নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একাত্তরের পবিত্র মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপি’র একজন গোব্যাঙেশ্বর রায় আবার ধৃষ্টতাপূর্ণ-উক্তিপ্রকাশ করেছে। এরা বাংলার নব্যমীরজাফর।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০০

একাত্তরের পবিত্র মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপি’র একজন গোব্যাঙেশ্বর রায় আবার ধৃষ্টতাপূর্ণ-উক্তিপ্রকাশ করেছে। এরা বাংলার নব্যমীরজাফর।
সাইয়িদ রফিকুল হক

মানুষের লজ্জা থাকে। কিন্তু পশুদের কোনো লজ্জা নাই। পশুরা একেবারে বেশরম আর ন্যাংটা। আর তাই, বাংলায় একটা প্রবাদ আছে: ন্যাংটার আবার শরম কী? আসলে তা-ই। এইদেশে ন্যাংটার কোনো শরম নাই। আর একজন গয়েশ্বর ওরফে গুয়েশ্বর ওরফে গোব্যাঙেশ্বর রায় অনেক আগেই উলঙ্গ হয়েছে। তাই, আজকাল তাদের কোনো শরমলজ্জা নাই। এরা পশুর মতো উন্মত্ত অবস্থায় দেশের পবিত্র মুক্তিযুদ্ধকে তাদের ধারালো নখরাঘাতে ক্ষতবিক্ষত করতে চায়। একাত্তরে তারা বাংলাদেশটা ধ্বংস করতে চেয়েছিলো। কিন্তু পারেনি। সেই পুরানো আক্রোশ মেটানোর জন্য তারা এখন আবার নতুন করে চেষ্টা চালাচ্ছে। এই গুয়েশ্বর “জাতীয় পাগল ও জাতীয় বেআদব” বলেছে: সাধ্য থাকলে ৩০লাখ শহীদের সংখ্যাঅনুযায়ী তাদের তালিকাপ্রকাশ করেন! কতবড় ধৃষ্ট-পামর এই গুয়েশ্বর। বিদ্যাবুদ্ধি ও বিবেকহীন নরপশু এই গুয়েশ্বর। আসলে, সে এইদেশে বাস করলেও সে কিন্তু একটা আফ্রিকান বিষাক্ত-ব্যাঙ। তাই, সবসময় লাফায় একটু বেশি। তাই বলে দেশের বীরসন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তামাশা করবি?

গত বছর মানে ২০১৫ সালের ২১-এ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছিল: ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। আর এই সংখ্যা ত্রিশ-লাখ হবে না। তিন-লাখ হতে পারে!’ তার এই পাগলামি এখন বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের পেয়ে বসেছে। নেত্রীর কথা শুনে একজন গোব্যাঙেশ্বর রায় একলাফে একেবারে আকাশে উঠে গেছে। আর তার ভাবখানা দেখে মনে হয়: সে যেন পাকিস্তানের লাহোরে-করাচীতে-পেশোয়ারে বসবাস করছে। তাই, সে একতরফাভাবে দেশের মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে নানারকম কুরুচিপূর্ণ উক্তিপ্রকাশ করছে। এই ব্যক্তি মানুষ আছে কিনা সন্দেহ। ওর ডিএনএ-টেস্ট করাটা জাতির জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে। আর ডিএনএ-টেস্ট করলে দেখা যাবে, সে কোনো পশুগোত্র থেকে এসেছে। তখন তাকে কোনো জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়াই জাতির জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে। নইলে কে কোথায় দেখেছে যে, দেশের ভিতরে কেউ এমন পাগলছাগল পোষে!

বিএনপি’র স্থায়ী-কমিটির স্থায়ীশয়তান গোব্যাঙেশ্বর রায় এখর আধাপাগল। আর তার দলের অনেকেই পুরাপাগল। আর তাই, বাংলাদেশের অনেক পাগলই এখন বিএনপি’র পতাকাতলে সমবেত হয়েছে। তাদের একটাই আশা: ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের মতো একটা শয়তানী-তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে পারলে আবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করতে পারবে। এই আশায় তারা বলীয়ান হয়েই দেশের ভিতরে একের-পর-এক শয়তানী-কথাবার্তার জন্ম দিচ্ছে। আসলে, এরা দেশের ভিতরে একটা গোলোযোগ চায়। তাই, এইরকম করছে।
আর এসব তাদের মনের কথা। এখন তারা অকপটে সব প্রকাশ করছে। আসলে, বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ-চেতনায় কখনও বিশ্বাস করেনি। আর কখনও করবে না। তারা বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করার জন্য লোকদেখানোভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রতি কখনওসখনও একটুআধটু সম্মানপ্রদর্শনের চেষ্টা করে থাকে মাত্র। আর এসবই তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

গত ২৭/০১/২০১৬ খ্রিস্টাব্দে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জিয়াপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকপালনের দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠানে বিএনপি’র স্থায়ী-কমিটির সদস্য গুয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছে: “কথায়-কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা। আর সত্য কথায় রাষ্ট্রদ্রোহিতা, আর মিথ্যা কথা বললে দেশপ্রেম—এই নীতিতে বিশ্বাস করি না। সত্য যত নির্মম হোক, সত্য সত্যই। ইতিহাস সঠিকভাবে লিখতে হয়। কে কত লাখ বলল এটা বড় কথা নয়। এখন গুনে-গুনে ৩০লাখ শহীদের নাম পত্রিকায় প্রকাশ করুন। তারপর দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যত পারেন, মামলা করেন।”
এরপর সে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা-দায়ের করা প্রসঙ্গ টেনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে বীর-শহীদদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলে: “তাঁরা ৩০লাখ হোক বা ৬০লাখ হোক, তাঁদের প্রতি আমাদের দায়দায়িত্ব আছে। আর তাঁদের তালিকা কী কারণে থাকবে না?” তারপর সে আমাদের শহীদদের জন্য মায়াকান্না দেখিয়ে বলে: “শহীদদের নাম উল্লেখ করে এলাকায়-এলাকায় স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করতে হবে।” এরপর সে সরকারের উদ্দেশ্যে পুনরায় বলে: “এজন্য শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, আর তাঁদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের।”
কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিএনপি কী করেছে? আর কী করছে? আর এখনই বা কী বলছে? আর তারা মুক্তিযুদ্ধকে কীভাবে দেখছে! এর জবাব একটা গোব্যাঙেশ্বরের কাছে নেই।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৫-এ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিশ্বস্ত গোব্যাঙেশ্বর রায় বলেছিলো: “মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছে।”
কতবড় বেআদব হলে একজন মানুষরূপী পশু বলতে পারে: ৩০ লাখ শহীদের তালিকা এখন প্রকাশ করেন!

এটাতো ভয়ংকর ধৃষ্টতা। আর তাকে শাস্তি দিতেই হবে। বাংলার মাটিতে এইজাতীয় নব্যমীরজাফরদের কোনো ক্ষমা নাই। আর তাই, এদের একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড।
বাংলাদেশে অনতিবিলম্বে আইন করতে হবে: যে বা যারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কিংবা মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কিংবা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ছিঁড়তে চাইবে তাকেই ফাঁসি দিতে হবে। আর এটাই একমাত্র শাস্তি। জয়-বাংলা।
জয়-বাংলা। জয়-বাংলা। জয়-বাংলা।...

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: কুত্তার বাচ্চাকে ন্যাংটা করে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা আর শহীদদের পরিবারের সবার থুথু চাটানো উচিৎ।
থুথু চাটানো শেষ হলে, লিঙ্গ কেটে লবণ ঢুকিয়ে দিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা দরকার। সবশেষে ওকে এমন একটা জলাশয়ে হাতপা বেঁধে ফেলে দেয়া উচিৎ যেখানে সারাবিশ্বের মানুষের মলের একটা করে ফোটা অন্তত আছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:০৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। এই হারামজাদাকে কঠোর শাস্তিপ্রদান করতে হবে।
সুন্দর মতপ্রকাশের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫৪

কবি এবং হিমু বলেছেন: শুনলাম এক লক্ষ ২৭ হাজারের মতো শহীদ পরিবার নাকি সরকারি ভাতা বা অনুদান পায়।এখন তাকে আসুন সবাই জুতাপেটা করি সবাই মানে সব শহীদদের পরিবার মিলে।এখন আমরা প্রশ্ন তাকে কি কেবল অনুদান পাওয়া শহীদ পরিবারেরা জুতা পেটা করবে নাকি ৩০ লক্ষ শহীদের পরিবার?যদি ৩০ লক্ষ পরিবার করে তাহলে সরকারের উচিত আগে তাদের ভাতা বা অনুদানের ব্যবস্তা করা।আর না হলে আসুন স্বাধীনতার পর(১৯৭১)থেকে আজ(২০১৬) পর্যন্ত যতগুলো সরকার ক্ষমতায় বসেছে সবাইকে জুতাপেটা করি আর তাদের লিঙ্গ কেটে লবণ ঢুকিয়ে দিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করি :-P

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:১৩

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার ধারণা সঠিক নয়। কারণ, এমনও অনেক পরিবার আছে, যাদের আর কেউ বেঁচে নেই। তাছাড়া বর্তমান সরকার লক্ষ-লক্ষ শহীদপরিবারের সদস্য ও যুদ্ধাহত-মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারি-ভাতা-প্রদান করছে।
৩০লক্ষ পরিবারকে ভাতা দিতে হবে---এটি হাস্যকর।
আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৩

কবি এবং হিমু বলেছেন: ৩০লক্ষ পরিবারকে ভাতা দিতে হবে---এটি হাস্যকর।এ দাবিটা যদি আপনার কাছে হাস্যকর মনে হয় তাহলে আমার আর কিছুই বলার নাই।কেবল এটা জানতে ইচ্ছে করে তাহলে এ সংখ্যাটা নিয়ে এতো মাথা ব্যাথা কিসের জন্য?রাজনীতি নাকি নিজের আখের গোছানোর জন্য.?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: দেখুন, এটি রাজনীতি কিংবা আখের গোছানো নয়। এটি দেশের ইতিহাসকে সমুন্নত রাখা। কিছু পাগলছাগল ত্রিশলাখ শহীদের হিসাবটা মানে না বলে শহীদের সংখ্যা কমে যাবে না। আর ইতিহাস ধরে রাখার জন্যই আমার এ ক্ষুদ্রপ্রয়াস। পাগলের পাগলামি দেখে ভয় পেলে পাগলেরই রাজত্ব শুরু হয়ে যাবে। এই ব্যাঙেশ্বর-জাতীয় পাগলদের বিরুদ্ধে জনমত তৈরী করার জন্যই এ লেখা।
আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.