![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক অতি বিত্তবানের বাসায় গেলাম। ভদ্র
মহিলা আমাকে ইনিয়ে বিনিয়ে জিনিস
পত্র দেখাচ্ছেন।
‘ঝাড়বাতিটা সুন্দর না?’
‘জী’
‘বাইরে থেকে আনিয়েছি। সাত লক্ষ টাকা’
‘ও’
‘আরেকটা পছন্দ হয়েছিল। দশ লক্ষ টাকা।
তোমার আঙ্কেল রাজী হয়নি’
‘ও’
‘ তোমার আঙ্কেলের আবার শুচিবায়ু
আছে। সারাদিন গোসল করে। এক শার্ট
দুবার পরে না’
‘ও’
বাসার এক কোনে দেখি লাইব্রেরীর মত
কী যেন উকি দিচ্ছে। ভেতরে ঢুকেই আঁতকে
উঠলাম। প্রায় দু হাজার বই। প্রতিটি বই
মনে হচ্ছে এই মাত্র কেনা। এদের বেবস্থা
ভাল। । বই পড়ছেন। বাথরুম পেয়ে বসল।
এবার ছুটাছুটি অবস্থা। মাঝখান দিয়ে
সুনীলের ‘কেউ কথা রাখেনা’র ঘোর ফেলে
এসেছেন কমেডে।
সেক্ষেত্রে লাইব্রেরী রুমেই বাথরুমের
বেবস্থা করে রেখেছে। চকচকে কত গুলো
নতুন বই নিয়ে বসে পড়লাম। হুমায়ূন
আহমেদের জোছনা ও জননীর গল্পটা
হারিয়ে ফেলেছিলাম। আবার শুরু করা যাবে।
তলস্তয় পড়া হয়না ছয় বছর। মনে আছে
সিফাত নামে এক কলেজের বান্ধবীর কাছ
থেকে বই নিয়ে আর ফেরত দেইনি।
ভদ্র মহিলাকে এখন আর আমার বিরক্ত
লাগছেনা। তিনি ১৫ টা দেশে ঘুরছেন। এখন
সেগুলোর ঘটনা শুরু হবে একটা একটা করে।
ভূমিকাই ত্রিশ মিনিট খেয়ে ফেলল। এমন
সময় তার মেয়ে এল। এইসব বাসার মেয়েরা
হয় লালটু মার্কা। না হয় সিগারেট ইয়াবা
মার্কা।
আমি বুঝার চেষ্টা নিচ্ছি। যে কোরেই হক
এটাকে পটাতে পারলেই এই লাইব্রেরীর
অগণিত শপিজের মত সাজিয়ে রাখা বই
গুলো হেঁটে হেঁটে আমার ঘরে চলে আসবে।
আইসক্রিম দেয়া হল।
'আমি চকলেট তুমি?'
'ভেনিলা' ( সাথে একটি হাসি)
'ভেনিলা নামে বই আছে। স্পেইনের এক
অন্ধ চিত্র শিল্পীকে নিয়ে লিখা'
মেয়ের চোখে মুখে হাসি। সে বোধহয় আঁচ
করতে পেরেছে আমার উদ্দেশ্য। মেয়েরা
এইসব ব্যাপার চট বুঝে ফেলে।
©somewhere in net ltd.