নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘তাবলীগ-জামাতে’র কথিত “বিশ্বইজতেমা”য় কেন যাই না...

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২১

‘তাবলীগ-জামাতে’র কথিত “বিশ্বইজতেমা”য় কেন যাই না...
সাইয়িদ রফিকুল হক

বর্তমানে ভারতীয় উপমহাদেশে তথা আমাদের বাংলাদেশে যে “তাবলীগ-জামাত” আছে তারা ইসলামের কেউ নয়। আর এরা ইসলামের প্রকৃত-অনুসারী নয়। এরা ইসলামের নাম-ভাঙ্গিয়ে তাদের “মনগড়া ও নিজস্ব-মতবাদ”প্রচারের একটি দল মাত্র। আর এরা ইসলামীশরীয়তের কোনো অংশও নয়। এমনকি এগুলো ইসলামীশরীয়তের আনুষঙ্গিক কোনো কর্মকাণ্ডও নয়। বরং এগুলো হচ্ছে: ইসলামীশরীয়ত-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড।
বর্তমান “তাবলীগ-জামাত” সম্পূর্ণ বিদআত। আর এটি ইসলামের পরিভাষায়: “বিদআতে সাইয়্যেয়াহ”। অর্থাৎ, এটি “ইসলামবিরোধী” খারাপ বিদআত। তাই, মুসলমানগণ কখনওই এটি অনুসরণ ও অনুকরণ করতে পারে না।
বিংশ-শতাব্দীর প্রথমার্ধে মনগড়া “ইলিয়াসীতাবলীগের” সূচনা ঘটে। আর প্রায় মাঝামাঝি সময়ে এই ফিতনার ব্যাপক প্রচলন ও প্রসার ঘটে। এটি প্রচলন করে বিতর্কিত দেওবন্দীআকিদাসম্পন্ন মৌলোভী ইলিয়াস মেওয়াতী।
আগেই বলেছি, এটি ইসলামী কোনো “বিধিবিধান” নয়। এটি মৌলোভী ইলিয়াসের স্বপ্নযোগে পাওয়া একটি মতবাদ (তদীয় রচিত “মলফুজাতে ইলিয়াস” নামক পুস্তিকায় তা-ই বলা হয়েছে)।
বর্তমানে এক ‘বিভ্রান্ত-জনগোষ্ঠী’র নাম “তাবলীগ-জামাত”। এরা নিজেদের মতবাদে ইসলামের কথিত প্রচারে নেমেছে। আর এই ধরনের “তাবলীগ” করার জন্য তাদের কোনো পারমিশন নাই। মহান আল্লাহ, রাসুল(সা.), ও ইসলাম তাদের স্বীকার করে না। আর তাদের প্রতিষ্ঠাতা ও একসময়কার প্রধান মুরুব্বি ইলিয়াস মেওয়াতী “ছয়-উসুলে”র মাধ্যমে এই ভ্রান্তমতবাদের প্রচলন ঘটায়। আর এদের প্রধান কাজ হলো: দ্বীনের রাস্তায় “তিনদিনের মেহনত” ও সবচেয়ে বড় আমল “চিল্লা”। চল্লিশ দিনে “এক-চিল্লা”। এভাবে, ৪০দিন মসজিদে-মসজিদে ঘুরেফিরে, শুয়ে-বসে, খেয়েদেয়ে, আর কিছু নামাজ পড়ে সময় কাটানোকে “এক-চিল্লা” বলে। ওদের ভাষায়: ‘কেউ একনাগাড়ে “তিন-চিল্লা” দিলে সে পরিপূর্ণ মুসলমান হতে পারবে। চিল্লা ছাড়া কেউই পরিপূর্ণ মুসলমান হতে পারবে না।’ আর কেউ যদি জীবনে একচিল্লাও না দেয়, তাহলে তাকে ওরা মুসলমানই ভাবে না। ওদের কাছে মুসলমানিত্বের শর্ত হলো: চিল্লা, চিল্লা, এবং চিল্লা।
বর্তমানে এর আমীর ও অন্যান্য মুরুব্বিগং এই ভ্রান্তধারণার বশবর্তী হয়েই আজও তাদের মুরুব্বি ইলিয়াস-প্রবর্তিত “ইলিয়াসীতাবলীগ”-এর প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আর একদল “ভ্রান্তমানুষ” তাদের নতশিরে বা অবনতমস্তকে অনুসরণ-অনুকরণ করে চলেছে।
দেখা যায়, এরা ঘরবাড়ি, “স্ত্রী-পুত্র-কন্যা” ইত্যাদি বিসর্জন দিয়ে দিনের-পর-দিন, মাসের-পর-মাস, আর বছরের-পর-বছর কথিত “দ্বীনের রাস্তায়” পড়ে আছে। আসলে কী তাই? ভাবখানা এমন যে, এরা বুঝি জগতের কিছুই বোঝে না। আসলে তা নয়। এরা দুনিয়ার স্বার্থ ষোলোআনাই বোঝে। আর এরা খুব চালাক-চতুর। এরা চাকরি বোঝে, ব্যবসা বোঝে, সুদ বোঝে, ঘুষ বোঝে, লাভ বোঝে, ফ্ল্যাট বোঝে, বাড়ি বোঝে, গাড়ি বোঝে, দুর্নীতি বোঝে। এককথায় এরা দুনিয়াবী স্বার্থ সবই বোঝে। আর বোঝে না শুধু ধর্ম। এদের দেখলে মনে হবে এরা বুঝি খুব ভালোমানুষ। আসলে, তা নয়। এরা সমাজের একশ্রেণীর কায়েমী-স্বার্থবাদী। এরা নিজের স্বার্থে দেশ, সমাজ ও স্বজাতি কাউকেই ভালোবাসে না।
ইজতেমার প্রচলন ও প্রসার:

“তাবলীগ-জামাতের” আনুষঙ্গিক কর্ম হিসাবে রয়েছে, তিনদিনের মেহনত, গাস্ত, চিল্লা, ইজতেমা ইত্যাদি। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের নিজামউদ্দীন মসজিদের “নুহ-মাদ্রাসায়” আনুষ্ঠানিকভাবে “তাবলীগ-জামাতের” প্রথম-ইজতেমার সূচনা ঘটে। পরে ১৯৪৪ সালে এটি বাংলাদেশে রফতানি হয়। আর এরা বাংলাদেশের বিভিন্নস্থান ঘুরে-ঘুরে অবশেষে ১৯৬৬ সাল থেকে টঙ্গীর “তুরাগ-নদীর” তীরে স্থায়ীভাবে ঘাঁটি তৈরী করে।

আরও শুনবেন?
শুনুন তাহলে। এরা নিজেদের ছাড়া, অর্থাৎ “তাবলীগ-জামাতে”র লোকজন ছাড়া আর-কাউকে মুসলমান ভাবে না। এরা মনে করে: দুনিয়ার মধ্যে সবচেয়ে “পবিত্র ও বড় কাজ” হলো “চিল্লা” দেওয়া। আর তাদের ভাষায়: আল্লাহর রাস্তায় মেহনত। কিন্তু এগুলো শুধু তাদের মুখের বুলি। আজ পর্যন্ত “তাবলীগ-জামাতে”র মধ্যে এমন একজন মানুষ পাইনি যাদের “আল্লাহর ওলী” বা “ইনসানে কামেল” ভাবা যায়। তবে এদের মধ্যে অনেক বুজুর্গ আছে। আর বুজুর্গ মানে হচ্ছে, ‘বৃদ্ধ’ বা “বয়ঃবৃদ্ধ”। এরা চিল্লা দিতে-দিতে একেবারে বৃদ্ধ। তবুও আজ পর্যন্ত এরা ইসলামের মূলবিষয় খুঁজে পায়নি। এরা আমাদের নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনও পুরাপুরিভাবে অনসুরণ করে না। এদের ধর্ম ‘দাড়ি-টুপি-পাগড়ি-জোব্বা’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এদের আর-কোনো জ্ঞান নেই। এরা সমাজ-রাষ্ট্র ও দেশ নিয়ে কখনও ভাবে না।

এটি ইসলামের বা “ইসলামস্বীকৃত” কোনো দাওয়াতি-কার্যক্রম নয়। আর তাবলীগে যারা কোনোকিছু না-বুঝেই “হুজুগে” মত্ত হয়ে সময় কাটাচ্ছে, এদের কারও ইসলামের “মুবাল্লিগ” হওয়ার যোগ্যতা নেই। এরা কীসের আশায়, কীসের নেশায় এমন করছে, তা কেউ বলতে পারবে না। আমাদের মনে রাখতে হবে: এটি ইলিয়াস মেওয়াতী প্রতিষ্ঠিত একটি নিজস্ব-মতবাদ। আর যে-কোনো মতবাদে ভুলত্রুটি থাকবেই। কারণ, “মানবরচিত-মতবাদ” কখনওই নির্ভুল নয়। আর মানবরচিত কারও মতবাদকে ধর্মীয় বিষয় হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না। বিশেষতঃ ধর্মীয় ব্যাপারে আমাদের এই বিশ্বাস রাখতেই হবে। ইসলাম মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত ধর্ম। আর এটি প্রচারের দায়িত্ব ছিল আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর। আর তিনি তা পরিপূর্ণভাবে পালন করেছেন। এখন যারা দ্বীনের “মুবাল্লিগ” হতে চায়, তাদের “আহলে বাইয়্যেতের” অনুমতি লাগবে। কিন্তু বর্তমান “তাবলীগ-জামাতের” অনুমতি কোথায়? আর তারা তো “আল্লাহর ওলী” ও “আহলে বাইয়্যেতে” বিশ্বাসই করে না। এরা ভ্রান্ত-জামাত। এরা ধর্মের নামে মুসলমান-সমাজে বাড়াবাড়ি করছে। আর এদের কাউকেই মহান আল্লাহ এভাবে ইসলামপ্রচারের দায়িত্ব দেননি।

আমাদের প্রিয়-নবীজী, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগে এইরকম-এইজাতীয় কোনো “তাবলীগ-জামাত” ছিল না। এমনকি এই ধরনের “ইজতেমা” ও “বিশ্বইজতেমাও” ছিল না। এগুলো ব্যক্তি-মানুষের নবআবিষ্কৃত ও বানোয়াট মতবাদ। তাই, এগুলো মুসলমানদের জন্য পালন করা, মানা, অনুসরণ ও অনুকরণ করা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল কোনোটিই নয়। বরং ভ্রান্তনীতির অনুসারীদের অবশ্যই “পাপী” হিসাবে চিহ্নিত হতে হবে। আর এই প্রসঙ্গে আমাদের মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। আমাদের সবসময় “মূল-ইসলামে” দাখিল থাকতে হবে। আর তাই, কোনো-একজন ইলিয়াস মেওয়াতী নয়, পবিত্র রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামই আমাদের একমাত্র পথপ্রদর্শক।

এই “ইলিয়াসীতাবলীগ-জামাত” আমাদের প্রিয়-নবীজী(সা.)-এর আদর্শ বিসর্জন দিয়ে আজ নিজেদের মতো করে ইসলাম-প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। কিন্তু এটি কখনওই সম্ভব নয়। কারণ, কোনো ভ্রান্তনীতি কখনও জয়ী হবে না। আর জয়ী হতে পারে না।

অধুনা ‘তাবলীগ-জামাতে’র লোকেরা তিনদিনের মেহনতে ও চিল্লায় কী করে?
১. নামাজ পড়ে। আর নামাজ তো কমবেশি সবাই পড়ে।
২. বয়ান করে। আর বয়ান শোনে। এও তো এখন সবজায়গায় রেডিমেট পাওয়া যায়।
অতিরিক্ত আর কী করে?
৩. গাস্তে বের হয়। আর এরকম হাঁটাহাঁটি অনেকেই করে থাকে।
৪. মসজিদের কিছু জায়গাদখল করে সাময়িকভাবে “আস্তানা” বানায়। আর সেখানে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন চলে। পিকনিকের আমেজে তারা খাওয়াদাওয়া করে থাকে। আর দিনের বেশিরভাগ সময় তারা ব্যয় করে এই খাওয়াদাওয়া, পায়খানা-প্রস্রাব-অজু-গোসল ইত্যাদিতে।

এরা আর কী-কী করে না:
১. পবিত্র রাসুলুল্লাহ সা.-এর শানে মিলাদ পড়ে না।
সারাবিশ্বে মহাসমারোহে পালিত হয় ঈদে মিলাদুন্নবী সা.। আমাদের বাংলাদেশেও এই দিনটি অত্যন্ত ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে। এই দিনটি ১৯৯৬ সাল থেকে বাংলাদেশে “সরকারি-ছুটি” হিসাবে পালিত হচ্ছে। আর এই দিনটিকে বিশ্বমুসলমান তাদের জীবনের সেরা ঈদ মনে করে থাকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ‘তাবলীগ-জামাতে’র কোনো মুরুব্বি বা আমীর রাসুলুল্লাহ সা.-এর শানে এই দিনটিকে মর্যাদার চোখে দেখে না।
২. এরা কখনও দেশকে ভালোবাসে না।
৩. এরা কখনও ত্বরীকায় বিশ্বাস করে না। এবং “সহীহ-পীর-মুরীদী” নীতিতে বিশ্বাসী নয়। এঁরা আল্লাহর ওলীদের অবজ্ঞা করে থাকে।
৪. এরা নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের মাজারকে ভালোবাসে না। আর এইসব পবিত্র মাজারে যাওয়াকে “বিদআত” মনে করে থাকে। অথচ, তারা নিজেরাই “সম্পূর্ণ বিদআতী”।
৫. এরা কখনও নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের মাজার জিয়ারত করে না। আর মুসলমানদের কাছে “নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের” মাজার পবিত্র স্থান। কিন্তু এ-যুগের ভণ্ডপীরদের কাছে ও তাদের মাজারে যাওয়া যাবে না।

বর্তমানে প্রচলিত “তাবলীগ-জামাত” ও “জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের” মধ্যে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। আবার এদের মধ্যে একটুআধটু পার্থক্যও আছে। যেমন—তাবলীগের কার্যক্রম চলে তাদের ‘কথিত-দাওয়াতে’র মাধ্যমে, আর “জামায়াতের” কার্যক্রম চলে ‘কথিত-জিহাদে’র মাধ্যমে। তারা জিহাদের মাধ্যমে দ্বীন-কায়েম করতে চায়।
তাই, দেখা যায়: একদল ভবঘুরের মতো। আর-একদল রাজনৈতিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা করায়ত্ত করার জন্য খুবই স্বার্থপর। কিন্তু আকিদাহগত দিক থেকে তাদের মধ্যে যথেষ্ট মিল আছে। এরা কেউই আমাদের নবীজী সা.কে “নুরনবী” বা “নুরের সৃষ্টি” মনে করে না। এরা কেউই পবিত্র “মিলাদ-শরীফ” পড়ে না। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সা. পালন করে না। তাছাড়া, এরা কেউই পবিত্র নবী-রাসুল ও আল্লাহর ওলীদের পবিত্র মাজারকে শ্রদ্ধা করে না। এমনকি এরা উভয়ই এইসব পবিত্র মাজারে যাওয়াকে তাদের স্বঘোষিত বিদআত ও শিরক্ বলে কবীরা গুনাহে লিপ্ত। আসলে, এই দুইটি দলই ভ্রান্ত। একদল চায় নিজেদের মতবাদে দ্বীনের “কথিত-খেদমত” করতে। আর অপর দল চায় ইসলামের নাম-ভাঙ্গিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করতে। আর এরা কেউই জয়ী হতে পারবে না। আর আকিদাহগত দিক থেকে এই দুইটি দল “সম্পূর্ণ গোমরাহ”। একজন মুসলমান হিসাবে কখনওই এদের অনুসরণ ও অনুকরণ করা উচিত নয়।
মহান আল্লাহ আমাদের সত্যঅনুধাবনের তওফিক দিন। আমীন।

সবদিক বিবেচনা করে একজন মুসলমান হিসাবে “তাবলীগ-জামাতে” বা “তাবলীগ-জামাতের” “কথিত-বিশ্বইজতেমায়” যেতে পারছি না। আর এখানে, না-যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আর এইজাতীয় মনগড়া ও বাতিল-আকিদার চিল্লায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া মানেই “মূল-ইসলাম” বা ইসলামত্ব
বা মুসলমানিত্ব থেকে ক্রমশঃ দূরে সরে যাওয়া। আমি মূল-ইসলামে থেকে মুসলমানই থাকতে চাই। আর আমি মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রিয়-রাসুল(সা.)-এর পথেই জীবন কাটাতে চাই।
আমীন।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার না যাওয়ার অনেক কারণ দেখছি। পায়খানর অবস্হা দেখলে আপনি হয়তো আর কোনদিন যাবেন না।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। এটি একটি বড় কারণ। আর অন্যান্য কারণ তো বলাই হলো। আপনি এটি পড়েছেন, এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আর পরিশেষে আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: আপ্নি এবং আপ্নার সীমার ব্যাপারে আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিক .... সাথে আমাদের সবাইকেও। আমীন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: হেদায়েত চেয়েছেন ভালো। আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন। আমীন। কিন্তু ‘সীমার’ বিষয়টি আপত্তিকর। ২০ বছর ধরে ধর্মসাধনা করছি। এটি কোনো আক্রোশের বশে লেখা নয়। মানুষকে গোমরাহির হাত থেকে বাঁচানোর তাগিদ মাত্র। মহান আল্লাহ আমাকে রক্ষা করেছেন।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৩

সুখী পৃথিবীর পথে বলেছেন: উভয় পক্ষকে বলছি আসুন জীবনকে শান্তিময় করি সুন্দর করি, পরিশেষে সুখি করি। এর জন্য সহজ সরল পথতো আছেই । ধন্যবাদ সবাইকে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর বলার জন্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপনাকে।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৪

মাহমুদুল তুষার বলেছেন: আমি নিজেও তাবলীগ জামায়াত এর সাথে সম্পূর্ণ একমত নই।তবে আপনি অনেক বাড়িয়ে বলেছেন। তারা কখনই চিল্লা দেওয়াকে এতটা গুরুত্ব দেয় না।আর মাজারে জাওয়াটা আসলে আপনার আরও খোলাসা করে বলা উচিত।আর ঈদে মিলাদ্দুন্নবী কোন সাহাবী, তাবেঈন গন পালন করেছ এক্টু বলবেন।আর আপনি কোথায় পেলেন যে নবী মুহাম্মদ (সঃ) নুরের তৈরি একটু জানাবেন।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রচন্ড গোড়ামিতে পরিপূর্ণ তাদের চিন্তা চেতনা।

ছয় উসুলি তো ইসলামের শৌলিক স্তম্ভ পাঁচকেই প্রশ্নের শূকে ফেলে দেয়!

যে কারণে মওদুদীবাদ পরিত্যাজ্য- একই কারণে এটাও।

তবে আমাদের হুজুগে মাতার স্বভাবের কারণেই এটা আজ মহিরুহে পরিণতি। আর অজ্ঞানতার মহিরুহে যে কি পরিমান ক্ষতি তা দেখছি- আমার শ্যালকের জীবনে।
এই গেল মাসে উনি চিল্লায়! শালার বউ একা একা বাসা বদল করতে গিয়ে নানা হেনস্থা! আগে বাড়ীওয়ালা বকেয়ার জন্য বাসা ছাড়তে দেবে না। পরে গিন্নি গিয়ে মধ্যস্থতা করে!
বাচ্চা দুইটা ৩ বছর ৬ বছর! দুইটাকে ভিন্ন বাসায় রেখে উনারা ৩/৪ দিনের জণ্য গায়েব হয়ে যান!
ইদানিং দেখি শালার বউ পর্দা নিয়ে পাগলামীর পর্যায়ে চলে গেছে।
বাসায় আসলেও ঘরের পর্দা পিন দিয়ে আটকে রাখে। এক বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার! টিভি দেখা হারাম বলে বাসার টিভি দিয়েছে বেচে!
পিচ্চিগুলা আমার একানে এলেই সারাদিন রিমোট মুঠে নিয়ে বসে থাকে!

এক জটিল অবস্থা! আল্লাহ তাদের প্রকৃত সুস্থ সুন্দর স্বাভাবিক বোধের জ্ঞান দিন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন আপনি। একেবারে সঠিক কথা। এরা যুগ-যুগ ধরে ইসলাম ফেলে নিজেদের বানোয়াট “ছয়-উসুলের” পিছনে ছুটছে। এদের আকিদাহ সঠিক নয়। এরা গোমরাহ। ব্লগে দেখলাম, অনেক গোমরাহ আছে। ধন্যবাদ ভাইজান আপনাকে। সাহসী বক্তব্য দেওয়ার জন্য আপনার কাছে কৃতজ্ঞতাপ্রকাশ করছি। আপনাকে ধন্যবাদ ও লালগোলাপ শুভেচ্ছা।

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনি এক কাজ করুন, তিন দিন লাগিয়ে আসুন এবং কাকরাইল মসজিদে মাগরেববাদ বয়ান শুনে আসুন।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩২

আহলান বলেছেন: এমন একিুট বিষয়ে হাত দিয়েছেন, যেটা এই সময়ের ক্রেজ ...তাবলিগের দাওয়াত এখন ব্যপক একটি জনপ্রিয় বিষয়। তবে ওনাদের কিছু ভ্রান্ত চিন্তা ভাবনা ওনাদেরকে বিতর্কিত করে । যেমন ইলিয়াস মেওযাতি কিন্তু কোন একজন পীরের মুরিদ ছিলেন, অর্থাৎ তাবলিগের মূল হোতা যিনি, তিনি কিন্তু একজন পীরে কামেল এর খাস মুরিদ। কিন্তু বর্তমান তাবলীগ জামাত এর হাক্কানী কামেল পীর মুরিদ বিষয়ে চরম এলার্জি। (ভন্ড পীর মুরিদদের ব্যপারে সবারই এলার্জি থাকবে-এটাই স্বাভাবিক)।
সহিহ হাদিস সমুহ এরা সব মানে না। নিজেদের নির্দিষ্ট বইয়ের বাইরে ওনারা কোন হাদিস বয়ানও করে না। মসজিদকে এরা শুয়ে বসে থাকার জন্য খুবই উপযুক্ত মনে করে। মসজিদ যে আল্লাহর ঘর, এর যে একটি আলাদা পবিত্রতা রক্ষার বিষয় আছে, এরা সেটি মানেই না।
এদের ভোলে ভালে দাওয়াত অনেক পাপী তাপী হৃদয় দূর্বল মানুষকে আকৃষ্ট করে। কারণ আর কোন ইসলামী সংস্থা (যেমন পীর মুরিদ) এভাবে ঘরে ঘরে গিয়ে ধর্মের এডভ্যাটাইজ করে না।
এদের মিলাদ ক্বীয়ামেও ঘোর আপত্তি .... কিন্তু কেন সেটি জানে না। মসজিদের মধ্য চেয়ার নিয়ে বসে বসে শুধু দরুদে ইব্রহিমি পড়ে আর তবারক খায়, কিন্তু মিলাদ পড়ে না .... আচ্ছা সে না হয় না পড়লো, (মিলাদ এমন ফরজ বা ওয়াজিব কিছু না যে পড়তেই হবে-এটি যার যার মনের ব্যপার), কিন্তু দরুদ পাঠ, জিকির আজকার, মোরাকাবা মোশাহেদা, এলমে মারেফত, তরিকত, হকিকত সম্পর্কে এদের জ্ঞান চর্চা শূণ্যের কোঠায়, কিন্তু এরা তা মানতে ও বলতে নারাজ। ..... তারপরেও এরা বর্তমানে প্রচার পাওয়া হট কেক ... ভ্রান্ত ও শুদ্ধ আক্বিদা মিলায়ে একটি সংগঠন .... পুরাপুরি সহিও না ...আবার একেবারে গলদও না ... আবার একেবারে গলদও বলা যায়, কারণ একটি হাদিস অস্বিকার করলেই তো তার মুসলমানিত্ব ঈমান আক্দিা থাকার কথা না, এরা এমন সব সহিহ হাদিস অস্বিকার করে যা তাদের ঈমানের ঘাটতিরই প্রমাণ দেয় ....

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: অনেক কথা বলতে গেলে সময়ের দরকার। শুধু একটি কথা বলবো: সমগ্র ভারতবর্ষে ইসলামপ্রচারিত হয়েছে “আল্লাহর ওলীদের” দ্বারা। একজন হজরত মাঈনুদ্দীন চিশতী (রহঃ) এবং একজন হজরত শাহজালাল (রহঃ) তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কখনও দেখা হলে বিস্তারিত বলবো। আপনার মতপ্রকাশ মার্জিত ও একজন যথার্থ ব্লগারের মতো। অনেকে এতো নগ্নভাবে আক্রমণ করেছে যে, তাদের মন্তব্য আমি নিজেই মুছে দিতে বাধ্য হয়েছি। মডারেটরদের বলিনি। আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমাদের মুসলিমদের ধ্বংসের জন্য আমরা মুসলিমরাই যথেষ্ট। এজন্য বিধর্মী, ইহুদী নাসারাদের দরকার নাই।

কুরআনে সবকিছু স্পষ্ট করে বলে দেওয়ার পরেও আমারা এক পক্ষ আরেক পক্ষের পিছনে লেগেই আছি। Click here

কি আর বলব আসলে সবই মহান সৃষ্টিকর্তার খেলা এছাড়া আর কিছুই না।

আমি ইচ্ছে করলে সকল মানব জাতিক একই সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত করতে পারতাম। কিন্তু তিনি যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন ও যাকে ইচ্ছ সৎপথে পরিচালিত করেন।
সুরা- নাহাল-আয়াত ৯৬

আল্লাহ্ যদি মানবজাতির এক দলকে আর-এক দল দিয়ে বাধা না দিতেন তা হলে বিধ্বস্ত হয়ে যেত মঠ ও গির্জা, ধ্বংস হয়ে যেত ভজনালয়, আর মসজিদ- যেখানে আল্লাহর নাম বেশি করে স্মরণ করা হয়।
সুরা- হজ- আয়াত ৪০

তোমরা কিতাবিদের সাথে তর্ক বিতর্ক করবে, কিন্তু সৌজন্যের সাথে, তবে ওদের মধ্যে যারা সীমালঙ্ঘন করে তাদের সাথে নয়। আর বলো, আমাদের উপর ও তোমাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা আমরা বিশ্বাস করি। আর আমাদের উপাস্য ও তোমাদের উপাস্য ও তো একই, আর তারই কাছে আমরা আত্নসমর্পণ করি।
সুরা- আনকাবুত-আয়াত ৪৬

আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বিভ্রান্ত করেন ও যাকে ইচ্ছে সৎ পথে পরিচালিত করেন।
সুরা-ইব্রাহিম-আয়াত ৪

আমি ইচ্ছে করলে প্রত্যেক জনপদে একজন করে সতর্ককারী পাঠাতে পারতাম।
সুরা - ফুরকান আয়াত-৫১

সরল পথের নির্দেশ দেয়া আল্লাহর দায়িত্ব কিন্তু পথের মধ্যে কিছু বাঁকা পথও রয়েছে। তিনি ইচ্ছে করলে তোমাদের সকলকেই সৎ পথে পরিচালিত করতে পারতেন।
সুরা- নাহাল-আয়াত ৯

তোমাদের মধ্যে যে মতভেদ রয়েছে স্বয়ং আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার ফায়সালা করে দিবেন। কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ জুলুম করা হবে না। আল্লাহ তো সর্বোচ্চ তত্বজ্ঞানী।
সুরা- আয়াত- ঠিক এই মুহুর্তে মনে নেই।
----------------------------------------------------------------------------

হে মানব সকল তোমরা বিপক্ষ শক্তিকে সমুলে উৎপাটন করিও না, ধ্বংস করিও না ভিন্ন মতালম্বীদেরকে। বৈচিত্রতা, ভিন্নতা, বিপক্ষতার মাঝেই লুকিয়ে আছে মহাবিশ্বের যাবতীয় রহস্য ও শক্তি কিন্তু তোমরা তা বুঝতে পার না।
সূত্র: সামু- মহাসমন্বয় LOL :P

৯| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আমি তাবলীগ জামাতের অনেক খারাপ দিক আছে এটা বুঝতে সক্ষম হয়েছি৷ তবে আপনার মধ্যে মাজার পূজাপ্রীতিটাও প্রকট মনে হচ্ছে৷

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১৫

সীমান্তের ঈগল(পরাজিত বীর) বলেছেন: আসুন এখানে মন্তব্য মুছে দেন কেন ??

১১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

মেমননীয় বলেছেন: তাবলীগাররা খারাপ বেদ্বীন, বেদাতি।
আর মাজার পুজকরা কেমন? তাদের নিয়েও লিখুন আমরা জ্ঞ্যান অর্জন করি।

ভাই আপনি কি মুসলমান না মাজার পুজক (কারন, আপনিতো তাবলিক নন)?

১২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫০

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: হযরত মুহাম্মদ (স:) সাহাবাদের কত দূর দূরান্তে ইসলামের দাওয়াত দিতে পাঠিয়েছিলেন,,,, তারা তখন নিজেদের পরিবার, বাচ্চা, সংসার ফেলে নবীর আদেশ পালন করেছিলেন। তাদের কবর ও হয়েছে পৃথিবী বিভিন্ন দেশে। সাহাবীরা এত বড় বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার জন্য,,,, আর এখন মাত্র কয়দিন আল্লাহর রাস্তায় পরিবার থেকে ডিটাচ হলেই মস্ত মস্ত সমালোচনার বানী উড়ে উড়ে আসে।

আরে ভাই, সারা পৃথিবীজুড়ে এই মেহনত চলছে, জোরের সাথেই চলছে। এবং আপনার মত হাজার সমালোচকের সাথে তাল মিলিয়েই চলছে।

মুসলমান তো আমরা না ?? ভাই ভাই। মিশেই দেখেন না এই ভাই গুলোর সাথে, আপ্নার খারাপ লাগবেনা। ওদের প্রতিটা কাজের ব্যাখ্যা ওদের কাছে আছে এবং সব সুন্নাহ মোতেবেক।

অনেক পীরই তো মহফিল আয়োজন করে? বিশ্ব ইস্তেমার লোক সং্খ্যার সাথে তার তুলনা কইরেন তো ?? বিশ্বের এতগুলো মানুষ,,,, সবাই হুজুগে !!! আপ্নার পোষ্টের ব্যাখ্যা মতে এটাই বুঝে নিতে হবে বলে মনে হচ্ছে।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভাইরে, সমস্যাটা আকিদাহগত। এখানে অন্যকিছু নয়। আর লোকবল বেশি হলেই তা যথার্থ হয় না। ঢাকা-বাণিজ্যমেলায় কতো লোক হয়? কারবালায় ইমাম হোসেনের সঙ্গে ছিল মাত্র ছয় হাজার লোকজন! আর ইয়াজিদের পক্ষে ছিল এক-লক্ষাধিক সৈন্যসহ দুই লক্ষ গোমরাহ। এরা ইয়াজিদের পিছনে নামাজ পড়েছে! আর রাসুলের (সাঃ) যুগে কেউই এভাবে তাবলীগ করেনি। আর আপনি যে তাবলীগ করবেন, আপনাকে কে পারমিশন দিয়েছে? মনে রাখবেন, মৌলোভী ইলিয়াস এটি “স্বপ্নযোগে” পেয়েছেন। পড়ে দেখুন তার নিজের লেখা “মলফুজাতে ইলিয়াস”। সামনাসামনি দেখা হলে আরও অনেক কথা বলা যেতো। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @আহলান.. দারুন বলছেন।

কিন্তু আপনার এই বিষয়টি... (মিলাদ এমন ফরজ বা ওয়াজিব কিছু না যে পড়তেই হবে-এটি যার যার মনের ব্যপার), কিন্তু সঠিক নয়।
এটা মনের ব্যাপার নয়। বরং এব্যাপারে কোরআনে সরাসরি আদে রয়েছে।
"ইন্নাল্রাহা ওয়া মালায়িকাতিহী ইউ সাল্লুনা আলান্নবীয়ি..ইযা আইয়ুহাল্লাজিনা আমানু সাল্লু আলাইহি ওয়া তাসলিমা..."
মহান আল্লাহ ফেরেশতাদের নিয়ে নবীর উপর দরুদ পাঠ করেন, হে মুমিনগণ তোমরাও উত্তম তাসলিমের সহিত (আদব আয়োজন, উপস্থাপনা) দরুদ পাঠ কর।
সো এটা কিন্তু ঐচ্ছিক নয়। বরং আল্লাহর সরাসরি অল্প যে কয়টি আদেশ মানব জাতিকে মুসলিম, মুমিনদের দিয়েছেন তাঁর মধ্যে অন্যতম।

@শূন্য মাত্রিক ভাই
রাসূল সা: এর দাওয়াত পাঠানো কিন্তু এমন ছিল না। তা সত্য আর মিথ্যার প্রভেদকারী মেসেজ হিসাবেই যেত। স্ব-জাতির মধ্যে বিভ্রান্তি আহাবেনর সহযোগে গৃহত্যাগ নয়। ...
<<এখন মাত্র কয়দিন আল্লাহর রাস্তায় পরিবার থেকে ডিটাচ হলেই মস্ত মস্ত সমালোচনার বানী উড়ে উড়ে আসে।
= জ্বিনা ভাই। পরিবার থেকে ডিটাচ হওয়ারও কিছূ তরিকা আছে। রাসুল সা: ই শিখিয়ে গেছেন। হয় নিজে তাদের ভরণপোষনের বন্দোবস্ত করে যেতে হবে। অথবা বায়তুল মাল সে ব্যবস্থা করবে।
তাকি তাবলিগীতে আছে?

বাকী বিষয়গুলো এড়িয়ে না গিয়ে বলুন-
টিভি দেখা না জায়েজ!
সিনেমা হারাম!
কম্পিউটার না না না!
পর্দার নামে বাড়াবাড়ি রকম অন্ধত্ব!
ক'দির আগেও মাইকে নামাজ পড়া হারাম ছিল...!!!!

এইসব করে কি ইসলাম কায়েম হবে? না সুনাম হবে! নাকি পিছিয়ে দেয়া হবে হাজার বছর!?

অথবা তারা কি বোকা হারাম বা আইএসের সফট ভার্সন!!!!?? খুব খেয়াল কৈরা ;)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি চমৎকার বলেছেন। আর আপনি আমার উত্তরই দিয়ে দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ-কেউ সহনীয় মন্তব্য করেছেন। কিন্তু “সীমান্তের ঈগল” সাহেব -সহ দুই-চারজন এমন মন্তব্য করেছিলো যে, তাদের মন্তব্য আমি মুছে দিতে বাধ্য হয়েছি। তারা আমার লেখা বাদ দিয়ে সরাসরি আমাকে আক্রমণ করেছিলেন।
আপনি সুরা আহজাবের আয়াত তুলে ধরেছেন। এটিই সত্য। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাঁর রাসুলের শানে ফেরেশতাদের নিয়ে দরুদ শরীফ পড়ছেন। আর ফেরেশতারা আসমানে রাসুলের শানে অনবরত দরুদ ও মিলাদ পড়ে চলেছেন। কিন্তু এরা তা বিশ্বাস করে না।
বর্তমান তাবলীগ জামাত গোমরাহ। এরা মানুষকে গোমরাহ বানাচ্ছে আর সেইসঙ্গে অকর্মণ্যও বানাচ্ছে। তাবলীগ-জামাতের লোকগুলো মানুষের কোনো কাজে আসে না। তারা শুধু ঘুরাফেরা করে খেতে চায়। কিন্তু আমাদের পবিত্র রাসুল (সা.) কখনও তা করেননি। তিনি নিজের হাতে কাজ করেছেন। আর তিনি ঘরবাড়ি ফেলে কোনো মসজিদে গিয়ে আস্তানাও বানাননি।
আমাদের অনুসরণ করতে হবে রাসুলকে। একজন মৌলোভী ইলিয়াসকে নয়।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। আর কখনও দেখা হলে চা কিংবা কফি-পানের নিমন্ত্রণ রইলো।

১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনি চমৎকার বলেছেন। আর আপনি আমার উত্তরই দিয়ে দিয়েছেন। এদের মধ্যে কেউ-কেউ সহনীয় মন্তব্য করেছেন। কিন্তু “সীমান্তের ঈগল” সাহেব -সহ দুই-চারজন এমন মন্তব্য করেছিলো যে, তাদের মন্তব্য আমি মুছে দিতে বাধ্য হয়েছি। তারা আমার লেখা বাদ দিয়ে সরাসরি আমাকে আক্রমণ করেছিলেন।
আপনি সুরা আহজাবের আয়াত তুলে ধরেছেন। এটিই সত্য। স্বয়ং মহান আল্লাহ তাঁর রাসুলের শানে ফেরেশতাদের নিয়ে দরুদ শরীফ পড়ছেন। আর ফেরেশতারা আসমানে রাসুলের শানে অনবরত দরুদ ও মিলাদ পড়ে চলেছেন। কিন্তু এরা তা বিশ্বাস করে না।
বর্তমান তাবলীগ জামাত গোমরাহ। এরা মানুষকে গোমরাহ বানাচ্ছে আর সেইসঙ্গে অকর্মণ্যও বানাচ্ছে। তাবলীগ-জামাতের লোকগুলো মানুষের কোনো কাজে আসে না। তারা শুধু ঘুরাফেরা করে খেতে চায়। কিন্তু আমাদের পবিত্র রাসুল (সা.) কখনও তা করেননি। তিনি নিজের হাতে কাজ করেছেন। আর তিনি ঘরবাড়ি ফেলে কোনো মসজিদে গিয়ে আস্তানাও বানাননি।
আমাদের অনুসরণ করতে হবে রাসুলকে। একজন মৌলোভী ইলিয়াসকে নয়।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। আর কখনও দেখা হলে চা কিংবা কফি-পানের নিমন্ত্রণ রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.