নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিঠির ভাষায়

অনন্য শ্রাবণ

ভালবাসা ঘিরে রাখুক আমাকে

অনন্য শ্রাবণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিঠি ১৫

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৩

২৬।১০।২০১২

রাত ১১ টা

প্রিয় অনন্যা,

সময় পাল্টেছে বলেই এখন আর কোন কিছুই আগের মত নেই। সবকিছুই ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়। তোর আর আমার মাঝের গল্পগুলোও তাই আজ আলাদা। এই আলাদা ব্যপারটা চোখে পড়ল কয়েকদিন আগে যখন তুই আমাকে ফোন দিলি তখন। একসময় আমরা অনেক কথা বলতাম, তখন কথার মাঝে যদি কথা আর না খুঁজে পেতাম তখন ফোনের দু পাশ থেকে দুজনে চুপ করে থাকতাম, ঐ নীরবতার মাঝেও যে কি প্রশান্তি আর ভালবাসা ছিল সেটা তোকে আমি বুঝাতে পারব না। সেদিন অল্প কয়েকটা কথা বলার পরই আর কোন কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না কিন্তু আগের মত সেই ভাল লাগাটা হয়ত আর তেমন বিশালাকারে কাজ করছিল না, তাই ফোন অল্প সময়ের মধ্যেই রেখে দিলাম।এরপর আর তোর সাথে কথা হয়নি, কাল বিকালে খুব ফোন দিতে ইচ্ছা করছিল, ইচ্ছাটা মাঝরাতেও ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কল করে কথা বলিনি। আজ রাতে ফেইসবুকে অনলাইনে থাকার সময় কেমন আছি সেটা জিজ্ঞাসা করেছিলি, এখানেও মাত্র দুইটা কথা হল, এর বেশী কথা কেন হল না সেটা এখন আর বুঝতে চাচ্ছি না।

আগামীকাল ঈদ, কাল তোর সাথে কথা হবে কিনা বলতে পারছি না, আসলে কাল কার কার সাথে কথা হবে সেটাও আমি এখন জানি না। কেউ আমাকে ফোন দিলে অবশ্যই কথা হবে তবে আমি কাকে ফোন দিব বা আদৌ কাউকে ফোন দিব কিনা সেটার কোন ঠিক ঠিকানা নেই।

তুই কি জামালপুরে আছিস নাকি টাঙ্গাইল গিয়েছিস আমি এখনো জানি না, যতটুকু বলেছিলি তাতে তোর টাঙ্গাইল যাওয়ার কথা না। আমার কথা হল যদি তুই টাঙ্গাইলে নাই যাবি তাহলে ঈদের সময় তোর ঢাকা ছাড়ার কি দরকার। আমি আসলে কোন কিছুই বুঝে পাই না। আমার যেমন এবার ঢাকায় মোটেও মন টিকছে না।

আজকে রাতে আমার নিজের তিনটা টেবিল গুছানোর কথা ছিল যেগুলো খুবই এলোমেলো হয়ে আছে কিন্তু আমি কোন কিছুই করি নি, কেন করি নি জানি না কিন্তু আমার গুছানোর ইচ্ছা ছিল। আসলে কোন কাজ না করতে করতে শরীর ও মন দুটোতেই অলসতা ভর করছে আর অলস কোন কিছুই ভাল কিছু দেয় না। যখন একা থাকি আমার অলস মস্তিষ্ক আমাকে দিয়ে নানা প্রকার শয়তানি কর্মকাণ্ড করাতে চায়। এই সবকিছু থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য আমার অতি জরুরী একটা চাকরী দরকার। অবশ্য একটা ভাল চাকরী পাওয়ার জন্য যে পরিমাণ পড়াশোনা করা দরকার এই বয়সে এসে সেটা আর করতে মন চায় না।



সন্ধ্যার কিছু সময় পর তাসনীমকে চিঠি লিখেছি, এই নিয়ে ওকে পরপর তিনটা চিঠি লিখলাম। অনেকদিন হয়ে গেল ওর চিঠির উত্তর পাই না। সম্ভবত অনেক ব্যস্ত, আমার মত তো আর কেউ ফ্রি বসে নেই। একটা সময়ে তোকে ফেইসবুকে রচনা টাইপ চিঠি লিখেছিলাম। তুই ঠিকমত মাত্র একটা চিঠির উত্তর দিয়েছিলি। আজ এরকম অনেক কথাই মনে পড়ছে, অবশ্য শুধু আজ নয় বরং মাঝেমাঝেই মনে হয়। সবসময় তো আর তোকে চিঠি লেখা হয় না, তাই এভাবে সবসময় জানানো ও হয় না। যাই হোক ওসব কথা আমার ভিতরেই চাপা থাকুক।



রাত বাড়ছে, ১ ঘণ্টা হয়ে গেছে তোকে এই চিঠিটি লিখছি, এখন কেন যেন আমার চিঠিটি শেষ করতে মোটেও ইচ্ছা করছে না। মনে হচ্ছে অনেক্ষণ ধরে তোকে লিখে যাই তবে আর কি লিখব সেটাও ভেবে পাচ্ছি না। লিখতে হলে তো লেখার মত কিছু থাকতে হবে। গত কিছুদিন ধরে এফ এম শোনার অভ্যাস হয়েছে, অনেক রাত পর্যন্ত এফ এম শুনি, গত রাতেও সোয়া চারটায় ঘুমাইছি। যাই হোক সব মিলায় এভাবে চলছে, সম্ভবত নয় তারিখে একটা পরীক্ষা আছে, ওটার জন্য পড়াশুনা কতা উচিত। কি করব আর কি হবে আসলে কিছুই বুঝে পাই না।

সকাল সোয়া সাতটায় নামাজ, আমি শুইতে গেলাম, চিঠি তাই আজকের মত এখানেই শেষ করছি। ভাল থাক...

অনন্য











মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শায়মা বলেছেন: চিঠিটা নিশ্চয়ই আর পাঠানো হয়নি।

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৯

অনন্য শ্রাবণ বলেছেন: সেটাই, পাঠানো হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.