নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃতির বিচারে বিশ্বাসী

নিজের জাতি আর মানুষের কল্যাণেই শান্তি পাই।

বিদ্রোহীসৌরভ

আমার প্রয়োজন একটি সুন্দর পৃথীবী ।বিশেষজ্ঞদের আলোচনার (কপি-পেস্ট )আধিক্য থাকবে ।

বিদ্রোহীসৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন ধারা সৃষ্টিতে প্রাধান্য বিএনপির : দফা ৪০

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৩

সুশাসন, স্বচ্ছতা ও সহাবস্থান- এই তিন অঙ্গীকারের মধ্য দিয়ে ‘নবধারা’র রাজনীতি ও সরকার গঠনের ইশতেহার তৈরি করছে বিএনপি। দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও চলছে পুরোদমে। রাষ্ট্র পরিচালনার ৫ বছর মেয়াদের মধ্যে বাস্তবায়ন-সক্ষম এসব প্রতিশ্রুতি নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতে কাজ করছেন দলটির খাতওয়ারি বিশেষজ্ঞ কয়েকজন নেতা।



রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন ধারণার বিষয়ে নেয়া হচ্ছে সমাজের বিশিষ্টজনসহ বিশেষজ্ঞ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, আইনজীবী ও পেশাজীবীদের সহযোগিতা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার তত্ত্বাবধানে প্রস্তুত হচ্ছে এ ইশতেহার। নবধারার রাজনীতি প্রবর্তনের বিষয়টি সামনে রেখে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের স্লোগান নিয়ে কমপক্ষে ৪০ দফার নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গবেষণালব্ধ দিকনির্দেশনার আলোকে ইশতেহারের খসড়া তৈরির কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। খাতওয়ারি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছেন দলের অভিজ্ঞ নেতারা। দুই মাসের মধ্যে খসড়ার কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী তারা।



সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামীতে জনসমর্থন নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেলে সেই সরকার হবে সম্পূর্ণ নতুন ধারার। আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘নতুন ধারার রাজনীতি’ এবং ‘নতুন ধারার সরকার’ ব্যবস্থার ধারণার ভিত্তিতেই বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি হচ্ছে।



সূত্র জানায়, এর পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গণি, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ড. ওসমান ফারুক, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবিহ শওকত মাহমুদ, মীর মোহাম্মদ নাছিরউদ্দিন, রিয়াজ রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান এম মোর্শেদ খান প্রমুখ।



পরামর্শকদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও শিক্ষক, কয়েকজন সাবেক সচিব, দৈনিক পত্রিকার সাবেক সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক। বিভিন্ন খাতওয়ারি পরিকল্পনা ও প্রতিশ্রুতি সুনির্দিষ্টভাবে ইশতেহারে সন্নিবেশ করতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে।



ইশতেহার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে নতুন ধারার রাজনীতির অঙ্গীকার থাকছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে এটা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, ক্ষমতায় গেলে যতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারব, ঠিক ততটুকু প্রতিশ্রুতি বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে রাখা হচ্ছে। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ও পরিকল্পনা আমাদের ইশতেহারে সুনির্দিষ্টভাবে লিপিবদ্ধ থাকবে। যাতে আমরা ক্ষমতায় গেলে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নের বিষয়টি জনগণ অনুধাবন করতে পারে। সহজেই যাচাই করতে পারে পারে আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি কি-না।



সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আইনের শাসন প্রয়োগের মধ্য দিয়ে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করছে বিএনপি। নতুনের শ্রম ও মেধা এবং প্রবীণের অভিজ্ঞতার সংমিশ্রণে নতুন ধারায় এই রাষ্ট্র পরিচালনায় সমাজের সব শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিত্ব থাকবে। মাঠ পর্যায়ের সুষম উন্নয়নসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের স্বচ্ছতা আনতে বেশ কিছুদিন ধরে কাজ করছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার চিন্তাভাবনা ও দিকনির্দেশনার ছাপ থাকছে এবারের ইশতেহারে।



ইশতেহার তৈরি প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র এক নেতা জানান, দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। এতে সরকারের সময়ের বিষয়টি মাথায় রেখে নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কাজ চলছে।



সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিশ্রুতির ‘নতুন ধারার রাজনীতি’র স্লোগান নিয়ে প্রায় ৪০ দফা প্রতিশ্রুতির নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে মাঠে নামবে বিএনপি। এর মধ্যে থাকবে দুটি পদ্মা সেতু নির্মাণ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রতিশ্রুতি, স্পেশাল ইকনোমিক জোন গঠনের ঘোষণা। থাকবে ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কর্মমুখী করতে পরবর্তী ১০০ দিনের মধ্যে পরামর্শক কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস।



ওই নেতা জানান, ইশতেহারে রাজনীতি থেকে হিংসার পরিবেশ এবং সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে বৈরী সম্পর্ক দূর করা, নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে এমপিদের সম্পদের হিসাব নেয়া, দ্রব্যমূল্য হ্রাস, কৃষি উপকরণ ও সারে ভর্তুকি দেয়াসহ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং খাদ্য নিরাপত্তা বিধানে ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি থাকবে।



সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ৪০ দফার মধ্যে রয়েছে দুর্নীতি দমন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা, সন্ত্রাস দমন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিল্প ও বাণিজ্য, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, তেল, গ্যাস, কয়লা ও অন্যান্য খনিজ সম্পদ, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা, পররাষ্ট্রনীতি ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জাতীয় সংসদ, বিচার ব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের স্ব^াধীনতা, জনপ্রশাসন, গৃহায়ন, নারী সমাজ ও শিশু, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, পানিনীতি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন, ভূমিনীতি, সমবায়, পরিবেশ, যুব সমাজ, শ্রমিক সমাজ, প্রবাসীদের কল্যাণ, মানবাধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উপজাতীয় জনগণসহ সব সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক, পর্যটন, খেলাধুলা ইত্যাদি। এসব বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে খসড়া তৈরির কাজ চলছে। অক্টোবরের মধ্যেই এই খসড়া চূড়ান্ত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।



সুত্রঃ নাঈম-উল করিম,আলোকিত বাংলাদেশ ,১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩







- See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.