নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতে ইসলাম আর হেফাজতে ইসলাম: ইসলামের নামে সম্পূর্ণ ধর্মব্যবসায়ী প্রতারকচক্র

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৫



জামায়াতে ইসলাম আর হেফাজতে ইসলাম: ইসলামের নামে সম্পূর্ণ ধর্মব্যবসায়ী প্রতারকচক্র

‘জামায়াতে ইসলাম’ বা ‘হেফাজতে ইসলাম’ কখনোই প্রকৃত ইসলাম নয়, বরং এরা ইসলামের নামে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধিতে লিপ্ত রয়েছে। আর এরা আল্লাহ, কুরআন ও নবীজী (সা.)-এর নানান বিষয়কে অস্বীকার বা সরাসরি তাঁকে কটাক্ষ করতে মোটেও দ্বিধাবোধ করে না। ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হিসাবে এদের মতো বড়সড় প্রতারকচক্র আর নেই। যদি কারও বিশ্বাস নাহয় তাহলে নিচের লেখাটি পড়ুন। লেখাটি সুদূর অস্ট্রিয়া থেকে লিখেছেন Sheikh Saifuzzaman ভাই।


জামায়াত ইসলাম ১৯৪১ সালে (২৬ আগস্ট) লাহোরের ইসলামিয়া পার্কে ‘জামায়াতে ইসলামী হিন্দ’ নামে একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর পরই দেখা গেল মওদুদী সাহেব রাজনীতিতে নাক গলাতে শুরু করলেন। সুবিধা ভোগের আশায় ব্রিটিশদের তোষামদির পাশাপাশি ‘পাকিস্তান’ ও ‘মুসলিম লীগে’র সমালোচনায়ও তিনি মুখর হয়ে ওঠেন। জিন্নাহ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য ছিলো, ‘এই ব্যক্তির ত্রুটি বর্ণনা করে শেষ করা যায় না’ (সূত্র: তরজুমানুল কোরান, জুন, ১৯৪৮, পৃ. ৭০)। পাকিস্তান সৃষ্টিতে তাঁর চরম বিরোধিতা লক্ষ্য করা যায়, তাই দেশভাগের বিরোধীতায় তিনি পাকিস্তানকে ‘আহাম্মকের বেহেশত’ এবং ‘মুসলমানদের কাফেরানা রাষ্ট্র’ বলে অভিহিত করেছিলেন।(সূত্র: তরজুমানুল কোরআন)। হিন্দু জাতীয়তাবাদ যেমন মওদূদীর কাছে ‘লানত’, মুসলিম জাতীয়তাবাদও সম্পর্কেও তাঁর মন্তব্য একই। তাই মুসলিম লীগ সম্পর্কে ‘জামায়াতে ইসলামী কি ইন্তেখাবি জিদ্দো জেহাদ’ গ্রন্থে মওদুদী লিখেছিলেন, ‘খোদা সম্পর্কে অজ্ঞ, ওরা পরিবেশকে পায়খানার চাইতেও নোংরা করে ফেলেছে।’
কিন্তু পরবর্তিতে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র যখন হয়েই গেল তখন তিনি নিজের তল্পিতল্পা গুটিয়ে হায়দ্রাবাদ ছেড়ে লাহোরে এসে ‘কাফেরানা রাষ্ট্র’ পাকিস্তানকে আবার ‘খোদাদাদ’ বা ‘আল্লাহর দান’ হিসাবে তিনি ঘোষণা করেন। কি আশ্চার্য হলেন? অর্থাৎ সুবিধাভোগের জন্য নিজের অবস্থান পাল্টাতে তিনি মোটেও দেরি করেনি। ধর্মীয় লেবাসে সুবিধাভোগের চরিত্র জামায়েতের ন্যায় হেফাজতের মধ্যেও লক্ষনীয়। যেমন; সাম্প্রতিক কালের মাওলানা মামুনুল হক। এবার আশা যাক ‘আল্লাহ’ সম্পর্কে মওদূদী সাহেব কি লিখেছেন, সে কথায়;
তিনি লিখেছেন, “যেক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলা-মেশার সুযোগ রয়েছে, সেক্ষেত্রে যিনার কারণে আল্লাহর আদেশকৃত রজমের শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম। (সূত্র: তাফহীমাত ২-২৮১) কিন্তু কোরআনের সূরা ইউনুসের ৪৪ নম্বর আয়াতে আছে , “মহান আল্লাহ কোনো ক্ষেত্রে জুলুমের আশঙ্কাজনিত কোনো বিধান দেননি।” কোনটা বিশ্বাস করবেন, কোরআন না মওদূদীর বাণীকে?
এ ছাড়াও পবিত্র কুরআন সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছেন, “কুরআন শরীফের মনগড়া ব্যাখ্যা করা জায়িয। তিনি তাফহীমুল কুরআনের ভূমিকাতে লিখেন: কুরআনের এক একটি বাক্য পড়ার পর, তার যে অর্থ আমার মনে বাসা বেঁধেছে এবং মনের ওপর তার যে প্রভাব পড়েছে, তাকে যথাসম্ভব নির্ভুলভাবে নিজের ভাষায় লেখার চেষ্টা করেছি। (তাফহীমুল কুরআন,বাংলা ১/১০) কিন্তু ইসলাম ধর্ম বলে: ‘ পবিত্র কুরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা করা নাজায়িয ও হারাম।’ (তিরমিযী শরীফ,২/১১৯)
নবী ও রাসূলদের কঠাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, * “নবী হোক বা সাহাবা হোক কারো সম্মানার্থে তার দোষ বর্ণনা না করাকে জরুরি মনে করা মুর্তিপূজারই শামিল। (তরজমানুল কোরআন, সংখ্যা ৩৫, পৃষ্ঠা ৩২। তিনি আরও বলেছেন, ‘হজরত ইউনুস (আ.) ঠিকমতো নবুয়তের দায়িত্ব পালন করেননি।’ (তাফহীমুল কোরআন ২/৯৯)* ‘হজরত ইব্রাহিম (আ.) ক্ষনিকের জন্য শিরকের গোনাহে নিমজ্জিত ছিলেন।’ (তাফহীমুল কোরআন ১/৫৫৮) এবং নবীজিকে নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ মহানবী (সা.) মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দুর্বলতার বশবর্তী হয়ে গোনাহ করেছিলেন।’ (তরজমানুল কোরআন, সংখ্যা-৮৫, পৃষ্ঠা-২৩০) অথচ ইসলাম ধর্ম বলে: ‘ মুহাম্মদ (সাঃ) মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন। ( সূত্র: তরজুমানুস্সুন্নাহ্ -৩/৩৫০, শরহুল আকাইদ-১৩০)
এখন আসা যাক্ মিথ্যা বলার ফতোয়াতে। কোরআনের সূরা হজ্জ-এর ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “তোমরা মিথ্যা বলাও পরিহার কর।” তবে এ বিষয়ে মওদুদীর বক্তব্য হচ্ছে, ‘বাস্তব জীবনে এমন কিছু চাহিদা রয়েছে যেগুলোর খাতিরে মিথ্যা বলা কেবল জায়েযই নয় বরং ওয়াজেব।’ ( সূত্র: মাসিক তরজুমানুল কোরআন, ৫০ তম খণ্ড, ২য় সংখ্যা, শাবান ১৩৭৭ হি., পৃষ্ঠা নম্বর: ১১৮)। ঠিক মওদূদীর আদলেই মিথ্যা বলার ফতোয়া দিয়েছেন মামুনুল হক সাহেবও। আপনি যদি কোরআন ও মুহাম্মাদ (সাঃ)কে না মানেন তবে আপনি কিসের মুসলমান?
এইজন্যই বলি সুবিধাভোগের রাজনীতিতে ধর্মের ব্যাবহার জামায়াত ইসলামের ভাড়াটিয়া সংগঠন হলো হেফাজত ইসালাম বা মামুনুল গংরা। নিজ উদ্দেশ্য সাধনার্থে ধর্মকে সবসময় সুবিধাভোগের রাজনীতিকে পুঁজি করে এগিয়ে চলেছে এই উগ্রবাদী মোল্লারা। সাধারনের সামনে ধর্মকে জটিলভাবে উপস্থাপন করে, মাদ্রাসা ছাত্রদের অভূক্ত রেখে পুষ্টিহীন খাবার সরবরাহ করে নিজেদের বিত্তবৈভবে ভাসিয়ে দিয়ে সরকারের কাছ থেকে আরও সুবিধা বা ক্ষমতার ভাগ বসাতে এরা দ্বিধা করছে না। সুতারং অডিট বিহিন মাদ্রাসাকে অডিটের আওয়তায় এনে দেশের সকল মাদ্রাসাকে যুগোপোযোগী মুলশিক্ষা ব্যবস্থায় ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্র ও সমাজকে ধর্মীয় উগ্রবাদিতা এবং ইসলামকে রক্ষা করা অতীবজুরুরী বলে আমি মনে করি, সবাইকে ধন্যবাদ।


লেখক © Sheikh Saifuzzaman, Austria
ছবি: গুগল

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: হেফাজত জামাতের সৃষ্টি। বলা যায় হেফাজত জামাতের ক্লোন। যখন জামাত কোন ভাবেই মাঠে নামতে পারছিলো না তখন তারাই এই হেফাজত নামক ধান্দাবাজদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সবই সত্য।

এদের বিরুদ্ধে মানুষকে জেগে উঠতে হবে।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোনটা আসল ইসলাম দয়া করে বলবেন।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৪৯

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: প্রিয় নবীজী সা. ও তাঁর আহলে বাইয়্যেতের রেখে যাওয়া ইসলাম।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।

৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



শেখ হাসিনার অসফলতা ও হেফাজত-জামাত-শিবিরের ঘাতকতা জাতিকে ইয়েমেন বা আফগানিস্তানের লেভেলে নিয়ে যেতে পারে।

১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৬

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ভণ্ডগুলো সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে। ওরা যেন কখনো সফল হতে না পারে এব্যাপারে সরকারকে আরও আন্তরিক হতে হবে।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা অফুরান।

৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:২০

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ইয়েমেন বা আফগানিস্তান হবে না। তবে এদের বিষদাঁত এখনই ভাঙতে না পারলে একটা উগ্র ইসলাম নামধারী পুরোপুরি ইসলাম বিচ্ছিন্ন দেশ ও জাতির জন্য অভিশপ্ত দল গড়ে উঠতে পারে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:০৮

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সত্য বলেছেন।
ধর্মব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রতিটি বাঙালির নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: হেফাজত কি চিরতরে অফ করে দেওয়া যায় না? সরকার কি এটা পারে না? এটা করলে দেশের উপকার হতো।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১০:৫১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সরকার সবই পারে। কিন্তু কেন যে করে না!

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:১৮

মেরুভাল্লুক বলেছেন: ধর্ম জিনিশটাই খারাপ, ধর্ম মানুষে মানুষে ভেদাভেদ সৃস্টি করে। অথচ সকল ধর্মই শান্তির কথা বলে।
ভেড়ার ধর্ম ঘাস খাওয়া, মানুষের ধর্ম কি??

৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৫২

অগ্নিবেশ বলেছেন: মানুষের ধর্ম ঘাসে বিষ দেওয়া। হালারা বোঝে না নিজের মিথ্যা হালাল করতে হলে অন্যের মিথ্যাও হজম করা লাগবো। অতি চালাকের লোহে দড়ি।

৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:১৮

জগতারন বলেছেন:

আমি তাদের ঘৃণা করি যারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করে।
এবং সাধারণ মানুষের ধার্মিক আবেগ নিয়ে খেলা করে।
এই ধর্মব্যবসায়ীগুলোকে ক্রসফায়ার দেওয়া উচিত।
এরা সমাজের ভাইরাস.....

৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:২১

জগতারন বলেছেন:
ইসলাম আজ কলংকিত হচ্ছে কিছু নাম ধারি শয়তানের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.