![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক কেজি চালের দাম কত?
আর এক কেজি বারুদের দাম??
এরকম প্রশ্ন আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক করেছিলেন। তিনি বুঝাতে চেয়েছিলেন কী হচ্ছে আমদের সাথে, কারা আমাদের ধ্বংসের রসদ যোগাচ্ছে, কারা ধ্বংস করতে চাইছে। খাদ্যের ব্যবসার চেয়ে অস্ত্রের ব্যবসা কতই না লাভজনক। কে যাবে অস্ত্র ছেড়ে খাবার বেচতে...।
কারো হাতে যখন অস্ত্রের ক্ষমতা উঠে যায়, সে তো সহজে তা হাত ছাড়া করতে চাওয়ার কথা না। যেমন মানুষের রক্তের স্বাদ পেলে নাকি আর বাঘ সিংহের মুখে অন্য প্রাণী রোচে না। অস্ত্রের সাথে যদি মেশে ঘৃণা আর আক্রোশ, তবে তো হলোই! সে অস্ত্র না ভাঙা অবধি ভাংতে থাকবে সভ্যতা। মানবিকতা।
এতো যে অস্ত্র, গোলা বারুদের মেলা, কে বানায়, কারা যোগায়, কারা কেনে, কারা বেচে -এই সব কিছুই এখন ওপেন সিক্রেট। তার পরেও ভণিতার অন্ত নেই। এই বাণিজ্যের প্রসারে কাদের সুদিনের ঘটা - জানেনা দুনিয়া?? তার পরেও টনক নড়ে না। নড়ে কেবল জিহবা। আর সরবরাহ হতে থাকে অর্থহীন কলহময় বাক্যালাপ।
ছোটবেলায় একটা মজা দেখেছিলাম। দুইটা বেড়াল ঝগড়া করলে তাদের গায়ে যদি কোন তৃতীয় পক্ষ (অবশ্যই মানুষ পক্ষ) এসে পানি ছিটিয়ে দেয়, তারা দ্বিগুন বিক্রমে ঝগড়ায় উদ্যত হয়।
বড় বেলায়ও তেমন কিছু দেখছি। সেটা আরো বড় পরিসরে। নিজেদের ঝগড়ায় তৃতীয় পক্ষের উষ্কানি এখানে ঝগড়ারই রসদ বাড়ায়। কেউ বহির্জগতের অন্যায় আক্রমণকে দেখতে পর্যন্ত পাচ্ছে না। অতি বাধ্য পোষা বেড়ালের দল।
যেখানেই এমন বাধ্য বেড়াল তৈরি করা যায়, সেখানেই উপনিবেশ গড়তে সহজ হয়। কানার তো মনে মনে জানা, বেড়ালরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি কাটাকাটি করে ধ্বংস হতে উন্মুখ! বারুদের ব্যবসার এই তো বাজার!
আমার মাঝে মাঝে মনে হয়- এসব কিছুই জনসংখ্যা কমানোর ক্রুঢ় কৌশল।
কেউ একজন যদি সাথে পেতাম! যদি একটা শহরেও প্রচলন করতে পারতাম শিশুদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার! যদি অন্তত একটা কমিউনিটির মানুষও নিজেদের প্রয়োজনীয় সমস্ত পণ্যগুলো নিজেদের ঘরে তৈরি করতে পারতো...। আর হাত পাততে না হত ভিক্ষার জন্য কারো দ্বারে! আর কেউ সুযোগ নিতে পারতো না কোন অন্যায় করার! প্রতিটা শিশুকে জীবন ধারণে খোঁড়া বানিয়ে রাখার ভয়ংকর একটা ষড়যন্ত্র দেখি আমি খোলা চোখে। এই শিশুরা ঘাড় গুঁজে পড়তে শেখে। ব্যবহারিক জীবন ধারণ জানেনা। এরা কোন দিনই সৃষ্টিশীল হবার শিক্ষা পায় না। চিন্তা ভাবনা করার অবসর পায় না। যদিবা কেউ কেউ ব্যতিক্রম হয়, নানা কৌশলে তাকে অন্য রাস্তা ধরিয়ে দেওয়া হয়।
মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে ধ্বংসাত্মক গেমসগুলো তো আছেই! যে শিশু ভালো করে নিজের ঘরের প্রতিটা কোন দেখেনি এখনো, তারই জীবনের প্রথম পাঠ গোলা বারুদ পূর্ণ কম্পিউটার গেম। তাদেরকে যুদ্ধ বিগ্রহের ধারণায় এতোটাই অভ্যস্ত করা হচ্ছে, এদের মধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন চলমান যুদ্ধগুলোকে নিতান্তই জীবনের প্রাত্যহিক অংশ বলে মেনে নেবার মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। তারা কোন দিনই কোন যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলার মত আগ্রহ পাবে না। অর্থাৎ, ভবিষ্যত প্রজন্ম আসছে যুদ্ধপ্রিয় আর ভোঁতা বিবেকসম্পন্ন
অথচ পরিবারগুলো আরেকটু নজর দিতেই পারে বাচ্চাগুলোর দিকে। তারা গঠনমূলক জ্ঞান দিয়ে পালটে দিতে পারে পরিবেশ আর সমাজ। প্রত্যেক পরিবার, প্রতিটা মানুষ নিজের সবটুকু কর্মক্ষমতা দিয়ে নিজের দরকারি সকল পণ্য উৎপাদনের শিক্ষা আর কৌশল আয়ত্ত করা চেষ্টা করতেই পারে। অনেক দেশের আর সমাজের উদাহরণ রয়েছে নিকট ইতিহাসে। এতটাই নির্বোধ আমরা, নিজের ভালোটাও বুঝি নাহ!
খাদ্যের চেয়ে বারুদের মূল্য বেশিই থাকা উচিত। যেনো খাদ্যটাই মানুষ বেশি পায়।
শুধু শত্রুকে একটু চোখ খুলে চিনুক মানুষ। বেড়াল না হয়ে থাকুক আর।
অস্ত্রের ক্রেতা না পেলে আর বিক্রেতাও থাকবে না।
লোভের চেয়ে বুদ্ধি বেশি হোক।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন।
শুভ ভবনারাতো এখন নির্বাসনে। সবাই তোষামুদি আর দলান্ধতায় ব্যস্ত!
বিপন্ন স্ব-দেশ! বিপন্ন প্রজন্ম!!