নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব কিছুর উর্ব্ধে উঠা যায় না, তবু মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়...
এক সপ্তাহ আগে আমার মেয়ের হঠাৎ গলাব্যথা শুরু হয়, প্রথমে আমি এতটাই ঘাবড়ে গিয়েছিলাম যে, আমার চোখের সামনে থেকে পৃথিবীর আলো যেন নিভে যাচ্ছিল । কি করব, কি করা উচিৎ - এসব কিছুই ভাবতে পারছিলাম না । বাইরে কোন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেও সাহস হচ্ছিল না, কারণ নিয়ে গেলেই যে ডাক্তারকে দেখাতে পারব, তার কোন নিশ্চয়তা ছিল না । তাই অনেক কষ্টে কয়েক দিন অপেক্ষা করলাম, ব্যথাটা আসলে কি ধরণের, এটা বোঝার জন্য । এরপর শুরু হলো প্রচন্ড জ্বর, আমি আতংকিত হয়ে পড়লাম, দুচোখ থেকে ঘুম চলে গেল । মেয়ের মা রীতিমত কান্নাকাটি শুরু করল । আমি তাকে প্রবোধ দিলাম এই বলে যে, এ সময় কান্নাকাটি করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ না; কারণ আশেপাশের লোকজন জেনে ফেললে বিষয়টা হয়ত আরো সিরিয়াস পর্যায়ে নিয়ে যাবে । এ অবস্থায় আমি খুব গভীর ভাবে লক্ষ্য করলাম, মেয়ের গলাব্যথাটা আসলে টনসিলের ব্যথা, যে কারণে এক পাশে কানের নিচে বেশ ফুলে উঠেছে এবং জ্বরও এসেছে মূলতঃ এই ব্যথার কারণে । এরপর আমি নিজেই বেরিয়ে পড়লাম; কিন্তু কাছাকাছি কোন ডাক্তার না পেয়ে অবশেষে এক পরিচিত ওষুধের দোকানদারকে সব খুলে বলার পর সে বলল, এটা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডাজনিত টনসিলের ব্যথা, ওষুধ খেলেই আশা করা যায় ঠিক হয়ে যাবে । উনি সাত দিনের এন্টিবায়োটিক ডোজ এবং সাথে প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পরামর্শ দিলেন এবং বললেন, দুই দিনের মধ্যেই গলাব্যথা ও জ্বর কমে যাবে ইনশাল্লাহ, তবে এন্টিবায়োটিকের ডোজ পুরা খেতে হবে ।
পরবর্তিতে সেরকমটাই ফল পেয়েছি এবং আমার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে গেছে । কিন্তু মানসিক যে পীড়নটা আমাদের উপর দিয়ে গেছে, তা ভুলবার নয় ।
বর্তমানে এরকম অসংখ্য পরিবার মানসিক পীড়নের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে । এরমধ্যে নারায়ণগঞ্জের একটি পরিবারের কথা শুনে আমি ভীষণভাবে মর্মাহত হয়েছি । চার জনের ঐ পরিবারের কর্তা যিনি কিছুদিন আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন, এরপর সম্পূর্ণ লকডাউন করা ঐ বাসায় উনার স্ত্রী এবং দুই সন্তান থাকতেন । কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ তার স্ত্রীর মধ্যেও করোনা ভাইরাসের সব লক্ষণ দেখা দিলে উনি সিটি কর্পোরেশনসহ আরো কয়েক জায়গায় যোগাযোগ করার পরও তার চিকিৎসা নিশ্চিৎ করতে পারেননি । অবশেষে এমপি শামীম ওসমানের সহায়তায় উনার চিকিৎসা ও তার সন্তানদেরকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা হয় । কিন্তু ইতোমধ্যে তার উপর দিয়ে যে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় বয়ে গেছে, তা তার এক পরিচিত জনের কাছে আকুতি থেকে উপলব্ধি করা যায়, "ভাবী আমি নিশ্চিৎ করোনায় আক্রান্ত, আমার সন্তান দুটিকে বাঁচান" ।
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫০
সাইন বোর্ড বলেছেন: এ অবস্থায় কারোরই ভাল থাকার কথা না, তবু ভাল থাকার চেষ্টা করতে হবে ।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৫
গোধূলি বিকেল বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করার তৌফিক দিক।
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫১
সাইন বোর্ড বলেছেন: অসহায়ের এটাই শেষ মিনতি । আমরা সবাই যেন ভাল থাকতে পারি । শুভ কামনা রইল ।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:৪৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাসায় চাল ডাল তেল লবন হব পুরিয়ে আসছে
১০ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৫২
সাইন বোর্ড বলেছেন: লকডাউন অব্যাহতভাবে চলতে থাকলে এরকম অবস্থায় সবাইকেই এক সময় পড়তে হবে, এর মাঝেই বেঁচে থাকার চেষ্টাটুকু চালিয়ে যেতে হবে ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: আরে ভাই আমার নিজের অবস্থাও ভালো না। কাকে বলব আমার কথা?
চোখে অন্ধকার দেখছি।