![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
সাধুবাবা ফিরে গেলেন জঙ্গলে
সাইয়িদ রফিকুল হক
এক সাধুবাবা
জঙ্গল থেকে হঠাৎ বেরিয়ে এলেন
লোকালয়ে প্রাচীন-শহরে।
কেউ দেখে না তাঁকে চেয়ে,
ঘন-কুয়াশার মতো ব্যস্ততার কোলাহলে
ছুটে চলে মানুষ উর্ধ্বশ্বাসে!
সবাই ছুটে চলে মিছিলের গতিতে!
পাশ কেটে চলে যায় সবাই
বুলেট-ট্রেনের গতিতে,
তবু এই ভিড়ের মাঝে
সাধুবাবা ডাকছিলেন কাউকে-কাউকে
কেউ সাড়া দিলো না তাঁর ডাকে!
অবজ্ঞাভরে ছুটে চলে রাজপথের মানুষ,
ছুটে চলে ফুটপাতের মানুষ,
ছুটে চলে বস্তির মানুষ,
আরও কতো নাম না-জানা মানুষ।
মানুষ ছুটছে স্বার্থের ধান্দায়।
একটি জরুরি কথা বলবে বলে
সাধুবাবা বেরিয়ে এলেন আজই,
তবু নেশাগ্রস্ত-মানুষগুলো
সাড়া দিলো না তার ডাকে।
ভাঙ্গা মন নিয়ে ধীরপদে
আবার ফিরে চলে সাধুবাবা,
কেউ ডাকে না তাঁকে।
একটু পরেই শহরে এলো
নাম না-জানা এক রূপকুমারী
কী আলো ঝলমলে চেহারা তার!
কাজ ভুলে হা-হয়ে যায় সবাই,
আর তাকেই দেখতে থাকে মানুষ,
চোখ সরে না তাদের,
আঠার মতো লেগে থাকে
তাদের বিস্ময়ভরা চোখের দৃষ্টি!
দূর থেকে তাকিয়ে সবই দেখতে থাকেন
আমাদের সেই সাধুবাবা,
আর তিনি মিটিমিটি শুধু হাসেন!
এরপরে শহরে এলো এক বেশ্যা,
যৌবনবতী আরও রূপকুমারী,
এবার ভিড় লেগে গেল তার চারপাশে,
সবাই টিকিট কাটে লাইনে দাঁড়িয়ে!
তবু ক্লান্তি নাই মানুষের মুখে।
পকেট খালি করে ঢুকছে তারা
একে-একে কাতারবন্দী হয়ে বেশ্যালয়ে!
সব দেখে শুধু হাসলেন সাধুবাবা,
আর তিনি ফিরে গেলেন জঙ্গলে!
এই শহর তার নয়।
আর এই শহর কি মানুষের নয়?
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
©somewhere in net ltd.