নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
দেশের “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংরক্ষণে”র জন্য সাংবিধানিক আইন চাই।
***সাইয়িদ রফিকুল হক***
জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যে-ই আঘাত করবে, সে-ই নিশ্চিতভাবে “রাজাকার” ও “পাকিস্তানপন্থী” হিসাবে চিহ্নিত ও বিবেচিত হবে।আর এদের কোনো ক্ষমা নাই। আর এক্ষেত্রে কে কথিত-রাজনীতিবিদ, আর কে কথিত-লেখক তার কোনো বাছবিচার করা যাবে না।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে কারও বাক-বিতণ্ডা আর সহ্য করা ঠিক হবে না।এইজন্য প্রয়োজনে “সাংবিধানিকভাবে আইন” করা যেতে পারে।প্রয়োজনে দেশের সংবিধান আবার সংশোধন করে “মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংরক্ষণ-বিষয়ক” আইন-সংযোজন করতে হবে।আর কেউ যদি অজ্ঞানে, সজ্ঞানে, বাংলা-মদ খেয়ে, কিংবা বিশুদ্ধ “পাকিস্তানী-মদ” খেয়ে আবোলতাবোল কথা বলে, তাহলে, তাকে আর ছাড় দেওয়া যাবে না।দেশের ইতিহাসে এইবার শক্তকঠিন আইন চাই।আর আইনের সঙ্গে-সঙ্গে তার বাস্তবায়ন ও শক্তকঠিন বিচার চাই।এই দেশে বছরে দুই-একটা ফাঁসি দিয়ে কোনো কাম হবে না।ফাঁসি দেওয়ার মতো করে ফাঁসি দিতে হবে। আর এজন্য দেশের ৬৪টি জেলায়ই “কনডেম-সেল-সহ” ফাঁসির মঞ্চ সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে।আর এই ব্যাপারে কোনোপ্রকার আপস-রফা করা যাবে না।এই দেশে এতো-এতো ‘ইতিহাস-খাদকে’র জন্ম হয়েছে যে, এদের সঙ্গে কথাবার্তা না-বলে সোজা ফাঁসি দিয়ে দাও।দেখবে, দেশটা ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।এই দেশে মিয়াভাই, সোজা-আঙ্গুলে ঘি ওঠে না।এই দেশের মানুষ ভালো-কথা সহজে শোনে না।এদের যা ঔষধ তা-ই দিতে হবে।আর বছরে দুই-একটা ফাঁসির রেওয়াজ সরাসরি বাতিল করে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই-চারটা করে ফাঁসি দিতে হবে।কারণ, মানুষের স্পর্ধার সীমারেখা বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।আর সীমালংঘনকারীদের কাছে “ওয়াজ-নসীহত” করে কোনো লাভ নাই।দেশের “বুকে” যারাই আঘাত করবে, তাদেরই কঠোরভাবে শায়েস্তা করতে হবে।আর এব্যাপারে রাষ্ট্র হবে অন্ধ।
ভাবলে অবাক হতে হয়, এই জাতির ৩০লক্ষ মানুষ সরাসরি যুদ্ধে, ১৯৭১ সালে জীবন দিয়েছে।তারা মাত্র নয়টি মাসে আমেরিকার মতো দালাল পাকিস্তানের পাশে থাকা সত্ত্বেও পাকিস্তানকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করেছে।একেই বলে বীর-বাঙালি।আর আজকে দেখি, বাঙালি-নামে অনেকে এখনও ভেড়া হয়ে দিনরাত ভ্যা-ভ্যা করছে।আর জাবর কাটছে।ওরা মনে করছে, ‘কবেকার মুক্তিযুদ্ধে!আর তা নিয়ে আমাদের এতো মাথা-ঘামাবার দরকার কী’?এগুলো জাতির জীবনে ভয়ানক আপদ।এই পশুগুলো আর হয়তো মানুষ হবে না।কিন্তু দেশে যে-সব সাধারণ মানুষ আছে, তাদের ঈমান-আকিদাহ তো আমাদের রক্ষা করতে হবে।এদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও অশিক্ষিত(সার্টিফিকেটধারী-দেশপ্রেমবর্জিত-পশুসহ)।এরা সহজেই বিভ্রান্ত হয়।এদের দুর্বল-ঈমানকে আঘাত করার জন্যইতো “পরিকল্পিতভাবে” দেশের “চিরায়ত-ইতিহাস” নিয়ে এইসব “নষ্টবীজ-রোপণ” করা হচ্ছে।তাই, সময় থাকতে বাংলাদেশের “মুক্তিযুদ্ধবিরোধী” সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে এখনই “সাংবিধানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংরক্ষণ”-এর ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।আর এজন্য খুব দ্রুত আইনপ্রণয়ন করে তার যথাযথ বাস্তবায়ন করা চাই।তাহলে, বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আর-কোনো “মুক্তিযুদ্ধবিরোধী” পাগলের উদ্ভব হবে না।
পাগলের পাগলামি সব দেশেই থাকে।আর স্থান-কাল-পাত্র ভুলে পাগল সবজায়গায় পাগলামি করে থাকে।কিন্তু পাগলামি করে মৌচাকে ঢিল ছুঁড়লে আর রক্ষা নাই।মৌমাছি “পাগল” চেনে না।একজন খালেদা জিয়া বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে মৌচাকে ঢিল দিয়ে ফেলেছে।এখন তার আর রক্ষা নাই।এবার হয় তাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, আর নয়তো “পাকিস্তানে” ফিরে যেতে হবে।কারণ, বাংলাদেশে বসে “মাতৃভূমি-বাংলাদেশকে” আর অবজ্ঞা করা চলবে না।কোনো দেশপ্রেমিক-বাঙালি তা সহ্যও করবে না।
জয়-বাংলা।
---------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৭
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার কথা সত্য। একমত। কিন্তু যারা মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে চায় তাদের প্রতিহত করার জন্য আইন তৈরির কথা বলেছি।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ অনেক বড়, এটাকে আইন করে রক্ষার দরকার নেই; মুক্তিযুদ্ধ জাতির হৃদয়ে আছে, অনুভবে আছে।