নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

একশ্রেণীর পুলিশ গু খায়। তাই, তাদের মাথা ঠিক থাকে না। আর তারা চা-য়ের দোকানদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারে!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২



একশ্রেণীর পুলিশ গু খায়। তাই, তাদের মাথা ঠিক থাকে না। আর তারা চা-য়ের দোকানদারকে আগুনে পুড়িয়ে মারে!
সাইয়িদ রফিকুল হক

ছোটবেলায় শুনতাম: পুলিশ গু খায়। শুনে কথাটির অর্থ ঠিক বুঝতে পারতাম না। কিন্তু মানুষের মুখে শুনতাম: পুলিশ গু খায়! এ কথার মানে কী? জানার বড় শখ হলো। কিন্তু এব্যাপারে বড়দের কাছে কিছু জিজ্ঞাসা করলে তারা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দিতো। আর বলতো: “পুলিশ গু খায়। গু খায়। আর গু খায়। ওসব তুমি এখন বুঝবে না। আরও বড় হও, তখন বুঝবে!” তাই, দীর্ঘদিন পুলিশের গু-খাওয়ার রহস্য বুঝতে পারিনি।

একদিন আমার সুযোগ হলো: গ্রাম থেকে এলেন এক নানাভাই। তিনি এসে আমার মায়ের কাছে বলতে লাগলেন, “মামলা করে ঠকেছি। জমিটা উদ্ধার করতে পারবো কিনা জানি না। কোর্টেও গু খায়, পুলিশও গু খায়। যে-ভাব দেখছি, তাতে মনে হয় মামলা ছেড়েই দিতে হবে। আর নয়তো পুলিশকে গু খাওয়াতে-খাওয়াতে শেষ হয়ে যাবো।
মা বললেন, “তা-ই ভালো, মামলা ছেড়ে দেন। নইলে পুলিশকে গু খাওয়াতে-খাওয়াতে বাকী জমিটুকুও থাকবে না।”
ভয়ানক অবস্থা সবখানে পুলিশ গু খায়!

দুপুরের খাবারের পরে নানাভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম, “আচ্ছা নানাভাই, পুলিশ গু খায়, কথাটার মানে কী? আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন!”
নানাভাই তখন হেসে বললেন, “হ্যাঁ, বলবো। গু মানে ঘুষ! আর ঘুষ মানে সরকারি বেতন, ভাতা, রেশন ইত্যাদি গ্রহণ করেও সরকারি কাজের জন্য সাধারণ মানুষের নিকট থেকে ভয় দেখিয়ে, কাজে গড়িমসি করে, ফাইল আটকিয়ে, মামলা দুর্বল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে, যে টাকাপয়সা-গ্রহণ করা হয় তা-ই ঘুষ।”
তখন সব বুঝতে পারলাম। আর এখন সব বুঝতে পারি। আর বুঝি: পুলিশ কেন গু খায়?

গু খেতে-খেতে এখন দেশের একশ্রেণীর পুলিশের মাথা ঠিক নাই। তাই, তারা লোভের আগুনে পুড়ে-পুড়ে দেশের মানুষকে গোরু-ছাগল ভাবছে। আর যার যা-খুশি তা-ই করছে। এইজাতীয় গুখোর-পুলিশগুলো এখন ভয়ানক বেপরোয়া। তারা এখন যারতার কাছে যখন-তখন চাঁদা দাবি করছে, অর্থ দাবি করছে। এদের স্পর্ধা সহ্যসীমা অতিক্রম করেছে। আর একশ্রেণীর গুখোর-পুলিশের জন্য গোটা পুলিশবাহিনীর ভাবমূর্তি এখন হুমকির মুখে।

গুখোর ঘাউড়া-মাছ যেমন মাছ নয়, তেমনই গুখোর-পুলিশও কোনো পুলিশ নয়। এগুলো রীতিমতো সন্ত্রাসী। এদের শক্ত-কঠিন বিচার করতে হবে। আর স্বল্পসময়ে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এরা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শত্রু। এই গুখোর-পুলিশ বাংলার নব্যরাজাকার। এবার এদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি-প্রদান করতে হবে। দেশ, জাতি ও মানুষের স্বার্থে দেশের পুলিশবাহিনী থেকে গুখোর-পুলিশ শনাক্ত করতে হবে।

সেদিন গু খেতে না পেরে একজন চা-য়ের দোকানদার বাবুল মাতুব্বরকে তারই স্টোভের আগুনে পুড়িয়ে মেরেছে শাহ আলী থানার কয়েক পুলিশ।
গত ০৪/০২/২০১৬ খ্রিস্টাব্দে চাঁদার টাকা না পেয়ে কয়েক পুলিশ চা-য়ের দোকানদার বাবুল মাতু্ব্বরের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাবুল মাতুব্বর মারাত্মকভাবে আহত হয়। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন-ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিলো। কিন্তু তার শরীরের ৯৫% পুড়ে যাওয়ায় তাকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয়েছে। মিরপুর গুদারাঘাটের কিংশুক বহুমুখী সমিতির গেটের কাছে বাবুল মাতুব্বরের চা-য়ের দোকান ছিল। গত ০৪/০২/২০১৬ খ্রিস্টাব্দে বুধবার রাত ৯.০০টার দিকে শাহ আলী থানা-পুলিশের একটি টহল-টিম মাইক্রোবাস-যোগে তার দোকানে আসে। যেহেতু রাস্তার পাশে ফুটপাতে দোকান, সেহেতু পুলিশগুলো সুযোগ পেয়ে যায়। আর তারা চাঁদা চায়। বাবুল চাঁদা দিতে অস্বীকার করায়, পুলিশগুলো লাঠি দিয়ে তার কেরোসিনের চুলা-স্টোভে আঘাত করে। এতে কেরোসিন তেল ছিটকে তার গায়ে পড়ে আগুন ধরে যায়। এতে পুড়ে যায় বাবুল মাতুব্বর ও তার চা-য়ের দোকান।

এই নারকীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা:
শাহ আলী-থানার ওসি: একেএম শাহীন মণ্ডল (বর্তমানে ক্লোজ)।
ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত পাঁচ পুলিশ-সদস্য: এসআই মো. মমিনুর রহমান খান, এসআই একেএম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা, এএসআই শ্রীধাম চন্দ্র হাওলাদার, এএসআই দেবেন্দ্র সরকার ও কনস্টেবল মোহাম্মদ জসিমউদ্দিন। এদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এই ক্লোজ ও বরখাস্ত দিয়ে কোনো কাজ হবে না। এদের ফাঁসি চাই। ফাঁসি। এবার এদের ফাঁসিই দিতে হবে। অপরাধী-পুলিশ-সদস্যদের আপনারা আর কত লোকদেখানো “ক্লোজ-বরখাস্ত” করবেন? এবার এসব বাদ দেন। আর গুখোর-পুলিশদের একমাত্র শাস্তিস্বরূপ মৃত্যুদণ্ডের বিধান করুন।

একজন বাবুল মাতুব্বর মরে গিয়ে প্রমাণ করলেন, পুলিশ গু খায়।
আজ শুধু একজন বাবুল মাতু্ব্বর নয়, আরও অনেক মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়েছে পুলিশ। আর এই গুখোর-পুলিশ দিয়ে রাষ্ট্রের কোনো মঙ্গলসাধিত হবে না। তাই, রাষ্ট্র ও জনগণকে রক্ষার জন্য গুখোর-পুলিশদের “স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল” গঠন করে বিচার করতে হবে। আর কোনো পুলিশ যদি গু খেতে গিয়ে ধরা পড়ে, কিংবা গু খেয়ে ধরা পড়ে, তাহলে, তাকে সরাসরি প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করতে হবে। বাংলার মানুষ আজ তা-ই চায়। এই বেপরোয়া গুখোর-পুলিশদের শায়েস্তা করার জন্য অবিলম্বে স্বাধীন-বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু করতে হবে। আর গুখোর-পুলিশদের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
গুখোর-পুলিশদের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
গুখোর-পুলিশদের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
গুখোর-পুলিশদের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
জয়-বাংলা।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৫

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: অসম্ভব ভালো লিখেছেন.... :-)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সহমতপ্রকাশের জন্য আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৬

কাউন্টার নিশাচর বলেছেন:

মিরপুর চায়ের দোকানদারকে আগুন দিয়ে মেরেছিল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বর্তমান পুলিশ সদস্য নরুন্নবী। বাঁম পাশের পুলিশ অফিসারের নাম নরুন্নবী, একসময় চাঁদপুর জেলার বিতর্কিত ছাত্রলীগের নেতা ছিল সে! আজও চাঁদপুর সদর থানায় তার বিপক্ষে ৪টি মামলা ফাইল বন্ধি পরে আছে। কিন্তু হঠাত করেই সে হয়েগেছেন দেশের পুলিশ অফিসার!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। এইসব ধান্দাবাজ-শয়তানদের দেশের পুলিশবাহিনী থেকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করতে হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:১৯

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ধন্যবাদ।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪২

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। আর সঙ্গে একরাশ শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.