নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সহকর্মীকে ধর্ষণপ্রচেষ্টার অভিযোগে একজন প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার! জাতির ভবিষ্যৎ কী?

২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:২২


সহকর্মীকে ধর্ষণপ্রচেষ্টার অভিযোগে একজন প্রধান শিক্ষক গ্রেফতার! জাতির ভবিষ্যৎ কী?
সাইয়িদ রফিকুল হক

অতিসম্প্রতি বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের বারইখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন কর্তৃক ওই একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তথা তদীয় সহকর্মী ফারজানা রহমান বীথি ভয়ানকভাবে যৌন-হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়: বারইখালী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তদীয় সহকর্মী ফারজানা রহমান বীথিকে দীর্ঘদিন যাবৎ নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো। গত ১৫ই মে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন তার সহকর্মী ফারজানা রহমান বীথিকে সরাসরি কুপ্রস্তাব দেয়। এতে বীথি কোনোভাবেই ওই কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন তাকে একপর্যায়ে জাপটে ধরে। পরে অবশ্য ওই শিক্ষিকা নিজেকে কোনোক্রমে রক্ষা করতে পারেন। তিনি ওই দিন এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত ঘটনা জানিয়ে উপজেলা প্রাথমিকশিক্ষাঅফিসার আনিসুর রহমানের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। একপর্যায়ে ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপকভাবে জানাজানি হলে পরদিন স্থানীয় জনতা, ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষ বিদ্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার, অপসারণ ও তার বিচার দাবি করতে থাকে। এতে আইনশৃঙ্খলাপরিস্থিতি ভয়ানকভাবে অবনতির আশংকাসৃষ্টি হলে উপজেলা সহকারী শিক্ষাঅফিসার মো. নজরুল ইসলাম তাড়াতাড়ি পুলিশ-ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার ও গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাথমিকশিক্ষাঅফিসার অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণের সুপারিশ করেছেন বলে জানা যায়। দেখা যাক কী হয়!
আর এই ঘটনাসমূহের সত্যতা-স্বীকার করেছেন জিলাশিক্ষাঅফিসার অশোক কুমার সমদ্দার ও উপজেলা প্রাথমিকশিক্ষাঅফিসার আনিসুর রহমান।

ঘটনা ঘটেছে, হয়তো এই ঘটনার একটা শেষও আছে। আর হয়তো বিচারে দোষীসাব্যস্ত হয়ে একজন ইসমাইল হোসেন চাকরিচ্যুত হবে। আর তার জেলও হতে পারে। কিন্তু এটি কোনো বড় ঘটনা নয়। ভাবছি: কিছুসংখ্যক শিক্ষকের এই যে চারিত্রিক দুর্বলতা! এর শেষ কোথায়? কবে আমরা আবার ফিরে পাবো সেইসব মহাপুরুষোচিত শিক্ষকদের? আর যাদের ছায়া দেখলেও আমাদের মনে শ্রদ্ধার উদ্রেক হতো! কবে ফিরে পাবো আবার সেইসব শিক্ষক?

জাতি শিক্ষক-চরিত্রের আর অবনতি দেখতে চায় না। যাদের হাতে দেশের ভবিষ্যৎ—তাদের অবস্থা যেন এমন নড়বড়ে না হয়। শিক্ষক হতে হবে প্রবল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও মেরুদণ্ডি।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
২৬/০৫/২০১৬



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০৯

মোস্তফা ভাই বলেছেন: বিচার চাওয়া যাবে না, কারণ এখন কেউ কেউ পুরানো খবরের কাগজ থেকে এরকম কোনো ঘটনার রেফারেন্স এনে বলতে পারে, " কই, তখন তো আপনি কিছু বল্লেন না, এখন কেনো?"

২| ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:১৪

রাতুল খান আবীর বলেছেন: জাতির বিবেক যদি এই হয়, তবে.....


যে কোন বাংলা বই ডাউনলোড করুন

৩| ২৬ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১৬

বাংলা গান শুনুন বলেছেন: বিকৃত মস্তিস্কের লোকগুলো কে ঝুলাইয়া দেওয়া উচিৎ, সে যেই হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.