| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তত্ত্বাবধায়ক সরকার!
আসলেই কি দরকার?
তৈয়ব খান
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কি প্রক্রিয়ায় হবে অর্থাৎ বর্তমান সরকার নাকি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে এ নিয়ে দ্বন্দ্ব এখনও কাটেনি। বর্তমান সরকার অর্থাৎ আওয়ামীলীগ থেকে বলা হচ্ছে আগামী নির্বাচন তাদের অধীনেই হবে। অপরদিকে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো চাচ্ছে আগামী সংসদ নির্বাচন যেন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয়। এ ইস্যুটিকে কেন্দ্র করে উভয়েই জনমত গঠন করে চলেছে। ফলে একদিকে যেমন সরকারের অনড় অবস্থান অন্যদিকে বিরোধী দলসমূহের সিদ্ধান্তের কাঠিন্য নির্বাচন অবস্থাকে জটিল করে তুলছে। এক্ষেত্রে দেশের দুটি বৃহৎ দুটি রাজনৈতিক দল যদি একটি যুক্তিসংগত সিদ্ধান্তে আসতে না পারে তবে অরাজকতা নৈরাজ্য বেড়ে যাবে। যা দেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে।
এমনিতেই বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় সংকুল দেশ। প্রতিদিনই নানারকম প্রতিকুল পরিস্থিতি সামাল দিতে হচ্ছে এদেশের জনগণকে। তার উপর যদি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় হয়ে উঠে তবে জনজীবনে দুর্ভোগের যে চিত্রটি ভেসে উঠে তা সুখকর নয়। রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি শাখা একটির সাথে অন্যটি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। রাজনীতির সাথে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতির নিবিড় যোগাযোগ। একটিতে সমস্যা দেখা দিলে অন্যগুলোতে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। গত ক’বছরে এ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যাগুলো যথেষ্ট সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু অবস্থার কোন পরিবর্তন চোখে পড়েনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। সংসদ ভাঙার পর পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের আগ পর্যন্ত রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনার একটি প্রক্রিয়া মাত্র। যে ব্যবস্থা সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। এ সরকার রাষ্ট্রপতির কাছে দায়বদ্ধ থেকেই কাজ করবে। সংবিধানে এ বিষয়ে বলা হয়েছে- “৫৮খ (১) সংসদ ভাংগিয়া দেওয়ার পর বা মেয়াদ অবসানের কারণে ভংগ হইবার পর যে তারিখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কার্যভার গ্রহণ করেন সেই তারিখ হইতে সংসদ গঠিত হওয়াার পর নূতন প্রধানমন্ত্রী তাঁহার পদের কার্যভার গ্রহণ করার তারিখ পর্যন্ত মেয়াদে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকিবে। (২) নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার যৌথভাবে রাষ্ট্রপতির নিকট দায়ী থাকিবে।”
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠন সম্পর্কে বলা হয়েছে- “৫৮গ (১) প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে প্রধান উপদেষ্টা এবং অপর অনধিক দশজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হইবে, যাহারা রাষ্ট্রপতি কতৃক নিযুক্ত হইবেন।” প্রধান উপদেষ্টার নিয়োগ ও উপদেষ্টা নিয়োগ পদ্ধতি সম্পর্কে সংবিধানে চমৎকার উল্লেখ আছে। তাই এটি নিয়ে আলোচনা না করে বরং এরূপ সরকারের কাজ সম্পর্কে সংবিধান কী বলে সেটিই বলা যাক। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কার্যবলীতে বলা হয়েছেÑ “৫৮ঘ (১) নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি নির্দলীয় সরকার হিসারে ইহার দায়িত্ব পালন করিবেন এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিগণের সাহায্য ও সহায়তায় উক্তরূপ সরকারের দৈনন্দিন কার্যাবলী সম্পাদন করিবেন; এবং এইরূপ কার্যাবলী সম্পাদনের প্রয়োজন ব্যতীত কোন নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন না। (২) নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সংসদ-সদস্যগণের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেরূপ সাহায্য ও সহায়তার প্রয়োজন হইবে, নির্বাচন কমিশনকে সেইরূপ সকল সম্ভাব্য সাহায্য ও সহযোগিতা প্রদান করিবেন।”
পক্ষান্তরে প্রচলিত নিয়মে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা হবে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমেই। এ প্রসঙ্গে সংবিধান বলছে- “১১৮ (১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ দান করিবেন। ১১৮ (৫) সংসদ কর্তৃক প্রণীত যে কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে নির্বাচন কমিশনারের কর্মের শর্তাবলী রাষ্ট্রপতির আদেশের দ্বারা যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ হইবে।”
লক্ষ্যণীয় যে, দুটি প্রক্রিয়াতেই রাষ্ট্রপতির উপস্থিতি বিদ্যমান এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন রয়েই গেল। নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দুটি প্রক্রিয়াতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারছে। সংবিধানের নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন এবং কেবল এই সংবিধান ও আইনের অধীন হইবেন।” তাহলে কোন প্রয়োজনে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চাওয়া হচ্ছে বা অতীতে হয়েছিলো? এটা কি আসলেই নিরপেক্ষ হতে পারছে?
মূল কথাটি হচ্ছে বিশ্বাস। আমাদের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল কেউ কাউকে বিশ্বাস করতে পারছে না। যার দরুণ এরকম একটি চাওয়া জাতীয় জীবনে গলার কাঁটা হয়ে দেখা দিয়েছে। মূলত এ পদ্ধতিটি আওয়ামীলীগের আবিষ্কার। ১৯৯৫ সালে মেয়াদের শেষের দিকে তৎকালীন বিএনপি সরকার যখন দলীয় সরকারের অধীনে ৫ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করেছিল, সেসময় আওয়ামী লীগ, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টিসহ প্রধান প্রধান বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে রাজপথে একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করে। বিরোধী দলগুলোর নির্বাচন বয়কট ও টানা হরতাল-অবরোধের মধ্যেই ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ শেষে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তবে আওয়ামী-জামায়াত-জাতীয় পার্টির একযোগে পরিচালিত আন্দোলনের মুখে পরাজিত হয়ে সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে সংযুক্ত করে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়।
গঠিত হয় নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এ সরকারের অধিনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এবং ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তারপর একই প্রক্রিয়ায় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশের থেকেও বেশি আসনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। সরকার গঠনের পরেই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখা উচিত কী-না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা বলেন, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার নামে অনির্বাচিত ব্যক্তিরা ক্ষমতায় আসে। এই অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সরকার রাজনীতিবিদদের জেলে দিয়ে দিনের পর দিন ক্ষমতায় থাকতে চায়, তাই এই ব্যবস্থা বাতিল করা উচিত বলে দাবী করতে থাকেন সরকার দলীয় রাজনীতিবিদরা। যার ফলে আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল হয়। কিন্তু সরকার কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি বাতিলের বিরুদ্ধে বিএনপি জোড়ালো অবস্থান নেয়। সংবিধান পঞ্চদশ সংশোধনীর পরপরই ২০১১ সালের ৩০ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া বলেন, “তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল হওয়ায় দেশে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের সব সম্ভাবনা তিরোহিত হলো।” এরপর থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনঃ প্রবর্তনের জন্য রাজপথে নিয়মিত আন্দোলন করে আসছে বিএনপি।
উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে অবৈধ বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সংখ্যা গরিষ্ঠ বিচারকদের মতের ভিত্তিতে আপিল বিভাগের সংক্ষিপ্ত রায় ঘোষিত হয়। “১৯৯৬ সালে আনা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় এখন থেকে এটি বাতিল করা হলো। তবে সংসদ যদি মনে করে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিদ্যমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় অনুষ্ঠিত হতে পারে। যদিও এটা আইনের চোখে বেআইনি। জনগণ, রাষ্ট্রের বৃহৎ স্বার্থ এবং প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করেই এ বিধানের আইনগত বৈধতা দেওয়া গেল” বলে আদালত রায় প্রদান করে।
আদালতের রায় শিরোধার্য। যেখানে জনতার স্বার্থ, দেশের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে আদালত বলেছে যে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাঠামোতেই অনুষ্ঠিত হতে পারে, সেখানে বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সংখ্যাগরিষ্ট সংসদ সদস্য এতোটা কঠোর অবস্থানে যাওয়া কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হচ্ছে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দেখা দিয়েছে। পক্ষান্তরে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে ‘সূক্ষ্ম কারচুপি’ ও স্থ’ূল কারচুপি’ বলে যখন এ সরকার ব্যবস্থাকে সন্দেহের চোখে দেখা হয়েছিলো অথচ সেই পদ্ধতিকেই পূনরায় বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টাও কতোটা সঙ্গত হচ্ছে সেটাও ভাবনার বিষয়। মোদ্দকথা মানুষের, সমাজের, রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্যই যদি রাজনীতি হয়ে থাকে তাহলে এ বিষয়টির একটি কিনারা হওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবী নিয়ে বিরোধী দলসমূহের আন্দোলন এবং সরকারের অনড় অবস্থান জাতীয় জীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ইতোমধ্যে গণভোটের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যদি বর্তমান আওয়ামী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির মাধ্যমে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তবে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এতে বর্তমান সরকারের কার্যক্রমের কিছু ব্যর্থতার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। অথচ বর্তমান সরকারের সফলতাকেও খাটো করে দেখার উপায় নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, কৃষি, শিল্প, জ্বালানী, নিরাপত্তা প্রভৃতি সেক্টরে আওয়ামীলীগ সরকারের উল্লেখযোগ্য সাফল্য রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩৩০০ মেগাওয়াট থেকে ৮১০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। দেশের রিজার্ভ ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছেছে। ৭টি নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার ও গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। শান্তিরক্ষা বাহিনীতে সেনার সংখ্যা ১০০০ থেকে ৫০০০ হয়েছে এবং সারা বিশ্বে বাংলাদেশ সর্বাধিক সেনা সরবরাহকারী দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যা আমাদের বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছে। তাছাড়া বিগত সরকারের পাঁচ বছরে বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান হয়েছিলো প্রায় ৪ লক্ষ কিন্তু বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লক্ষ ৮২ হাজারে। জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করার কৃতিত্ব বর্তমান সরকার অবশ্যই দাবী করতে পারে। এ থেকে বৈদেশিক যে পরিমাণ মুদ্রা আয় হবে তাকে খাটো করে দেখলে ভুল করা হবে। আর সবচেয়ে আলোচিত দুটি বিষয় (১) বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং (২) যুদ্ধাপরাধীর বিচার। এ দুটি কাজ তারা সফলতার সাথেই সম্পন্ন করতে পেরেছেন এবং করছেন। সুতরাং বর্তমান সরকার বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলে লাভ ছাড়া লোকসানের ভয় তেমন একটা নেই বললেই চলে। কিন্তু তারপরেও যদি তারা বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে পিছিয়ে যায়, তবে জনগণ বিরোধী দলের চ্যালেঞ্জ করাটাকেই প্রাধান্য দেবে, বিশ্বাস করবে এবং তাতে জনমত উল্টো স্রোতে চলে যেতে পারে।
২২ অগাস্ট ২০১৩।
পরিচিতি: কবি, লেখক
এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
পাক্ষিক সময়ের বিবর্তন
৩২/২ সেনপাড়া পর্বতা, সেকশন ১০, মিরপুর, ঢাকা- ১২১৬।
ফোন: ৮০৫৪৫৯৫, মোবাইল: ০১৯৪২-৮৪৭২০৭।
ই-মেইল: [email protected]
©somewhere in net ltd.