নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ। আমি ত্বরীকতপন্থী-মুসলমান। আমি মানুষ বলে আমার ভুলত্রুটি হতেই পারে। বইপড়তে আমার ভালো লাগে। সাহিত্য ভালোবাসি। লেখালেখি আমার খুব শখের বিষয়। বাংলাদেশরাষ্ট্র ও গণমানুষের জন্য আমি লেখনিশক্তিধারণ করেছি।

সাইয়িদ রফিকুল হক

আমি লিখি “দেশ, জাতি, মানুষ আর মানবতার” জন্য। আমার লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সমালোচনা আমার নিজস্ব ও মৌলিক রচনা। তাই, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে এগুলো কপি বা নকল করা আইনতঃ দণ্ডনীয় অপরাধ। পৃথিবীর সকল মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা। জয় মানবের জয়।

সাইয়িদ রফিকুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প: অচেনা একটা ভয়

২৮ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯


গল্প:
অচেনা একটা ভয়
সাইয়িদ রফিকুল হক

মৌমিতা আজ তাড়াহুড়ো করে অফিসে পৌঁছে দেখল, এখনও কেউই আসেনি! এতে সে খুব বিস্মিত হল! অফিসে পৌঁছুতে আজ তার বেশ খানিকটা বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু এখনও অফিসে কারও ছায়া পর্যন্ত নেই! শুধু বড়সাহেবের খাসপিয়ন জয়নালকে দেখা গেছে! আর কেউ নেই!
সে খুব মনোযোগ দিয়ে ভাবতে লাগল―আজ তো অফিস-ছুটি থাকার কথা নয়! তার বুকের ভিতরে কেমন করে যেন একটা মোচড় দিয়ে উঠল! আর বুকটা কাঁপতে থাকে অজানা একটা আশঙ্কায়!

সে খোঁজখবর নিতে লাগল। একটু পরেই সে বড়সাহেবের খাসপিয়নের কাছে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারল, সবাই পিকনিকে গিয়েছে! কিন্তু, সে তো শুনেছিল, যাদের সেকশনে কাজ বেশি―এবার তারা পরে পিকনিকে যাবে! হঠাৎ এক রাতের মধ্যে এমন কী হল! একটু পরে সে বড়সাহেবের খাসপিয়নকেও আর কোথাও খুঁজে পেল না! সে চেয়ারে বসে একটা অচেনা ভয়ে মুষড়ে পড়ে যেন!
এমন সময় হন্তদন্ত হয়ে বড়সাহেব অফিসে ঢুকলেন। আজ তাকে খুব ফ্রেশ আর রোম্যান্টিক হিরোর মত লাগছে!
তিনি মৌমিতাকে দেখে খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন, “অফিসে যাদের কাজ বেশি নেই―তাদের বার্ষিক বনভোজনে পাঠিয়ে দিয়েছি। আজ আমরা ক’জন কাজের মানুষ একসঙ্গে বসব। আর মন দিয়ে অফিসের জরুরি কাজগুলো শেষ করব।”
বড়সাহেব নিজের রুমে ঢুকতে গিয়ে হঠাৎ একটু থমকে দাঁড়ালেন। তারপর মৌমিতার দিকে তাকিয়ে খুব সুন্দর করে হেসে বললেন, “আপনি এখনই আমার রুমে চলে আসুন। আমরা এখানেই সারাদিন কাজ করব!”
মৌমিতা ভিতরে-ভিতরে ভয়ানক সন্দেহের মধ্যে রয়েছে। তবুও সে বলে “স্যার, আর কে-কে আসবে?”
বড়সাহেব হেসে বললেন, “না-না। আর কেউ নয়। আমি আর আপনি!”
কথাটা শোনামাত্র মৌমিতা ছিটকে বেরিয়ে এল অফিস থেকে। সামনে তার বিয়ে!

সে জেনেশুনে...।



সাইয়িদ রফিকুল হক
মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩২

অধীতি বলেছেন: আর একটু বড় করলে স্থিরতা আসতো। এখন মনে হচ্ছে দৌড়াচ্ছি। তবে এটা ধরে রেখে যদি অনেক বড় করা যায় তখন আবার অন্যরকম।

৩১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ইচ্ছে করলে আরও বড় করা যেত। কিন্তু ইচ্ছে করেই এত ছোট-আকারে লেখা হয়েছে।
অল্প শব্দে গল্প লেখার প্রাকটিস! ;)

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
রইলো শুভকামনা।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৬

অপু তানভীর বলেছেন: ছিটকে বের হয়ে এসে মৌমিতা ভাল কাজ করেছে !
সামনে বিয়ে বলে কথা ...

আচ্ছা যদি সামনে বিয়ে না হত তাহলে কী হত?

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বিয়ে না হলেও সে বসের রুমে যেত না।
হয়তো তখন একটু ধীরেসুস্থে বেরিয়ে আসতো আরকি!
বাঙালি মেয়েদের কাছে ভালো একটা সম্বন্ধ বড় ব্যাপার। তাই, এইসময় তারা খুব সতর্ক থাকে।

গল্পটা আপনার ভালো লাগায় আনন্দিত।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ২:১২

রাজীব নুর বলেছেন: বস লোকটাকে ভয় পাওয়ার কারন কি?
বস কি মন্দ লোক? নাকি মেয়েটা রসিকে সাপ মনে করেছে?

২৯ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: বস লোকটা ভালো নয়।
এখনকার অনেক মেয়েই রশি আর সাপ চিনতে পারে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা আর শুভকামনা।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

বিটপি বলেছেন: বসের কি ধারণা যে অফিসের মেয়েগুলো রোমান্স করার জন্য মুখিয়ে থাকে! অফিস খালি করে একটা মেয়েকে তাঁর রুমে ডাকলো, আর মেয়েটা গট গট করে তাঁর রুমে ঢুকে যাবে - মেয়েদের ব্যাপারে এরকম সস্তা ধারণা তৈরি হয় কি করে?

০১ লা এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৫

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: টাকাওয়ালা অনেক বস এমনটি ভাবে। তারা টাকার গরমে সবকিছু নিজের করায়ত্তে রাখতে চায়।
তবে মেয়েদের সাহস বাড়ছে।
তারা নীরবে-সরবে প্রতিবাদী হচ্ছে।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আর শুভেচ্ছা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.