নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্ক (অনুগল্প)

২১ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২

রতন খুব বিরক্ত হয়।বিরক্ত না হবার কোন কারণ নেই।
রোজ রোজ একই ঘটনা।দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে জামা পড়া
শুরু করলে চন্দন দৌড়ে আসবে ।বাপের সাথে সেও দোকান
যাবে।আর না নিতে চাইলেই প্রথমে খুন খুন শুরু করবে,পরে
তারস্বরে কান্না জুড়ে দেবে।আজ রতনের তাড়া আছে তাই চন্দনকে
কোলে নিয়ে ভুলাবার চেষ্টা করে।নাছোড়বান্দা ছেলে তার-সহজে
ভুলবার পাত্র নয়।রাগ গিয়ে পড়ে স্ত্রীর উপর।
-জানই তো ছেলে প্রতিদিন এমন করে।সামলাতে পারোনা?
স্বামীর রাগ দেখে মাধুরী চুপসে যায়।ফর্সা মুখ তার লাল হয়ে ওঠে।
-আয় বাবা,চল দিঘীর পারে বেড়াতে যাই।
কে শোনে কার কথা।ছেলে কেঁদেই চলে।সেও বাপের সাথে দোকান
যাবে।

-এবার গেলে আবার কবে আসবী তুই?
মা প্রশ্ন করে চন্দনকে।
-রোজার বন্ধ ছাড়া আর কোন বন্ধ নেই।চারমাস পর।
মা খেতে থাকে আর কিছু বলে না।
রতন খেতে খেতে বলে
-সকাল সাড়ে নয়টায় বাস।


পরদিন চন্দন ব্যাগ গুছিয়ে নেয়।
-সব ঠিক ঠাক নিয়েছিস?
রতন প্রশ্ন করে।
ব্যাগ গুছানো হলে রতন ব্যাগ হাতে নেয়।
-বাবা আমি রিক্সা নিয়ে যাব।
-কেনরে?মদনের পুকুর পার দিয়ে দু’জন হেঁটে যাই। কতটুকু
আর রাস্তা ?
-তুমি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যেতে চাও?
-চল যাই।



বাসে উঠার সময় বাবাকে চন্দন বলে-
নস্যি কম দেবে।
রতন মলিন মুখে হাসে।বাসে উঠে সিটে বসে চন্দন।বাস চলা
শুরু করে।জানালা দিয়ে বাবার দিকে চায়।দেখে, বাবা চোখ মুচ্ছে।
আর তাকায় না সে বাবার দিকে।তার চোখও কেমন ঝাপসা হয়ে ওঠে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.