| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা উত্তপ্ত , না কোন দলের নয় , সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এটা । এর পেছনে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা রেয়েছে ।
ঘটনা ১ঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে যেতে চাইলে হাটাজারী রোডে যেতে হয় আগে , ঐ রোড থেকে পাওয়া যায় ১ নম্বর নামের রোড , ওখান থেকে বায়ে ঘুরে গেছে বিশ্ববিদ্যালয় রোডটা । ১ নম্বর থেকে ৩-৪ কিলো দূরে ক্যাম্পাস । এই পথে সি , এন , জি চলে , আবার চলে ৩ নম্বর বাস ( যাদের অপন নাম তরী ) । ৪ দিন আগে মাস্টার্সে পড়ে এক আপু সন্ধ্যায় ১ নম্বর থেকে সি,এন ,জি তে উঠেন আর তার পাশে দুটা ছেলে উঠে , সি , এন , জি কিছু দূর যাবার পর ছেলে দুটি আপুর শ্লীলতা হানীর চেষ্টা করে । আপু চিৎকার করলে সি , এন , জি থামান ড্রাইভার আর আপু লাফিয়ে সি , এন , জি থেকে পড়ে যায় । তখন ছেলেদুটি তাকে বলে " তোকে আমরা কি করছি ? "
আপু তখন দৌড়ে কাছের দোকানে আশ্রয় নেন । এবং পরে প্রশাসনের সহায়তায় ক্যাম্পাস আসেন , ছেলে দুটিকে গ্রেপতার করা হয় , পড়ে জানা যায় ১ টি ছেলে আপুর সাথে একই ডিপার্টমেন্টে পড়ে , কিন্তু সে পড়ে মাত্র সেকেন্ড ইয়ারে । আর অপর ছেলেটি স্থানীয় । এই ব্যাপারে কথা বলতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভি , সি স্যারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ছাত্র ছাত্রীদের উস্কে দিয়ে বলেন " ছোট ভাইরা বড় বোনের সাথে ফাজলামীও তো করতে পারে ? " । গতকাল রাতে প্রীতিলতা হলে এই বিষয়ে আলোচনা হয় ছাত্রীদের সাথে হলের স্যারদের ।
ঘটনা ২ঃ ২ দিন আগে সেই ১ নম্বর থেকেই সি , এন , জি তে করে বি , বি , এর প্রথম বর্ষের ছাত্র শুভ ক্যাম্পাস আসছিল । কিন্তু পথে ৩ নম্বর বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সি , এন , জির । এতে ৯ জন গুরতর আহত হয় । কিন্তু বিকেলে শুভ মারা যায় । এতে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা ক্যাম্পাসে মিছিল করে ও এক পর্যায়ে ভার্সিটির পাশের এলাকাবাসীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । এতে আরো ১০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে যায় । শহর থেকে ২২ কিলো দূরে চট্টগ্রাম ভার্সিটি , এতে যাওয়ার জন্য শাটল ট্রেন থাকলেও নেই ভালো কোন বিকল্প ব্যবস্থা ।
নির্দিষ্ট সময় ছাড়া শাটল চলেনা । ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকেও নেই কোন বাস সার্ভিস । এতে করে সকলের এক মাত্র ভরসা ৩ নম্বর বাস বা তরী । কিন্তু এই তরীর হেনস্থাও কমনা । বেশী ভাড়া আর এদের কচ্ছপ গতীর জন্য এরা বিখ্যাত । সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাই ক্যাম্পাসের নিজস্ব বাস সার্ভিস ও আরো সুযোগ সুবিধা নিয়ে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছে ।
ঘটনা ৩ঃ শুভ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাবার দিন রাত ১১ টায় ঘটল আরেক মর্মান্তিক কান্ড । আমানত শাহ হলের ছাত্র আরিফ ডাইনিং এর ছাদে কথা বলতে গেলে পা পিছলে পড়ে যায় নিচে । সে মাথায় খুব ব্যাথা পায় । তাকে ধরাধরি করে ক্যাম্পাসের হাসপাতালে নেয়া হয় । ক্যাম্পাসের হাসপাতাল থেকে তাকে শহরের হাসপাতালে নেয়া হয় , কিন্তু রাত ৪ টায় সে মারা যায় । শুভর শোক থাকতেই আরিফ এর চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায়না একেবারেই । আরিফো প্রথম বর্ষের ছাত্র , সে পরিসংখ্যানে পড়ত । সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা ক্যাম্পাসের হাসপাতাল ও হলের সার্বিক ব্যবস্থাপনার উপর ক্ষুব্ধ ।
ঘটনার গুরত্ব অনুধাবন করে ক্যাম্পাস বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয় । আজ বৃহস্পতিবার তো এমনিতেই ছুটি । কিন্তু আজ ক্যাম্পাসের কিছু শিক্ষার্থী শহরে গিয়ে প্রেস ক্লাবের সামনে মানব বন্ধন করে । শনিবার আরো কঠর কর্মসূচির আহ্বান করেছে শিক্ষার্থীরা । ২ মাস আগেও ক্যাম্পাসের ঝর্ণায় ডুবে প্রথম বর্ষের এক ছাত্র মারা যায় । জীবনের দাম খুব কমে গেছে আমাদের কাছে । আর শহরের এক প্রান্তে অবস্থান বলে চট্টগ্রাম ভার্সিটির প্রতি প্রসাশনের দৃষ্টিও তেমন নেই বলেই প্রতিয়মান হয় । মানলাম গরীব দেশের গরীব ভার্সিটি , পড়াশুনার পরিবেশ অথবা মানের কথায় নাই বা আসলাম , জীবনের নিশ্বয়তা আর সম্ভ্রম রক্ষার নিশ্চয়তাও না পেলে আর কিসের উচ্চ শিক্ষা ?
২|
২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০১
মোঃ তায়িফ-বিন-তোফা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩|
০৬ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
গোর্কি বলেছেন: পৃথিবীর আরো অনান্য দেশের মত নির্দলীয় ছাত্র সমিতি বা সংঘ গড়ে তোলা যেতে পারে ছাত্র উন্নয়ন বিকাশের স্বার্থে। তবে ছাত্র উন্নয়ন রাজনীতির নামে বর্তমানে আমাদের দেশে যেটা চলছে, সেটার আমি ঘোর বিরোধী।
আপাত দৃষ্টিতে লেখার সাথে একাত্মতা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২১
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: উচ্চ শিক্ষা নয় , আগে চাই জীবনের নিশ্চয়তা একমত।