নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ মানুষের জন্য...

. আমার নাইবা হলো পারে যাওয়া...

সুরঞ্জনা

আমি কেবলই স্বপন করেছি বপন বাতাসে--- তাই আকাশকুসুম করিনু চয়ন হতাশে। ছায়ার মতন মিলায় ধরণী, কূল নাহি পায় আশার তরণী, মানস প্রতিমা ভাসিয়া বেরায় আকাশে। কিছু বাঁধা পড়িল না কেবলই বাসনা-বাঁধনে। কেহ নাহি দিল ধরা শুধু এ সুদূর-সাধনে। আপনার মনে বসিয়া একেলা অনলশিখায় কী করিনু খেলা, দিনশেষে দেখি ছাই হল সব হুতাশে।।

সুরঞ্জনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ ঝড়ের মুখোমুখি ( যাপিত জীবন)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

২২ দিন ইন্ডিয়া ঘুরে বেশ অসুস্থ শরীরেই দেশে ফিরেছিলাম নভেম্বরের ৪ তারিখে। কোমর আর হাটুর ব্যাথায় কাতর আমি বিছানায় শুতেও পারিনা, হাটতেও পারিনা। ইন্ডিয়াতে কুম্ভকর্ণ আমাকে টেনে বেরিয়েছে। দেশে ফিরে শুরু হলো ডাক্তার আর প্যাথলজিতে ছুটাছুটি। তেমনি এক মুহুর্তে কুম্ভকর্ণ ফোন দিয়ে বল্লো, ” আসার সময় কাশির ওষূধ নিয়ে এসো”।



ওষূধ নিয়ে এলে শুনলাম, বুকে জ্বালা হওয়াতে ২টা এন্টাসিড ম্যাক্স খেয়েছেন। বিকেলে চায়ের সাথে মুড়ি খাওয়ার পরও বুকে জ্বালা হলো কেনো ভেবে পেলাম না। রাতে জ্বর এলো। পরদিন জ্বরের ওষুধ দিলাম। ১৫ তারিখ রাতে কাশির জন্য ঘুমোতে পারছিলেন না। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমি ২টা বালিশে শুতে বললাম। শ্বাষ কষ্ট হচ্ছিলো। মনে অন্য কোনো কিছু মনে হলোনা। ভাবলাম ক্লিনিকে নিয়ে গিয়ে অক্সিজেন, নেবুলাইজার দিলেই আরাম পাবে। এম্বুলেন্স ডেকে ক্লিনিকে নিয়ে অক্সিজেন, নেবুলাইজার দেয়া হলো। ৩বার নেবুলাইজার দেবার পরেও যখন আরাম হলোনা তখন ইসিজি করা হলো। ইসিজি রিপোর্টে কিছু গড়বড় দেখে ডিউটি ডাক্তার তাড়াতাড়ি ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে পাঠিয়ে দিলো। তখন ঘড়িতে প্রায় সকাল সাড়ে ৬টা। ওখানে যাবার পর শ্বাষ কষ্ট আরো বেড়ে গেলো। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেবার পর ডাক্তার বেরিয়ে এসে যে বক্তব্য দিলেন তাতে নিজেকে মনে হলো বাজ পড়া তালগাছের মত। ততক্ষনে আমার দুই পুত্রসম দেবর, মেয়ের জামাইও এসে গিয়েছিলো। ডাক্তার বল্লো, ” আপনারা রুগীকে এখান পর্যন্ত জীবিত আনতে পেরেছেন সেটাই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। বেশীরভাগ রুগী রাস্তাতেই শেষ হয়ে যায়, উনাদের করার কিছুই নেই। আল্লাহ যদি সহায় হন তবে হয়তো রুগী বেঁচে যেতে পারে। তবে রুগীকে এখুনি লাইফ সাপোর্টে নিতে হবে। যা ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে নেই। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে লাইফ সাপোর্ট নেই ব্যাপারটা বেশ আশ্চর্য মনে হলো।

এখন আলোচনা চলতে লাগলো, কোথায় নিয়ে যাওয়া যায়। ওসমানী হাসপাতাল ( সরকারী) এ চিকিৎসা ভালো হলেও প্রসেসিং এ অনেক দেরী হবে। তাই প্রাইভেট হাসপাতাল যেখানে লাইফ সাপোর্ট আছে সেখানে নেয়াই স্থির হলো। নেয়া হলো ” এলাইড ক্রিটিকাল হাসপাতালে। চিকিৎসা শুরু করার পর ওখানকার ডাক্তাররাও হতাশাই ব্যাক্ত করলেন। আমি অবশ্য তখনও এতো কথা জানিনা। সবার অন্ধকার মুখ, আর মেয়ের অঝোর কান্না দেখে নিজেকে সামলানোর চেষ্টা করছিলাম মাত্র।



লাইফ সাপোর্টে দেবার কথাও আমি পরে শুনেছি। যাই হোক! ৭২ ঘন্টা না গেলে কিছুই বলা যাবেনা। শুরু হলো আমাদের অপেক্ষা, উৎকন্ঠার পালা। সেই সঙ্গে আল্লাকে ডাকার পালা। একমাত্র আল্লাহ-পাকই এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন। প্রথম ২ রাত সিসিইউ এর বাইরে আমার ছোট দেবর রাত কাটালো এবং ২ রাতই ডাক্তার নার্সদের সঙ্গে তার বচসা হলো। প্রথম রাতে সে যতবার সে সিসিইউতে উঁকি দিয়ে তার ভাইকে দেখতে গেলো ততবারই সব নার্সদের গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দেখলো। লাইফ সাপোর্টের রুগীর সামনে সব সময় একজন মনিটরিং করার জন্য থাকার কথা। সেখানে একজনও না জেগে ৪ জন নার্স ৩ জন আয়া, ২জন বয় সবাই এক যোগে ঘুমুচ্ছে দেখে তার মাথায় রক্ত উঠে যায়। ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট দিয়ে, প্রচুর চিৎকার চেঁচামেচি করে সে বিদায় নেয়। বড় দেবর, মেয়ে, মেয়ের জামাই ডাক্তারের সঙ্গে আলাপ করলে ডাক্তার জানালেন উনার নার্সরা এমন কাজ করতেই পারেনা। সিরিয়াস রুগী ফেলে তারা ঘুমানোর কথা ভাবতেই পারেনা। পরদিন রাতে তারা সিসিইউ’র দরজা রাত ১২টার পর বন্ধ করে রাখে। আমার দেবর যখন দরজা ধাক্কা দেয় তখন তারা খুবই খারাপ ব্যাবহার করে। এমন কি ডিউটি ডাক্তার মান্না অশ্লিল ভাষাও প্রয়োগ করে। ” বলে একজন বেশ্যার ঘরে ঢুকতে হলেও তার পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হয়, আর আপনি সিসিইউ’তে এভাবে ঢুকে যাবেন কি করে”।

ব্যাপারটা অনেক দূর গড়ায়। আমার দেবর রগচটা। সে তার ভাইকে এখান থেকে নিয়ে ঢাকায় চলে যেতে চায়। কিন্তু তখন তাকে মুভ করা সম্ভব নয়। ঐ ডিউটি ডাক্তার ঘোষনা দেন উনি এই রুগীর ট্রিটমেন্ট করবেন না। রুগীর এটেডেন্সের মর্জিমাফিক চলতে উনি নারাজ। সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে সঠিক। কিন্তু আমরা পড়লাম সংকটে। অবশেষে আমার কন্যা জামাতা যিনি নিজেও ২টি ক্লিনিকের এমডি, আর মাথা ঠান্ডা বড় দেবর ব্যাপারটাকে সামাল দেয়। এবং ছোট দেবরকে ক্লিনিকে আসা থেকে বিরত রাখে। ৭২ ঘন্টা পরে ১৮ তারিখ দুপুর ১২টায় আমার স্বামীর লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়। রাইস টিউব রাখা হয়। উনি আমার সাথে দেখা করে উত্তেজিত হয়ে ইশারায় জিজ্ঞাসা করেন উনাকে কোথায় আনা হয়েছে? হাত বাধা কেনো? উনার পার্লস রেট বেড়ে যাওয়ায় ডাক্তার আমাকে সরিয়ে দেয়। আর আমাদের উপর নিষেধ জারী হয় আমরা কেউ উনার সামনে যেতে পারবোনা। দূর থেকে শুধু দেখতে পারবো। ১৮ তারিখ রাতে উনাকে রাইস টিউব দিয়ে ২বার দুধ দেয়া হয়। ১৯ তারিখে উনি রাইস টিউব খুলে ফেলেন। তখন উনাকে স্যালাইন দেয়া ছাড়া উপায় থাকেনা। ২০ তারিখে উনি আমাকে ডেকে পাঠান। আমি যেয়ে উনাকে প্রথমেই বলি, ” আগে চুপ করে আমার কথা শোনো। তুমি উত্তেজিত হলে আমাদের তোমার কাছে আসতে দিবেনা। জীবনে তো অনেক রুগী নিয়ে দেশে বিদেশে সেবা করে বেড়িয়েছো। লাইফ সাপোর্ট কখন দেয় তা নিশ্চয় জানো? মাথা কাত করে সুবোধ বালকের মত সায় দিলেন, যে জানেন। আমি বললাম, তোমাকে ঐ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো। এখন তুমি বুঝো তোমার অবস্থা কতটা খারাপ হয়েছিলো। আর কোনো কিছু খুলবেনা। যদি খুলো তবে আমরা কেউ সামনে আসবোনা।

২১ নভেম্বর সকালে উনাকে আইসিইউ কেবিনে দেয়া হলো। মুখে নরম খাবারও দেয়া হলো। প্রথমে পানি, পরে স্যুপ, পরে জাউ। গলা ব্যাথার কারনে কিছুই তেমন খেতে পারছিলেন না। প্রতিদিন উনার রক্তে ক্রিয়েটিনাইন ও সুগার পরীক্ষা করা হতো। প্রথম দিকে দুটোই মারাত্ত্বক রকম বাড়ানো ছিলো। আস্তে আস্তে কমতে থাকে। ২২ তারিখেই উনি সেভ করে গোসল করে ফ্রেস হয়ে নিলেন। ২৩ তারিখে উনাকে রিলিজ করে দেয়া হলো। ৩ সপ্তাহ বেড রেষ্ট এবং ৬ সপ্তাহ পরে ঢাকায় যেয়ে এনজিওগ্রাম করাতে হবে। ফেরার পথে ইকোকাডিওগ্রাফি করানো হলো। রিপোর্ট তেমন ভালো নয়। উনার হার্ট ৪০ ভাগ কাজ করছে। বিশ্রাম, ও ওষুধে বাকি ৬০ ভাগের কতটুকু উন্নতি হবে তা আল্লাহ-তায়ালাই ভালো জানেন। তবে আমরা আশাবাদী। আল্লাহ এতো বড় ঝড়ের মোকাবিলা করার শক্তি যখন দিয়েছেন তখন ইন শা আল্লাহ আরো বড় ঝড় মোকাবিলা করার শক্তি ও সাহসও নিশ্চয় তিনি যোগাবেন। বিপদে মাথা ঠান্ডা রেখে বিপদকে মোকাবিলা করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

বিপদে বন্ধুর পরিচয়। কথাটির প্রমান পেলাম এই বিপদের সময়। প্রথম রাতে একলা ঘরে ফিরে নিজেকে যখন অসহায় মনে হচ্ছিলো তখন ব্লগ বন্ধু জুনের কাছে ফোন করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। কান্নার তোড়ে যেটুকু কথা জুন বুঝতে পেরেছে তা নিয়েই সেই মাঝ রাতে সামুতে পোস্ট দিয়েছে। জানা রাতেই ফোন করেছে। পরদিন শ্রাবন সন্ধ্যা সহ আস্তে আস্তে সিলেটের প্রায় সকল ব্লগার ভাই বোনেরা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে আমায় সাহস যুগিয়েছে, স্বান্তনা দিয়েছে। জানা, জুন সহ আরো ব্লগাররা নিয়মিত ফোনে, এফবিতে খোঁজ খবর নিয়েছে। সুদুর অষ্ট্রেলিয়া থেকে নাআমি, আমেরিকা থেকে আলিয়া, আরো অনেকেই খোঁজ নিয়েছেন। এদের ঋণ আমি কোনো ভাবেই শোধ করতে পারবোনা। আর কৃতজ্ঞতা জানাবার ভাষাও আমার জানা নেই। আবার প্রমান হলো- " মানুষ মানুষের জন্য"!

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

অ্যানোনিমাস বলেছেন: মহান আল্লাহ'র অশেষ রহমতে এ যাত্রায় বেচে গেছেন। শুনে ভালো লাগল। আশা করি ভাইয়া দ্রুতই পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে যাবেন। শুভকামনা রইলো অনেক অনেক :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০

সুরঞ্জনা বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা অ্যানোনিমাস।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

মেঘের কথকতা বলেছেন: এফবিতে তোমার স্টেটাস থেকে আপটুডেটগুলো পড়েছি আর ভেবেছি কী কঠিন সময় পার করছো। ইনশাল্লাহ উনি পুরো সুস্থ হয়ে উঠবেন খুব শিগগিরইঅ

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

সুরঞ্জনা বলেছেন: এখনো প্রতিটি মুহুর্ত কাটছে ভয়ে ভয়ে।

দোয়া কোরো।

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

শাকিব পাগলা বলেছেন: আপা, শুভকামনা ও দো্য়া আছে, ছিল, থাকবে সবসময়।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাকিব পাগলা।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯

আরিয়ানা বলেছেন: দিদিমনি আর ভেবো না। এবার সব ঠিক হয়ে যাবে দেখো । দোয়া থাকলে দাদার জন্য। তুমি নিজের দিকে একটু খেয়াল রেখো।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: এনজিওগ্রাম না হওয়া পর্যন্ত শান্তি পাচ্ছিনা দিশামনি।

নিজের প্রতি খেয়াল তো রাখতেই হবে। মাঝি দিশা হারালে কি চলবে?

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শুভকামনা এবং আশির্বাদ রইল।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫

সুরঞ্জনা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
আশা করি ভাইয়া দ্রুতই পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে যাবেন। শুভ কামনা।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬

সুরঞ্জনা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই স্নিগ্ধ শোভন।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

কাশবনে একদিন বলেছেন: আলহামদু লিল্লাহ, আল্লাহ এ যাত্রা বিপদ কাটিয়ে দিয়েছেন।
কঠিন বিপদেও আপনি আল্লাহর উপর আস্থা রেখেছেন, দু'য়া করছি আল্লাহ যেন আপনার 'কুম্ভকর্ণ'কে পরিপূর্ণ সুস্থতা দেন। আমিন।
আপনার জন্য সান্তনা স্বরুপ একটি হাদিস-

"রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন, 'মুমিনের ব্যাপার আশ্চর্যজনক, নিশ্চয় তার সমস্ত ব্যাপারই তার জন্য কল্যাণকর। মুমিন ব্যতিত এমন আর অন্য কারো জন্য নয়। যদি তার নিকট কোন আনন্দদায়ক কিছু পৌছে, আর তাতে সে ধৈর্যধারণ করে, তবে তার জন্য কল্যাণ রয়েছে। পক্ষান্তরে যদি তার নিকট দুঃখ-কষ্ট পৌছে আর সে তাতে ধৈর্যধারণ করে তবুও তার জন্য কল্যাণ রয়েছে"। (সহীহ মুসলিমঃ ২৯৯৯)।

আল্লাহ আমাদেরকে সুখের সময় আল্লাহর শুকরিয়া করার তাওফিক দিন এবং দুঃখে পতিত হলে ধৈর্যের মাধ্যমে আল্লাহর স্বরণ করার তাওফিক দিন। আমিন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

সুরঞ্জনা বলেছেন: এমনিতেই মাথা গরম স্বভাবের মানুষ হলেও বিপদ এলে আল্লাহ-পাক আমার মাথা অনেক ঠান্ডা করে দেন। দোয়া করবেন যেন আল্লাহ আমায় এমন সহ্য ও ধর্য্য শক্তি বজায় রাখেন। আর আল্লাহের প্রতি অবিচল আস্থা যেন কোনো দিন না হারায়।

শুভ কামনা সতত!

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

মামুন রশিদ বলেছেন: কুম্ভকর্ণ ভাইয়ার জন্য দোয়া করছি, মহান আল্লাহতায়ালা তাকে দ্রুত সুস্থ করে দিন । আমিতো সময় মত যেতে পারলাম না । যাক তবু যখন গিয়েছি, উনাকে অনেকটাই সুস্থ মনে হয়েছে । খুব ভালো লেগেছে এই অবস্থায় দেখে । আমরা পরষ্পরের সাথে হাত মিলিয়েছি, হাসি বিনিময় করেছি ।

পরবর্তি আপডেটগুলো সময় সময় জানাবেন আপু ।

শুভকামনা ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২

সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার সঙ্গে দেখা হবার কথা তোমার ভাইয়া বলেছেন।
এখন সেই সুস্থ্য ভাবটি নেই। ভিষন দুর্বল হয়ে গিয়েছেন। কথা বলতেও যেন কষ্ট হয়।
দোয়াতে রেখো ভাই।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৪

মাহবু১৫৪ বলেছেন: ভাইয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাহবু ১৫৪।

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

সায়েম মুন বলেছেন: খবরটা এফবিতে শুনেছিলাম। ভাইয়ার জন্য অনেক দোয়া রইলো। আপনিও অনেক ভাল থাকুন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৩

সুরঞ্জনা বলেছেন: কাউকে আলাদা করে খবর জানাবার উপায় ছিলোনা তাই ফেবুতেই খবর দিয়েছিলাম।
নিজের যত্ন তো নিতেই হবে ভাই। দোয়াতে রেখো।

১১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২১

সুমন কর বলেছেন: ভাইয়ার জন্য আর্শীবাদ করি। আমার মারও হার্টে ক্রিটিকাল প্রবলেম ছিল। কিছুদিন আগেই, মা'কে হারিয়েছি। অনেক কষ্ট, আপা। তাই উনি সুস্থ হয়ে উঠুক এই কামনা করি। ভালো থাকবেন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০

সুরঞ্জনা বলেছেন: ডাক্তার যখন বলেছিলো উনাদের করার কিছুই নেই। তখন নিজেকে কতটা যে অসহায় মনে হয়েছিলো তা আল্লাহই জানেন।
তখন অদৃশ্য আল্লাহকেই আকড়ে ধরে মনে প্রানে তাঁর কাছেই ভিক্ষা চেয়েছি।

১২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৩১

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: দোয়া সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

সুরঞ্জনা বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ ভাই মাসুম আহমদ।

১৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৭

মামুন (১০৮) বলেছেন: শুকরিয়া সব ঠিক হয়ে গেছে। জুনাপুর পোষ্টের মাধ্যমে জেনেছিলাম। মানুষের সবচাইতে দুর্যোগপুর্ণ সময়ে আমাদের দেশের চিকিৎসায় অবহেলা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য সেবায় এমন ত্রুটিপুর্ণ আচরণকে কিভাবে সংশোন করা যায় সেটা নিয়ে খুবসম্ভব আমাদের ভাবার সময় হয়ে গেছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

সুরঞ্জনা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ মামুন (১০৮)
আমি যতবারই ক্লিনিকে গিয়েছি ততবারই তিক্ত বিষাক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরেছি। খুবই দুঃখজনক!

১৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


দোয়া করি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারি অথর্ব।

১৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

জুন বলেছেন: সুরঞ্জনা কৃতজ্ঞতা ঋনশোধ এসব কথা বোলনা । ভাইয়া যে সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে এসেছে তার জন্য আল্লাহ তা আলার অশেষ রহমত। তোমরা দুজন সুস্থ, সবল থাকো একই সাথে আরো দীর্ঘ পথ পাড়ি দাও সে দোয়া করি।
ভালো থেক অনেক অনেক।
আমাদের জন্যও দোয়া করো ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

সুরঞ্জনা বলেছেন: তোমার জন্যও অনেক অনেক ভালোবাসা বন্ধু!

১৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

শ।মসীর বলেছেন: আলহামদু লিল্লাহ

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

সুরঞ্জনা বলেছেন: ধন্যবাদ শ।মসীর।

১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

নীল মুদ্রা বলেছেন: ভালো থাকবেন

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২১

সুরঞ্জনা বলেছেন: বহুদিন পর তোমায় দেখে ভালো লাগলো নীল মুদ্রা।
তুমি ভালো আছো তো?

১৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৯

অদ্ভুত_আমি বলেছেন: ভাইয়ার জন্য দোয়া করছি, মহান আল্লাহতায়ালা তাকে দ্রুত সুস্থতা দান করুক । ভাইয়ার শরীর বর্তমানে কেমন ?

আর আপনিও অনেক ভালো থাকবেন এই কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.