| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কৈফিয়াত: এ লেখাটির জন্য কৈফিয়াত দিচ্ছি। গতকাল ২০শে জুলাই ২০১৩ মধ্যদুপুর। হঠাৎ দেখি পূবাকাশ কালো করে শ্রবণের ঘন মেঘ জমেছে। একটু পর খুব ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করলো। তারপরেই ঘন মুষলধারার বৃষ্টি। শ্রাবণ মাস। শ্রাবণের ধারা যে এতো সুন্দর আগে এমন করে দেখা হয় নি। ঝরে পড়া বৃষ্টির ফোটাগুলোকে এতো জীবন্ত মনে হচ্ছিল টিনের চালে ঝম ঝম করে কে যেন শব্দ তুলে নেচে চলেছে মনে হচ্ছিল। কতদূরে কদম ফুল ফুটেছে জানিনা, বাতাসের ঝাপটায় মাঝে মাঝে কদম ফুলের গন্ধ ভেসে আসছিলো। আবেশে বিবশ করা শ্রাবণের এই রূপ দেখে নিজেকে সংযত রাখা দায় হয়ে উঠেছিলো। মনের ভেতর গুতোগুতি করছিলো কবিতার লাইন। আর মনে হচ্ছিল বাইরে গিয়ে বৃষ্টিতে ভিজি। কিন্তু না, ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও তা সম্ভব ছিলো না। মন প্রাণ ঢেলে বৃষ্টির নাচ দেখছিলাম, গান শুনছিলাম। এর মাঝে কার ছবি যেন হৃদয়ে এক লহমার জন্য ভেসে উঠলো। কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম তারপর। মনে হলো যার ছবি বুকের পাঁজর ভেদ করে ছায়াছবির মতো মনের পর্দায় ভেসে উঠলো; সে-ও কি আজ এমন মধ্য দুপুরে মুগ্ধ করা শ্রাবণের রূপ দেখছে কিনা! আবেগে আপ্লুত হয়ে জানালার পাশে দাঁড়িয়ে দুই হাতে বৃষ্টির ছাট্ ছুঁয়ে দেখছে কিনা! না, জানা নেই.. সে কি করছে... জানার উপায়ও নেই। সারাদিন এটা ভাবতে ভাবতেই চলে গেল। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামলো। রাত গভীর হলো। তারপর সে যেন কবিতার রূপ ধরে এসে আমার সামনে দাঁড়ালো। আর লিখিয়ে নিলো কবিতা...
মধ্য দুপুরে ঝরে শ্রাবণের শ্রাবণী
পূবাকাশ জুড়ে তার কালো চুলে বিনুনী-
ঢাকা পড়ে গেছে সব। কুন্তল আঁধারে
অপরূপ রূপ তার ফোটে উঠে বাহারে!
বিস্মিত চোখে দেখি বারিধারা মায়াময়
সুকোমল! কী তরল! জীবন্ত কথা কয়।
বাতাসের বাঁশি বাজে বরষার বাদলে
জলনারী নাচে ভারি ঝমাঝম পা ফেলে।
অনাবিল সুখ এ যে! সুশীতল চারিপাশ
মুগ্ধ কবি’র মন; করে কবিতার চাষ।
দূরে থেকে ভেসে আসে কদমের সৌরভ।
সবকিছু ছাপিয়ে বুকে কার অনুভব!
সে-ও কি মুগ্ধ আজ! জানালায় দাঁড়িয়ে
বৃষ্টির ছাট্ ছোঁয়- দুই হাত বাড়িয়ে!
কাঁঠালতলা, মনিপুর, মিরপুর-২
ঢাকা- ১২১৬
©somewhere in net ltd.