নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নুর-এ-আলম

More a collection of impulsive thoughts than deliberate reflection.

নুর-এ-আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

President Trump said – India is a dead economy.

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ৩:৪০

“ভারত একটি মৃত অর্থনীতি” প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প explained his position. কথাটি আপাতদৃষ্টিতে অতিরঞ্জিত মনে হতে পারে ।

আগামী ১ আগস্ট ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন বাণিজ্য নীতির কার্যকরী for ভারতীয় পণ্যের উপর সরাসরি ২৫% শুল্ক। সাথে একটি নিশ্চিত শাস্তিমূলক শুল্ক কারণ ভারত রাশিয়ার সঙ্গে তাদের জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা চুক্তিতে জড়িয়ে আছে। এই ঘোষণার পর থেকেই ভারতীয় মিডিয়ার চলেছে বিলাপপর্ব, যার মধ্যে সবচেয়ে মজাদার চরিত্র হচ্ছেন নিঃসন্দেহে পালকি শর্মা। তার ইউটিউব ভিডিওগুলো এমন এক পর্যায়ের বিনোদনে পরিণত হয়েছে যে আমি এখন নিয়মিতভাবেই এগুলো দেখি, একরকম আমার “me time” বলা চলে। যখন কেউ একগাল গম্ভীর মুখে অর্ধসত্য বা একপেশে ব্যাখ্যা দিয়ে চেষ্টা করে বিশ্বকে বোঝাতে, আর সেটা প্রত্যাখ্যাত হয় বাস্তবতায় তখন সেটিই বিনোদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হয়ে ওঠে।

কিন্তু বিনোদনের বাইরেও বাস্তবতা হলো, এই শুল্ক ভারতের অর্থনীতিকে এক বিশাল ধাক্কার মুখে ফেলেছে। ২৫% শুল্কের কারণে ২০২৫–২৬ অর্থবছরে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০ থেকে ৪০ বেসিস পয়েন্ট কমে যাবে এবং ৬% এর নিচে নামবে । যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানির পরিমাণ বছরে প্রায় ১২৯ বিলিয়ন ডলার। এই রপ্তানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পোশাক, গাড়ির যন্ত্রাংশ, মেশিনারি, চামড়া, অলংকার ও রত্ন, কেমিক্যাল অর্থাৎ ভারতের ম্যানুফ্যাকচারিং শক্তির মূল স্তম্ভগুলো। বছরে প্রায় 20 বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি ক্ষতি হবে minimum এবং যুক্তরাষ্ট্রমুখী ভারতীয় রপ্তানির ৮৭% শুল্কের টোপে পড়বে।

ভারতের শশী থারুর আজ বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি ভারতের মোট জিডিপির মাত্র ২–৩ শতাংশ, তাই সামগ্রিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব নাকি “সীমিত”। আমি বলব, উনি বড় ভুল করছেন। কারণ এই ১২৯ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানিই তাদের প্রযুক্তি আমদানির মূল উৎস, এই ডলারের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার, যার অন্তত ২৫ শতাংশ এই মার্কেট থেকে আসে। যদি এই আয়ের ধারা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে শুধু প্রযুক্তি খাতে নয়, নিজেদের ভোক্তা বাজার রক্ষাও কঠিন হয়ে পড়বে। De-dollarization একটা পথ হতে পারে, কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছেন, একা ভারত চাইলে আমদানি-নির্ভর অর্থনীতিতে de-dollarization করা মানে হলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার। এবং এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ছয়টি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে এসেছে।

আমাদের সামনে সুযোগ স্পষ্ট। বাংলাদেশের পোশাক খাত এখন যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্য বিকল্প হিসেবে সামনে আসতে পারে। ভারতের গার্মেন্টস রপ্তানি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার 3০–4০% বাজার বাংলাদেশ তুলে নিতে পারে, যদি আমরা দ্রুত মুভ করি।

আমরা আশাবাদী কমপক্ষে ২০%, একটু ভালো হলে ১৫%, আর একেবারে চমৎকার হলে ১০% শুল্ক সুবিধা আমরা পাব।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

কামাল১৮ বলেছেন: ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়।

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬

নুর-এ-আলম বলেছেন: সত্যি কথা বলতে, কাগজে-কলমে ভারতের অর্থনীতির আকার অনেক বড় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম (nominal GDP অনুযায়ী) এবং PPP অনুযায়ী তৃতীয়। তবে বাস্তবতা ভিন্ন। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে ভারতের অবস্থান এখনও নিচের সারিতে nominal ভিত্তিতে ১৩৬তম এবং PPP ভিত্তিতে ১১৯তম। এর মানে হলো, জাতীয় অর্থনীতির আকার বড় হলেও, একজন সাধারণ ভারতীয়ের ক্রয়ক্ষমতা বা জীবনমান উন্নয়নের জায়গা এখনও অনেক অনেক পিছিয়ে।

ভারতের বৈদেশিক নীতি ও বাণিজ্য কৌশলকে এখন পুনঃবিবেচনা করা জরুরি। একদিকে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েন এই দ্বৈত অবস্থান দেশটিকে এখন কূটনৈতিক চাপের মুখে ফেলেছে। সময় এসেছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতিকে নতুনভাবে ক্যালিব্রেট করার, বাস্তবতাভিত্তিক ও ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে।

২| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ১০% শুল্ক সুবিধা ???

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৭

নুর-এ-আলম বলেছেন: সমস্যা হয়েছে সরকারের পর্যাপ্ত ও সময়মতো কূটনৈতিক এনগেজমেন্টের ঘাটতির কারণে। যদি তারা আগেই আলোচনায় বসত, তাহলে আজকে আমরা ২০% নয়, তার চেয়ে ভালো কিছু পেতাম। এই সময় নষ্ট করার দায় কিন্তু আমাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগকে দুর্বল করে দেয়

৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:০১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আমার কান জানি মনে হয় ইন্ডিয়াকে লীগপ্রীতির কুফল ভোগ করতে হচ্ছে। জাতিসংঘ ও বিবিসি আওয়ামিলীগ সম্পর্কে যে রিপোর্ট দিয়েছে , এরপরেও ভারত এই সন্ত্রাসীদের নিজ দেশে লালন পালন করে উল্টা এদের ভারত থেকে সন্ত্রাসী তৎপরতার সুযোগ করে দেয়াটা বহির্বিশ্ব ভালভাবে নেয়নি।

০১ লা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

নুর-এ-আলম বলেছেন: ভারতের মূল চাপ কিন্তু বাংলাদেশের কারণে নয়, বরং তাদের বৈশ্বিক কৌশলের ফলাফল।
বাস্তবতা হলো, বিশ্ব রাজনীতি চলে দেশের নিজস্ব স্বার্থের ভিত্তিতে। 
বর্তমানে ভারতের পররাষ্ট্রনীতির অনেক দিক বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা পশ্চিমা বিশ্বর স্বার্থের সাথে মেলেনি। 

৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৫:০৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: রাসিয়া ঘনিষ্টতাই একমাত্র কারন নয়। আমেরিকা পাকিস্তানকেও শুল্ক ছাড় দিয়েছে। সেই ঘোষণার সময় ভারতকে 'খোঁচা' দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম লিখেছেন, "পাকিস্তানের সঙ্গে আমরা নতুন চুক্তি করেছি। এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান যৌথভাবে বিশাল তেলের মজুদ গড়ে তুলবে। কোন তেল সংস্থা এই অংশীদারিত্বের নেতৃত্ব দেবে, সেটা আমরা ঠিক করব। কে জানে, হয়তো একদিন পাকিস্তান ভারতের কাছে তেল বিক্রি করবে।" Click This Link








০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:০১

নুর-এ-আলম বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ ঠিক। একাধিক বিষয় এই অবস্থার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
তবে ট্রাম্প নিজেই সরাসরি বলেছেন, এই শুল্ক আরোপের প্রাথমিক কারণ হচ্ছে ভারতের রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে চলমান ঘনিষ্ঠতা। এই অবস্থান বর্তমান বৈশ্বিক নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন চুক্তির পেছনেও কৌশল আছে, চীনের ইনফ্লুয়েন্স থেকে কিছুটা সরিয়ে এনে যুক্তরাষ্ট্রের বলয়ে আনার চেষ্টা। তাই একে শুধু ভারতবিরোধিতা বলা যাবে না।

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১:১০

শ্রাবণধারা বলেছেন: ট্রাম্প স্যার যেহেতু বলেছেন, তাহলে ঘটনা সত্যি! স্যারের মত এতবড় অর্থনীতিবিদ পৃথিবীতে একটাও নাই। আবার তিনি বিরাট বড় পীর-ফকিরও বটে, একেবারে নিখুত ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারেন।

ভারতের অর্থনীতি একেবারে শেষ! এখন এদের জায়গাটা আমদের দখল করে ফেলতে হবে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.