নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র ঈদের দিনে সবার সঙ্গে হাসিমুখে হিংসামুক্ত মনে কোলাকুলি করুন

০৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:৩২


পবিত্র ঈদের দিনে সবার সঙ্গে হাসিমুখে হিংসামুক্ত মনে কোলাকুলি করুন
সাইয়িদ রফিকুল হক
(আমাদের প্রিয় ‘সামহোয়ার ইন ব্লগে’র বিশিষ্ট ব্লগার ও ছড়াকার প্রামানিক ভাইয়ের সুস্থতা-কামনা করে লেখাটি তাঁর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হলো।)

পবিত্র ঈদের দিন কোলাকুলি করাটা ইসলামের প্রাথমিক-যুগের রেওয়াজ। আর এটি ইসলামী তাহজীব ও তমুদ্দনের প্রকৃষ্ট একটি উদাহরণ। তাই, যারা ইসলামের প্রতি আস্থাবান ও শ্রদ্ধাশীল তারা অবশ্যই পবিত্র ঈদের দিন ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজশেষে আপনার কাতারের আশেপাশের মানুষ থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন-পাড়াপড়শি-বন্ধুবান্ধব সকলের সঙ্গেই (সম্ভব হলে) কোলাকুলি করুন।

ইসলামী রেওয়াজ-রসম থেকে কোলাকুলির উদ্ভব। শুধু ঈদের দিনে নয়—এক মুসলমানের সঙ্গে আরেক মুসলমানের দেখা হলে সালাম-বিনিময়ের পর কোলাকুলি ও মোসাফাহ করা উত্তম কাজ। আমাদের প্রিয়-নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়েও সাহাবাগণ একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্যবৃদ্ধির জন্য কোলাকুলি করেছেন। হিংসামুক্ত মনে মুসলমান একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করলে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে নানাবিধ সহিংসতা দূর হবে। এতে এক-মানুষের প্রতি অপর-মানুষের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাবে।

আমাদের দেশে ইদানীং একশ্রেণীর ইমাম-মাওলানা-নামধারী মৌ-লোভী ঈদের দিনে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী-রেওয়াজ ‘কোলাকুলি’র বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজিতে লিপ্ত হয়েছে। আর এই মূর্খ-জীবগুলো মনগড়াভাবে ঈদের দিনের কোলাকুলিকে ‘বিদআত’ ও ‘নাজায়েজ’ বলার মতো ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এরা ভণ্ড, এরা নামধারী-মুসলমান, আর আত্মস্বীকৃত-আলেম-নামধারী জালেম। এরা কেউই আলেম কিংবা ইমাম নয়। এরা অর্থলোভী-নরপশু।

মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী-কোলাকুলির বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজি করে কোলাকুলিকে বিদআত ও নাজায়েজ বলে কারা? কালবিলম্ব না করে এদের পরিচয় জেনে নিন। এরা হলো:

১. মুসলমানদের চিরশত্রু ইবলিশ শয়তানের দোসর এজিদের অনুসারীগণ।
২. এজিদবংশীয় ও এজিদীয় আকিদাহ’র ধারক-বাহক শয়তান ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীরা। অর্থাৎ, যারা ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ওহাবীশয়তান’ নামে পরিচিত।
৩. পাকিস্তানের একসময়কার ভণ্ড-রাজনীতিক ও জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর অনুসারীগণ। এরা মওদুদীবাদী নামে পরিচিত।
৪. খারিজীসম্প্রদায়ের অনুসারীগণ।
৫. জঙ্গী, জঙ্গীবাদী-মানসিকতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ।
৬. সুন্নীআকিদাহ’র ঘোরবিরোধী বাতিল-আকিদাহপন্থী ও তাদের ধারক-বাহকগণ।


উপর্যুক্ত ভণ্ডশ্রেণী ব্যতীত বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সকল মুসলমান পবিত্র ঈদের দিনে কোলাকুলি করবে এবং এর প্রতি বিশ্বাস, আস্থা ও শ্রদ্ধা রাখবে। তাই, আর কালবিলম্ব না করে ঈদের দিনে সবার আগে ঈদগাহে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আর পবিত্র ঈদের দিনে নামাজশেষে সবার সঙ্গে সকলপ্রকার ভেদাভেদ ও মনোমালিন্য ভুলে হাসিমুখে বুকে বুক মিলিয়ে কোলাকুলি করুন। আর ধনী-গরিব সকলকে একচোখে দেখে ভালোবাসুন। আমাদের ঈদ হোক আনন্দের। আর আনন্দ হোক সকলের জন্য। সকল মানুষ খুশি হোক। সকলের ঈদ সার্থক ও সুন্দর হোক।

সকলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।

সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৬/০৬/২০১৬

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.