![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রশ্ন
সহীহ হাদীসে এসেছে যে, পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়াতে হবে, কিন্তু আমাদের দেশের ওলামারা এমনটি করতে বলেন না কেন? এ বিষয়ে সঠিক সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
মূলত হাদীসে পায়ের সাথে পা লাগিয়ে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়নি, বলা হয়েছে কাতার সোজা করতে এমনভাবে যে একজনের পা যেন অপরজনের পায়ের বরাবর সোজা থাকে। আগ পিছ না হয়ে যায়। একথা বুঝানো উদ্দেশ্য। আসলেই পায়ের সাথে পা মিলানো উদ্দেশ্য নয়।
কাতার সোজা করা সম্পর্কিত হাদীস সমূহের দিকে নজর দিলেই তা স্পষ্ট হবে আশা করি-
১
692 – حدثنا عمرو بن خالد قال حدثنا زهير عن حميد عن أنس عن النبي صلى الله عليه و سلم قال : ( أقيموا صفوفكم فإني أراكم من وراء ظهري ) . وكان أحدنا يلزق منكبه بمنكب صاحبه وقدمه بقدمه (صحيح البخارى-كتاب الجماعة والإمامة ، باب إلزاق المنكب بالمنكب والقدم بالقدم في الصف، رقم الحديث-692)
হযরত আনাস রাঃ বলেন-রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“তোমরা কাতার সোজা কর। নিশ্চয় আমি তোমাদের পিছন থেকেও দেখি”।
আর আমাদের একেকজন কাঁধের সাথে পাশের জনের কাঁধ মিলাতো, আর পায়ের সাথে পা মিলাতো। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৬৯২}
২-
وقال النعمان بن بشير رأيت الرجل منا يلزق كعبه بكعب صاحبه (صحيح البخارى-كتاب الجماعة والإمامة ، باب إلزاق المنكب بالمنكب والقدم بالقدم في الصف)
হযরত নুমান বিন বাশির রাঃ বলেন-আমাদের মাঝে একজনকে দেখতাম তিনি তার কাঁধের সাথে পাশের জনের কাঁধ মিলাতেন। {সহীহ বুখারী, কাঁধের সাথে কাঁধ ও পায়ের সাথে পা মিলানোর অধ্যায়}
৩-
عَنْ أَبِى الْقَاسِمِ الْجَدَلِىِّ قَالَ سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ يَقُولُ أَقْبَلَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- عَلَى النَّاسِ بِوَجْهِهِ فَقَالَ « أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ ». ثَلاَثًا « وَاللَّهِ لَتُقِيمُنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ ». قَالَ فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ يُلْزِقُ مَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِ صَاحِبِهِ وَرُكْبَتَهُ بِرُكْبَةِ صَاحِبِهِ وَكَعْبَهُ بِكَعْبِهِ (سنن ابى داود-كتاب الصلاة، باب تَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ، رقم الحديث-662)
আবুল কাশেম জাদালী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি হযরত নুমান বিন বাশির কে বলতে শুনেছি- রাসূল সাঃ আমাদের দিকে ফিরে তিনবার বললেন-“তোমরা কাতার সোজা কর, আল্লাহর কসম! তোমরা কাতার সোজা কর, নতুবা আল্লাহ তায়ালা তোমাদের অন্তর পরিবর্তন করে দিবেন”।
তিনি [নুমান বিন বাশির] বলেন-তখন আমি দেখলাম এক লোক তার কাঁধের সাথে পাশের জনের কাঁধ মিলাচ্ছে, এবং হাটুর সাথে হাটু মিলাচ্ছে, এবং পায়ের গিটের সাথে গিট মিলাতো।
৪-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ أَقِيمُوا الصُّفُوفَ وَحَاذُوا بَيْنَ الْمَنَاكِبِ وَسُدُّوا الْخَلَلَ »»وَلاَ تَذَرُوا فُرُجَاتٍ لِلشَّيْطَانِ وَمَنْ وَصَلَ صَفًّا وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَ صَفًّا قَطَعَهُ اللَّهُ (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب تَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ، رقم الحديث-666)
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা কাতার সোজা কর এবং কাঁধসমূহের মাঝে বরাবরি রাখ, খালি স্থান পূর্ণ কর। আর শয়তানের জন্য খালি যায়গা রেখো না। আর যে কাতার মিলালো, আল্লাহ তায়ালা তাকে মিলিয়ে দিবেন। আর যে পৃথক করল, আল্লাহ তায়ালাও তাকে পৃথক করে দিবেন। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৬৬৬, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৫৭২৪, সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং-৪৯৬৭}
৫-
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « رُصُّوا صُفُوفَكُمْ وَقَارِبُوا بَيْنَهَا وَحَاذُوا بِالأَعْنَاقِ فَوَالَّذِى نَفْسِى بِيَدِهِ إِنِّى لأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ (سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب تَسْوِيَةِ الصُّفُوفِ، رقم الحديث- 667)
হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-তোমরা কাতার সোজা কর, এবং ঘাড়কে বরাবর কর, নিশ্চয় যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ! আমি দেখি শয়তান তোমাদের কাতারের ফাঁকে প্রবিষ্ট হয় বকরীর ছোট বাচ্চার মত। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৬৬৭)
উল্লেখিত হাদীস দ্বারা কী উদ্দেশ্য?
১-কাতার সোজা করা আবশ্যক একথা বুঝানো উদ্দেশ্য। সেই সাথে জামাতে নামায পড়ার সময় মাঝখানে এমন ফাঁক রাখা যাবে না, যাতে ছোট বকরীর মত প্রাণী ঢুকে পরতে পারে। নামাযে মুসল্লী পা ছড়িয়ে পাশের জনের পায়ের সাথে মিলিয়ে দাঁড়াবে সেটা বুঝানো উদ্দেশ্য নয়।
২-পায়ের সাথে পা মিলিয়ে নামাযে পা ছড়িয়ে দাঁড়াতে হবে একথা উদ্দেশ্য।
প্রথম বক্তব্যটি হাদীসের মর্মার্থ সম্পর্কে অভিজ্ঞ ফুক্বাহায়ে কিরামদের।
আর দ্বিতীয় বক্তব্যটি হাদীসের মর্মার্থ উদ্ধারে অক্ষম কতিপয় ব্যক্তিদের মত। যারা শুধুমাত্র হাদীসের বাহ্যিক অনুবাদ পড়েই হাদীসের মর্ম বুঝে গেছেন মনে করে আত্ম-অহংকারে ভোগেন তাদের বক্তব্য।
বিশুদ্ধ বক্তব্য
প্রথম বক্তব্যটিই বিশুদ্ধ। কারণ হাদীসে রাসূল সাঃ এর উদ্দেশ্য যদি সত্যিকারভাবেই পায়ের সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো, আর হাটুর সাথে হাটু মিলিয়ে দাঁড়ানো ও কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে ছড়িয়ে দাঁড়ানো উদ্দেশ্য হত, তাহলে এরকম উদ্ভট কথা রাসূল সাঃ কিছুতেই বলতে পারেন না যা একেবারেই অসম্ভব। কারণ নুমান বিন বাশির রাঃ এর এক বর্ণনায় এসেছে কাঁধের সাথে কাঁধ ও পায়ের সাথে পা মিলানোর কথা, আর অন্য বর্ণনায় এসেছে হাটুর কথাও। তাহলে এই সুরতটি কখনো সম্ভব? হাটু, কাঁধ ও পা কি একসাথে মিলানো যায় কখনো?
সুতরাং বুঝা গেল-এসব হাদীসে রাসূল সাঃ এর মূল উদ্দেশ্য হল- যেন লোকেরা এভাবে দাঁড়ায় যে, কাতারের মাঝখানে কোন ফাঁক থাকতে না পারে যাতে ছোট বকরীর মত প্রাণী ঢুকে পরতে পারে। সেই সাথে কাতার হতে হবে একদম সোজা। যেন সবার কাঁধ বরাবর হয়। পায়ের সাথে পা বরাবর হয়। হাটুর সাথে বরাবর হয়। পায়ের গিটের সাথে পাশের জনের পায়ের গিট বরাবর হয়। লাগোয়া নয় বরং বরাবর হওয়া উদ্দেশ্য।
এ ব্যাখ্যা গ্রহণ করলে সকল হাদীসের অর্থ সঠিক হয়ে যায়। কারণ তখন “কাঁধের সাথে কাঁধ মিলবে” মানে হল সবার কাঁধ সমান সমান হবে। “পায়ের সাথে পা মিলবে” মানে হল সবার পা রাখার স্থান বরাবর হবে। “হাঁটুর সাথে হাঁটু মিলবে” মানে হল সবার হাটু বরাবর হবে। “পায়ের গিটের সাথে গিট মিলবে” মানে হল সবার পায়ের গিট বরাবর হবে।
পক্ষান্তরে সত্যিকারর্থে পায়ের সাথে পায়ের পা মিলানোর কথা বললে সেটা হবে আজগুবি কথা। কারণ পায়ের সাথে পা মিলালে কাঁধের সাথে কাঁধ মিলানো সম্ভব নয়। আবার কাঁধ ও পা যদি আলৌকিকভাবে মিলেও যায়, তাহলে হাটুর সাথে হাটু মিলবে কি করে? যেটা আবু দাউদ শরীফের বর্ণনায় এসেছে। সেই সাথে পায়ের গিটের সাথে গিট ও কাঁধের সাথে কাঁধ মিলানো কি সম্ভব?
সুতরাং বুঝা গেল পা ছড়িয়ে দাঁড়ানোর কথা এসব হাদীসে বুঝানো উদ্দেশ্য নয়। বরং কাতার সোজা করার গুরুত্ব ও সোজা করার পদ্ধতি বুঝানো উদ্দেশ্য। যেটা হযরত ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বুখারীতে বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যায় ফাতহুল বারীতে উল্লেখ করেছেন-المراد بذلك المبالغة فى تعديل الصف وسد خلله (فتح البارى-2/211) অর্থাৎ এটা দ্বারা উদ্দেশ্য হল-কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে গুরুত্ব বুঝানো, আর কাতারের মাঝে ফাঁক বন্ধ করা। {ফাতহুল বারী-২/২১১}
হাদীসের মাঝে অপব্যাখ্যার অপচেষ্টা
কথিত আহলে হাদীস তথা গায়রে মুকাল্লিদরা এ সকল হাদীস দিয়ে পা ছড়িয়ে অন্য মুসল্লির সাথে পা মিলিয়ে দাঁড়ানো প্রমাণ করতে হাদীসের মাঝে একটি চাতুরীর আশ্রয় নেয়। যেহেতু পায়ের সাথে পা মিলানো সম্ভব হয় না, তাই তারা বলে যে, পায়ের সাথে পা মিলানোর মানে হল একজনের পায়ের কনিষ্ঠা আঙ্গুলীর সাথে অপরজনের কনিষ্ঠা আঙ্গুলী মিলানো।
এ কথাটি হাদীস নিয়ে একটি চাতুরী ছাড়া কিছু নয়। কারণ হাদীসের সুষ্পষ্ট শব্দ হল-قدم যার অর্থ পা। আর আঙ্গুল বুঝানো উদ্দেশ্য হলে হাদীসের ভাষ্য হতো الإصبع [আঙ্গুল] পায়ের কথা কেন বলা হল? হাদীসের শব্দের মূলার্থ পাল্টে এই মনগড়া ব্যাখ্যা দেবার অধিকার তারা কি করে পেল?
বিস্তারিত জানতে পড়ুন-
১-তুহফাতুল আলমায়ী-১/৫৫১-৫৫৪
২-ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া-৯/৪৫২-৪৫৭
লুৎফুর রহমান ফরায়েজী
সহকারী মুফতী-জামিয়াতুল আস’আদ আল ইসলামিয়া-ঢাকা
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৬
শার্ক বলেছেন: Then you're saying Imam Bhukhari is a liar. Then you're following one think I mean shoulder with shoulder and may be this is also not necessary because if you don't do this and the gap is very small then it's fine. Isn't finger part of your leg? I don't think Hadith described anything that is only understandable by Imam. So, you guys saying u don't understand reading Quran. Then when we're reading Hadith then you guys are saying you don't understand this. Then why is these books revealed for people. Back to 1400 years they are mostly illiterate they do understand but we don't. Unless and untill we follow some PIR. How much bogus things are you trying to feed us.
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৮
উমাইর চৌধুরী বলেছেন: আপনার অন্য পোস্টগুলাতেও দেখলাম বিভেদকে উস্কে দিচ্ছেন। ফরজের নামে খবর নাই আর নফল লইয়া টানাটানি করাটাই কিছু লোকের স্বভাব। এ লোকগুলাই রিভার্স খেলে ইসলামের ক্ষতি করছে বেশী।
মসজিদুল হারামে হজ্বের মওসুমে যেয়ে দেখেন, কত রকমের নামাজ সেখানে হয় ! নামাজ এর মৌলিক জিনিস ঠিক আছে কিনা সেটা দেখেন।
বুকে হাত বাধব নাকি নাভির নিচে নাকি হাত ছেড়ে এসব নিয়ে প্যাচাল পাড়বেন তখনই যখন দেখবেন দেশের ৮০ ভাগ মানুষ নামাজী হয়েছে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৫৯
সুলাইমান আল উমাইর বলেছেন: এই বিভেদ আমরা সৃষ্টি করি নাই, এই বিভেদ আহলে হাদিস ভাইরাই সৃষ্টি করছেন।এই বিভেদ শুরুই করেছেন তারা।তারাই বলে যে তাদের আমল ই সঠিক আর সবার ভুল!এটা তারা কিভাবে বলে? আসসালামু আলাইকুম
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৯
শার্ক বলেছেন: By the way,
"তিনি [নুমান বিন বাশির] বলেন-তখন আমি দেখলাম এক লোক তার কাঁধের সাথে পাশের জনের কাঁধ মিলাচ্ছে, এবং হাটুর সাথে হাটু মিলাচ্ছে, এবং পায়ের গিটের সাথে গিট মিলাতো। "
Can you give me the reference for this? I need to check the Sanad.
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৩
সুলাইমান আল উমাইর বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম রেফারেন্স আরবি তে লেখা আসে আরবি হাদিসের শেষে দেখুন
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২২
শার্ক বলেছেন: @উমাইর চৌধুরী,
You are absolutely wrong. You need to follow the correct Sunnah. If your teacher says to follow one thing and if you follow another tihngs then do you think you will be doing a very good result and your teacher will be happy. You may even fail in your exam.
Oh! you will follow the correct books otherwise you can get failed. But not for the hadith because you don't fear Allah.
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৪
রওনক বলেছেন: শুনেছি বিদায় হজ্বের ভাষনে নবীজী(সা.) বলেছেন -
" আমি আমার পরে তোমাদের জন্য যা রেখে যাচ্ছি তা তোমরা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরে রাখবে। তার ওপর আমল করবে। তাহলে তোমাদের পতন ঘটবে না। আর তা হচ্ছে আল্লাহর কুরআন ও নবীর সুন্নত।"
এখানে তো হাদিছের কথা কিছু বলেন নাই!!!