে পারে অনেকর ক্ষেত্রে। সে বড়ই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি। মানে এটা তো আর যা তা বিষয় নয়। ঈশ্বরবিষয়ক। কতই না গলার রগ ফুলিয়ে তিনি পাপী-কাফিরদের শাস্তির হুমকি দিয়েছেন, আবার তাকে উদ্দেশ্য করে সামান্য অংবংচং করলেই পাবে স্বর্গ বা জান্নাত, উম, বাহাত্তরটা চিরযৌবনা হুরপরী অথবা সুদর্শন গেলমান। [তলপেটের ভেতর গরম তরলের অনুভূতি]

কিন্তু তবুও মানব মস্তিষ্ক বড়ই স্বাধীন, বহুভাগে ভাগ, অবচেতন-সচেতনের লড়াই, সংশয়বাদী ভাবনা কি থামে রে, মমিন? নাহ। পার্থিব জগতের সর্বোত্তম বিবর্তিত মস্তিষ্কখানার ক্ষমতা যে অকল্পনীয়। কৌতূহলী মন উত্তর চায়। কিন্তু উত্তর দিতে ঈশ্বর স্বয়ং আসেন না। আসে গণ্ডমূর্খ মমিনের দল।

মনে সংশয়, প্রাণে আশংকা, মরে গেলে না জানি কী হয় ! কালও তো মরে যেতে পারি! যা হাবিজাবি ভেবেছি, আল্লাহ্‌ তো পশ্চাতে লাথি দিয়ে হাবিয়ায় ফেলে দেবে! এতটা মানসিক চাপ সহ্য করা যায়?

নাহ। এত মানসিক চাপ সহ্য করা যায় না। আর পারছি না। তারচেয়ে মরেই যাই। অনেকের মনে আত্মহত্যার চিন্তা উঁকি দিতে পারে। এখানে দুই ধরণের ভিত্তি থাকে:
১. ঈশ্বর তো নাইই। শাস্তি দিবে কোন শালায়? কেবল আমি নাই। তো সমস্যা কি? জীবন উপভোগ না করলাম, কষ্টগুলো তো আর সইতে হবে না!
২. চলে যাব সব ছেড়ে। কিন্তু গেলেই তো আল্যায় ঘাড়টার মাঝে ক্যাক করে ধরে আগুনের কুয়ায় চুবাবে। কারণ আত্মহত্যা সাক্ষাত জাহান্নাম। কিন্তু পারি না তো আর। যাই মরে যাবো, আল্লাহ্‌ ধরলে বলবো, আমি তো আপনার এই শর্তের স্ট্যাম্প মারা দলিলে সাইন করে জন্মাই নি। আপনি জোর করে জন্ম দিয়েছেন। আর আমার এই পরিণতি তো আপনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

২ নাম্বার পয়েন্টটা একটা বড় ফ্যাক্ট।
আসলে বিভ্রান্ত, মূলত নব্য নাস্তিকরা সুইসাইডাল হতে পারে।

আমার নিজের একটি উদাহরণ দেই। নব্য নাস্তিক থাকা অবস্থায় একবার একটি কঠিন বিপদে পড়েছিলাম। না পারছি বাবা-মাকে বলতে, না পারছি বন্ধুবান্ধব বা ভাই-বোনদের। যা করার আমার একাই করতে হবে। কিন্তু আত্মবিশ্বাসের অভাব, যদি ভুল হয় ? ভেতরটা গুঁড়িয়ে যায় যে, এ জগতে আমি একা। অদৃশ্য কেউ নেই পথ দেখানোর!

অসম্ভব কষ্ট হত। চোখ দিয়ে বৃষ্টি পড়তো না, মাথায় ঘূর্ণিঝড় হত। ধার্মিক হলে ঈশ্বরকে ডেকে শান্ত হওয়া যেত এই ভেবে - তিনি সাহায্য করছেন। প্রকৃতপক্ষে সাহায্য না করলেও বিশ্বাসটা আত্মবিশ্বাস দারুণভাবে বাড়ায়।

তখন ঈশ্বরভীতি জয় করেও পরাজিত একটাই ভাবনা: এ জগতে আমার পরম সঙ্গে কেউ নেই। কেউ নেই। আমি একা। আমি একা। বড়ই একা। তবে এই অর্থহীনভাবে বেঁচে থেকে লাভ কী? চলে যাই এ কষ্টের জগৎ থেকে। কষ্ট করে ক'টা দিন। তারপর অভ্যস্ত হয় যাব। মানুষ মানিয়ে নিতে এক্সপার্ট। জগৎ ছেড়ে কারো কিচ্ছু হবে না। পরেও কিচ্ছু হবে।

এই সমস্যার সমাধান হতে পারে একজন বন্ধুত্বপূর্ণ গাইড, যিনি নিজে এই সময়টা পার করে এসেছেন। তিনি সহজেই সঞ্চারণ করতে পারবেন তাঁর অনুভূতি। হুজুরের লজিকের কাউন্টার দিয়ে মুহূর্তে সংশয় কাটিয়ে দেবেন।
কিন্তু বর্তমান সমাজে এমন গাইডের বড়ই অভাব। আমরা লঘুতম সংখ্যা। মাথায় সিঁদুর বা টুপি, নামে সেন, পাল বা মোহাম্মদ আহাম্মদ থেকেও নির্ধারণ করা যায় না ইনি আমাকে সাহায্য করতে পারবেন কি না।

আমি যখন নব্য নাস্তিক,আমার কোন গাইড ছিল না। প্রচুর বাধা ছিল। আমি আমার চিন্তাগুলো নিয়ে কারো সাথে আলোচনা করা তো দূরে থাক, বলা শুরু করলে থাপ্পড় খেতে হত। ভাবতাম, তবে কি ঈশ্বর বিষয়ক প্রশ্ন করা পাপ? নাকি উত্তরটা তাদের জানা নেই? উত্তর না জেনে তারা ধর্ম মানছে কেন? মেনে কী লাভ।

অনেক কষ্ট-লাঞ্ছনায় বড় হয়েছি, পোড় খেয়ে এ পর্যন্ত বেঁচেছি। সত্যিই বলছি, এখন ভালোই আছি। ধার্মিক হলে বলতাম, ধন্যবাদ ঈশ্বর, আমাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, নয়তো আজ এই অবস্থায় বেঁচে থেকে তোমার লুঙ্গি খুলতে পারতাম না। যেহেতু ধার্মিক নই, তাই বলছি, মানব মস্তিস্ককে ধন্যবাদ এত শক্তিশালী চিন্তন ক্ষমতা দেয়ার জন্য।

ঈশ্বর নেই - এটা কী? বাস্তবতা। বাস্তবতা স্বীকার করতে সংশয় কেন? আত্মবিশ্বাসের অভাব। মানুষ যেমন ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে, তেমনি আজ আপনি ঈশ্বরকে ধ্বংস করে দেখান। আপনার সে ক্ষমতা আছে।

সুখ-দুঃখ সহ্য করবো না, তাই মরে যাব - এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণীর উদাহরণ নয়। আমরা মহাবিশ্বের প্রতি দায়িত্বশীল। বেঁচে থাকতে হবে পরের জন্য। স্পাইডার ম্যান ফিল্মের একটা কথা মনে পড়লো, মহা একটি ক্ষমতা মহা একটি দায়িত্বের সাথেই আসে।

আপনার ক্ষমতা হল আপনি সত্যটা জেনে গেছেন।

পরিশেষে এই বলি, নাস্তিকতার পথে যারা নতুন, তাদেরকে মানসিকভাবে সাহায্য করা ও কঠোর যুক্তিবাদিতার পথের সন্ধান দেয়া আমাদের দায়িত্ব। কুসংস্কারের কালো আঁধারকে আলোকিত করাটাও মানবিকতার অংশ।

৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৭

দধীচি বলেছেন: আল্লাহ সর্বজ্ঞানী। তিনি আমাদের বর্তমান, অতীত, ভবিষ্যৎ সবই আগে থেকেই জানেন।

কে জাহান্নামে যাবে, তা আল্লাহ আগে থেকেই জানেন। কে খারাপ কাজ করবে তাও আল্লাহ আগে থেকেই জানেন।

আল্লাহর জ্ঞান ও ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ যেতে পারে না। আল্লাহর জ্ঞান ও ইচ্ছার ভুল হতে পারে না।

আল্লাহ আগে থেকে যদি জানেন যে আপনি খারাপ কাজ করবেন, তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কখনো তা বদলাতে পারবেন না। কারণ আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, আপনি খারাপ কাজ করবেন।

আল্লাহ যা জানেন, তা কখনো ভুল হতে পারবে না। আপনাকে খারাপ কাজ করতেই হবে। কারণ আপনি খারাপ কাজ না করলে আল্লাহ ভুল প্রমাণিত হয়ে যাবেন।

আল্লাহ যদি আগে থেকে জানেন যে, আপনি কাফের-মুরতাদ হবেন, তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কখনো তা বদলাতে পারবেন না। আপনাকে কাফের-মুরতাদ হতেই হবে। কারণ আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, আপনি কাফের মুরতাদ হবেন।

আল্লাহ যা জানেন, তা কখনো ভুল হতে পারবে না। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন আপনাকে কাফের মুরতাদ হতেই হবে।

আল্লাহ যদি আগে থেকে জানেন যে, আপনি জাহান্নামে যাবেন, তাহলে আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনি কখনো তা বদলাতে পারবেন না। আপনাকে জাহান্নামে যেতেই হবে। আপনাকে জাহান্নামে অনন্তকাল আগুনে পোড়ানো হবে, অকথ্য অসহ্য অকল্পনীয় নির্মম উপায়ে অত্যাচার করা হবে। কারণ আল্লাহ আগে থেকেই জানেন, আপনি জাহান্নামে যাবেন।

আল্লাহ যা জানেন তা কখনো ভুল হতে পারবে না। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, আপনাকে জাহান্নামে যতেই হবে।

তাছাড়া হাদিসে তো বলাই আছে যে, একজন লোক নেকী হবে নাকি কুফফার, জান্নাতে যাবে নাকি জাহান্নামে যাবে, সেটা জন্মের আগেই, মায়ের গর্ভে থাকতেই আল্লাহ নির্দিষ্ট করে দেন।

সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, বই ৫৫, হাদিস ৫৪৯

আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত:

রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকের সৃষ্টির উপাদান স্বীয় মাতৃগর্ভে চল্লিশ দিন পর্যন্ত জমা রাখা হয়। এরপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা আলাকারুপে পরিণত হয়। তারপর অনুরূপভাবে (চল্লিশ দিনে) তা গোশ্তের টুকরার রূপ লাভ করে। এরপর আল্লাহ্তার কাছে চারটি বিষয়ের নির্দেশ নিয়ে একজন ফিরিশ্তা পাঠান। সে তার আমল, মৃত্যু, রিয্ক এবং সে কি পাপি হবে না পুণ্যবান হবে, এসব লিখে দেন। তারপর তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দেয়া হয়।

(ভুমিষ্টের পর) এক ব্যাক্তি একজন জাহান্নামীর আমলের ন্যায় আমল করতে থাকে এমনকি তার ও জাহান্নামীদের মধ্যে এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়, এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জান্নাতবাসীদের আমলের ন্যায় আমল করে থাকে। ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করে ।

আর এক ব্যক্তি (প্রথম হতেই) জান্নাতবাসীদের আমলের অনুরুপ আমল করতে থাকে। এমন কি শেষ পর্যন্ত তার অ জান্নাতের মাঝে মাত্র এক হাতের ব্যবধান থেকে যায়। এমন সময় তার ভাগ্যের লিখন এগিয়ে আসে। তখন সে জাহান্নামীদের আমলের অনুরূপ আমল করে থাকে এবং পরিণতিতে সে জাহান্নামে প্রবেশ করে।

এই হাদিসগুলোও দেখতে পারেন:

সহিহ বুখারী, খন্ড ৮, বই ৭৭, হাদিস ৫৯৩
সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, বই ৫৪, হাদিস ৪৩০
সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, বই ৫৫, হাদিস ৫৫০
সহিহ বুখারী, খন্ড ১, বই ৬, হাদিস ৩১৫
সহিহ বুখারী, খন্ড ৯, বই ৯৩, হাদিস ৫৪৬
সহিহ বুখারী, খন্ড ৮, বই ৭৭, হাদিস ৫৯৪
সহিহ মুসলিম, বই ৩৩, হাদিস ৬৩৯০

তাই এই কথা নিঃসন্দেহে প্রমানিত যে, ইসলামে ফ্রি উইল নেই, সব আগে থেকে আল্লাহ নির্ধারন করে রাখেন। জাহান্নামীও বানান আল্লাহ, জান্নাতীও বানান আল্লাহ। তার লিখে রাখা নাটকের স্ক্রিপ্টে সব মুমিনরা নাচছে।

যে জাহান্নামে যাবে, তার নিজের দোষটা কোথায়? আল্লাহ তো তার জন্মের আগেই তাকে স্ক্রিপটেড করে দিয়েছেন যাতে সে জাহান্নামী হয়, যার জন্মের আগেই আল্লাহ জাহান্নাম ফিক্সড করে দিয়েছেন, এতে কি তার নিজের কোনো হাত থাকতে পারে?

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৯

দধীচি বলেছেন: কোরান-হাদিসে মৃত্যুকষ্ট নিয়ে ভয়ানক সব কথা বলা আছে। যেমন, যে সবচেয়ে কম কষ্ট পেয়ে মারা যায়, তার কষ্টের তুলনা নাকি একটা চড়ুই পাখিকে প্রচণ্ড উত্তপ্ত ফুটন্ত তেলে চুবিয়ে মারা বা একটা জীবন্ত গরুর সারা দেহের চামড়া টেনে ছিঁড়ে উঠিয়ে ফেলার মত।

এবার একটু যুক্তি দিয়ে আলোচনা করা যাক মৃত্যুকষ্ট কেমন হতে পারে। গভীরে যাবার আগে প্রথমে একটু
১. কষ্ট বা ব্যথা এবং
২. মৃত্যুর বেসিক ব্যাপারটা বুঝে নেয়া যাক।

ব্যথা হচ্ছে মস্তিষ্কের একটি ইন্টারপ্রিটেশন বা রেসপন্স। দেহ কোথাও আঘাত পেলে আঘাতপ্রাপ্ত স্থান স্নায়ুর মাধ্যমে ব্যথার খবর মস্তিষ্কে পৌঁছে দেয়, আর তাই আমরা ব্যথা পাই। স্নায়ু এখানে টেলিফোন লাইনের তারের কাজ করে। ডাক্তাররা তাই অপারেশনের কাটাকুটি করার আগে ঔষধ দিয়ে স্নায়ু সাময়িকভাবে অকেজো করে নেন। তাই যতই কাটাকুটি করা হোক, রোগী তা টেরই পায় না। এমনিভাবে প্যারালাইজড রোগীর হাত পায়ে যদি ড্রিল মেশিন দিয়েও ফুটো করেন তবু সে সামান্য ব্যাথাও অনুভব করবে না, কারণ তার স্নায়ু বিকল। এদিকে প্রায় সব ক্ষেত্রেই মানুষের মৃত্যু হয় তখনই, যখন তার মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যায়। মস্তিষ্ক বেঁচে থাকে পুষ্টি আর অক্সিজেন দিয়ে, যা এটা রক্তের মাধ্যমে পায়। অক্সিজেন ছাড়া মস্তিষ্ক ১০ সেকেন্ডের বেশি বাঁচে না। তাই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে রক্ত মস্তিষ্কে পৌঁছাতে পারে না বলেই মানুষ মারা যায়।

এবার মূল আলোচনায় আসা যাক। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হওয়া মৃত্যু অবশ্যই কষ্টদায়ক হবে। যেমন আগুনে পুড়ে মৃত্যু, পানিতে ডুবে মৃত্যু ইত্যাদি। তবে সেই কষ্টটা কেমন? আগুনে যখন চামড়া পুড়ে যায় তখন প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়। তবে কিছু সময় পর চামড়া সম্পূর্ণ পুড়ে গেলে প্রচন্ড ব্যথা আর থাকে না, কারণ স্নায়ুগুলো পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়। আর স্নায়ু না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যথাও থাকে না। তবে হাসপাতালে আগুনে পোড়া রোগীদের যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায়। এর কারণ চামড়ার নিচের টিস্যুতেও অল্প পরিমান স্নায়ু থাকে। এই ব্যথাটুকু আগুনে পুড়ে যাওয়ার সময় প্রাপ্ত ব্যথার তুলনায় কিছুই না। যদি রোগীকে মরফিন দিয়ে তার স্নায়ু সাময়িকভাবে অকেজো করে রাখা হয়, তবে সে আর সামান্যতম ব্যথাও পায় না। পানিতে ডুবে মৃত্যুর ক্ষেত্রে ভিকিটিম যখন আর দম আটকে রাখতে পারে না, তখন ফুসফুসে পানি ঢুকে যায়, আর ফুসফুস পুড়ে বা ছিঁড়ে যাবার মত অনুভূতি হয়। তবে খুব দ্রুতই ব্যথা চলে যায়, আর শান্ত একটা ভাব চলে আসে, এরপর সে জ্ঞান হারিয়ে মৃত্যুবরণ করে। পানিতে ডুবে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং পরে উদ্ধারকৃত অনেক ব্যক্তির অভিজ্ঞতা থেকে এটা জানা যায়। কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব না হলেও ডুবার সময় তারা যেটুকু কষ্ট পায় মৃত্যুর সময় নতুন করে আর কষ্ট পাবেনা কারণ তারা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

তবে ঘুমের ঔষধ খেয়ে মৃত্যু, লিথাল ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যু, ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে মৃত্যু, ঘরে শুয়ে স্বাভাবিক মৃত্যু, হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু বা ব্রেইন স্ট্রোকে মৃত্যু হলে তা মোটেই প্রচণ্ড কষ্টদায়ক হয় না। কারণ এসব মৃত্যুর ক্ষেত্রে শরীরের স্নায়ুগুলো আঘাতপ্রাপ্ত হয়না যে শরীর ব্যাথা পেতে পারে, বরং কোন কারণে মস্তিষ্ক অক্সিজেন বা পুষ্টি বঞ্চিত হয়ে ব্যাথাহীন বা অল্প ব্যাথায় মৃত্যুবরণ করে। ব্যথা ব্যাপারটাই মস্তিষ্কের একটা ছলনা বা ডিফেন্স মেকানিজম যা বিবর্তনের একটা উপযোগ মাত্র। ব্যথা না থাকলে প্রাণীকুল তাদের শরীরের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হত না, ফলে তারা টিকে থাকতে না পেরে বিলুপ্ত হয়ে যেত। তাই ব্যাথার সাথে টিকে থাকার সম্পর্ক থাকলেও ব্যাথার সাথে মৃত্যুর সরাসরি সম্পর্ক নেই।

ব্যথা যে নিছক মস্তিষ্কের একটা ছলনা, তা যে কেউ ঘরে বসে সহজ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে। যেমন, টেবিলের ওপর আপনার একটা হাত রাখুন। তারপর হাতটির ওপর খাড়া করে একটি কাগজ বা অন্য কিছুর তৈরি দেয়াল বানান যাতে আপনি নিজের হাত দেখতে না পান, কিন্তু টেবিলের অপর প্রান্তে আপনার বন্ধু আপনার হাত দেখতে পায়। এবার টেবিলে একটি প্লাস্টিকের হাত রাখুন। বন্ধুকে বলুন আপনার আসল হাত আর প্লাস্টিকের হাতের ঠিক একই জায়গায় দীর্ঘক্ষন ধরে মৃদু আঘাত করতে। আপনি ততক্ষণ প্লাস্টিকের হাতের দিকে তাকিয়ে থাকুন। আপনার মস্তিষ্ক একসময় প্লাস্টিকের হাতটিকেই আপনার হাত বলে ধরে নেবে। বন্ধুটি যদি এই সময় প্লাস্টিকের হাতে সজোরে আঘাত করে কিন্তু আপনার আসল হাতে আঘাত না করে তবুও আপনি কঠিন ব্যথা পাবেন। এটাই মস্তিষ্কের ছলনা।

পরিশেষে বলা যায়, মৃত্যু নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই, কারণ মৃত্যু শান্তির। আপনি চলে যাবেন অতল অনন্ত ঘুমের জগতে, মৃত্যুর সামান্য কষ্টের স্মৃতিটুকুও আপনার থাকবে না, ঠিক যেমন জন্মের সময় বা শিশু অবস্থায় প্রাপ্ত ব্যথার স্মৃতি বিলুপ্ত হয়ে যায়!

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

অদ্বিত বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন। :)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:০৫

সুশান্ত মজুমদার বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.