![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।
পবিত্র ঈদের দিনে সবার সঙ্গে হাসিমুখে হিংসামুক্ত মনে কোলাকুলি করুন
সাইয়িদ রফিকুল হক
(আমাদের প্রিয় ‘সামহোয়ার ইন ব্লগে’র বিশিষ্ট ব্লগার ও ছড়াকার প্রামানিক ভাইয়ের সুস্থতা-কামনা করে লেখাটি তাঁর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হলো।)
পবিত্র ঈদের দিন কোলাকুলি করাটা ইসলামের প্রাথমিক-যুগের রেওয়াজ। আর এটি ইসলামী তাহজীব ও তমুদ্দনের প্রকৃষ্ট একটি উদাহরণ। তাই, যারা ইসলামের প্রতি আস্থাবান ও শ্রদ্ধাশীল তারা অবশ্যই পবিত্র ঈদের দিন ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে ঈদের নামাজশেষে আপনার কাতারের আশেপাশের মানুষ থেকে শুরু করে আত্মীয়স্বজন-পাড়াপড়শি-বন্ধুবান্ধব সকলের সঙ্গেই (সম্ভব হলে) কোলাকুলি করুন।
ইসলামী রেওয়াজ-রসম থেকে কোলাকুলির উদ্ভব। শুধু ঈদের দিনে নয়—এক মুসলমানের সঙ্গে আরেক মুসলমানের দেখা হলে সালাম-বিনিময়ের পর কোলাকুলি ও মোসাফাহ করা উত্তম কাজ। আমাদের প্রিয়-নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়েও সাহাবাগণ একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্যবৃদ্ধির জন্য কোলাকুলি করেছেন। হিংসামুক্ত মনে মুসলমান একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করলে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে নানাবিধ সহিংসতা দূর হবে। এতে এক-মানুষের প্রতি অপর-মানুষের ভালোবাসা ও আন্তরিকতা বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের দেশে ইদানীং একশ্রেণীর ইমাম-মাওলানা-নামধারী মৌ-লোভী ঈদের দিনে মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী-রেওয়াজ ‘কোলাকুলি’র বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজিতে লিপ্ত হয়েছে। আর এই মূর্খ-জীবগুলো মনগড়াভাবে ঈদের দিনের কোলাকুলিকে ‘বিদআত’ ও ‘নাজায়েজ’ বলার মতো ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। এরা ভণ্ড, এরা নামধারী-মুসলমান, আর আত্মস্বীকৃত-আলেম-নামধারী জালেম। এরা কেউই আলেম কিংবা ইমাম নয়। এরা অর্থলোভী-নরপশু।
মুসলমানদের ঐতিহ্যবাহী-কোলাকুলির বিরুদ্ধে ফতোয়াবাজি করে কোলাকুলিকে বিদআত ও নাজায়েজ বলে কারা? কালবিলম্ব না করে এদের পরিচয় জেনে নিন। এরা হলো:
১. মুসলমানদের চিরশত্রু ইবলিশ শয়তানের দোসর এজিদের অনুসারীগণ।
২. এজিদবংশীয় ও এজিদীয় আকিদাহ’র ধারক-বাহক শয়তান ইবনে আব্দুল ওহাব নজদীর অনুসারীরা। অর্থাৎ, যারা ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ওহাবীশয়তান’ নামে পরিচিত।
৩. পাকিস্তানের একসময়কার ভণ্ড-রাজনীতিক ও জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদীর অনুসারীগণ। এরা মওদুদীবাদী নামে পরিচিত।
৪. খারিজীসম্প্রদায়ের অনুসারীগণ।
৫. জঙ্গী, জঙ্গীবাদী-মানসিকতার অধিকারী ব্যক্তিবর্গ।
৬. সুন্নীআকিদাহ’র ঘোরবিরোধী বাতিল-আকিদাহপন্থী ও তাদের ধারক-বাহকগণ।
উপর্যুক্ত ভণ্ডশ্রেণী ব্যতীত বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সকল মুসলমান পবিত্র ঈদের দিনে কোলাকুলি করবে এবং এর প্রতি বিশ্বাস, আস্থা ও শ্রদ্ধা রাখবে। তাই, আর কালবিলম্ব না করে ঈদের দিনে সবার আগে ঈদগাহে যাওয়ার চেষ্টা করুন। আর পবিত্র ঈদের দিনে নামাজশেষে সবার সঙ্গে সকলপ্রকার ভেদাভেদ ও মনোমালিন্য ভুলে হাসিমুখে বুকে বুক মিলিয়ে কোলাকুলি করুন। আর ধনী-গরিব সকলকে একচোখে দেখে ভালোবাসুন। আমাদের ঈদ হোক আনন্দের। আর আনন্দ হোক সকলের জন্য। সকল মানুষ খুশি হোক। সকলের ঈদ সার্থক ও সুন্দর হোক।
সকলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা।
সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।
০৬/০৬/২০১৬
©somewhere in net ltd.