নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য...

. আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া...

সুরঞ্জনা

আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।

সুরঞ্জনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবার চিঠি

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০০







ম......

সন্ধ্যার আগেই প্রতিদিন ঘরে ফেরে ‘টুনু’ কিন্তু একদিন আর ফিরলনা। লোকজন সব ফিরে এসে জানাল- কোথাও পাওয়া গেলনা। এবার উকিল সাহেব নিজেই বেরুলেন। বাজারের মধ্যে এসে ডাক দিতে একটি বন্ধ মদের দোকান থেকে সাড়া মিলল। এবার পৌ্র চেয়ারম্যানের কন্ঠে হুকুম দিলেন- হয় দোকানদারকে হাজির কর আর না পেলে দোকানের তালা ভেঁঙ্গে ফেল। দোকানদার এসে তালা খুলে বলল- হুজুর আমি না দেখে দোকান বন্ধ করে চলে গেছি। যাক! ‘টুনু’ ঘরে ফিরে এল। কিন্তু ওর যাওয়ার দিন এসে গেল ক্ষন এসে গেল। কিন্তু ওকে টেনেও নেওয়া যায়না, শুধু দোতালার বারান্দার দিকে চায়। উকিল সাহেব বারান্দার রেলিং ধরে ধরা গলায় বললেন ‘যাও, আবার এস’- তারপর অশ্রু সজল নেত্রে ঘরে দরজা বন্ধ করে দিলেন। আর ‘টুনু’ও এগিয়ে গেল, চোখ থেকে তখন তার পানি গড়িয়ে পড়ছে। কোরবানী হয়ে গেল।



বছর খানেক পরে উকিল সাহেবের ঘরে বহু প্রতিক্ষার পর এল সন্তান- একমাত্র পুত্র। তার ডাকনাম রাখা হল ‘টুনু’- ছাগলের নামে নাম। আজ সে সন্তান বুঝতে পারছে কত সার্থক তার নাম! ইমাদুদ্দীন সাহেব(উকিল সাহেব) বড় দুরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলেন বলে মনে হয়! পুত্রের বয়স যখন মাত্র চার, ইমাদুদ্দীন সাহেব মহাসমারোহে ধরাধাম ত্যাগ করলেন মাত্র পঞ্চাশ বছর বয়সে। চলে গেলেন তাঁর পিতৃ-সকাশে, সদরুদ্দীন সাহেবের কাছে। শিশুটি সংসার সমুদ্রে একটি ডিঙ্গি নৌকায় ভাসতে লাগল- চারদিকে কত হাঙ্গর, কুমীর এর বৈরী হুংকার। এল প্লাবন, হল বিশ্বযুদ্ধ, মন্বন্তর, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশভাগ। শিশুটি তখন যৌবনের দ্বারপ্রান্তে, কিন্তু ঠিকানা হারিয়ে গেল তার, হারিয়ে গেল তার অমূল্য অতীত। তার অতীতে কেউ ‘চাকর’ ছিলনা। সদরুদ্দীন সাহেব ছিলেন রেশম ব্যবসায়ী, কারখানার মালিক। তাঁর জেষ্ঠ পুত্র ছিলেন আইন ব্যবসায়ী, ভ্রাতস্পুত্রও তাই। কিন্তু সেই “ছাগল” হল চাকর।



মহাজনদের পাঁচশ শমিকের একজন- নাম ঝাঁটু। ১৯৫৪ সাল। বগুড়ায় প্রদর্শনী মেলা চলছে। রাজশাহী সেরিকালচারের ষ্টলের চার্জে এক পৌড়ের সাথে দেখা। খুব ওম করে সিগারেট ফুঁকছে। ‘কে ঝাঁটুনা’?- কিশোরের প্রশ্নে এক ঝটকায় সিগারেট ছুঁড়ে ফেলে উঠে দাঁঁড়িয়ে সালাম করে সবিস্ময়ে প্রশ্ন করল- মহাজনজী আপনি! কুশলবার্তা বিনিময়ের পর জানলাম সে নামের শেষে ‘শেখ’ লাগিয়ে জাতে উঠেছে এবং সুপারভাইজারের পদে চাকরী করছে। কালের আবর্তনে মালিক শ্রমিক আজ দু’জনেই গোলাম। কেউ চিড়িতনের আর কেউবা ইস্কাবনের- কিন্তু গোলামতো বটে!

পালটে গেল অতীত, শুরু হল নতুন ইতিহাসের বিচিত্র অধ্যায়। কিন্তু হারিয়ে গেল ঐতিহ্যের পরিচয়। ইমাদুদ্দীন, সদরুদ্দীন হারিয়ে গেল বিস্মৃতির গর্ভে।



বনভোজন(পোষাড়ু) এর সময় অর্থাৎ পৌষ মাসে গ্রামীন ছেলেদের মুখে শীতের রাতে আর শোনা যাবেনা কত যুগ আগে কোন অজ্ঞাত লোক দ্বারা রচিত ভিক্ষা সংগীত- “বল ভাল্ ভোল্ ভোল্ ভাল্ ভোল ভোলারে ভাই, চলরে রাখাল রাজা ফুল তুলিতে যাই”। মহাজনেরা পাকা(পাকা বাড়ী) দিলে ঝিকিমিকি করে

আর মাতু মোড়ল(পাশের গ্রামের এক প্রতিযোগী) পাকা দিলে ধ্বসে ধ্বসে পড়ে।

মাতু মোড়ল চিমনী(রেশম কারখানার) দিলে কেউনা ফিরে চান(অর্থাৎ খুব ছোট)

মহাজনেরা চার ভাই বড়ই বুদ্ধিমান

তাইতো তারা চিমনী দিলে আসমান সমান।

বল..................

কিংবা এইতো দেশভাগের কেবল আগে ইমাদুদ্দীনের চাচাতো ভাই সাজ্জাদ আলী ৭নং ওয়ার্ড থেকে কমিশনার নির্বাচিত হলেন, দু’জনের মধ্যে অন্যতম অমনি কবিয়াল গুমানী দাওয়ান ও লম্বোদর চক্রবর্তীর কবি গানের ধুয়া হ’ল—

“সাত নম্বরে পাশ করিল সাজ্জাদ আলী ভোলা(ভোলানাথ সাহা)

তোরা সব দেখরে ভাই ভোট গোলডিং এর খেলা”

এ সব গল্প হয়ে গেল। পথের মাঝে দাঁঁড়িয়ে এক যুবক। আপন বলতে পাশে কেউ নেই। শুরু হল যুদ্ধ। বাঁচার যুদ্ধ। নতুন করে আপনজন সংগ্রহ করার প্রয়াস পেল সে। কিন্তু বাস্ত যে একবার হারায় তার মত হতভাগা আর কেউ হয়না। তার ভাগ্যে জোটে বঞ্চনা আর অবহেলা। তাদের প্রতিযোগিতেয় না পেরে বাধ্য হয়ে গ্রহন করে বটে, কিন্তু আপন করে কেউ নেয়না। অথচ একটা দেশকে গড়তে তাদের অবদানই থাকে উল্লেখযোগ্য। চেয়ে দেখ আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়ার দিকে। এদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু স্বীকার করতে চায়না এরা। পরের পত্রে লিষ্টটা জানাব।

তোমাদের জন্য একটা base করে দিতে চেয়েছিলাম এদেশে কিন্তু হ’লনা- মানুষ এত স্বার্থান্ধ হলে কি আর হয়! প্রয়োজন পড়লে আমাকে স্মরন করা হয় আর সেটা পুরন হলেই পাই বা পেয়েছি অবহেলা, বঞ্চনা আর অপমান। করা হয় আমাকে সামাজিক ভাবে বিদ্ধস্ত। তাতে আমি নিজেকে অত্যন্ত একাকী ছাড়া আর কিছু মনে করতে পারিনা। এক ঘরে থেকেও যে মানুষ অনেক দূরে অবস্থান করে সেটা আমি এখন বুঝি।

প্যাচাল এখন থাক। তোমরা সবাই স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রেখ। মৌ সহ তোমরা সবাই আমার আন্তরিক স্নেহ ভালবাসা নিও।

ইতি

তোমার আব্বা

২৬/১২/৯৩ইং



*** ১৯৯৩ সালে এই চিঠিটি আব্বা আমায় লিখেছিলেন। উনার তিন সন্তানের মাঝে দ্বিতীয় হলেও উনার জেষ্ঠ কন্যা ছিলাম বলেই হয়তো আমার কাছেই উনি কিছুটা মন খুলতেন। এই দীর্ঘ চিঠিতে উনার মনের ক্ষোভই শুধু ছিলো না, ছিলো ইতিহাস। যা কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে। ছিলো বাস্তহারার বেদনা, যা মানুষকে আ-মৃতু তাড়া করে। মূল চিঠির বানান, ভাষা কিছু পরিবর্তন করিনি। ইচ্ছে হচ্ছিলো আমার আব্বার মুক্তোর মত হস্তাক্ষরের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিতে। আমার অক্ষমতায় তা পারলাম না। আব্বার জন্য কিছুই করতে পারিনি। নিজেকে আব্বার অযোগ্য সন্তান বলেই মনে হয়।

আম্মার মত আব্বাকেও কখনো বলা হয়নি উনাকে কতটুকু ভালবাসি। আম্মা হারিয়ে গেছেন চোখের আড়ালে, আব্বা তো আছেন। তাই আমার এই লিখাটি আব্বার জন্য। “আব্বা, আপনার এই জেষ্ঠা কন্যা আপনাকে অনেক অনেক ভালবাসে”।







মন্তব্য ১৩০ টি রেটিং +৩৩/-০

মন্তব্য (১৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৩

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পুপি

২| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৬

আবদুল্লাহ আল মনসুর বলেছেন: +++

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৭

হতাশার স্বপ্ন বলেছেন: সেইরাম ..... পিলাচ ও প্রিয়তে

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: দারুণ চিঠি। পুরোটা পড়লাম।

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ দুরন্ত।

৫| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৪

মিজান আনোয়ার বলেছেন: অনেক লম্বা লেখ। ভাল
শুভ কামনা

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: চিঠিটাই যে অনেক বড় ছিলো ভাইয়া। ধন্যবাদ।

৬| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৭

রেজোওয়ানা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপু চিঠিটা এতদিন এত যত্নে সংরক্ষন করেছে দেখে।
এগুলো তো আসলে অমুল্য দলিল এক একটা।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ..........

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: আব্বার প্রতিটি চিঠিই শেয়ার করার মত রেজোয়ানা। তবে অনেক চিঠি অনেক দিন পর্যন্ত রেখেছিলাম। এখন ৩/৪টা ছাড়া আর খুঁজে পাচ্ছিনা।
ধর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপুনি।

৭| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২২

হাসান মাহবুব বলেছেন: খুব ভালো লাগলো চিঠিটা। আপনার আব্বার জন্যে শুভকামনা।

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই।

৮| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২২

বড় বিলাই বলেছেন: আপনি যে লেখার চমৎকার গুণটা বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন সেটা বুঝলাম।

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫১

সুরঞ্জনা বলেছেন: আপুনি আমার বাবার অনেক গুন, তার কিছুই পাইনি। আজ আমার মাঝে যেটুকু ভালো বোধ আছে তা আমার বাবার সুত্রেই। বাবা অনেক মেধাবী, অনেক ভালো শিল্পী, অনেক ভালো সাহিত্যিক, অনেক বড় মাপের বড় মনের মানুষ। উনার জন্য দোয়া করো।

৯| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:২৪

কমুনা বলেছেন: বাবা !

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫২

সুরঞ্জনা বলেছেন: বাবা! বাবা! বাবা!

১০| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪২

সুরঞ্জনা বলেছেন: ১নং কমেন্টটা কে করেছিলো জানিনা। আমি দেখতে পারছিনা। :( বুঝতে পারছিনা এ ধরনের অসুবিধা কেন হচ্ছে। কমেন্ট না বুঝার জন্য বা জবাব দেবার অপশন না পাওয়াতে উত্তরও দিতে পারিনা। তাতে কমেন্টদাতা ভুল বোঝেন। মনে করেন আমি তাকে ওভারলুক করছি। প্লিজ! আরেকবার কমেন্ট করুন। :|

১১| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫২

রঙ পেন্সিল বলেছেন: আরে.......এতো ইন্দিরা গান্ধিকে লেখা নেহেরুর 'সুইট ডার্লিং' চিঠিগুলোর চাইতেও সমৃদ্ধ!

জটিল- আমি দুইবার পইরাও অনেক মিস করলাম। তার মানে হলো লেখাটা পুরোপুরি বুঝতে দোভাষী লাগবে। দোভাষী পাই কই!

তবে আপনার সৌভাগ্যে কিন্চিত 'জীলাচ'.........এমন বাবার মেয়ে হয়ে আপনি খানা পিনা নিয়া পোস্ট দেন আর আমরা খাইতে চাইলে ধমক লাগান! (নো ফেয়ার) এরপরে খানাপিনার পোস্ট দিলে সাথে ঠিকানা সমেত দাওয়াত পত্র চাই!!! নইলে....বাপকে বেটি হতে পেরেছেন এইট্টা স্বীকার করতামনা।

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ রঙ পেন্সিল। আমি সত্যি বাবার যোগ্য মেয়ে হতে পারিনি।
তবে চিঠির কোথায় বুঝতে আপনার অসুবিধা হয়েছে আমায় বলুন, আমি বুঝিয়ে দিবো।

১২| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০৫

শায়মা বলেছেন: মনে হয় বাবা যেন বলছে আমায়
আয় খুকু আয়!

আয় খুকু আয়!:(

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:২৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: :( :( :(

১৩| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১৩

ফেরিওলা বলেছেন: রঙ পেন্সিল তো ঠিকই বলেছে--------আমিও লেখা পড়ে কাহিনীটা দেখতে শুরু করেই আবার খেই হারাই। এর অর্থ হলো চিঠিটায় বাবা মেয়ের অন্তর্নিহিত একটা আন্ডারস্টান্ডিং আছে....যেটা আমার সাথে হচ্ছেনা। এইটা হলো গভীর আবহে আমি বাবা মেয়েকে যখন খুজছি..সমস্যাটা তখনই। এছাড়া তো লেখা বেশ পরিস্কার ই আছে।

আপনার বাবার জীবন যাপনে ধন্য আমার স্বদেশ সেইটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়!

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:২৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাস ফেরিওলা। আব্বা কখনো আমাদের বাবা, সোনা, লক্ষী এসব বলে ডাকেননি। বকাঝকাও করেননি। উনি বলতেন আমি তোমাদের কাছে একজন বিরক্তিকর পিতা হিসাবে পরিনত হতে চাইনা। এখানে আব্বা উনার জন্মের কথা, উনার নাম করনের কথা, উনার হারানো অতীতের কথা, শর্বপরি উনার বাস্তুহারা হওয়ার কথাই বলেছেন।

১৪| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:২৭

শাহ্‌রিয়ার খান বলেছেন: ছুঁয়ে গেল আপু

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩২

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ শাহরিয়ার। আজ অনেকদিন পর আমার চোখদুটো জলে ভিজলো। যখন আমি এ চিঠিটা টাইপ করছিলাম, অঝর ধারায় কেঁদেছি।

১৫| ১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৩৯

শাহ্‌রিয়ার খান বলেছেন: যখনি স্বজনদের নিয়ে লেখার চিন্তা করি তখনি আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই।পারিনা আপু ।

আমি কোন পোস্ট দেইনা, পোস্ট দিতে আসিনি এখানে,শুধু একটা ব্যক্তি বিশেষকে মন্তব্য করতে রেজিঃ করেছি, এরি ফাঁকে তোমার লেখা গুলি পড়ি,আমার খুব ভালো লাগে তোমার চিন্তা চেতনার এমন উৎকর্ষতা দেখে।

তুমি স্বয়ংসম্পুর্ন একটা মানুষ।

১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০১

সুরঞ্জনা বলেছেন: আমি অনেক আগেই তা বুঝেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া। তবে স্বয়ংসম্পুর্ন হতে পারিনি। ভালো থেকো। শুভকামনা।

১৬| ১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০০

নীল কষ্ট বলেছেন: চিঠিটা সেই সময়ের আপনার বাবার আবেগ চিন্তা ধার , এত সুন্দর আর ভালো লাগল পড়তে।
আপনি চিঠি বাকীগুলো হারালেন কেন?
এমন চিঠি সযত্নে রেখে দিতে হয় ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য।

১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। যত্নেই রেখেছিলাম। এখন পাচ্ছিনা। নিজের উপর প্রচন্ড রাগ হচ্ছে। আমি খুব ভুলোমন হয়েছি।

১৭| ১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫১

জুন বলেছেন: সুরন্জনা অনেক ভালোলাগলো ।বছর খানেক হলো আমার আব্বা মারা গেছেন যখনই মনে হয় চোখে পানি আসে।কত যে শিক্ষিত আর স্মরন শক্তি ছিল যার ছিটেফোটাও পাইনি।তোমার বাবার চিঠি পড়ে আমার বাবার কথা মনে পড়লো নতুন করে।
একটা কথা বলি, মা কে বলি নাই ছোটো ছিলাম, বাবা কে বলেছি ভালোবাসি।
তুমিও বোলো ভালোবাসি সবসময়।
কারন তাদের এখন ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই চাওয়ার নেইআমাদের কাছে।

১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ জুন। ঠিক বলেছো। মাকে আমারও বলা হয়নি। আব্বাকে বলবো।
ভালো থেকো।

১৮| ১৭ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৫

সান্তনু অাহেমদ বলেছেন: চমৎকার। খুব ভালো লাগলো।+++++

১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:০১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ সান্তনু।

১৯| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:০৭

সোমহেপি বলেছেন: তোমার লেখা পড়ে পড়ুম।সরি তোমার আব্বার চিঠি।

একটা কথা আছে তোমারে আমি দেখছি!!!!!

১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:০২

সুরঞ্জনা বলেছেন: কোথায় দেখেছো? টিভিতে? ;)

২০| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:১০

রাজসোহান বলেছেন: আমিও আমার আব্বাকে অনেক ভালবাসি B-)

১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:০৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: বাবার জন্য ভালোবাসা।

২১| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:২২

রাত্রি২০১০ বলেছেন: আজি শুভদিনে পিতার ভবনে অমৃত সদনে চল যাই---

আমি বাবার মত দেখতে, চালচলন সব তার মত--কিন্তু তার গুনগুলোর কিছুই পাইনি। যার কাছে আমার সব ভুল সঠিক, সব দোষ মাফ--বাবাকে ভীষন ভালবাসি। কোনদিন বলা হয়নি। বলতে কেমন যেন লাগে--কি অদ্ভুত! অথচ বাবা আমার খুব বন্ধু!

তোমার বাবাকে সালাম বলো। অনেক অভিনন্দন এমন করে তার আদর্শ তোমার মধ্যে বপন করেছেন বলে।

১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:০৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: সবাই বলে আমার চেহারা নাকি আব্বার মত। শুনে খুব ভালো লাগে। কিন্তু আব্বার গুন কিছুই পাইনি। যেটুকু আদর্শ আছে তা আমার আব্বার দান।
তোমরা এযুগের সন্তান হয়ে ভালবাসার কথা বলনি? চিঠি লিখে বা এসএমএস করে জানিয়ে দাও।
আব্বার জন্য দোয়া করো রাত্রিসোনা।

২২| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৩১

মুকুট বিহীন সম্রাট বলেছেন: সুরঞ্জনা আপু

১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:০৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: এতো ব্যস্ততা সম্রাট? একটু উপস্থিতিতে তো জানাতে পারো ভালো আছো। ভেবে মরি।
ভালো থেকো ভাইয়া।

২৩| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৪

মোঃ আমিন বলেছেন: বাবার জন্য ভালোবাসা............

১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:০৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ আমিন।

২৪| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:৩৪

সায়েম মুন বলেছেন: শায়মা আপুর গানটাই মনে পড়ে গেল!

খুব সুন্দর একটা চিঠি পাঠ করলাম। অনেক বাস্তব সম্মত লিখেছেন!

শুভকামনা ফর আব্বা এন্ড সুরঞ্জনা আপু!!

১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:২৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সায়েম। আমার আব্বার জন্য দোয়া কোর ভাই।

২৫| ১৭ ই জুন, ২০১০ রাত ১০:৪৮

কথক পলাশ বলেছেন: বুকে কতটা যন্ত্রণা নিয়ে এমন চিঠি লিখা যায়, তাই ভাবছি কেবল।

১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: তুমি ঠিক ধরেছো পলাশ। এ চিঠির ছত্রে ছত্রে আব্বার অব্যক্ত বেদনা ছড়িয়ে আছে। যা অনুভব করে নিজেকে সামাল দিতে পারিনা। ধন্যবাদ পলাশ।

২৬| ১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:২৯

বাহলুল বলেছেন: একবার পইড়া সবকিছু বুঝি নাইক্কা। আবার পড়া লাগবো।

১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: কষ্ট করে এতো বড় পোস্টটা পড়েছেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৩৬

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: ১ নম্বর কমেন্ট আমি করছিলাম।
আমি করছিলাম বইলাই তো চৌক্ষে দ্যাখতাছেন্না। এরেই কয় একচোখা। আফসুস.......

১৮ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:২৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: না দুরন্ত, আগের পোস্টেও প্রথম কমেন্ট দেখতে পাইনি বলে মুকুট ভুল বুঝেছিলো। কেনো এমন হচ্ছে? তাও বেছে বেছে আমার সাথেই?

২৮| ১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লেগেছে আপু। ভালো থাকবেন।

১৮ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:২৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ রাশেদীন।

২৯| ১৮ ই জুন, ২০১০ সকাল ১০:০৯

নীলঞ্জন বলেছেন: দারুণ। অনেক কিছুই মনে পড়ে গেল।

১৮ ই জুন, ২০১০ সকাল ১১:২৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ নীলঞ্জন। কি মনে পড়ে গেলো জানতে ইচ্ছে করছে।

৩০| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:১৩

আর.এইচ.সুমন বলেছেন: আপু কি বলবো বুঝতে পারছি না..।

অনেক ভাল লাগলো......... আপনার বাবা কে ছালাম জানাবেন.।

আর বাবা মায়ের সাথে বন্ধুত্ব না করতে পারলে তো সবই মাটি..
আমার বাবা মা আমার খুব ভাল বন্ধু..

১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন। জেনে ভালো লাগলো যে বাবা মায়ের সাথে আপনার সুন্দর বন্ধুত্তপুর্ন সম্পর্ক।
ভালো থাকুন বাবা মাকে নিয়ে। শুভকামনা।

বাবা কে সালাম জানিয়ে দিবো।

৩১| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

মেহবুবা বলেছেন: একবার পড়েছি । আবার পড়লাম । ছবিটা দেখে মনে হল নিজেকে দেখতে পাচ্ছি , হাতটা ছুটে গেছে বড় অসময়ে যখন আরো শক্ত করে থাকবার কথা ।
এখন বুঝতে পারছি কেন তুমি এমন ।

জানো এসব লেখা সামহয়্যার ইনের এক একটি সম্পদ ।

১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: হাতটা ছুটে গেলেও অদৃশ্য বাধনটা রয়ে গেছে। তাইনা মেহবুবা?
অনেক ধন্যবাদ তোমায়। ভালো থেকো। আব্বার জন্য দোয়া কর।

৩২| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪৮

আকাশ মামুন বলেছেন: ভাল+

১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৪৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ আকাশ মামুন।

৩৩| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

ভোরের তারা বলেছেন: ভাল লাগল আপু। উনার লেখা কোন বড় সাহিত্যিকের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।

১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভোরের তারা। আব্বা অনেক বড় মাপের সাহিত্যিক। তার চেয়েও বড় কথা উনি অনেক বড় মনের মানুষ।

৩৪| ১৮ ই জুন, ২০১০ দুপুর ১:০৮

করবি বলেছেন: এযে তোমার অনেক বড় সম্পদ আপু। কি চমৎকার ভাবনা আর লেখা। অনেক ভালো লাগলো। সালাম বাবাকে।

১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছো করবি। এ আমার অমুল্য সম্পদ। অনেক ধন্যবাদ তোমায়।

৩৫| ১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৩:৫৩

রাজসোহান বলেছেন: ও বুড়ি খালা বাড়িত আচ নি ?

১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: আচি গো ভাগিনা। তুমি আচো কিমুন?

৩৬| ১৮ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৫:৪০

শাহ্‌রিয়ার খান বলেছেন: সারা পৃথিবী জুড়ে শুধু সুরঞ্জনাই হোক

১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: তাহলে শায়মা হবে কে? :P

৩৭| ১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৩৩

নীলঞ্জন বলেছেন: মনে পড়ে গেলো বাবার কথা। তাঁর আদরের কথা। রাতে যখন ঘুমিয়ে পড়তাম বাবার ফেরার কথা ভাবতে ভাবতে, ঘুমের এক পর্যায়ে বাবার ডাকের কথা। তাঁর হাতে থাকত সন্দেশ বা রসগোল্লা। সেই সন্দেশ/রসগোল্লা খাবার কথা। বাবার মুখে দুশ্চিন্তার ভাঁজের কথা। কষ্ট পেলে বন্ধুর মতো তাঁর দেয়া উপদেশের কথা। আরো আরো অনেক কথা।

১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৪০

সুরঞ্জনা বলেছেন: :( :( :(

৩৮| ১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৮:৫১

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
আমার আব্বাও অনেক চিঠি লিখতেন........
দেশ ছাড়লে মানুষের অনেক কিছু হারাতে হয় আপু.........অনেক।

ভালো থেকো।
অনেক ভালো লাগলো চিঠি।
শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ।
ভালোবাসা নিও

১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১:১৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: শেকড় হারানোর ব্যাথা মানুষ আজীবন বয়ে বেড়ায় তাই না সাজিমনি? অনেক ভালোবাসা তোমার জন্য।

৩৯| ১৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:২১

নীলঞ্জন বলেছেন: শায়মাটা আবার কে? শায়মা সুলতানা না'কি? কারো নানী হবে হয়ত।

১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১:১৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: শায়মা হলো শামা বুলবুল ময়না টিয়ে আয়না যা না গান শুনিয়ে . . . . একটা পাখী। :-P

৪০| ১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১:৩০

পাহাড়ের কান্না বলেছেন: বুকমার্কড।
পরে আইসা পড়তেছি।

১৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:১৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ পাহাড়ের কান্না।

৪১| ১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১:৩৬

একলা পাখি বলেছেন: আপনি আপনার বাবা কে খুব ভালবাসেন তাই না...???
আমিও......

১৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:২১

সুরঞ্জনা বলেছেন: সন্তান মাত্রই বাবাকে ভালবাসে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪২| ১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ১:৪৭

মানবী বলেছেন: ভীষণ মন ছুঁয়ে গেছে চিঠিটা...

কন্যাকে এমন সুন্দর চিঠি ক'জন বাবা লিখতে পারেন বা লিখে থাকেনা জানা নেই.. পত্র লেখার ছলে নিজের অতীত, জীবন সংগ্রাম আর পিঠ সোজা করে উঠে দাঁড়াবার যুদ্ধ আর এক মুঠো হতাশা.. অসাধারণ!!!

খুব ভালো লেগেছে পড়ে, ধন্যবাদ আপু।

আপনার বাবাকে সালাম।

১৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: জানো মানবী, ছোটবোন আব্বাকে এই পোস্টটি পড়িয়েছে তারপর দুজনে একসাথে এই প্রথম কেঁদেছে। এই প্রথম আব্বা আমার লেখা পড়লেন। আহারে! আমার বাবাটা! এতো বড় পৃথিবীতে আমরা ছাড়া উনার আর কেও নেই। দোয়া কোর আব্বার জন্য।

৪৩| ১৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০১

নস্টালজিক বলেছেন: গট টাচড।



আপনার আব্বা-র জন্য শুভকামনা।।

১৯ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:০৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ নস্টালজিক। দোয়া করবেন।

৪৪| ১৯ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

নৈশচারী বলেছেন: অসাধারণ একটা চিঠি! আপনি সৌভাগ্যবান কন্যা আপু!

১৯ শে জুন, ২০১০ রাত ৮:১৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছেন নৈশচারী। এমন বাবার কন্যা হতে পেরে আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবতী মনে করি। অনেক ধন্যবাদ ভাই, সময় করে পড়ার জন্য। ভালো থাকুন।

৪৫| ২০ শে জুন, ২০১০ ভোর ৪:৫৬

মানবী বলেছেন: মন্তব্যের জবাব পড়ে গলার কাছে কি যেন দল পাকিয়ে আছে..

আমার লেখা, তাঁকে নিয়ে লেখা কোনদিন পড়াতে পারবোনা!
আপনি ভাগ্যবতী আপু।



আর আপনার বাবারমতো এমন দুজন মেয়ে পেলে এ জীবনে আর কারো প্রয়োজন হয়না বোধহয় আপু।
অনেক অনেক ভালো থাকুন।

২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী। বাবা মুখে যা বলতেন কাজেও সেটা দেখাতেন। যেমন উনি ছেলে-মেয়ের মাঝে কোন তারতম্য করতেন না। এ পরিচয় তিনি দিয়েছেন সন্তানদের বিয়ের আমন্ত্রন লিপিতে। সেখানে উনি এভাবেই লিখেছেন, "আমার প্রথম সন্তান বা আমার কনিষ্ঠ সন্তানের বিয়ে।
বাবার মত হতে পারলাম কই? হলে কি উনাকে ছেড়ে থাকতাম?

অনেক অনেক ভাল থেকো আপুটা।

৪৬| ২০ শে জুন, ২০১০ সকাল ৭:১৮

এম এস সোহেল বলেছেন: :)

২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ সোহেল।

৪৭| ২০ শে জুন, ২০১০ সকাল ৭:২১

স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: বাবার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক যেন একটু অন্যরকম বেশি যেমনটা ছেলের সঙ্গে থাকে মায়ের । চিঠিটা অমূল্য । শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১১

সুরঞ্জনা বলেছেন: পড়ার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ হাসনাইন।

৪৮| ২০ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

রোদেলা বলেছেন: এবার আমি আপনাকে চিনলাম ।

২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১২

সুরঞ্জনা বলেছেন: :)

৪৯| ২০ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪৩

শাহ্‌রিয়ার খান বলেছেন: শায়মা আবার কে আপু?
ইহা কোথায় পাওয়া যায়?

২০ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:১৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: বুকের গহীন গাং এ। :)

৫০| ২০ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯

দীপান্বিতা বলেছেন: কি অপূর্ব চিঠি! আমার বাবাও আমায় চিঠি দিতেন , যখন হোস্টেলে থাকতাম... তবে ছোট ছিলাম বলে যত্ন করে রাখতে পারি নি!...

২০ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক সুন্দর ছবিটা। বাবার অনেক চিঠি আমিও ধরে রাখতে পারিনি। মনে হলে খুব খারাপ লাগে। ভাবছি এবার বাবার কাছে গেলে উনার লেখার খাতাটা খুঁজে দেখবো। ভালো থেক দীপা।

৫১| ২০ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৬

শেখ আমিনুল ইসলাম বলেছেন: কী অসাধারণ চিঠি! আপনি অনেক ভাগ্যবতী। মুগ্ধতা প্রকাশের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি আপা।
আপনি তাঁর সবটুকু গুন ও লেখনী ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছেন।
আজকের এই বাবা দিবসে পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও অসীম ভালোবাসা।
শুভেচ্ছা আপা।

২০ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: না ভাই আমি বাবার গুনের কানাকড়িও পাইনি। লেখাটি পড়েছেন আমি খুব খুশী হয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

৫২| ২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:১৭

রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: অসাধারণ একটা চিঠি ।
পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা ।

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ রক্তিম কৃষ্ণচূড়া।

৫৩| ২০ শে জুন, ২০১০ রাত ১০:৩৮

শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: দারুন সুন্দর চিটি++++++++

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ শূণ্য উপত্যকা।

৫৪| ২১ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১:১৬

জুল ভার্ন বলেছেন: বাবার চিঠিটা সত্যি আপনার অমুল্য সম্পদ!
কী যে ভাল লাগছে-বোঝাতে পারবোনা। আসলে কিছু কিছু ভালো লাগা প্রকাশের নয়-শুধু অন্তর দিয়ে অনুভবের-সেরকম একটি অনুভুতি আমি অনুভব করছি-আপনার এই পোস্ট পড়ে।

+

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া। অনেক সময় অনুভুতি প্রকাশের কোন ভাষা থাকেনা।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫৫| ২১ শে জুন, ২০১০ দুপুর ২:৫৬

রিমঝিম বর্ষা বলেছেন: বাবার ভালোবাসা-টা কেমন হয় জানাই হয়নি জীবনে। ছোটবেলায় আমার বন্ধুরা যখন তাদের বাবা-কে 'বাবা' বলে ডাকতো আমার যেন কেমন অন্য রকম লাগতো। আমার বাবা-র কোন স্নৃতি নেই আমার কাছে।

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০০

সুরঞ্জনা বলেছেন: জেনে খুব কষ্ট লাগলো রিমঝিম। এই যে বাবার কোন স্মৃতি না থাকার এক অনুভুতি সেটাই শেয়ার করনা আমাদের সাথে.........

৫৬| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৪১

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:

বাবা নেই তবু তার স্মৃতিটা আছে সমস্ত আকশ জুড়ে
খুব ভালো লাগলো কবি

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০২

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ সকাল। কেমন আছো তুমি?

৫৭| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০২

নিমা বলেছেন: পড়িনি আপু তবু বুঝতে পারছি আপনার সব লেখার মতো এটা ও ভালো হবে

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: পড়ে দেখ নিমা, এটা আমার লেখা নয়। আমার আব্বার লেখা।

৫৮| ২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:০৮

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: অনেক শুভকামনা বাবার জন্য।

২১ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৫:১০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ মেঘ। কেমন আছো তুমি?

৫৯| ২১ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ইসরা০০৭ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো চিঠিটা। আপনার আব্বার জন্যে শুভকামনা।
ভালো থাকুন কবি।

২১ শে জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৫০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসরা।

৬০| ২২ শে জুন, ২০১০ ভোর ৪:৪৪

নিমা বলেছেন: পড়লাম আপু অনেক ভালোলাগলো
ভেবে ছিলাম বাবা কে নিয়ে কোনো লেখা যা পড়লে আমার মনটা খারাপ হয়ে যাবে
কিন্ত এই লেখাটা অন্যরকম ভালোলাগায় ভরে আছে..

অসাধারন চমৎকার
আর কি কিছু বলার আছে
থাকলে ও খুজে পাচ্ছিনা

আপনার বাবাকে সালাম জানাবেন

২২ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:৫৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: বাবাকে সালাম পৌছে দিবো নিমা। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

৬১| ২২ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১২:২২

মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: আছি আল্লাহর রহমতে। দোয়া করবেন আমার জন্য। আর আপনিও ভালো থাকবেন। :)

২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: ইনশাল্লাহ!!

৬২| ২২ শে জুন, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

আরিয়ানা বলেছেন: অনেক ভাল লাগলো। ভাল থাকবেন।

২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:৩৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: তুমিও ভালো থেকো আরিয়ানা।

৬৩| ২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:৩৯

জেরী বলেছেন: সুন্দর

২৪ শে জুন, ২০১০ রাত ১১:২৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ জেরী। অনেকদিন পর দেখলাম। কেমন আছো তুমি?

৬৪| ২৮ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:৪৯

সত্যবাদী মনোবট বলেছেন: আপ্পি

প্রথমে পড়লাম,তারপর শোকেসে রাখলাম এরপর + টা একটা টিপা দিলাম।

আপনার বাবার জন্য রইলো সালাম,দোয়া,শুভকামনা। ভালো থাকবেন, দোয়া করবেন।

Click Here
Click Here

২৮ শে জুন, ২০১০ বিকাল ৩:১৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।

৬৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১০ সকাল ৮:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: সময় পাচ্ছিলাম না সুরঞ্জনা...তবে মনে ছিল ঠিকই
পড়লাম ইুতহাস হেঁটে গেলো চোখের সামনে খুব সুন্দর। আমারও অনেক কথা মনে পড়ছে আবার নতুন করে। তেভাগা আন্দোলন থেকে ভাষা আন্দোলনের স্বশরীরে উপস্থিত থাকার সে গল্পগুলো ..সত্যি
তার ভাগ্যে জোটে বঞ্চনা আর অবহেলা। তাদের প্রতিযোগিতেয় না পেরে বাধ্য হয়ে গ্রহন করে বটে, কিন্তু আপন করে কেউ নেয়না। অথচ একটা দেশকে গড়তে তাদের অবদানই থাকে উল্লেখযোগ্য।
নিজের জীবন বঞ্চিত করে যারা ঝাপিয়ে পড়েছে তারা কী পেয়েছে শেষ পর্যন্ত!!!!!!!! না কেউ তাদের কথা ভেবেছে কখনো!!!!!!!!!!!
ভালো থেকো

০৭ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: সময় করে লেখাটি পড়েছো, অনেক খুশী হলাম রোকসানা। অনেক ভালো থেকো।

৬৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:১৪

রাশমী বলেছেন: আমার আব্বুর ও কয়েকটা চিঠি আছে !! যা দেখলে আমার মনে হয় আব্বু আমার কাছেই আছে!! আপনার বাবার সুন্দর চিঠি দেখে আমি ও আব্বুর চিঠি গুলো আবার দেখলাম!!

আমি ও আমার আব্বু কে বলিনি যে তাঁকে কত ভালবাসি আমি!! আমার অনেক মন খারাপ হলে আমি এখন ও আব্বুর কাছে চিঠি লিখি!! তাতে অনেক ভাল লাগে!!

সুন্দর পোস্ট!!

৬৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: খুঁজে-পেতে পুরনো কিন্তু আমার প্রিয় পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রাশমী।
এই লেখাটি এবার বইমেলায় প্রকাশিত চতুরমাত্রিক সংকলনে প্রকাশিত করা হয়েছে। এজন্য চতুরমাত্রিক ব্লগের কাছে আমি কৃতজ্ঞ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.