নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামুদ্রিক হাঙ্গরগুলো এখন লোকালয়ে (কবিতা)

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৬

সামুদ্রিক হাঙ্গরগুলো এখন লোকালয়ে
সাইয়িদ রফিকুল হক

হায়েনার পাল দেখেছিলাম আগে
কী ভয়ংকর চেহারা ওদের!
আর হায়েনা মেরেছিলো
আমাদেরই পূর্বপুরুষ।
আগে দেখেছিলাম আরও কতো
নিষ্ঠুর শকুন, আরও কতো শ্বাপদ!
আর এদের নির্মূল করেছিলো
আমাদেরই পূর্বপুরুষ।

হায়েনা-শকুনের বংশ
এই বাংলা থেকে শেষ হতে-না-হতেই
গভীর সমুদ্র থেকে বেরিয়ে
আর পাঞ্জাব-সাগর পেরিয়ে
ঝাঁকে-ঝাঁকে সামুদ্রিক-হাঙ্গর
নেমে এসেছে আমাদের বঙ্গোপসাগরে!
সঙ্গে আছে সিন্ধুনদের বিষাক্ত-রাক্ষুসে কুমির,
আগে দেখতাম ওরা খেতো মৎস্য,
আর কিছু-কিছু জলজ-প্রাণী।
এখন দেখি ওরা শুধু
মানুষের রক্ত ভালোবাসে!

হায়েনা-কুমির-শকুন মিলেমিশে
ছুটছে এখন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে
সামুদ্রিক-হাঙ্গরগুলোর পিছনে,
দাঁতাল-মাতাল হাঙ্গর এখন ওদের সরদার।
সামুদ্রিক-হাঙ্গরগুলো নিজেদের ঠিকানা ছেড়ে
আরাম-আয়েশের গভীর সমুদ্র ছেড়ে
নেমে এসেছে আমাদের লোকালয়ে।
আমাদের জনপদ ছিল শান্ত,
আমাদের মানুষগুলো ছিল শান্ত,
আমাদের দেশে ছিল না কোনো মাতলামি,
হাঙ্গরগুলো সেই মানুষগুলোকে করে তুলছে
তাদের মতো ভয়ানকভাবে হিংস্র!

দাঁতাল-মাতাল হাঙ্গরগুলো এখন
চিবিয়ে-চিবিয়ে খাচ্ছে
আমাদের সমাজের মাথা,
আমাদের জনপদ,
আমাদের লোকালয়,
আর আমাদের হাজার-বছরের সভ্যতা!
ক্ষিপ্ত-হাঙ্গরের দল আর খুব বেশি ক্ষিপ্ত
কামড়ে-কামড়ে খাচ্ছে তাই
আমাদের সবুজ-চেতনা, আর নধর-নধর স্বপ্ন!
পৃথিবীকে গ্রাস-করার চেতনায় মত্ত হয়ে
ওরা ক্রমান্বয়ে সাবাড় করছে:
ফসলের মাঠ, গাছপালা, বাড়িঘর,
ওদের ভয়ংকর দাঁতের আঘাতে
উপড়ে যাচ্ছে আমাদের রেললাইন!
উল্টে যাচ্ছে রেলের ইঞ্জিন-বগি,
আর ওরা কামড়ে-কামড়ে খাচ্ছে
রেললাইনের শক্ত-লোহার পাতগুলো,
রেলের স্লিপার তুলে ফেলছে দাঁতের আঘাতে
কামড়ে-কামড়ে খাচ্ছে সিএনজি-গাড়ি,
পুলিশের ভ্যান-বাস-ট্রাক-দালানকোঠা
আর মানুষের বসতবাড়ি।

কখনও-কখনও ওরা রুদ্রমূর্তিতে ধারণ করছে
পৃথিবীর সেইসব ভয়ংকর অগ্নি-ড্রাগনের রূপ!
আর ওদের বিষাক্ত-জিহ্বা থেকে অনবরত
বের হচ্ছে আগ্নেয়গিরির মতো আগুন
ওরা যেন এক-একটা জলন্ত লাভা!
তাই ওদের আক্রমণে পুড়ে যাচ্ছে
আমাদের সভ্যতার স্মৃতিচিহ্ন,
আর সুরসম্রাটের স্মৃতিময় বাদ্যযন্ত্র!
ওদের ধারালো দাঁতের সামনে
সবকিছু হচ্ছে আজ ছিন্নভিন্ন,
ওরা কি সবকিছু এভাবে বারবার
করতেই থাকবে শুধু লণ্ডভণ্ড!
আর মানুষ হয়ে দেখবে তোমরা!
তোমরা কি এখনও জেগে উঠবে না
এই বাংলার পশুনিধনে?
তোমরা কি জেগে উঠবে না
ওইসব হাঙ্গর-নিধনে?
বাংলাদেশটা কি তবে চলে যাবে
হাঙ্গরের হাতে!
জেগে ওঠো মানুষ,
আর তোমরা হয়ে ওঠো শার্ক-হান্টার।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।








মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.