নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

টি-টোয়েন্টি কাপে ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় মনের দুঃখে রাতে ভাত খায়নি একজন শ্রদ্ধেয় ইমামসাহেব!

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২৬


টি-টোয়েন্টি কাপে ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় মনের দুঃখে রাতে ভাত খায়নি একজন শ্রদ্ধেয় ইমামসাহেব!
সাইয়িদ রফিকুল হক

বাংলাদেশে এখন ক্রিকেট খেলার জমজমাট আসর। বর্তমানে চলছে টি-টোয়েন্টি এশিয়া-কাপ। আর এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ-সহ ভারত, শ্রীলংকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এরই মধ্যে এটি ক্রিকেটযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানী-সাপোর্টাররা পাকিস্তানের জন্য যেকোনো সময় জীবন দিয়ে দিতে রাজী। একমাত্র পাকিস্তানই এদের সর্বসুখের মূল উৎস। তাই, পাকিস্তানের জন্য এদের মন সবসময় কাঁদে।

কয়েকদিন আগে (২৬-এ ফেব্রুআরি, শনিবার) এশিয়া-কাপের জমজমাট ম্যাচ হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। আর এই ম্যাচে তেমন একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পেরে ভারতের কাছে শোচনীয়ভাবে হেরে গেছে পাকিস্তান। আর এতে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশের পাকিস্তানীবংশধররা। তারা এখনও ভয়ানকভাবে বেসামাল! এই মাচে হারের জন্য তারা ভারতকে দায়ী করছে। ভারত নাকি ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। খেলা হয়েছে মাঠে, বাংলাদেশের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। ভারত কীভাবে এখানে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে? আমরা জানি, পাকিস্তানী-সাপোর্টারদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু তাই বলে এতোটা? আর সঙ্গে-সঙ্গে বাংলাদেশের পাকিস্তানপ্রেমিকরা দায়ী করছে বাংলাদেশকেও। তারা বলছে: পাকিস্তানকে নাকি আমাদের দেশে ঠিকভাবে আদর-যত্ন করা হচ্ছে না। এদেশে তাদের পাকিভাইদের খাতির-যত্ন নাকি কমে গেছে! তাই, তারা শোচনীয়ভাবে ভারতের কাছে হেরে গেছে!

আমাদের শ্যামলী এলাকার এক মৌলভীসাহেব (মাওলানা আনোয়ার হোসেন পেশোয়ারী) শনিবার সন্ধ্যার আগে থেকে, মানে মাগরিবের নামাজের আগে থেকে পাকিস্তানের খেলা দেখার জন্য ভীষণবিরাট প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। পারলে সে খেলার জন্য নামাজ বাদ দেয় আরকি! পাকিস্তানের খেলা বলে কথা। পাক-মুলুকের সবই যদিও নাপাক! তবুও আমাদের দেশের আবোলতাবোলদের কাছে পাকিস্তানের সবকিছুই জায়েজ। আর পাকিস্তানের খেলা দেখতে গিয়ে নামাজ তরক করলেও কোনো গুনাহ হবে না—এই হচ্ছে বাংলাদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা পাকিস্তানপন্থীদের ঈমানআকিদাহ। পাকিস্তানের খেলা দেখাও নাকি ছওয়াবের কাজ! খেলার আগে এক ইমামসাহেব সবার সামনে তা-ই বলে বসলো। এই নিয়ে লোকজনের মধ্যে কানাঘুষা শুরু হলে লোকটি তখন ভোল পাল্টে বললো, “না, মানে, পাকিস্তান মুসলমানের দেশ। সে দেশের খেলা দেখাও জায়েজ!”

খেলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইমামসাহেব কয়েকজন মুসল্লী নিয়ে একটা বাসায় বসে খেলা দেখছে। আর দেখতে-দেখতে উত্তেজনায় একেবারে ফেটে পড়েছে।
পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করছে। এতে ইমামসাহেবের আনন্দ আরও বেশি! কারণ, শুরু থেকে সে পাকজওয়ানদের খেলা দেখার বিরাট সৌভাগ্য অর্জন করেছে! এই সৌভাগ্য কয়জনের হয়? পারলে এই ইমামসাহেব পাকিস্তানের খেলা দেখার জন্য আজকের মাগরিব-এশার নামাজ কামাই করতো। কিন্তু মুসল্লীদের ভয়ে সে এই কাজটি করতে পারলো না। কয়েকটি চার-ছক্কা দেখে তার মনে ভীষণ আনন্দ! ইমামসাহেব খুশিতে কয়েকবার হাততালি দিয়ে ফেললো। অথচ, এই ইমামসাহেব গত জুম্মায় মসজিদের মিম্বরে বসে বলেছিলো: “মুসলমানদের হাততালি দেওয়া সম্পূর্ণ না-জায়েজ! আর যারা আলেম-উলামাদের কথা অমান্য করে এই না-জায়েজ হাততালি দিবে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে!” আর সেই ইমামসাহেব এখন জেনেশুনে ক্রমাগত হাততালি দিচ্ছে। একজন মুসল্লী ইমামসাহেবের কাণ্ড দেখে বললো, “হুজুর, আপনি হাততালি দিচ্ছেন যে!”
ইমামসাহেব মুসল্লীর কথাটার মানে বুঝতে পেরে সদ্যোফোটা-গোলাপ-ফুলের হাসি উপহার দিয়ে বললো: “আরে ভাই, পাকিস্তানের খেলা! এখানে শুধু হাততালি কেন সবই জায়েজ!”
ইমামসাহেবের এই কথা শুনে ওই মুসল্লী রুম থেকে বেরিয়ে গেল।

একসময় খেলায় ভারতের কাছে পাঁচ উইকেটে পরাজিত হয় পাকিস্তান। এমনকি ভারত ১৭ বল বাকী থাকতেই জয় করায়ত্ত করে নেয়!
ইমামসাহেব মন খারাপ করে মসজিদের হুজরায় ফিরে যায়। আর তার খাদেমকে ডেকে সোজা বলে দেয়, “আজ রাতে আর ভাত খাবো না।”
ভারতের কাছে পাকিস্তান শহীদ হয়ে গেছে! এখানে খাবার খেলে তার ঈমানের দুর্বলতাপ্রকাশ পাবে! তাই, ইমামসাহেব এই শুভবুদ্ধির আশ্রয়গ্রহণ করেছে।
আজ বাংলাদেশে এইরকম ঈমানদার ইমামসাহেবই তো দরকার!

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪০

মহা সমন্বয় বলেছেন: বাংলাদেশে প্রচুর পাকিস্তানী সাপোর্টার আছে শুধু মাত্র ধর্ম আর চেহারার কারণে। নানা,চাচী,খালা, খালুরা ক্রিকেট না বুঝলেও দুই একটা পাকিস্তানী খলোয়ারের নাম ঠিকই মুখস্থ রাখে একথা সবাই জানে।

কিন্তু আমার কথা হচ্ছে আপনি শুধু ইমামদের পিছনে কেন লাগছেন ? ক্রিকেটের মধ্যেও ইমামদের টাইনা আনছেন ??

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ইমামদের পিছনে লাগা নয়। এখানে তো ইমামদের সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
একশ্রেণীর ইমাম পাকিস্তানকে এতো ভালোবাসে যে তা ভাষায়প্রকাশ করা অসম্ভব।
আর এই ধরনের একজন ইমামের প্রতিচ্ছবি এখানে ফুটে উঠেছে।
অন্যকিছু নয়।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০০

ক্ষুদ্র মানব বলেছেন: জন্মসূত্রে আপনার বাবাও পাকি ছিলেন, কৃকেট এ কাকে পছন্দ এটা কিছুই যায় আসেনা। কিন্তু দেশকে ভালবাসা উর্দ্ধে রাখতে হবে সবার। এক ঘরে ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা থাকতে পারলে, ইনডিয়া-পাকিস্তান সাপোর্টার থাকতে অসুবিধা কোথায়। মনটাকে প্রসারিত করুন। আর কারও ছবি অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করে তার প্রাইভেসি হরন করাও ঠিকনা।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আমাদের মনটা বড়ই আছে। কিন্তু আপনি তো ক্ষুদ্রমানব! আপনার মনটা বড় হবে কীভাবে?

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩৬

রাজীব বলেছেন: সমস্যা নেই, বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তান হারলে উনারে আমি বিরানী খাওয়াবো

৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:১৩

মারুফ তারেক বলেছেন: সত্যই এইরকম করেছে নাকি?

করে থাকলে, তাদের জন্য সাড়ে তিন মিনিট নীরবতা পালন করছি।

৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪৪

মোঃ তালেব বলেছেন: এক ঘরে ব্রাজিল- আর্জেন্টিনা
থাকতে পারলে, ইনডিয়া-পাকিস্তান
সাপোর্টার থাকতে অসুবিধা কোথায়।


সহমত

৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৫৯

মোঃ তালেব বলেছেন: দাদা তো গরুর গাড়ি চালাইলো সারা জিবন,, আপনে মিয়া তো চালান পালসার,হাঙ্।
বর্তমান পাকিদের বাপ দাদারা আমাদের মারছে বলে এই প্রজন্ম আমাদের মারবে???? খেলার ভিতর রাজনীতি????? আপনে আইজ থেকা গরুর গাড়ি চালান বাপ দাদায় করছে বলে কথা।।।।।।।।।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.