নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশে শিক্ষিতের হার বাড়ছে নাকি পাগল-ছাগলের সংখ্যা বাড়ছে???????

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫

দেশে শিক্ষিতের হার বাড়ছে নাকি পাগল-ছাগলের সংখ্যা বাড়ছে???????
সাইয়িদ রফিকুল হক

ছোট্ট একটা দেশ,
এই আমাদের বাংলাদেশ।
তবুও এখানে কতোরকমের পাগল-ছাগল
অবলীলাক্রমে বসবাস করছে।
আর এই পাগল-ছাগলদের অনেকেই সার্টিফিকেটধারী।
তবুও তাদের পাগলামি কমছে না।অনলাইনে অন্তত শিক্ষিত-মার্জিতরুচির
নরনারীই লেখালেখি করবে, এটাই স্বাভাবিক।কিন্তু ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে,
অনেক “পাগল” ধর্ম নিয়ে পাকিস্তানীহুজুরদের মতো খুব বেশি বাড়াবাড়ি ও লাফালাফি করছে।
এরা বুঝি লেখালেখির কোনোকিছু খুঁজে পাচ্ছে না।না পেলে বসে থাকো।বই পড়ো, দেখবে তোমার মাথা খুলে যাবে।তাই বলে পাগলামি কেন রে বাবা!মাথা ঠাণ্ডা করো।দেখবে তোমার ভালো লাগবে।আর তুমি দেশের জন্য মানুষের জন্য কিছু করতে পারবে।

একজন পাগলামি করে লিখেছে, “ইংরেজি নবর্ষপালন করলে নাকি সে ইহুদী-খ্রিস্টান হয়ে যাবে!আর যারা ইহুদী-খ্রিস্টান, তারাই নাকি “থার্টি-ফার্স্ট-নাইট” পালন করে থাকে।আরও ঘোষণা দিয়েছে: “থার্টি-ফার্স্ট-নাইট” পালন করলে নাকি তার স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে!হজ্জ করে থাকলে নাকি তার হজ্জও বাতিল হয়ে যাবে! আর মুসলমানের খাতায় নাকি তার নাম থাকবে না।এটি এতোবড় গুনাহ যে এর জন্য নাকি তার জীবনের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে!” ইত্যাদি!ইত্যাদি!ইত্যাদি!

ভাবতে অবাক লাগে, আর বিস্ময়ে একেবারে ঘোর লেগে যায়।এসব কথা বলার পারমিশন তাকে কে দিয়েছে?ধর্মের সে কে?আরে পবিত্র ধর্মইতো এদের চেনে না।এরা ইসলামেরও না, মুসলমানেরও না।
এগুলো মনগড়া ফতোয়া।এরা ধর্মকে কলংকিত করার জন্য এইসব আবোলতাবোল, মনগড়া, উদ্ভট, আজেবাজে ও একেবারে আলতুফালতু কথা বলে যাচ্ছে।আর এদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো, জনজীবনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
যে বা যারা এগুলো বলছে, তারা কিন্তু তাদের সজ্ঞানে ‘ইহুদী-খ্রিস্টান’দের আবিষ্কৃত আজকের দিনের নিত্যব্যবহার্য “মোবাইল-ফোন”, “কম্পিউটার-ল্যাপটপ”, “ফেসবুক”, “গুগল” ইত্যাদি দিনরাত চব্বিশঘণ্টা ব্যবহার করছে?নাকি এগুলো তার বাপ-দাদা আবিষ্কার করেছে?এখন সে মুসলমান থেকে খারিজ হয়ে যাবে না!ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে না!নিয়ম-অনুযায়ী তাইতো হওয়ার কথা।তবে তারা কীভাবে এখনও নিজেদের মুসলমান দাবি করছে?
কিন্তু পাগল জাতে মাতাল, আর তালে ঠিক।পাগল সমাজের সবচেয়ে সেয়ানা পাবলিক।সে নিজের স্বার্থ ষোলোআনা ভালোভাবেই বোঝে।তাই, এখন সে নীরব-নিশ্চুপ!আর একেবারে স্তব্ধ-নিঝুম!এখন তার মুখে ভাষা নাই।আর ভাষা থাকলেও এখানে সে ইনিয়েবিনিয়ে নিজের স্বার্থে এসব ব্যবহার করাকে একেবারে জায়েজ ঘোষণা করবে।এই হলো তাদের ধর্মবোধ!

এরা এভাবেই আমাদের মাঝে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে।এরা নিজেদের স্বার্থে একবার “ভারতকে” গালি দিচ্ছে, আবার “আওয়ামীলীগকে” গালি দিচ্ছে, আবার “মুক্তিযুদ্ধে”র বিরুদ্ধে ভয়াবহ বিষোদগার করছে। এমনকি তারা এতোটাই অবিবেচক যে, এরা আমাদের জাতির জনক “বঙ্গবন্ধুকেও” বাদ দিচ্ছে না।এরা এতোটাই পাপী!ক্রমাগত মিথ্যা বলতে-বলতে এদের জিহ্বা খুব ধারালো হয়ে গিয়েছে।আর এরা এখন, অজ্ঞতা-মূর্খতা-পাপে নিমজ্জিত হয়ে আজ হিতাহিতজ্ঞানশূন্য।এরাই আমাদের জাতীয় উৎসব “পহেলা বৈশাখের বিরুদ্ধেও বিষোদগার করে থাকে।
এরা শুধু স্বার্থ চেনে।আর এদের স্বার্থে দুনিয়ার সবকিছু সবসময় জায়েজ।আর কোনোকিছু তার বা তাদের অপছন্দ হলে সঙ্গে-সঙ্গে সেটি তাদের কাছে নাজায়েজ-হারাম-বাতিল ইত্যাদি।এরা ধর্মের নামে পাতকশ্রেণী।
“থার্টি-ফার্স্ট-নাইট” একজন বাঙালি হিসাবে আমরাও খুব একটা পালন করি না।এই সংস্কৃতির অনুসারী আমরা নই।তবে “খ্রিস্ট্রিয় নববর্ষকে” সবসময় স্বাগত জানাবো।এতে কোনো পাপ বা পাপবোধ নেই।আর এতে ধর্মে কোনোপ্রকার বিধিনিষেধও নেই।কিন্তু আমরা “থার্টি-ফার্স্ট-নাইট” নিয়ে কোনোপ্রকার অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপকে কখনওই সমর্থন করি না।আর “অশ্লীলতাই” ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

একজন বাঙালি হিসাবে আমরা পালন করি আমাদের বাঙালির বৃহত্তম উৎসব “পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ।” তাই, কেউ যদি মার্জিতভাবে “থার্টি-ফার্স্ট-নাইট” পালন করে থাকে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই।আমরা তাদের হিংসাও করতে পারি না।আর এটি করাও উচিত নয়।
ইসলাম শান্তির ধর্ম।এখানে যে-কেউ ইচ্ছে করলেই তার “মনগড়া-বস্তাপচা-নষ্টগলা-আজেবাজে” জিনিস সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের খাওয়াতে পারবে না।মহান আল্লাহ কাউকে “মনগড়া” কথা বলার পারমিশন দেননি।আর তিনি মহান।আমরা তাঁরই সৃষ্টি।
কিন্তু যারা এহেন দেশবিরোধী, সাম্প্রদায়িক, উস্কানিমূলক ও মানবতাবিরোধী বক্তব্য তুলে ধরে তাদের দেখেশুনে আজ মনে এই প্রশ্নই জাগ্রত হয়: দেশে আসলে শিক্ষিতের হার বাড়ছে নাকি পাগল-ছাগলের সংখ্যা বাড়ছে???????

(এটি কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য লেখা হয়নি।শুধু সত্যকে তুলে ধরার প্রয়াস মাত্র।মহান আল্লাহ আমাদের সত্য-উপলব্ধি করার তওফিক দিন।আমীন।)

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১৯

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে,আপনার সত্যকে তুলে ধরার প্রয়াসকে। ভালো থাকুন সঠিক ও নিরপেক্ষ চিন্তাধারা লালন করুন মানুষের ভালোবাসা পাবেন । আবারো ধন্যবাদ*

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দাদা, আপনার কথা সবসময় ভালো লাগে। আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তাই, আপনার জন্য ‘হাস্নাহেনা-ফুলে’র সুবাসমিশ্রিত শুভেচ্ছা রইলো। আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.