![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী ডেইলি স্টার’কে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে একদল যুবক ২৫ বছরের এক মহিলার শরীরের প্রায় সব কাপড় খুলে ছিড়ে ফেলে। এই মহিলাকে উদ্ধার করার সাথে সাথেই দেখি, বেশ কয়েকজন যুবক স্বামী এবং শিশু সন্তানের সামনেই আরেকজন মহিলার ওপর হামলে পড়েছে। আমার তাকেও উদ্ধার করতে যাওয়ায় হামলার শিকার হই। হামলায় নন্দীর ডান হাত ভেঙ্গে যায়।
হামলায় আঙ্গুল ভেঙে যাওয়া সংগঠনটির আরেক কর্মী অমিত দে বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীল সদস্যরা তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল। তিনি বলেন, মাত্র ২০ গজ দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন পুলিশ সদস্যের কাছে আসরা সাহায্য চাইলাম তখন তারা জবাবে বললেন, ওই এলাকা আমাদের দায়িত্বে নয়।
অমিতসহ আরো পাঁচজন কর্মী মিলে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী কয়েকজন নারীকে বখাটে যুবকদের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছিলেন।
তিনি জানান, যুবকরা ১০/১২ জনের তিনটি গ্রুপে বিভক্ত ছিল। চারদিকে ভুভুজেলা বাঁশির আওয়াজের কারণে আক্রান্তদের চিৎকার শোনার কোনো উপায় ছিল না।
এসময় তারা ১০ বছরের একটি মেয়েকে উদ্ধার করেন। অমতি বলেন, মেয়েটির কাপড় ছিন্নবিচ্ছিন্ন ছিল। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ের চিহৃ দেখে আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। সে মারাত্মকভাবে আহত ছিল। মা আর ভাইয়ের সাথে এসেছিল মেয়েটি। (যুবকদের) এক গ্রুপ তার ভাইকে পিটায় আর অন্য গ্রুপ মাকে ধরে অন্যদিকে নিয়ে যায়।
অমিত এবং মাসুদ নামে আরেক কর্মী জানান, তারা দুস্কৃতিকারীদের পাঁচজনকে ধরে পুলিশের কাছে দেন। কিন্তু দু’ঘন্টা পর খোঁজ নিয়ে জানেন ওদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আটক পাঁচজনের ২জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৫৩
গোধুলী রঙ বলেছেন: দুজন ছাত্রলীগের ছিলো, শিবির-আনসারুল্লাহ বৈশাখী সংস্কৃতি চাইতে না পারে, এরাও পারে না!!! আর আটককৃতরা শিবির-আনসারুল্লাহ সদস্য হলে পুলিশ ছেড়ে দিতো!!
অপরাধের বিচার না হলে অপরাধ বাড়বে, এটাই ধ্রুব সত্য। এই অপরাধের বিচার না হলে আগামী পহেলা বৈশাখে এরকম হামলা আবারো হবে বড় মাত্রায়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: এই ঘটনা গুলো একটু ভালো করে মিলিয়ে দেখুন, আপনাদের কি মনে হয় না এটা পরিকল্পিত একটা ঘটনা। সমাজের কিছু বিষ বৃক্ষ আছে যারা চায় না, বাঙ্গালী তার স্বকীয়তা নিয়ে মাথা উচু করে বেড়ে উঠুক, এগুলা তাদেরি কৃত্তি।