নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

www.al-ihsan.net

তুষারপাত

সত্য প্রকাশে দৃঢ় প্রত্যয়ী

তুষারপাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজার শরীফ যিয়ারত

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৫৯

হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, “হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, তিন মসজিদ ব্যতীত অন্য কোন মসজিদে (নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে) সফর করোনা। মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আক্বসা ও আমার এই মসজিদ (মসজিদুন্‌ নববী)।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

এই হাদীস শরীফের ব্যাখ্যায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিম্নোক্ত হাদীস শরীফখানা বর্ণনা করেন, “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কোন ব্যক্তি যদি ঘরে নামাজ পড়ে তবে তার এক নামাজে এক নামাজের সওয়াব পাবে। আর যদি পাঞ্জেগানা মসজিদে নামাজ পড়ে তবে এক নামাজে ২৫ নামাজের সমান সওয়াব পাবে। আর যদি জুমুয়ার মসজিদে এক নামাজ পড়ে তবে ৫০০ নামাজের সওয়াব পাবে আর যদি মসজিদুল আক্বসায় এক নামাজ পড়ে তবে ৫০ হাজার নামাজের সওয়াব পাবে। আর মসজিদুন্‌ নববীতে যদি এক নামাজ পড়ে তবেও ৫০ হাজার নামাজের সওয়াব পাবে। আর যদি ক্বাবা শরীফে এক নামাজ পড়ে তবে ১ লাখ নামাজের সওয়াব পাবে।” (ইবনে মাযাহ, মিশকাত)

এছাড়াও মসজিদে কুবায় দু’রাকাত নামাজ আদায় করলে এক ওমরার সওয়াব হয়। যেমন হাদীস শরীফে এসেছে, “যে ব্যক্তি মসজিদে কুবায় দু’রাকাত নামাজ আদায় করবে সে এক ওমরার সওয়াব পাবে।” (নাসাঈ, আহ্‌মদ)

এ প্রসঙ্গে অন্য হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক শনিবার মসজিদে কুবায় গমন করতেন হেটে অথবা সওয়ার হয়ে এবং ওখানে দু’রাকাত নামাজ আদায় করতেন।” (মুত্তাফাক আলাইহি)

শেষোক্ত হাদীস শরীফদ্বয় হতে এটা সুস্পষ্ট যে, প্রথমোক্ত তিন মসজিদ ছাড়াও চতুর্থ মসজিদ- মসজিদে কুবায় ফযীলত হাছিলের জন্য নিয়ত করে সফর করা জায়িয বরং সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। তাই শুধুমাত্র এ চার মসজিদে নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে সফর করা জায়িয। যেমন আল্লামা মুহম্মদ হাসান শাহ্‌ মুহাজিরে মক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি সর্বপ্রথম উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় বলেন, “এর মর্ম হলো জীবিতদের জন্য ফায়দাদায়ক। বরকত হাছিলের জন্য এ তিন মসজিদ ব্যতীত অন্যত্র সফর করা বিধেয় নয়। কেননা বাকী মসজিদগুলো বরকত হাছিলের দিক দিয়ে সমান। এছাড়া অপরাপর স্থানে সফর করা নিষেধ নয়। যেমন- আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপনের জন্য, ইল্‌ম অর্জনের জন্য, বুজুর্গগণের যিয়ারতের জন্য, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজা মুবারক, হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম-এর মাজার শরীফ যিয়ারত ও সমস্ত ইমামগণের মাজার শরীফসমূহ যিয়ারত করা নিষিদ্ধ নয়।”

হাফিজে হাদীস, শায়খ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় বলেন, “এ হুকুমের উদ্দেশ্য হলো শুধু মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত। এ মসজিদত্রয় ব্যতীত অন্যান্য মসজিদে নামাজের জন্য সফর করা নিষিদ্ধ। তবে যদি মসজিদ ব্যতীত সালেহ্‌গণের (কবর বা মাজার) যিয়ারত, জীবিতগণের সাথে সাক্ষাৎ, ইল্‌ম অর্জন, ব্যবসা ও ভ্রমনের জন্য সফর করে তা এ হাদীস শরীফের হুকুমের অন্তর্ভূক্ত হবে না।” (ফত্‌হুল বারী ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৬৫)

ইমামুল মুহাদ্দিসীন শায়খ আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় শরহে সুয়ূতী কিতাবে বলেন, “এটা শুধু মসজিদের জন্যই খাছ।”

উল্লিখিত হাদীস শরীফটির ব্যাখ্যায় আল্লামা মুহম্মদ ইউসুফ নিব নূরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “জমহুর উম্মত-এর মাযহাব হলো রওজা মুবারক যিয়ারত করা উত্তম ইবাদত, আর নিয়ত করে সফর করা শুধু জায়িযই নয় বরং মুস্তাহাব হওয়ার ব্যাপারে সকলেই একমত এতে কোন প্রকার অসুবিধা নেই।” (মাআরিফুস সুনান, শরহে তিরমিযী ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা-৩২৯)

সুতরাং অধিক ফযীলতের কারণে শুধু এ চারটি মসজিদে সফর করার জন্য অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। আর অন্যান্য সকল মসজিদে নামাজ আদায়ের ফযীলত সমান হওয়ার কারণে তাতে সফর করা নিষেধ করা হয়েছে। কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফর করতে নিষেধ করা হয়নি। মূলতঃ কবর বা মাজার যিয়ারতের সাথে এই হাদীস শরীফের কোন সম্পর্ক নেই। কেননা যদি উপরোক্ত হাদীস শরীফখানা কবর বা মাজার যিয়ারত সংক্রান্ত হতো তাহলে আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করতেন না এবং এ ব্যাপারে সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে নির্দেশও দিতেন না। হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, “হযরত ইবনে আবি শায়বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বছরান্তে ওহুদের শহীদগণের মাজার শরীফ যিয়ারত করতে আসতেন। অতঃপর বলতেন, তোমাদের প্রতি সালাম, যেমন তোমরা ধৈর্য্যধারণ করেছিলে, তেমনি পরকালে উত্তম বাসস্থান লাভ করেছ।” (ফতওয়ায়ে শামী) অনূরূপভাবে তিনি বদরের শহীদগণের মাজার শরীফও যিয়ারত করতে আসতেন।

এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত আছে, “হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, একবার সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর আম্মার মাজার শরীফ যিয়ারত করতে গেলেন, তখন তিনি নিজে কাঁদলেন আর তাঁর চতুর্দিকের লোকদেরকে কাঁদালেন। অতঃপর বললেন, আমি আমার প্রতিপালক-এর নিকট তাঁর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি (আল্লাহ পাক) আমাকে উহার অনুমতি দিলেন না। অতঃপর আমি তাঁর মাজার শরীফ যিয়ারত করার অনুমতি চেয়েছিলাম আর আমাকে অনুমতি দেওয়া হলো। সুতরাং তোমরা কবর বা মাজার শরীফসমূহ যিয়ারত করবে। কেননা উহা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়।” (মুসলিম শরীফ)

এর দ্বারা প্রমাণিত হলো, আখেরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজেই কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করেছেন এবং যিয়ারতের উদ্দেশ্যে সফরও করেছে। শুধু তাই নয়, সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে নির্দেশও দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত আছে, “হযরত বুরাইদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো।” (মুসলিম শরীফ)

এ প্রসঙ্গে হাদীস শরীফে আরো বর্ণিত আছে, “হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো। কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তি কমায় এবং আখিরাতের স্মরণ করায়।” (ইবনে মাযাহ শরীফ)

আর তাই খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত আবূ বকর সিদ্দীক্ব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ও আমিরুল মু’মিনীন হযরত উমর ইবনুল খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই ধারাকে বজায় রেখেছিলেন। (উমাদুল ফিক্বাহ) হযরত উছমান যুন্‌ নূরাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুও কুফায় চলে যাওয়ার পূর্বে যতদিন মদীনা শরীফে ছিলেন ততদিন প্রতি বছর বদর ও ওহুদের শহীদগণের মাজার শরীফ যিয়ারত করতে আসতেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, ওহুদ মদীনা শরীফ থেকে পৌনে ২ মাইল এবং বদর ৮০ মাইল দূরে অবস্থিত। এতদ্বসত্বেও আল্লাহ পাক-এর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত খুলাফা-ই-রশিদীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ শুধুমাত্র যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বা নিয়তে সেখানে যেতেনআরো উল্লেখ্য যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর আম্মার মাজার শরীফ যিয়ারত সম্পর্কিত হাদীস শরীফটি যখন বর্ণনা করেন, তখন তিনি মদীনা শরীফেই ছিলেন আর তাঁর আম্মা ইন্তেকাল করেন আবওয়া নামক স্থানে যখন তাঁর বয়স মুবারক ৬ বছর। আর সেখানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। আবওয়া নামক স্থানটি মক্কা শরীফ হতে মদীনা শরীফ গামী পথের পার্শ্বস্থ কিনানার বানু দামবা এলাকায়, আল জুহফা হতে প্রায় ২৩ মাইল দূরে অবস্থিত একটি স্থান। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাতা হযরত আমিনা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা নিজ পিত্রালয় মদীনা শরীফ হতে মক্কা শরীফ ফিরার পথে এ স্থানে ইন্তেকাল করেন এবং এখানেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু কারো কারো মতে তাঁকে মক্কা শরীফে সমাহিত করা হয়। (তারাবী ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৯৮০)

আবওয়া হোক আর মক্কা শরীফ হোক হযরত আমিনা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা-এর মাজার শরীফ যে মদীনা শরীফ হতে অনেক দূরে ছিল তাতে কোন সন্দেহ নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দীর্ঘপথ (যদি আবওয়া হয় তবে প্রায় ২৩ মাইল আর যদি মক্কা শরীফ হয় ধরা হয় তবে প্রায় ২০০ মাইল) একমাত্র তাঁর আম্মার মাজার শরীফ যিয়ারতের উদ্দেশ্যে বা নিয়তে গমন করেছিলেন অন্য কোন কারণে নয়।


বিখ্যাত হাদীস শরীফ বিশারদ আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উল্লেখ করেন, “সাইয়্যিদাহ্‌ ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা প্রতি শুক্রবার হযরত হামযাহ্‌ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মাজার শরীফ যিয়ারত করতে যেতেন, অনূরূপ হযরত আয়িশা সিদ্দীক্বা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা স্বীয় ভ্রাতা আব্দুর রহমান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মাজার শরীফ যিয়ারত করার জন্য মক্কা শরীফ যেতেন।” (উমাদুল ক্বারী ফি শরহে বুখারী)

শুধু তাই নয়, যাঁরা ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম তাঁরাও মাজার শরীফ যিয়ারত করতেন। যেমন এ প্রসঙ্গে “আন্‌ নাসিয়াতুলিল ওহাবী” কিতাবে উল্লেখ আছে, “হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শাফিয়ী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা তিনি যখন কোন মাসায়ালার বিষয়ে সমস্যার সম্মুখিন হতেন তখন তিনি ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজার শরীফে এসে যিয়ারত করে সেখানে হানাফী মাযহাব মুতাবিক দু’রাকাত নামাজ পড়তেন। অতঃপর ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উসিলা দিয়ে আল্লাহ পাক-এর দরবারে তাঁর সমস্যার কথা জানাতেন। আল্লাহ পাক সাথে সাথে তাঁর দু’য়া কবুল করতেন। অর্থাৎ মাসায়ালার যে সমস্যার জালে আবদ্ধ হয়ে তিনি সেখানে যেতেন ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর উসিলার বরকতে তা খুলে যেত। অতঃপর তিনি সুদূর বাগদাদ শরীফ থেকে স্বীয় স্থান ফিলিস্তিনে প্রত্যাবর্তন করতেন। উল্লেখ্য ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর এ আগমণ শুরু হতো ফিলিস্তিন থেকে, আর এই সুদূর ফিলিস্তিন থেকে আগমণের একমাত্র নিয়ত ছিল মাজার শরীফ যিয়ারত। অন্য কোন উদ্দেশ্যে বাগদাদে এসে মাজার শরীফ যিয়ারত নয়।”

আরো উল্লেখ্য যে, ইমামে রব্বানী হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, সুলত্বনুল হিন্দ হযরত মুঈনুদ্দীন চিশ্তী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজার শরীফ যিয়ারত করতে গিয়েছিলেন। আর এতে মাজার শরীফ যিয়ারত ভিন্ন অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না। (সীরাতে মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি)

অতএব, প্রমাণিত হলো যে, কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করা কিম্বা কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সফর করা উভয়টি সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সুন্নতে খুলাফা-ই-রশিদীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম প্রত্যেকেরই খাছ সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। হাদীস শরীফে আরো এসেছে, “তাবেয়ী মুহম্মদ বিন নুমান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক শুক্রবার আপন মা-বাবার অথবা তাঁদের একজনের কবর যিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং মা-বাবার সাথে সদ্বব্যবহারকারী বলে লিখা হবে।” (বায়হাক্বী শরীফ)

এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করতে গিয়ে যাতে শরীয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ সংঘটিত না হয়। এটা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। শরীয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ বলতে কবরস্থান বা মাজার শরীফে গিয়ে সিজদা করা, গান বাজনা করা, মহিলা পুরুষের বেপর্দা চলাফেরা ইত্যাদি কার্যকলাপ মূলতঃই হারাম। কোথাও যদি শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ হয়, এজন্য কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত হতে লোকদেরকে বিরত করা, মাজারের বিরুদ্ধে কোন ফতওয়া দেয়া যাবে না বরং যাতে ঐ সমস্ত কবর বা মাজার শরীফে শরীয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ সংঘটিত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাফিজে হাদীস, শায়খ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “সেখানে যদি শরীয়ত বিরোধী কাজ পরিলক্ষিত হয়, যেমন মহিলা পুরুষের একত্র মিশ্রণ, তথাপি কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত ত্যাগ করা যাবে না বরং মানুষের এরূপ নব উদ্ভাবিত (বিদায়াত) কাজকে দূর করতে হবে।” (দুররুল মুখতার ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-২৪২)

কিছু সংখ্যক লোক বলে থাকে যে, মুস্তাহাব আমলের ভিতর বিদায়াত প্রবেশ করলে মুস্তাহাব আমলকে ছেড়ে দিতে হবে, বস্তুত তাদের এই কথাটি শুদ্ধ নয়। এর দলীল হচ্ছে আশুরার রোজা। আশুরার রোজা ১০ই মুহররম একটি রাখার নিয়ম ছিল, কিন্তু যখন হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন যে, ইহুদীরাও ১০ই মুহররম একটি রোজা রেখে থাকে, তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তার পূর্বে একদিন অথবা পরে একদিন রোজা রেখে ইহুদীদের খিলাফ করো।” (মুসনাদে আহমদ)

এখানে বিদয়াত তো দূরের কথা, তাশাব্বুহ বা মিল হারাম হওয়া সত্ত্বেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার রোজাকে বাদ দিলেন না, বরং মূল আমলকে ঠিক রেখে তার তাশাব্বুহ দূর করে দিলেন আরেকটি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়ে।

বর্তমানে কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারতের ব্যাপারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে যে, কিছু সংখ্যক লোক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মাজার শরীফের নামে অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এ সমস্ত হীন চক্রান্তকারীদের দৌরাত্ম্য এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে যে, যেখানে কবরের চিহ্নমাত্র নেই সেখানে কৃত্রিম কবর বানিয়ে মানুষের ঈমানকে হরণ করার কাজে মেতে উঠছে। খোঁজ-খবর নিলে জানা যাবে যে, এ সমস্ত মাজার শরীফের কোন ভিত্তি নেই। বিশেষ করে বটতলাই এই শয়তান ভন্ডদের গায়েবী ? মাজার পাওয়া যায়। তাই এ সমস্ত ক্ষেত্রে কাজ হলো প্রকৃত মাজার শরীফ সনাক্ত করে তদারক করা, আর যেগুলোর মৌলিকত্ব নেই অর্থাৎ কৃত্রিম, তার উচ্ছেদ করে শয়তানী শিকড় উৎপাটন করা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-৫

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৭

উমর বলেছেন: কি ভাই ঈদ কেমন কাটল?
ঈদের নামায কোথায় পড়লেন? যে বৃষ্টি....



২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৭

তুষারপাত বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ ভাল কেটেছে।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১২

বাকেরভাই বলেছেন: খুব দরকারি কথা জানা গেলো । ধন্যবাদ ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৬

তুষারপাত বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৭

শিরোনামহীন.......... বলেছেন: মানুষকে বিভ্রান্ত করার কোন মানে হয় না....

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২৬

তুষারপাত বলেছেন: শরীয়তের দলীলকে যদি মানুষ বিভ্রান্ত করার উপকরণ মনে করা হয় তাহলে আমার বলার কিছুই নেই।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:১৫

আহমাদ অব্দুল্লাহ বলেছেন: কি শুরু করলেন ভাই! আপনার আক্বীদা তো দেখি খবই গোজামিল টাইপের। আপনার রেফারেন্সগুলো দেখে মনে আপনি পড়াশুনা করা মানুষ। কিন্তু সঠিক আক্বীদার ব্যাপারে আপনার ধারণা সীমিত। রাগ না করে বিষটি বোঝার চেষ্টা করুন।

ছোয়াবের উদ্দেশ্যে তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া নিষেধ।

মাযার বলতে কি বুঝাচ্ছেন্। ইসলামে তো করর পাকা করাই হারাম। বিশ্বে মাজারের নামে যা চলছে সবই তো রাসূলের নীতির সম্পূর্ণ বরখেলাফ।

ইসলাম কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপর নির্ভরশীল। দ্বীনের ব্যাপারে কোন ব্যক্তির কথার মূল্য ইসলামে মোটেই নেই যদি না তা কোরান ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত না হয়।

সময় নেই বলে বিস্তারিত বলতে পারলাম না। সময় পেলে অবশ্যই বাকি টা জানাবো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

তুষারপাত বলেছেন: ***আমি স্বীকার করি যে, আমার জ্ঞান সীমিত। কিন্তু যে কেউ সীমিত জ্ঞান দিয়েই মাজার যিয়ারত করা যে ইসলাম সম্মত তা বুঝতে পারবে।***

*** “ছোয়াবের উদ্দেশ্যে তিনটি মসজিদ ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়া নিষেধ।”- এর ব্যাখ্যা প্রথম দিকেই দেওয়া আছে। ভাল ভাবে পড়ুন।***

*** মাজার হল-নবী-রসূল আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম, সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম গণের কবর।

“ইসলামে তো করর পাকা করাই হারাম”-রেফারেন্স উল্লেখ করুন।

“বিশ্বে মাজারের নামে যা চলছে সবই তো রাসূলের নীতির সম্পূর্ণ বরখেলাফ”

এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে যে, কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করতে গিয়ে যাতে শরীয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ সংঘটিত না হয়। এটা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাজ্য। শরীয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ বলতে কবরস্থান বা মাজার শরীফে গিয়ে সিজদা করা, গান বাজনা করা, মহিলা পুরুষের বেপর্দা চলাফেরা ইত্যাদি কার্যকলাপ মূলতঃই হারাম। কোথাও যদি শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ হয়, এজন্য কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত হতে লোকদেরকে বিরত করা, মাজারের বিরুদ্ধে কোন ফতওয়া দেয়া যাবে না বরং যাতে ঐ সমস্ত কবর বা মাজার শরীফে শরীয়ত বিরোধী কোন কার্যকলাপ সংঘটিত না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে হাফিজে হাদীস, শায়খ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “সেখানে যদি শরীয়ত বিরোধী কাজ পরিলক্ষিত হয়, যেমন মহিলা পুরুষের একত্র মিশ্রণ, তথাপি কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত ত্যাগ করা যাবে না বরং মানুষের এরূপ নব উদ্ভাবিত (বিদায়াত) কাজকে দূর করতে হবে।” (দুররুল মুখতার ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা-২৪২)
কিছু সংখ্যক লোক বলে থাকে যে, মুস্তাহাব আমলের ভিতর বিদায়াত প্রবেশ করলে মুস্তাহাব আমলকে ছেড়ে দিতে হবে, বস্তুত তাদের এই কথাটি শুদ্ধ নয়। এর দলীল হচ্ছে আশুরার রোজা। আশুরার রোজা ১০ই মুহররম একটি রাখার নিয়ম ছিল, কিন্তু যখন হযরত সাহাবা-ই-কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ বললেন যে, ইহুদীরাও ১০ই মুহররম একটি রোজা রেখে থাকে, তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা আশুরার দিন রোজা রাখ এবং তার পূর্বে একদিন অথবা পরে একদিন রোজা রেখে ইহুদীদের খিলাফ করো।” (মুসনাদে আহমদ)
এখানে বিদয়াত তো দূরের কথা, তাশাব্বুহ বা মিল হারাম হওয়া সত্ত্বেও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আশুরার রোজাকে বাদ দিলেন না, বরং মূল আমলকে ঠিক রেখে তার তাশাব্বুহ দূর করে দিলেন আরেকটি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়ে।

*** “ইসলাম কুরআন ও ছহীহ হাদীছের উপর নির্ভরশীল। দ্বীনের ব্যাপারে কোন ব্যক্তির কথার মূল্য ইসলামে মোটেই নেই যদি না তা কোরান ও ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত না হয়।”
আমার লেখায় আমি যে সকল হাদীছ উল্লেখ করেছি সেগুলো কি ছহীহ নয়?

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:১৬

শিরোনামহীন.......... বলেছেন: //শরীয়তের দলীলকে যদি মানুষ বিভ্রান্ত করার উপকরণ মনে করা হয় তাহলে আমার বলার কিছুই নেই।//

আপনার মত শরীয় দলীল খারেজীরাও দেখাতো।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৭

তুষারপাত বলেছেন: খারেজীরা যদি শরীয় দলীলই দেখাতো তাহলে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদেরকে ৭২টি বাতিল ফিরক্বাহর অন্তর্ভূক্ত করলেন কেন? আশা করি জবাব দেবেন।
বাতিল ফিরক্বাহ

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৭

নাজনীন১ বলেছেন: রাসূল(সাঃ) বদরের যুদ্ধে শহীদ যাঁরা তাদের কবর যদি যিয়ারত করেন তো , ভাল কথা। তাঁরা তো তাঁর সাথী ছিলেন, পরিচিত এবং কাছের মানুষ ছিলেন।

যে কেউ তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের কবর যেয়ারত করতে পারে কবরস্থানে গিয়ে বা ঘরে বসেই মৃত আত্মীয়ের জন্য দোয়া করতে পারে। মূল বিষয় হলো মৃতের জন্য দোয়া, কবর দেখা মূল লক্ষ্য নয়। এমনকি রাসূল(সাঃ) কবরের কাছেও মানুষকে যেতে দেয়া হয় না।

সেখানে পীর-আউলিয়াদের, যাদেরকে আমরা কাছ থেকে দেখিনি, আত্মীয় না, তাদের মাজার বানানোর দরকার কি? আর সেখানে যাবার দরকার কি? আর কারো জন্য তো আপনি ঘরে বসেই দোয়া করতে পারেন। সরাসরি কবরে গিয়ে দোয়া করলে কি মৃতের বেশী উপকার হয়?

আর মৃত্যুর স্মরণ বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার এলাকায় যে কবরস্থান আছে, সেখানে যারাই শায়িত আছেন না কেন, সেখানেই তো যেতে পারেন, নির্দিষ্ট কারো কবরে বা মাজারে যেতে হবে কেন?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩২

তুষারপাত বলেছেন: মুসলমানরা কি পরস্পর ভাই-ভাই নয়?

আপনার কথা পরস্পর বিরোধী। যেমন আপনি বলছেন “যে কেউ তাঁর আত্মীয়-স্বজনদের কবর যেয়ারত করতে পারে কবরস্থানে গিয়ে বা ঘরে বসেই মৃত আত্মীয়ের জন্য দোয়া করতে পারে। মূল বিষয় হলো মৃতের জন্য দোয়া, কবর দেখা মূল লক্ষ্য নয়।” আবার আপনিই বলছেন, “মৃত্যুর স্মরণ বাড়ানোর জন্য আপনি আপনার এলাকায় যে কবরস্থান আছে, সেখানে যারাই শায়িত আছেন না কেন, সেখানেই তো যেতে পারেন, নির্দিষ্ট কারো কবরে বা মাজারে যেতে হবে কেন?”

আপনার বক্তব্য পড়ে বুঝা গেল আপনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকেও বেশী বুঝেন বা জ্ঞান রাখেন। কেননা-
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, “হযরত ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম, এখন তোমরা তা করতে পারো। কেননা উহা দুনিয়ার আসক্তি কমায় এবং আখিরাতের স্মরণ করায়।” (ইবনে মাযাহ শরীফ)
হাদীস শরীফে আরো এসেছে, “তাবেয়ী মুহম্মদ বিন নুমান রহমতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক শুক্রবার আপন মা-বাবার অথবা তাঁদের একজনের কবর যিয়ারত করবে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং মা-বাবার সাথে সদ্বব্যবহারকারী বলে লিখা হবে।” (বায়হাক্বী শরীফ)

উক্ত হাদীস শরীফদ্বয়ের প্রথমটিতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবর বা মাজার শরীফ যিয়ারতের মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য বলেছেন দুনিয়ার আসক্তি কমানো এবং আখিরাতের স্মরণ হওয়া। আর দ্বিতীয় হাদীস শরীফে বলা হচ্ছে কবর যিয়ারতকারীকে ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং মা-বাবার সাথে সদ্বব্যবহারকারী বলে লিখা হবে।
আর আপনি বলছেন মূল বিষয় হলো মৃতের জন্য দোয়া, কবর দেখা মূল লক্ষ্য নয়। বস্তুত উভয় হাদীস শরীফে যিয়ারতকারীর ব্যক্তিগত ফায়দার কথা বলা হয়েছে। আপনি কি পড়লেন আর কি বুঝলেন?

আপনি রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজা মুবারকের কাছে যেতে দেওয়া হয় না বলে উল্লেখ করেছেন। শরীয়তের কোথাও কি রওজা মুবারকের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছে? বরং সৌদী ওহাবী সরকার এই কাজটি করছে। আল্লাহ পাক কুরআন শরীফে বলেন, “আমি আপনাকে (হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে) সারা আলমের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছি।” (সূরা আম্বিয়া ১০৭)
আবার হাদীস শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে, “আল্লাহ পাক যার ভালো চান তাকে দ্বীনের সহীহ সমঝ দান করেন। আল্লাহ পাকের হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হচ্ছেন বন্টনকারী আর আল্লাহ পাক দাতা।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
উক্ত আয়াত শরীফ ও হাদীস শরীফে কোন সময় বা কালের উল্লেখ নেই। অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কতটুকু সময়ের জন্য রহমত স্বরূপ এবং বন্টনকারী। আবার তিনি কি বন্টন করবেন আর কি বন্টন করবেন না তাও উল্লেখ নেই। সুতরাং তিনি যেদিন সৃষ্টি হয়েছেন সেদিন থেকে অনন্তকাল ধরে রহমত স্বরূপ এবং বন্টনকারী। আর আল্লাহ পাক বান্দাকে দেয়ার জন্য যে সমস্ত নিয়ামত রেখেছেন সে সমস্ত কিছুরই তিনি বন্টনকারী। সুতরাং রওজা মুবারকের কাছে গেলে প্রগাঢ় রহমত ও অন্যান্য নিয়ামত পাওয়া যায়।
ব্যাপারটিকে আরো সহজভাবে ব্যাখ্যা করা যায় এভাবে- কোন একটি বড় রুমে যদি এসি চলে তাহলে উক্ত এসি’র যত নিকটবর্তী হওয়া যায় তত শীতলতা অনুভব হয়।
আর পীর-আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ হচ্ছে আল্লাহ পাক-এর মুহসীন বান্দা। তাঁদের সম্পর্কে কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক-এর রহমত মুহসীন বান্দাদের নিকটবর্তী।” (সূরা আরাফ ৫৬)
কুরআন শরীফে আল্লাহ পাক আরো বলেন, “আল্লাহ পাক নিয়ামত দান করেছেন তাঁদেরকে যাঁরা নবী, সিদ্দীক্ব, শহীদ ও সালেহ।” (সূরা নিসা ৬৯)
নবী হচ্ছেন এক স্তর আর সিদ্দীক্ব, শহীদ ও সালেহ হলেন আরেক স্তর অর্থাৎ আউলিয়া-ই-কিরামে স্তর।

সুতরাং তাঁদের মাজার শরীফ যিয়ারতের মাধ্যমে তাঁদের কাছ থেকে রহমত লাভ করা যায়। কেননা যারা জীবিত অবস্থায় আল্লাহ পাক-এর ওলী ছিলেন, ওফাতের পরও তাঁরা ওলীই আছেন, তাঁদের মর্যাদা কমে যায়নি।

৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:৪১

শিরোনামহীন.......... বলেছেন: //আপনার মত শরীয় দলীল খারেজীরাও দেখাতো। //

আমি বলেছি আপনার মতো। আমি বলিনি যে তারা বৈধ কোন কাজ করেছে।

//“হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি শাফিয়ী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা তিনি যখন কোন মাসায়ালার বিষয়ে সমস্যার সম্মুখিন হতেন তখন তিনি ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজার শরীফে এসে যিয়ারত করে সেখানে হানাফী মাযহাব মুতাবিক দু’রাকাত নামাজ পড়তেন।//

কবর স্থানে নামায পড়ার অনুমতি কে দিল?
Dawud :: Book 2 : Hadith 490
Narrated Ali ibn AbuTalib:
আল-গিফারী কর্তৃক বর্ণিত: মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কবরস্থানে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন।

Dawud :: Book 2 : Hadith 492
Narrated Sa'id:
মুসা কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: পৃথিবীর সকল স্থানই নামাজের জায়গা শুধুমাত্র পাবলিক গোছলখানা এবং কবরস্থান ব্যতীত।

আর আপনি কবরস্থানকে মাজার শরীফ বলে উল্লেখ করছেন কেন?

আশা করছি আপনি বুঝতে পেরেছেন আমি কেন খারেজী সম্পর্কিত মন্তব্যটি করেছিলাম।

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:২২

তুষারপাত বলেছেন: ***কবর স্থানে নামায পড়ার অনুমতি কে দিল?***
কবরস্থানে তিনি নামায পড়েছেন একথা বললো কে? বরং বলা হয়েছ যিয়ারত করে নামায পড়েছেন। কেননা যেখানে ওলীআল্লাহদের মাজার শরীফ থাকে তার পাশে নামায পড়ার ব্যবস্থা থাকে অথবা মসজিদ থাকে। এর ফলে যিয়ারতকারী যিয়ারত শেষে নামায আদায় করে থাকেন। এই ব্যবস্থা শুধু ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজার শরীফেই নয় বরং হযরত আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর বাগদাদের মাজার শরীফ, হযরত মঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর আজমিরের মাজার শরীফ, হযরত নিজাম উদ্দীন আউলিয়া রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দিল্লীর মাজার শরীফসহ পৃথিবীর অনেক আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম-এর মাজার শরীফেই রয়েছে।

Dawud :: Book 2 : Hadith 490
Narrated Ali ibn AbuTalib:
আল-গিফারী কর্তৃক বর্ণিত: মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে কবরস্থানে নামায পড়তে নিষেধ করেছেন।
Dawud :: Book 2 : Hadith 492
Narrated Sa'id:
মুসা কর্তৃক বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: পৃথিবীর সকল স্থানই নামাজের জায়গা শুধুমাত্র পাবলিক গোছলখানা এবং কবরস্থান ব্যতীত।


তিনি অবশ্যই আপনার উল্লেখিত হাদীস শরীফসমূহ জানতেন এবং তদনুযায়ী আমল করতেন। তিনি যদি উক্ত হাদীস শরীফের বরখিলাফ কাজ করতেন তাহলে আবূ দাউদ শরীফের উক্ত হাদীস শরীফদ্বয় তো সহীহ থাকতই না এবং আবূ দাউদ শরীফও সহীহ থাকতো না। কেননা আবূ দাউদ শরীফের লিখক ইমাম আবূ দাউদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী, যার প্রতিষ্ঠাতা ও ইমাম হচ্ছেন হযরত ইমাম আহ্‌মদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি। আর হযরত ইমাম আহ্‌মদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর মুরিদ।

***আর আপনি কবরস্থানকে মাজার শরীফ বলে উল্লেখ করছেন কেন?***
মাজার আরবী শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হলো যিয়ারত, মুলাকাত বা সাক্ষাতের জায়গা। আর পারিভাষিক অর্থ হলো আউলিয়া-ই-কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম-এর কবর, যা মানুষ যিয়ারত করে থাকে। (আল কামুস আল মুহীত, লিসানুল আরব, তাজুল উরুস, আসাসুল বালাগাহ্‌, আল মুঞ্জিদ, মিস্‌বাহুল লোগাত, আল কামুছুল জাদীদ, আল কামুছুল ইস্‌ত্বলাহী, আল মু’জামুল ওয়াসীত, বয়ানুল লিসান, আল মুফীদ, লোগাতে হীরা, লোগাতে সাঈদী, গিয়াসুল লোগাত, লোগাতে কেশওয়ারী, কারীমুল কোগাত, ফারহাঙ্গে আমিরাহ্‌, ফিরোজুল কোগাত, উর্দু জাদীদ, আরবী বাংলা অভিধান, বাংলা ও উর্দু অভিদান, কাওসার ইত্যাদি)

৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৭:৫৬

চিমটি বলেছেন: রাজারবাগে আপনাদের কেন্দ্রে কি কবর আছে নাকি কোন ?

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৫৬

তুষারপাত বলেছেন: রাজারবাগ কোন কেন্দ্র নয়। এটি গাউসুল আ'যম বড়পীর ছাহেব হযরত আব্দুল কাদীর জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত শাহজালাল রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত খান জাহান আলী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর দরবার শরীফের মতই একটি হক্ব দরবার শরীফ।

প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ্য যে, রাজারবাগ দরবার শরীফ মূলতঃ ১৯৪৮ সাল থেকে সুন্দরভাবে চলে আসছে।

৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:০৪

নতুন বলেছেন: মাজার ব্যবসায় লাভ না থাকলে ..কোন খাদেম কবর নিয়া পউড়া থাকতোনা????

এইটা বুঝতে পারাটা খুব কঠিন না............

মাজারের যারা দেখাশুনা করে.... তাদের এই ব্যবসা বন্ধ কইরা দেন...

দেখবেন কেউই নাই মাজারের গুনগান গাইবার জন্য...

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২১

তুষারপাত বলেছেন: আমার লেখার বিষয়বস্তু হলো মাজার শরীফ যিয়ারত যে শরীয়ত সম্মত তা তুলে ধরা এবং মাজার শরীফে সংঘটিত শরীয়ত বিরোধী কার্যকলাপ তুলে ধরা। আমি মাজার শরীফ নিয়ে ব্যবসার বিরুদ্ধে বলেছি।

১০| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৩

mamun বলেছেন: ভাই আমার প্রথম প্রশ্ন ঃ আপনি কোন পীরের মুরীদ ?
উত্তর পাবার পর আলোচনা করতে সুবিধা হবে।

আপনার সামনে তিনটি হাদীস পেশ করছি, আশা করি সহীহ হাদীস নিয়ে বিতর্ক করবেন না।

০১) জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সঃ) কবর চুনকাম অর্থৎ-পাকা করতে, কবরের উপর বসতে এবং কবরের উপর গুম্বুজ তৈরী করতে নিষেধ করেছেন। (মুসলিম ১ম খন্ড ৩১২ পৃঃ, আবূ দুউদ ২য় খন্ড ৪৬০পৃঃ)

০২) আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, উম্মু সালামাহ রসূলুল্লাহ (সঃ) এর নিকট একটি গির্জার কথা উল্লেখ করলেন। যা তিনি হবাসাহ (আবিসিনিয়ায়) দেখেছেন। আর ঐ গির্জার মধ্যে অনেকগুলো ছবি রয়েছে। অতঃপর নবী (সঃ) বললেনঃ এরা ঐ সমস্ত লোক যখন তাদের মধ্যে কোন সৎ ব্যক্তি বা সৎ বান্দা মারা যায় তখন তারা তার কবরের উপর মসজিদ (ইবাদাতখানা) বানিয়ে নেয় এবং তাতে এ ছবিগুলো তারা তৈরী করে। আল্লাহ নিকট এরাই হল সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি জীব। এরা দু'টি ফিতনার মধ্যে একত্র হয়েছে। কবরের ফিৎনাহ এবং মূর্তির ফিতনাহ। (বুখারী, মুসলিম)

০৩) আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেছেনঃ রসূল (সঃ) কবর যিয়ারাতকানিনী মহিলাদেরকে এবং যারা কবরকে মাসজিদে পরিনত করে (অর্থাৎ কবরে যারা সালাত পড়ে) আর যারা কবরে বাতি জ্বালায় তাদেরকে লা'নত করেছেন। (তিরমিযী, আবূ দাউদ ২য় খন্ড ৪৬১ পৃঃ, নাসায়ি, ইবনু মাজাহ)

আপনার অন্ধবিশ্বাসে চিড় ধরুক এই কামনাই করি। আমিন

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২০

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: কেন যে মানুষ মিছেমিছি এসব সাধারন জিনিষ নিয়ে তর্ক করে?
আমি মাজার জিয়ারত করি, এতে যদি কারো মনে জ্বালা ধরে তাতে আমার কী করার আছে।
ভাল একটা বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২১

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: কেন যে মানুষ মিছেমিছি এসব সাধারন জিনিষ নিয়ে তর্ক করে?
আমি মাজার জিয়ারত করি, এতে যদি কারো মনে জ্বালা ধরে তাতে আমার কী করার আছে।
ভাল একটা বিষয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৫

এস এম ইসমাঈল বলেছেন: ভাই, আপনার মোবাইল নাম্বারটা কি দেবেন?
অনেক জরুরী বিষয়ে আলাপ ...।
০১৮১৯২৮১৬২৬ এটা আমার সেল নং।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.