নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃতির বিচারে বিশ্বাসী

নিজের জাতি আর মানুষের কল্যাণেই শান্তি পাই।

বিদ্রোহীসৌরভ

আমার প্রয়োজন একটি সুন্দর পৃথীবী ।বিশেষজ্ঞদের আলোচনার (কপি-পেস্ট )আধিক্য থাকবে ।

বিদ্রোহীসৌরভ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারা এখন ছাত্রদলে!

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তারাই ছিল সবচেয়ে সক্রিয় কর্মী। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন গ্রুপ ও উপ-গ্রুপে ভাগ হয়ে দাপিয়ে বেড়াত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছাত্রী উত্ত্যক্ত থেকে শুরু করে শিক্ষক লাঞ্ছনা, সাংবাদিকদের মারধর ও নিজ দলের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের নেতৃত্বে তারাই ছিল অগ্রভাগে। চাঁদাবাজি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের নেতৃত্বও ছিল তাদের হাতে। এসব কর্মকাণ্ডের দায়ে সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ কেউ বহিষ্কৃতও হয়েছে। অথচ সরকারের শেষ সময়ে তারাই এখন বনে গেছে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী!

ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের পক্ষে প্রকাশ্যে শোডাউন থেকে শুরু করে মিছিল-মিটিংসহ দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে তারা। কেউ কেউ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটিতে পদও পেয়েছে। তবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম সমকালকে বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী ছাত্রলীগের প্রকৃত কর্মীরা ছাত্রলীগেই আছেন। যাদের বিষয়ে এ ধরনের কথা আসছে, তারা সুযোগসন্ধানী। আগেও এমনটি ছিল, এখনও আছে। তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়; অনুপ্রবেশকারী।



বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো দলবদলের কারণ হিসেবে জানায়, 'ক্ষমতার পালাবদল হতে পারে'_ এই বিষয়টি মাথায় রেখে সুযোগসন্ধানী এসব কর্মী এখন ছাত্রদলে ভিড় করছে। আদর্শগত দিক নয়, ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার আগ্রহই তাদের ছাত্রদলে সক্রিয় হওয়ার মূল কারণ।



আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগে কর্মীসংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন আঞ্চলিক নেতার হাত ধরে অন্য দলের কর্মীরা ছাত্রলীগে ভিড় করে। গ্রুপ ভারি করতে নেতারাও আঞ্চলিক ভিত্তিতে কর্মীদের দলে টানেন। ছাত্রলীগে যোগ দিয়ে এসব কর্মীই ক্যাম্পাসে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ থেকে শুরু করে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, ছাত্রী উত্ত্যক্ত করা ও শিক্ষক লাঞ্ছনার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।

এসব কর্মকাণ্ডের দায়ে সংগঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ কেউ বহিষ্কৃতও হয়েছে। ছাত্রলীগের এসব কর্মীর এহেন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য দল ও সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। অথচ সরকারের শেষ সময়ে এসে এসব নেতাকর্মী এখন ছাত্রদলে সক্রিয়।



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় :জহুরুল হক হলে একসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন নয়ন। হল অভ্যন্তরে অন্তত পাঁচটি মারামারিতে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় গত বছর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছিলেন সাংবাদিকরা। তখন তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন হল শাখা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি রিফাত জামান। সেই নয়ন এখন ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী।



স্যার এএফ রহমান হলে ছাত্রলীগের নামে অসংখ্য মারামারি ও অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িত ছিলেন বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের মাসুম বিল্লাহ। গত বছর নারীঘটিত একটি সংঘর্ষেও জড়িত ছিলেন তিনি। অথচ সেই মাসুম এখন রাজনীতি করছেন ছাত্রদলে।

কবি জসীম উদ্দীন হলের বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনায় একসময় উঠে আসত দর্শন বিভাগের রিয়াজ উদ্দীন রুবাইয়াতের নাম। তখন ক্ষমতাসীন দলের সংগঠনের হয়ে মারামারিতে অংশ নিলেও তিনি এখন ছাত্রদলে সক্রিয়। ছাত্রলীগের নামে এ রকম আরও অনেক মারামারির ঘটনায় জড়িত থাকতে দেখা গেছে বর্তমানে ছাত্রদল কর্মী বিশ্ব ধর্মতত্ত্বের আনিস, হুমায়ুন ও রমজানকে।



দুই বছর আগে কলাভবনের লেকচার থিয়েটার এলাকায় ছাত্রলীগের সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন সূর্য সেন হলের বিশ্ব ধর্মতত্ত্বের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী প্রভাষ। তিনিও এখন ছাত্রদলে সক্রিয়।



হলের সিটে ছাত্র ওঠানো নিয়ে অনেক মারামারিতে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের ছাত্রলীগ কর্মী সৌরভ, জিয়া হলের আরবি বিভাগের আবু সুফিয়ান, পালি বিভাগের মামুন ও মহসীন, সমাজকল্যাণের শিমুল এবং বিবিএর মামুন এখন ছাত্রদল করছেন।

মুহসীন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এখন ছাত্রদলে সক্রিয় রয়েছেন আইন বিভাগের তারেক, ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমের রাসেল মিয়া, সমাজকল্যাণের সুমন, ইতিহাসের ইউসুফ, উর্দুর খালদুন ইসলাম প্রমুখ। ঢাবিতে এই সংখ্যা শতাধিক। কেউ কেউ ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও হল কমিটিতে স্থান পেতে লবিং-তদবির করছেন বলে একাধিক সূত্র সমকালকে জানিয়েছে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় :সর্বশেষ ২৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সময় হাবিব, রুদ্র, সাজিক, প্রিন্স, জুয়েলসহ ছাত্রলীগের একসময়ের সক্রিয় একাধিক কর্মীকে প্রকাশ্যে ছাত্রদলের পক্ষে মহড়ায় অংশ নিতে দেখা গেছে। এর কয়েক দিন আগে সাজিক, প্রিন্স ও জুয়েল ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে সাংবাদিকদের মারধর করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আরিফুজ্জামান ও রফিকুল ইসলাম শ্রাবণ গ্রুপের কর্মী রানা, হাবিব, রুদ্রসহ কয়েকজন ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান পেতে ফরমও তুলেছেন বলে ছাত্রদলের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। তাদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক কর্মী ছাত্রদলের একটি গ্রুপে যোগ দিয়েছে। এসব কর্মী বন্ধু, বিভাগীয় পরিচয়, আঞ্চলিক ভিত্তিতে গোপনে ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র রানা, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের রসায়নের প্রিন্স, প্রাণিবিদ্যার সাজিক, সমাজকর্মের আসাদ, সমাজবিজ্ঞানের মেহেদী ও সাগর, ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের মিল্লাত, ফিন্যান্সের মাসুম, ইংরেজি বিভাগের হাবিব ও ফয়সাল, সমাজবিজ্ঞানের সাবি্বর, রসায়নের সানি, ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের রুদ্র, প্রাণিবিদ্যার হাবিব, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রুবেল ও আতিক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সাদমান, ইমন, জুবায়ের, সামাদ, রফিক ও আরেফিন, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের নাহিয়ান বিন হক অনিক, সম্রাট ও আরমান, রসায়নের জুয়েল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সালমান, পদার্থবিজ্ঞানের মুকুল, হিসাববিজ্ঞানের সুফিয়ান, তাপস, বাপ্পী ও তুষার, অর্থনীতি বিভাগের রাজীব এবং ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের মাসুমের নেতৃত্বে শতাধিক কর্মী এখন ছাত্রদলের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন। ছয় মাস আগেও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে তারা পরিচিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ছাত্রলীগে উচ্ছৃঙ্খল ও অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। আঞ্চলিক বিভিন্ন গ্রুপ ও উপ-গ্রুপে ভাগ হয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয় তারা। ছাত্রলীগ নেতারাও গ্রুপ ভারি করতে এসব কর্মীকে কাছে টেনে নিয়েছেন। তবে বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর কর্মীশূন্য হয়ে পড়ে জবি ছাত্রলীগ। এ ঘটনার প্রায় ছয় মাস পর শিক্ষক লাঞ্ছনার দায়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সংগঠনটির কার্যক্রম স্থগিত করলে একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়ে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ এ শাখাটি। দলীয় কর্মসূচিতে সংগঠনের ২৫-৩০ জন কর্মীর বেশি উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি করতে ১২৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। এর পরও প্রাণ ফেরেনি জবি ছাত্রলীগে। সাংগঠনিক দুর্বলতা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একসময়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা এখন প্রকাশ্যে ছাত্রদলের সঙ্গে ক্যাম্পাসে শোডাউন করছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ সজল সমকালকে বলেন, 'ছাত্রলীগের রাজনীতি করে এমন অনেক কর্মী আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের ফিরিয়ে দিয়েছি।'

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় :শহীদ সালাম-বরকত হলের আবাসিক ছাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা। মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে ওই হলের ছাত্ররা তাকে বের করে দিলে তিনি আল-বেরুনী হলের ছাত্রলীগ নেতা এমিলের কাছে আশ্রয় নেন এবং এমিলের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ২০১০ সালের ৫ জুলাই ছাত্রলীগের দু'পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সে সময় সোহেল রানার নেতৃত্বে ফাহিম, বদরুল আলম রাসেল, মিজানুর রহমান রনি, শাহনেওয়াজ শাহীন, এহসান মানিকসহ প্রায় অর্ধশত কর্মী ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে সংঘর্ষে অংশ নেন। সেই সোহেল রানা এখন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আর এসব কর্মী তারই হাত ধরে বর্তমানে ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী। এ ছাড়া আল-বেরুনী হলের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শাহীন ও মানিক, বাংলা বিভাগের রাসেল, ইতিহাসের রনি, শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের রাশেদুল ইসলাম রুবেল, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের পিয়াস ও জাকারিয়া, ভূতত্ত্ব বিভাগের শামীম, বঙ্গবন্ধু হলের অর্থনীতি বিভাগের সাগর, মীর মশাররফ হোসেন হলের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের নাহিদ, মার্কেটিং বিভাগের শামীম, অর্থনীতি বিভাগের বেলায়েত, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের রুবেল, শহীদ সালাম-বরকত হলের ইতিহাস বিভাগের শরিফ, শহীদ রফিক-জব্বার হলের ছাত্রলীগ কর্মী মশিউর রহমান রোজেন, রাশিদুল হক পিয়াস ও শামীম হোসেন এখন ছাত্রদলে সক্রিয়।

এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।'

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় :চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত অনেক কর্মীকে এখন ছাত্রদলের মিছিলে দেখা যাচ্ছে। কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বর্তমানে চবিতে ছাত্রদলের পাঁচটি গ্রুপ সক্রিয়। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠুর অনুসারী ও সাবেক অর্থ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুমের অনুসারীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুল হকের অনুসারী পরিসংখ্যান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ, সহসভাপতি অমিত কুমার বসু গ্রুপের কর্মী ও পদার্থবিদ্যা ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র তাহের বর্তমানে চবি ছাত্রদল সহসভাপতি নেসারুল ইসলাম নাজমুলের অনুসারী হয়ে ছাত্রদল করছেন।

ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনুল হকের অনুসারী ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের মাহমুদ এবং অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী আনসারুল করিম ছাত্রদলের খোরশেদ আলম গ্রুপ, চবি ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মী কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের সালাউদ্দিন ও সংস্কৃতি বিভাগের নকীব বর্তমানে ছাত্রদল নুরুল হুদা সোহেল গ্রুপের সঙ্গে রাজনীতি করছেন। মামুনুল হকের অনুসারী ইতিহাস বিভাগের মোহাম্মদ সোহেল, মার্কেটিং বিভাগের ইকবাল, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের বিরাজ হোসেন, দর্শন বিভাগের লিটন ও ইউসুফ, মেরিন সায়েন্স অ্যান্ড ফিশারিজ ইনস্টিটিউটের মাসুদ বর্তমানে সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু গ্রুপের সঙ্গে ছাত্রদল করছেন।

এ বিষয়ে চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু সমকালকে বলেন, 'এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ছাত্রলীগ থেকে ভাড়া করে চবি ছাত্রদলকে রাজনীতি করতে হয় না।'

চবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, 'চবি ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এ ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মীই সংগঠনের প্রতি আন্তরিক।'

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় :মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মুস্তাসেবুল আলম অনিন্দ্য। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বও পান তিনি। গত সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রলীগের সাবেক সেই নেতা অনিন্দ্যকে বর্তমানে ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। লোকপ্রশাসন বিভাগের তাজুল মুন্না দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিলেও সম্প্রতি ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আহ্বায়ক কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছেন; সরব থাকছেন ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও। তাজুল মুন্নার সঙ্গে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন ছাত্রদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক ফারুক হোসেনেরও একই অবস্থান। তিনিও প্রকাশ্যেই ছাত্রদলের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। ফারুকের পথেই হেঁটেছেন ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী রাব্বানী এবং ইনফরমেশন সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসিফ। এ ছাড়া ছাত্রলীগের সাবেক একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রদল ও শিবিরের সঙ্গে আঁতাতের খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে আছেন আগের কমিটির শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নূর জাহিদ সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত সালাম ও সাওয়ার জুয়েল, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক এমবি আমিন, দফতর সম্পাদক আনিস, নবাব আবদুল লতিফ হলের সাধারণ সম্পাদক আফজাল, জোহা হলের সাধারণ সম্পাদক রনি, আগের কমিটির সহসভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম, শাহ মখদুম হলের সভাপতি মামুন ও সাধারণ সম্পাদক হাসান এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সহসভাপতি বেলাল হোসেন বিল। এসব নেতা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও শিবিরের নেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করছেন বলে ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র সমকালকে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় :চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে শিশু রাব্বী নিহত হয়। এ সময় ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সশস্ত্র সংঘর্ষে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। রাব্বী হত্যাকাণ্ডের পর আজাদ-ইমন কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পর অনেক ছাত্রলীগ কর্মী নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। আবার অনেকে ছাত্রদলের বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দেয়। সে সময় সভাপতি শামছুদ্দিন আল আজাদ গ্রুপের পক্ষে সংঘর্ষে অংশ নেওয়া শাকুর, রাসেল, রাব্বী, রেজা, সুমন কুণ্ডু, শরীফ, শফিক, সাম্য, আসওয়াদ ও সুমন বর্তমানে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন জনির সঙ্গে রাজনীতি করছেন। গালিব, পিনু, মোস্তাক ও সুভাষ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম রাসেল গ্রুপ এবং সোহেল ছাত্রদলের চমক গ্রুপে রাজনীতি করছেন।

সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমন গ্রুপের জোবায়ের ও আল-আমিন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন গ্রুপ; অপু, অমল ও সম্রাট দলের সিনিয়র সহসভাপতি রুহুল আমিন গ্রুপ; আশিক ও শিহাব সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম রাসেল গ্রুপ এবং মাহফুজ ছাত্রদলের সভাপতি ইয়ার মাহমুদ গ্রুপে রাজনীতি করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সম্পাদক জসীম উদ্দিন জনি সমকালকে বলেন, ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের পর এসব কর্মী ছাত্রদলের রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। এখন যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের সংগঠনে পদ দেওয়া হবে।



সুত্র: রাজবংশী রায় ,সমকাল , ২২-০৯-১৩

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২২

কেএসরথি বলেছেন: "তোরা যে যা বলিস ভাই..."

আমার কিন্তু উনাদের ইসটাইল টা ভালো লেগেছে।
বড়ই সময়োপযোগী ইসটাইল।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: এদের বিচার হয় না । অপরাধ করে সরকার তার দলীয় কর্মীদের নিরাপত্তা দেয় । অপরাধ করে শাস্তি না হওয়াতে তারা আরো বেপরোয়া হয়ে পড়ে ।

কে ছাত্রদল হল কে ছাত্রলীগ হল ব্যপার না । ব্যপার হল অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.