নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র রমজান-মাসে বাংলাদেশের শয়তান কি বন্দী হয়েছে?

০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৪


পবিত্র রমজান-মাসে বাংলাদেশের শয়তান কি বন্দী হয়েছে?
সাইয়িদ রফিকুল হক

আমাদের মহানবী হজরত মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রমজান-মাসে শয়তানকে বন্দী করে রাখা হয়। এর প্রতি আমাদের বিশ্বাস ও আস্থা দুইই রয়েছে। প্রিয়-নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বিশ্বাস করাটা ঈমানের অংশ। আর তাঁর বাণীও চিরঅমর। কিন্তু বাংলাদেশের একশ্রেণীর মুসলমান-নামধারী ভণ্ডদের আস্ফালন, দৌরাত্ম্য ও শয়তানী দেখে মনে হয়: বাংলাদেশের শয়তান বুঝি এখনও বন্দী হয় নাই!

সারাবিশ্বে খ্রিস্টানসম্প্রদায়ের বড়দিন-উপলক্ষে সকল পণ্যদ্রব্যের মূল্য কমে যায়। শুনেছি, বড়দিনের ২৫ দিন আগে থেকে তারা এই বিশেষ মূল্যছাড়ের ব্যবস্থা করে রাখে। আরও শুনেছি, কেউ-কেউ এর আগে থেকেও নাকি বড়দিনপালন-উপলক্ষে নিত্যব্যবহার্য সকল জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। আর তা ৩০% থেকে ৭০% পর্যন্ত। যাতে, খ্রিস্টানসম্প্রদায়ের মানুষজন শান্তিসুখে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বড়দিনপালন করতে পারে। এই হচ্ছে তাদের আর মানুষের প্রকৃত-ধর্মবোধ।

আর আমরা বাংলাদেশে দেখছি এর সম্পূর্ণ উল্টা দিকটি। এখানে, মুসলমানদের পবিত্র রমজান-মাস উপলক্ষে—মানে, রমজান শুরুর কয়েকদিন আগে থেকেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো শুরু হয়ে যায়। অবশ্য ভিতরে-ভিতরে সবকিছুর দামই কমবেশি বাড়তে থাকে রমজানের প্রায় মাসখানেক আগে থেকে। বাংলার মুসলমানরা খুব ধর্মভীরু। তারা রোজার মাসকে খুবই সম্মান করে থাকে। সাধারণ ধার্মিকদের নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নাই। এরা আসলেই ধর্মপ্রাণ-মুসলমান।

কিন্তু এই দেশে মুসলমান-নামধারী একটি শ্রেণী তাদের সারাবছরের শয়তানী জমিয়ে রাখে পবিত্র রমজান-মাসে তা প্রয়োগ করবে বলে। আর এরা এমনই নরাধম ও পাষণ্ড যে, দুনিয়ার বুকে এদের মতো পশুদের সঙ্গে আর-কারও তুলনা চলে না। এরা বন্যবরাহের চেয়েও নিকৃষ্ট। এরা চিরমূর্খ বলেই পবিত্র রমজান-মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে এমন শয়তানী করছে। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এদের মতো জ্ঞানহীনপশুদের সম্পর্কেই বলেছেন—‘বাল হুমা আদল!’ এরা চতুষ্পদজন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট। এরা সমাজে-রাষ্ট্রে মুসলমানের বেশধারণ করে মুসলমানের পরিচয় দিয়ে কাজকর্ম করে থাকে ইসলামবিরোধী। এরা রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট করে তাদের পাঁচ টাকার জিনিস রমজান-মাসে পঁচিশ টাকা—কোনো-কোনো-ক্ষেত্রে পঞ্চাশ টাকায় পর্যন্ত তা বিক্রি করতে চায়! এই অমানুষের দল পবিত্র রমজানের ভাবমূর্তি ও গাম্ভীর্য বিনষ্ট করার জন্য রমজানের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত সমস্ত জিনিসের দাম বাড়িয়ে জনজীবনে চরম-দুর্ভোগের সৃষ্টি করে।

একটি প্রত্যক্ষ-ঘটনা:
রমজানের দুই-তিন দিন আগে জুম্মার নামাজ পড়ে মসজিদের সামনে কাঁচামালের ভ্যান থেকে শশা কিনলাম ২০ টাকা কেজি, পটল ২০ টাকা কেজি, লেবু ১৫ টাকা হালি, আর বেগুন প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা। আর এখন এই পশুর দল রমজানের পবিত্রতা বিনষ্ট করে রাতারাতি প্রতি কেজি শশার দাম ঠিক করেছে ৪০-৫০ টাকা—আর কোনো-কোনো-ক্ষেত্রে বা স্থানভেদে তা ৫০-৬০ টাকা কেজি, পটল ৩০-৪০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ২০-২৫ টাকা, আর বেগুনের দাম একলাফে তার স্বাভাবিক-মূল্য ২৫-৩০ থেকে ৮০-১২০ টাকা! এই কি মুসলমানদের ঈমানের পরিচয়? আর এটা না মুসলমানের দেশ? আর এই কি মুসলমানদের কাজ? কে দিবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর?

এই দেশে হাতেগোনা শতকরা দুই-একটা দোকানদার অন্যধর্মের লোক হতে পারে। বাকীরা তো সব মুসলমান! গোরুখাওয়া মুসলমান! আর এই সুযোগে কসাই-ব্যাটা অজু-গোসল ছাড়াই মাথায় একটা সাদা-টুপি পরে গোরুর মাংসের দাম বানিয়েছে ৪২০-৪৫০, আর খাসির মাংসের দাম একলাফে ৫৬০-৬০০টাকা পর্যন্ত! আর এরাই তো মুসলমান! তাই, দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশে রমজান মাস এলে একশ্রেণীর মুসলমান-নামধারী ভণ্ডদের দাপটে সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে ভয়ানকভাবে হিমশিম খায়। যে যেখানে পারছে, ধর্মপ্রাণ-মুসলমানদের ঠকিয়ে, তাদের গলাকেটে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। এই পবিত্র রমজান-মাসে এদের শয়তানী যেন আরও বেড়ে যায়। আর তাই, পবিত্র রমজান-মাসে দুনিয়ার সব শয়তান যেন বাংলাদেশে এসে ভিড় করে। তাই, বলছিলাম, এই পবিত্র রমজান-মাসে বাংলাদেশের শয়তানগুলোকে কি বন্দী করা হয়েছে? কেউ জানলে দয়া করে তা জানাবেন।


সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৭/০৬/২০১৬
পহেলা রমজান

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫

সৈয়দ আবুল ফারাহ্‌ বলেছেন: টাকা দিয়ে পণ্য কিনে। লাভ হল ঝুঁকির মূল্য। নৈতিকতার কাছে টাকা খুব কম ক্ষেত্রেই হারে। বাজার অর্থনীতির নিয়মে সুযোগ বুঝে ঝুঁকি নিয়ে লাভ করছে, পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আমি কিনি কেন ? আমাদের বাজার নির্ভরতা কতটুকু।

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে আমাদের নৈতিকতা ধ্বংসের পথে।
আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: সত্যি কথা

০৮ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর সঙ্গে রইলো একরাশ শুভেচ্ছা।

৩| ০৮ ই জুন, ২০১৬ ভোর ৫:৪৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: রমজান মাসে শয়তান বন্ধির কথা বলা হলেও শয়তানের মুরিদ বা অনুসারীরা বন্ধি থাকবে এমন কথা কোনো হাদিসে বলা হয় নাই ! বাংলাদেশের ওই সকল মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এই পৃথিবীতে শয়তানের প্রতিনিধি - শয়তান এদের সারাক্ষণ কুমন্ত্রনা দিয়ে থাকে তাই শয়তানের অবর্তমানে (রমজানে) এদের কার্যকলাপ আরো বৃদ্ধি পায় ! প্রবাসে আমরা যারা বসবাস করি তারা বড়দিন, থ্যান্ক্স্গিভিং, এবং আরো নানান ধর্মীয় উপলক্ষে জিনিসপত্রের বিশেষ মূল্যছাড়ের জন্য অপেক্ষা করি যাতে আমাদের অনেক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এই সুযোগে কিনতে পারি ! এইসকল দেশের ব্যবসায়ীরা এই মূল্য ছাড় করে সবার সুবিধার কথা চিন্তা করেই ! দূর্ভাগ্য বাংলাদেশের জনগনের - শয়তানের প্রকৃত অনুসারীদের হাতে নিয়ন্ত্রিত গোটা ব্যবসা বানিজ্য সহ অনেক সেক্টর ! তাই তার প্রকাশ ঘটে রমজানে মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে !

০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আসলে তা-ই। আপনি সুন্দর বলেছেন।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সারা বছর ইসলামের কাছে দিয়ে হাঁটবো না আর রমজানে আশা করবো সব ইসলামিক ভাবে হবে! ঐ ব্যবসায়ীরা সত্যিকারের মুসলমান হলে এসব মজুদদারী করতো না। কারণ এটা ইসলামে নিষিদ্ধ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:০৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভালোই বলেছেন। এরা মুসলমান হলে আমরা বেঁচে যেতাম।
আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৯

দ্বীন মুহাম্মদ সুমন বলেছেন: বাঙ্গালিদের প্রতি ১০০ জনে ৯৯ জন শয়তান । কাকে কাকে বন্দী করবেন আপনি ? পোস্টের টাইটেলটা যথার্থ হয়েছে ।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৮:৪৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: তবুও আমাদের ভালো হওয়ার স্বপ্ন দেখতে হবে, ভাই। আর এই শয়তানদের প্রতিহত করতে হবে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.