নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য সাহা

স্বাধীনতা আমার শক্তি। ৭১ আমার চেতনা।

সত্য সাহা

আমি সাংবাদিক ও ক্ষুদ্রলেখক। সত্য তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য।

সত্য সাহা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদ্যুৎহীন রাতে কি ঘটেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে??!......

৩০ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে(ঢাবি) বিদ্যুৎহীন রাতে যা ঘটেছিল তা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে হইহুল্লোড় শুরু হয়েছে। আলোচনা-সমালোচনায় মুখরিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় সামাজিক গণমাধ্যমেও চলছে তুমুল বিতর্ক।



শিক্ষার্থী, শিক্ষক এমনকি অভিবাবকরাও কানাঘুষা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সে রাত নিয়ে। তবে কি ঘটেছিল, কারা ঘটিয়েছে তা নিয়ে আমাদের এই প্রতিবেদন।



যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঢাবি ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ছিল না। প্রতিদিনের মত সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ঝোপ ও চত্বরে জোড়ায় জোড়ায় একান্তে সময় কাটিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। তবে বহিরাগতদের সংখ্যাও কম ছিলনা।



প্রত্যক্ষদর্শী শশীপাল জানিয়েছেন, ‘কি আর বলবো। বহিরাগত ২ জোড়াকে আমি নিজেই তাড়াতে বাধ্য হয়েছি। তাদের দৃশ্য দেখে আমি নিজেও বিস্মিত হয়েছিলাম। জানতে চেষ্টা করেছি তারা কি আমাদের ক্যাম্পাসের নাকি বহিরাগত। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেল ২ জোড়াই বহিরাগত শিক্ষার্থী’।



ফিনান্স বিভাগের শিক্ষার্থী নুর হোসেন বলেছেন, ‘টিএসসি থেকে হলে ফেরার পথে সন্ধ্যায় আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এর দেয়াল ঘেঁষে তরুণ-তরুণীদের আপত্তিকর অবস্থা দেখে অন্যদিকে তাকিয়ে চলে গেলাম’। পরে জানতে পারলাম ওই শিক্ষার্থীরা আমাদের ক্যাম্পাসেরই।



এদিকে, প্রতিদিনের মত কলা ভবন ও এর আশপাশে প্রেমিক-প্রেমিকা ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা একান্তে সময় কাটিয়েছেন। তবে বিদ্যুৎহীন রাতের দৃশ্য ছিল অনেকটা অন্যরকম। তাদের একান্তে সময়ে কাটানোর ব্যঘাত ঘটিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়েরই কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা প্রায় সবাইকেই শারীরীক ভাবে লাঞ্ছিত (র‌্যাগ) করে। চড় থাপ্পড় এমনকি কিল ঘুষিসহ সব ধরনের কৌশলী মার দিয়েছে।



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী র‌্যাগিংয়ের প্রতিবাদ করায় তাকেও মারধর করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। ওই শিক্ষার্থীর নাম আল-আমিন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ছাত্র।



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল-আমিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার বান্ধবীকে নিয়ে অপরাজেয় বাংলার বটতলায় একান্তে সময় কাটাচ্ছিলেন। চারদিকে ছিল অন্ধকার। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আল আমিনকে নানা ভাবে জেরা করতে থাকে। তাকে ও তার বান্ধবীকে ঘিরে মন্তব্য করলে প্রতিবাদ করে আল-আমিন। এক পর্যায়ে একজন তাকে চড়-থাপ্পড় মারে।



এতে আল আমিন ক্ষুব্ধ হয়ে হলের বন্ধুদের ফোন করে বিষয়টি জানান। পরবর্তীতে ডাচ চত্বরে ওই শিক্ষার্থীকে পেলে তারা তাকে মারধর করতে থাকেন। এসময় ওই শিক্ষার্থীর বন্ধুরা ছুটে আসলে দুই গ্রুপে সংঘর্ষ বাধে।



এসময় আল আমিন পালাতে না পারায় তাকে প্রচন্ড মারধর করা হয়। তারা তাকে ধরে গাছের সাথে মাথা ধাক্কা দিতে থাকে। এতে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে।



এদিকে অন্ধকারে ঢাবির দৃশ্য নিয়ে ফেইসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। কেউ বলছেন যারা ঢাবিকে অপবিত্র করছে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। কেউ ছাত্রদের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পক্ষে আবার কেউ বলছেন ক্যাম্পাস স্বাধীন যার যা খুশি করবে।



এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. এ এম আমজাদ আলী বলেন, ‘যেসব শিক্ষার্থীরা এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’।



তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সজাগ থাকবে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.