নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইহুদী-রাজাকার-সাফাদি নিজেকে ও তারেক জিয়াকে বাঁচাতেই হঠাৎ জয়ের সঙ্গে তার বৈঠকের মিথ্যা-নাটক মঞ্চস্থ করতে চাইছে (কয়েকটি প্রমাণসাপেক্ষ-যুক্তি)

৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:৫৩




ইহুদী-রাজাকার-সাফাদি নিজেকে ও তারেক জিয়াকে বাঁচাতেই হঠাৎ জয়ের সঙ্গে তার বৈঠকের মিথ্যা-নাটক মঞ্চস্থ করতে চাইছে (কয়েকটি প্রমাণসাপেক্ষ-যুক্তি)
সাইয়িদ রফিকুল হক

বাংলাদেশে রাজাকার ছিল, আছে এবং থাকবে—এটি খুব সাধারণ একটি ঘটনা। ১৯৭১ সালে, যারা বাংলাদেশে বাস করেও নিজের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে অস্বীকার করে সামান্য লাভের আশায় পাকিস্তানকে বাপ ডেকে পাকিস্তানরক্ষার জন্য পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছিলো—তারাই রাজাকার। আর এইরকম রাজাকার এখনও দেশে বিরাজমান। কিন্তু বিশ্বে বাংলাদেশবিরোধী আর-এক নতুন রাজাকারের জন্ম হয়েছে। আর এই রাজাকারের নাম মেন্দি এন সাফাদি। সে বর্তমানে ক্ষমতাশালী ইহুদীরাষ্ট্র-ইসরাইলের ‘ক্ষমতাসীন লিকুদ-পার্টি’র প্রধান। আর সে জাতে পাক্কা-ইহুদী। আর নিজের লাভের জন্য ইহুদীরা যেকোনো সময় মিথ্যা বলতে অভ্যস্থ। মূলত এদের কোনো ধর্ম নাই। চরিত্র নাই। এমনকি এদের কোনো আদর্শ পর্যন্ত নাই। এরা এমনই এক ভয়াবহ পাষণ্ড। আর এরা নিজেদের স্বার্থের জন্য যেকোনো সময় যা-খুশি তা-ই করতে পারে।

সাম্প্রতিককালে বিএনপি-জামায়াতজোট বাংলাদেশে ক্রমাগত ও যেকোনো-উপায়ে সরকার-উৎখাতের অপচেষ্টা করে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র যাদের মজ্জাগত-অভ্যাস তারা তো আর বসে থাকতে পারে না। তাই, তারা দেশে ব্যর্থ হয়ে বিদেশীশক্তির সাহায্যে বাংলাদেশের বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারকে উৎখাতের জন্য এক ভয়ানক ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। এই ষড়যন্ত্রের মূলনায়ক লিকুদ-পার্টির প্রধান মেন্দি এন সাফাদি, আর বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কৃত-পলাতক তারেক জিয়া, আর তারেক জিয়ার অনুগত একজন জিরো থেকে হিরো হওয়া আসলাম চৌধুরী। আর আসলাম চৌধুরী বর্তমানে রিমান্ডে ও জেলহাজতে রয়েছে।

১৯৭৫ সালের মতো হত্যা-ক্যু-এর মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামীলীগসরকারকে উৎখাত করার জন্য তারেক জিয়ারা ইসরাইলের গোয়েন্দাসংস্থা-মোশাদ ও সাফাদিদেরকে হাজার-হাজার কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছে। আর তাদের ভাবখানা এমন: লাগে টাকা দেবে গৌরিসেন! তাদের তো টাকার অভাব নাই। আর তাদের জীবনের মূলমন্ত্র হলো: টাকা যায় যাক—তবুও রাষ্ট্রক্ষমতা চাই। আর একবার রাষ্ট্রক্ষমতাদখল করতে পারলে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী সব মুক্তি পেয়ে যাবে।

সাফাদিদের সঙ্গে তারেক জিয়ার ষড়যন্ত্রের খবরাখবর সম্পূর্ণ ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় ওঠে। এতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে সাফাদি ও তারেক জিয়ারা। আর আসলাম চৌধুরীকে রিমান্ডে নেওয়ার পর নানান চমকপ্রদ-তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে। আর একজন আসলাম চৌধুরী স্বেচ্ছায় স্বীকার করে নেয় যে, তারেক জিয়ার নির্দেশেই সে সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করে আওয়ামীলীগসরকারকে উৎখাতের জন্য মোশাদ ও সাফাদিকে বিপুল অঙ্কের অর্থ দিয়েছে। পাপ কখনও গোপন থাকে না। পাপের পরাজয় অত্যাসন্ন। তাই, সাফাদি ও তারেক জিয়ারা ধরা পড়ে গেছে। আর এদের পাপের সাক্ষী এখন দেশে-বিদেশে অনেকে।

সারাবিশ্বে ব্যবসাবাণিজ্য ও কূটবুদ্ধিতে ইহুদীরা খুব দক্ষ। এদের মাথায় শয়তানী খেলে ভালো। সাফাদি ও তারেক জিয়ারা জনগণের সামনে ধরা পড়ে বাঁচার জন্য ‘জয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ শুরু করে দেয়। আর এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম মূলহোতা ইহুদী-রাজাকার মেন্দি এন সাফাদি।
বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে সাফাদির বৈঠকের খবরটি যে ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যমূলক, আজেবাজে, আলতুফালতু আর সম্পূর্ণ বানোয়াট তার সপক্ষে এখানে মাত্র কয়েকটি যুক্তি উপস্থাপন করা হলো:

১. সাফাদির সঙ্গে জয়ের বৈঠকটি সত্য হলে এতোদিন তারা কেন তা বলেনি? আর তারেক জিয়ার সঙ্গে সাফাদিদের গোপন-ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকটি ফাঁস হওয়ার পর তা কেন কাউন্টার-অ্যাটাক হিসাবে এটি প্রকাশ করা হলো? প্রিয়-পাঠক একবার ভাবুন তো: তারেক জিয়ার সঙ্গে সাফাদির ষড়যন্ত্রমূলক বৈঠকের খবরটি ফাঁস হওয়ার পর কেন এসব বলা হচ্ছে?
২. তারেক জিয়াদের টাকা খাওয়া নির্লজ্জ সাফাদি কেন হঠাৎ এতোদিন পরে জয়ের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা প্রচার করছে? সে আগে কেন বলেনি? আর বৈঠক হয়ে থাকলে তার প্রমাণাদি ও ছবি কোথায়? বিএনপি’র আসলাম চৌধুরীদের ছবি তো একেবারে ফাঁস হয়ে গেছে।
৩. জয়ের সঙ্গে কোথায়, কখন ও কেন বৈঠক হয়েছে, তা কি একজন ইহুদী-রাজাকার-সাফাদি বলতে পারবে? দলীয় প্রধান হওয়ার সুবাদে এই রাজাকার-সাফাদি তো এখন ইসরাইলি গোয়েন্দাসংস্থা-মোশাদেরও প্রধান। তার হাতে তো অনেক তথ্য থাকার কথা!
৪. সাফাদি মোশাদের বর্তমান চীফ-কমাণ্ডার, মানে প্রধান। সে ভয়ানক ধূর্ত। আর সারাবিশ্বে শয়তানীর জালবিস্তার করতেই তাদের মতো ধূর্তশয়তানের জন্ম হয়েছে। তারা জয়ের সঙ্গে বৈঠক করলো কিন্তু তার কোনো ভিডিও কিংবা ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে না! যতোসব পাঁঠার দল।
৫. শাক দিয়ে কখনও মাছ ঢাকা যায় না। সাফাদিরা ধরা পড়ে গেছে। আর তাই, তারা এখন বাঁচার জন্য জয়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা বলে নতুন নাটক মঞ্চস্থ করতে চাইছে। আর অপপ্রচার চালাচ্ছে: জয়ের সঙ্গেও তাদের বৈঠক হয়েছে! একেই বলে ইহুদীবুদ্ধি!
৬. বিএনপি’র টাকা খেতে-খেতে, আর নিয়মিত তারেক জিয়ার মূত্রপান করতে-করতে সাফাদিরা এখন বিএনপি’র মতোই ষড়যন্ত্রে দক্ষ। আর তারা (সাফাদিরা) এখন বিএনপি’র স্থায়ীকমিটির প্রথম সারির সদস্য ও নেতা।
৭. মেন্দি এন সাফাদি বাংলাদেশবিরোধী একটা ইহুদী-রাজাকার। তার সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ জয়ের কখনও-কোনোদিন দেখা হয়নি। কথা হয়নি। আর বৈঠকের বিষয়টি তো সম্পূর্ণ একটি হাস্যকর ও শয়তানীষড়যন্ত্রের অংশবিশেষ মাত্র। আসলে, একজন নব্যরাজাকার সাফাদি তার নিজের ও তার নতুন বাবাঠাকুর তারেক জিয়ার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ ও পাপসমূহ ঢাকতেই বিশ্বব্যাপী এই মিথ্যানাটকের জন্ম দিতে চাইছে।

এবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের কথা শুনুন। তিনি তাঁর ফেসবুক-স্ট্যাটাসে বলেছেন:

“বিএনপি এমনই একটা বোকার দল, এমনকি তারা যখন মিথ্যা বলে তখনও বোকামিপূর্ণ-ভুল করে। আমি চাই বিএনপি ও সাফাদি একটা প্রশ্নের জবাব দিক। ওয়াশিংটনের কোথায় তিনি আমার সাক্ষাৎ পেয়েছেন? কোন অনুষ্ঠানে? অন্য কার অফিসে? প্রথম বোকামিপূর্ণ-ভুল তারা করেছে, কারণ, আমি গত ৩-৪ বছরে ওয়াশিংটনে কোনো অনুষ্ঠানে বা কারও অফিসে যাইনি। যে মিটিংগুলো আমার হয়েছে সেগুলো সবই সরকারি-কর্মকর্তাদের সঙ্গে এবং তা একান্ত ব্যক্তিগত। তাহলে, কোথায় তার সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হতে পারে?”

দেশ থেকে দূর হোক এই নির্লজ্জ-মিথ্যাচার। আর যারা জেনেশুনে নিজেদের পাপ-ঢাকতে এই মিথ্যাচারিতার জন্ম দিচ্ছে ধিক্ তাদের ধিক্।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
৩১/০৫/২০১৬

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৬ রাত ১১:১০

অর্ক বলেছেন: সবই ঠিক আছে। কিন্তু কোনও ধর্মের বিরুদ্ধে ঘৃণা সমর্থন করি না। আমি মানুষে বিশ্বাস করি। পৃথিবীতে হয়তো খুব অল্প কিছু মানুষের হয়তো কোনও অসহায়ত্ব থেকে থাকবে যা তাদের অপরাধ করতে বাধ্য করে। তাদের কাওকে আমি চিনি না। আমি জানি কোনও পথের মাঝে পথ হারিয়ে গেলে এই মানুষই মানুষকে সঠিক পথ চিনিয়ে দেয়। আমাদের দেশের মানুষের মাঝে অকারণ ইহুদি বিদ্বেষ আছে। যা দুর্ভাগ্যজনক। কোনও ধর্মের প্রতি আমার কোনও ঘৃণা নেই।

২| ০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

আচার্য বাঙালি বলেছেন: সত্য শুনে অনেকে পাগল হয়ে যায়। তবুও সত্য বলুন।

৩| ০১ লা জুন, ২০১৬ সকাল ৭:২৯

আমি মিয়াবাড়ির ছেলে বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়লে মন ভালো হয়ে যায়। আর মনে সাহস পাই।

৪| ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:১১

প্রবাসী একজন বলেছেন: সবাই নাটক আর চেতনায় ঠিকে থাকতে চায়... আজকাল নাটক..চেতনা...মুক্তিযোদ্ধা... এর সব দিয়ে তো কোটি কোটি মানুষের ভাগ্যকে পায়ের তলায় পিশে মারা হচ্ছে। আর আপনার সত্যের নামে একেকটা সিরয়াল নাটক বানাইতেছেন আর মনে করতেছেন..জনগন কতো বোকা...হালাগোর মাথায় যতদিন কাঠাল ভাইঙ্গা খাওয়া যায়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.