![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
25 Jan, 2016
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বিদেশি সংস্থায় ৬০ হাজার টাকার উচ্চ বেতনে চাকরি করছিলেন সাদিয়া (৩০)। গভীর ভালোবেসে বিয়ে করেন ১৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরিরত ব্যাংক কর্মকর্তা মাহিন (২৬) কে। স্বপ্ন বুনেন নতুন ভালোবাসায় ভরা একটি সংসারের।
বয়সে ছোট মাহিনের সাথে এই ভালোবাসা, স্বপ্ন, বিয়েই যেনো কাল হলো সাদিয়ার। স্বপ্নের সেই ভালোবাসার মানুষ আর তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুশয্যায় কাতরাচ্ছেন সাদিয়া আক্তার। নির্যাতনের বিভৎসতায় চোখ মেলতে পারছেন না সাদিয়া।
ঘটনার পর মামলা হলেও সাদিয়ার নির্যাতনকারীরা এখনো গ্রেফতার হয়নি। ঘটনাটি চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানার চকবাজার এলাকার।
পুলিশ ও সাদিয়ার পারিবারিক সূত্র জানায়, সাদিয়া আক্তার অনেক ভালোবেসেই পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা সামিউল মাহিনকে। মাহিন ছিলো একটি বেসরকারী ব্যাংকের সদ্য যোগদানকারী জুনিয়র কর্মকর্তা আর সাদিয়া’র চেয়ে বয়সেও ৫ বছরের ছোট। সাদিয়া চট্টগ্রামের ইপিজেডে একটি বিদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করলেও মাহিনের বেতন ছিলো মাসে ১৮ হাজার টাকা। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সাদিয়ার বাবা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এই বিয়ে মেনে নেন। কিন্তু বিয়ে মেনে নিতে রাজি ছিলেন না মাহিনের পরিবার। পালিয়ে বিয়ে হলেও সাদিয়া বাবার বাড়িতে থেকেই চাকরি করছিলেন যথানিয়মে।
সাদিয়া’র বাবা আকতার উদ্দিন রাইজিংবিডিকে জানান, গত শনিবার একটা অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে জামাতা মাহিন তার মেয়ে সাদিয়াকে চকবাজার চক ভিউ মার্কেটে যেতে বলে। মাহিন তখন ফোনে সাদিয়াকে জানিয়েছিলো দুজন মিলে বেড়াতে যাবে কোথাও।
ফোনে মাহিনের ডাক পেয়ে সাদিয়া চকবাজার চকভিউ মার্কেটের সামনে আসেন। এই সময় সাদিয়াকে মাহিন একই এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের চার তলায় নিয়ে যায়। এর পর আকস্মিকভাবে সাদিয়ার উপর নির্মম নির্যাতন শুরু করে মাহিন। এর পর একই স্থানে হাজির হয় মাহিনের মা’সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। সবাই মিলে সাদিয়াকে একটি বাথরুমে আটকে রেখে এক ঘন্টা ধরে অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। ওই মুহুর্তে উক্ত নির্মানাধীন ভবনে কেউ উঠে আসার শব্দ পেয়ে সাদিয়াকে অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে মাহিন তার মা ও অন্যান্য নির্যাতনকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরে ঘটনাস্থলে আসা দুই ব্যাক্তি সাদিয়াকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়।
এই ঘটনায় সাদিয়া পিতা আকতার উদ্দিন বাদী হয়ে নগরীর চকবাজার থানায় শনিবার রাতেই সাদিয়ার স্বামী সামিউল মাহিনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মাহিনের বাবা আবদুল মতিন ও মা শিরিন আক্তারকেও আসামি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ রাইজিংবিডিকে জানান, সাদিয়ার উপর যে নির্যাতন হয়েছে তা অমানবিক। মেয়েটি বেশি বেতনে চাকরি করে আর ছেলের চেয়ে তার বয়স কয়েক বছর বেশি। এই ইগো সমস্যা থেকেই সাদিয়ার উপর এই নির্মম নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
মোঃ আলামিন বলেছেন: সামাজিক ও ধর্মিয় মূল্যবোধ কমে যাওয়ার কারণেই আজ এত অশান্তি আমাদের দেশে ।
৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২১
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: মাহিন ও তার বিকারগ্রস্ত পরিবারকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কি নির্মমতা!! কি লোভ ও জংঘাংসা এইসব মানুষরুপী জানোয়ারদের। ধিক!!