নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের চাকা

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮

জগন্নাথ হলের সবুজ মাঠ,তীব্র প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়
এতদিন পর সময় হলো তোমার?
এতদিন পর?
এসো,বিদীর্ণ করো আমার এ হৃদয়
পাও কি দেখতে-অসহায় নিরস্ত্র মানুষের
চাপ চাপ রক্ত?দেখছো কি তুমি মাটির উপর
বেরিয়ে থাকা হাতের আঙ্গুল;কারও বা পা।
যেন ফুলে ফুলে শোভিত বাগান-শহীদের
আর,মাটি খুঁড়ে আরও নীচে যদি যাও,তবে পাবে তোমার
শিক্ষক- জি. সি. দেবকে।

এতদিন পর এলে?
এতদিন পর সময় হলো তোমার?

ফুলার রোড,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ কোয়ার্টার
এরা সবাই,সবাই প্রশ্ন করে-
তুমি চিনতে ওই কাদামাখা মাইক্রোবাসটিকে
যে মাইক্রোবাস তুলে নিয়ে গিয়েছিলো ডাঃ মোঃ মুর্তজাকে?
আরও কতজনকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল-কত শিক্ষক
কত সাংবাদিক
কত কবি,লেখক
কত চিকিৎসক
শিল্পী,সাহিত্যিক।

কারও থাকতো চোখ বাঁধা
কারও বা হাত পিছমোড়া করে বাঁধা
কারও পরনে শুধু লুঙ্গী
কারও পরনে লুঙ্গী এবং গেঞ্জী।

কাদামাখা সাদা মাইক্রোবাস-আসতো
আর যেতো
আসতো আর যেতো।

আর ধৃত মানুষগুলো অকল্পনীয় নির্যাতন ভোগের পর
ঠাঁই পেতো বধ্যভূমিতে-রায়ের বাজার কিম্বা মিরপুরের
-অবশ্যই মৃত।

জল কেন ওই চোখে?
দ্রোহের আগুন জ্বালো ওতে
সেই আগুনে পুড়িয়ে ভস্ম করো
ওই মানুষরুপী পিশাচদের
আর তাদের অনুসারিদের।

ফ্যানের রক্তাক্ত সিলিং বিষণ্ণ দৃষ্টিতে চেয়ে রয়,বলে-
ওরাও তো বাঙালি ছিল
ওরাও তো মানুষ ছিল

তবে?-কিভাবে সম্ভব?
কিভাবে সম্ভব এমন বর্বরতা-কবি মেহেরুন্নেসার মাথাটাই কেটে ফেললো?
জানো কাটা মাথা ঝুলিয়ে দিলো আমার গায়ে

ইতিহাসের হৃদয় ফেটে চৌচির হয়ে যায়-চুঁইয়ে পড়ে
শহীদের তাজা রক্ত-
বাংলার সূর্য সন্তানদের রক্ত।

একে একে আসে পদ্মার পারের সেই গর্ত
-যেখানে মীর আব্দুল কাইয়ুমকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল,
ট্রেনের জ্বলন্ত কয়লা ইঞ্জিন
-যেখানে ডা. শামসাদ আলীকে ছুঁড়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছিল,
রক্তমাখা ছুঁড়ি
-যা দিয়ে ইত্তেফাকের সাংবাদিক আবু তালেবকে জবাই করা হয়েছিল,
তারা সবাই ফিরে আসে আর গল্প শোনায়
এবং বলে-মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা কলেজে একবার যেও
যেটি ছিল আলবদরের
সদর দপ্তর।
সেখানে পাবে তুমি রক্তে ভেসে থাকা এক নির্জন কক্ষ
আর হত্যায় ব্যাবহৃত ধারালো অস্ত্র
আর বাতাসে শুনতে পাবে
আলী আহসান মুজাহিদ বলছে-আমরা বিগত দিনগুলোর
জন্য লজ্জিত নই।আর সামনের দিনগুলোর
জন্য নিরাশও নই।
……..বন্ধুরা।আমি বাধ্য হয়ে আদেশ দিচ্ছি
আপনারা হিজরতে বের হয়ে যান।

ফাঁসির দড়ি টেনে নেয় ইতিহাসের চাকা।
14/12/2015

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১

আদিম রাজা বলেছেন: splendid

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৪

সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.