![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১
ছাগলটাকে শিক্ষাদেয়ার জন্য এরবিকল্প আর কিছু তো পাচ্ছি না। প্ল্যান মতোসব হওয়া চাই।
দোস্ত, ব্যাপারটা মিষ্টিনা হলে ঠিক জমছে না।
হাতে তো তেমন টাকাও নেই। তাহলে দিনটা পেছাতে হয়। দুই সপ্তাহপর আমার জন্মদিন। তখন মাকে বলে টাকা নেয়া যাবে। তাতে আরেকটা সুবিধা হলো, তার পরদিন আমি গ্রামে যাচ্ছে দশ দিনের জন্য। এতে ব্যাপারটা আরো বিশ্বাসযোগ্য হবে। কি বলিস?
ব্যাপরাটা যদি তোর মা-বাবার কানপর্যন্ত পৌঁছায়?
আরে না। আমি থাকি হোষ্টেলে। ঢাকায় তেমন আত্মীয় ও তো নেই। বাবাকে এ কথা বলতে কে নরসিংদী যাবে?
তাহলে তোকেল্লাফতে। চাচিকে আজই মিষ্টির টাকার জন্য ফোন কর।
পরশু ১৪তারিখ। আজ টিফিন পিরিয়ডেই কাজে লাগতে হবে। দোলা, তোর তো আর্টসে অনেক বন্ধুআর মিমের সায়েন্সে। তোরা দুজনদুই গ্রুপে গিয়েছড়িয়ে দিবি যে, সুইটির বিয়ে। এ ক্লাসের দায়িত্ব আমার।
ব্যাপারটা বেশি হয়ে যাচ্ছে না?
সুইটি, চুপ থাক তো। কেউ জানবেনা। শুধু তুই চুপি চুপি মদনটার কানে গিয়ে বলবি, জানো,আমার না বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।অমনি ও বিশ্বাস করে নিল, তাইনা?
আরে, রাখী থাকতে তোদের কোনো চিন্তানেই। এই বয়সে মজা করবি নাতো কি বুড়ি হয়ে যখন একঠ্যাঙ করবে থাকবেতখন করবি?
সব ঠিকমতো হলোও। সারা কলেজছড়িয়ে গেল যে, সুইটিরবিয়ে হয়ে যাচ্ছে। নিজ ক্লাসেরসবাইকে মিষ্টি খাওয়ালো সে। পরদিন থেকে বিয়ের কারণে বেশকছিুদিন কলেজে এলোনা। শুধু সুইটিরতিন বান্ধবী জানলো আসলকথা।
ইনটারমিডিয়েট ফাষ্টইয়ারে পড়ে ওরা। ক্লাসের এক বোকা মতো ছাত্র পছন্দ করে সুইটিকে। কিন্তু সুইটিরওকে দেখলেই গা জ্বলে যায়। ছেলেটা ওকে ডাকে মিষ্টি বলে। তখন সুইটি বলে,তোমাকে কি আমার বাবা আমার নাম ট্রান্সলেট করার জন্য নিয়োগ করেছেন? ছেলেটার নাম রুমি। বান্ধবীরামিলে ওর নামরেখেছে বমি। এই বমিরযন্ত্রণার হাত থেকেবাচার জন্যই এ কাজ।
সুইটি প্রথমেচেয়েছির ছেলেটাকে বুঝিয়েবলতে। কিন্তু রাখী, দোলাদের মজার খোড়াকজোগাতে প্ল্যানটা ফেলতেওপারলো না।
সুইটি দশদিন পর ক্লাসে ফিরে শোনে রুমিরাস্তা পার হতেগিয়ে ট্রেনের নিচেচাপা পড়ে মারাগেছে। তবে সুইটিরসহঅনেকেরই ধারণা, এটা আত্মহত্যা।
ক্লাসের ওরজন্য মিলাদ পড়ানোহয়। মিলাদের মিষ্টিটাতখন বিষের মতোমনে হয় সুইটিরকাছে। মনে হয়, এ মিষ্টির জন্যই জীবনদিতে হলো তাকে।
তারপর বেশকয়েখ বছর মিষ্টি খেতে পারতো না সে। কোনো ছেলের সঙ্গে সম্পর্কও জড়ায়নি বেশ কয়েক বছর। তীব্র অপরাধবোধ কুরে কুরে খায় তাকে।
২
জান, আমার কল্পনায় তুমি যেমন ছিলে, বাস্তবেও ঠিক তাই।
আমার ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্য। তোমার সঙ্গে কথা বলার সময় আমার কখনোই মনে হতো না যে,তোমাকে দেখিনি।
জান, একটা কথাবলবে?
কি কথা?
বলেতো কি শুনতে চাচ্ছি?
অনেক ভালোবাসি তোমাকে।
থ্যাংক ইউ। আমার লক্ষীবৌ।
এ বছরমাষ্টার্স পরীক্ষা দিয়েছে সুইটি। তার জীবনেপ্রেম ধরা দিল বেশ পরেই। তাও আবার ফোনে পরিচয়। সে মনের মতো মন তো পেয়েছেই,সে সঙ্গে ছেলের ফ্যামিলি স্টেটাস সহ সবকিছুই ভাল। দুই পরিবারেরছেলেমেয়ে দেখা শেষ। এখনশুধু সেই শুভলগ্নের অপেক্ষা।
বর পক্ষ বিয়ের তত্ত্ব দিয়েছে তাক লাগানোর মতো। খুব দামি শাড়ি-গহনায় মুড়িয়ে রেখেছে মেয়েকে। বিয়েতে এতো বাহারি মিষ্টি এনেছে। মিষ্টির এতো ডালা দেখে মাথাঘুরে যাওয়ার মতো অবস্থা। সবাই বলছে, সুইটির বিয়েতে এতোমিষ্টি থাকবে নাতো কার বিয়েতেথাকবে। নামের সঙ্গেমিল রাখতে হবেনা।
পরীর মতো সেজে-গুজে একটু জড়সড়হয়ে স্টেজে বসেছিল সুইটি।
একটু বড়হওয়ার পর থেকেই এদিনটি নিয়ে সবাই স্বপ্ন বোনে, আজ ওর জীবনেতা সত্যি হচ্ছে। ও বাড়ির সবা্ই বলছিল,খুব মিষ্টিবৌ হয়েছে সজলের। এদিকে সজলের চাচাতো বোনের তোন তুন েবৗ দেখে চোখ চড়কগাছ। তুমি রমিজউদ্দিনকলেজে পড়তে না?
হুম।
কমাসে পড়তে, তাই না?
আবার মাথানেড়ে সায় দিল সে।
তুমি সেই সুইটি। তোমার নাসেই কবে বিয়ে হয়েছিল।
এই প্রশ্নে চারপাশের হই হুল্লোড়থমকে যায়। মেয়ের বাবা-চাচা যতোই না করুন,পাত্র পক্ষের বিশ্বাসহয় না। ওই মেয়ে জোর দিয়ে বলে, সেসময়ের কলেজের যেকাউকে জিজ্ঞাসা করলে একই কথা বলবে।
ভাহ্যিস রাখী সেখানে উপস্থিত ছিল। সে বলে উঠলো,ওরা মজা করার জন্য করেছিল এটা।
সজল বলল্ল, যা রটে তার কিছু হলেও বটে। আমাকে ঠকানো হয়েছে। আমি তো মেয়ের অতীত নিয়েকিছুই জানতাম না। দুই পক্ষের বাকবিতন্ডাচলতে থাকে। পাত্র পক্ষের আসর ছেড়ে চলেযাওয়ার মতো অবস্থা। সুইটির মুখে রা নেই। চোখে পানি নেই। ব্যাপারটা ভুলতেবসেছিল সে। সুইটি পাথর হয়ে তাকিয়ে ছিল মিষ্টির ডালাগুলোর দিকে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ফিনিশিং টুইস্টটা চমতকার। ভাল লেগেছে
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ,পাশে থাকবেন
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
খেলাঘর বলেছেন:
ভালোই, লিখুন, আরো ভালো হবে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চেস্টা করবো ,পাশে থাকবেন
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫১
কাল্পনিক আমি বলেছেন: ব্যাপারটা খুব দুঃখ জনক
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: হুম, পড়ার জন্য ধন্যবাদ
৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৪
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: গল্প ভালো লাগল।
অনেকগুলো শব্দের মাঝে স্পেস আসে নি। দুইটি শব্দ এক্ত্রিত হয়ে গেছে অনেক জায়গায়, সময় করে এডিট করে নিবেন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: সুধরানোর সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন
৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৭
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন:
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২১
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো লাগা +
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২০
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: কমেন্ট করতে গিয়ে আমার অবস্থাও একই রকম হয়ে গেছে ।
অনেকগুলো শব্দের মাঝে স্পেস আসে নি। দুইটি শব্দ একত্রিত হয়ে গেছে অনেক জায়গায়, সময় করে এডিট করে নিবেন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: আচ্ছা
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:২২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালোই লাগলো । শুভেচ্ছা
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: কাহিনীর শেষের দিকে কিছুটা ভিন্নতা আছে দেখে ভাল লাগল। আরো লিখুন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অসং্খ ধন্যবাদ। পাশে থাকবেন
১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:০৫
এহসান সাবির বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪২
রশিদ সভাপতি মুমুরদিয়া বলেছেন: সুন্দর, চমৎকার, স্বার্থক একটা ছোট্ট গলপ।এরকম আরও গলপ আশা করি পাব।শুভ কামনা রইলো।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। পাশে থাকবেন
১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২০
কাব্য পূজারি বলেছেন: আর একটু ব্যাখ্যা করে লিখলে অসাধারণ হত । তবে ভালো লিখেছেন । আমার ভালো লেগেছে ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: কি করব বলেন,টাইপিং এ দূর্বল যেন অতিরিক্ত সময় লাগার কারনে লেখা ছোট করি। সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ
১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২১
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে ভালো লাগলো ।
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
১৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০
আবু শাকিল বলেছেন: ভাল লাগল
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০৪
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
১৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
তুষার কাব্য বলেছেন: গল্প ভালো লাগল ...আরো ভালোর প্রত্যাশা থাকলো...
০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:২৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ,পাশে থাকবেন
১৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শুভকামনা রইল অনেক।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৪০
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: ধন্যবাদ
১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৫
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: জ্বি, আমি আছি। আপনি লিখতে থাকেন। পাশে তাকালেই দেখতে পাবেন আমাকে
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন:
১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১০
শান্তির দেবদূত বলেছেন: দারুন সাবলিল লেখা, সুন্দর ভিন্ন স্বাদের একটা ছোট গল্প পড়লাম। শেষের ফিনিশিংটা যদিও কষ্টের তবে গল্পের জন্য আবশ্যক ছিল। স্বার্থক ছোট গল্প।
সংলাপে কিছু দুর্বলতা আছে, যেগুলো প্রেক্টিসের মাধ্যমে ধীরে ধীরে আরও ভালো করতে পারবেন আশা করি। সংলাপ ছাড়াও পরিবেশ/চরিত্রগুলো নিয়ে আরও কিছু গভীর বর্ণনা থাকলে বেশ জমজমাট হতো।
আপনার পরের গল্পের অপেক্ষায় রইলাম।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৮
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ । আসলে গল্পটা অনেক আগের লেখা, তখন সবেs.s.c দিয়েছি। আমি আরো ২টা গল্প পোস্ট করেছি, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৬
আবিদ হোসেন বলেছেন: ভালো লিখেছো আপু ।।